Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

পাওয়ার আছে অনিকের, শুধু নার্ভ ধরে রাখা চাই: রাসেল আরনল্ড

পাওয়ার আছে অনিকের, শুধু নার্ভ ধরে রাখা চাই: রাসেল আরনল্ড
রানা আব্বাস
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ১০: ৫৩

বিপিএলে ধারাভাষ্য দিতে এসেছিলেন রাসেল আরনল্ড। ধারাভাষ্য দিচ্ছেন চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। জাকের আলী অনিকের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ রাসেল। যেহেতু তিনিও ফিনিশারের ভূমিকায় খেলতেন, জাকেরের মতো লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারের ভূমিকা নিয়ে নিখুঁত বিশ্লেষণ তাঁর পক্ষেই সম্ভব। রাসেল গত পরশু বিকেলে সিলেট স্টেডিয়ামে বসে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন আরও কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

প্রশ্ন: সিলেটে কেমন লাগছে?
রাসেল আরনল্ড: দারুণ, প্রশান্তিময় এক জায়গা। কিছুটা পল্লি অঞ্চল। খুব বেশি ঘুরে দেখার সুযোগ অবশ্য এখনো পাইনি। তবে ক্রিকেট কন্ডিশন দেখেছি। বিশ্বের যেকোনো মাঠের সঙ্গে তুলনা করলে এটাকে ফার্স্ট ক্লাস বলতে হবে। সেদিন দুর্দান্ত একটা ম্যাচও তো হলো।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বেশ কিছু পরিবর্তন। বাংলাদেশেও কিছু পরিবর্তন এসেছে।
রাসেল: ওয়েল, নতুন ভাবনা, নতুন দিকনির্দেশনা পেতে পরিবর্তন দরকার। ২০২৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের অনেক কিছুই ভালো যায়নি। যেসব জায়গা সত্যি চিহ্নিত করা দরকার। পরিবর্তন অনেক কিছুই হতে পারে। তবে মূল কাজ যাদের, খেলোয়াড়দের সেসব বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভালো করতে হবে। 

প্রশ্ন: দুই দলের প্রেক্ষাপটে এই সিরিজের গুরুত্ব কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
রাসেল: এই তিনটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গড়ার শেষ সিরিজ (শ্রীলঙ্কার)। দলের সঠিক সমন্বয়, ভারসাম্য ও আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেতে সত্যি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজ। আর প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ একটা দ্বৈরথ তৈরি হয়েছে এখন। সুতরাং, জেতা এবং পারফরম্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একই। আপনি প্রতিটি ম্যাচ জিততে চান। কারণ, এটার সঙ্গে গৌরব, আত্ম অহংকার জড়িয়ে। তবে বাংলাদেশ আরও কিছু টি-টোয়েন্টি পাবে (বিশ্বকাপের দল গঠনে)। তবে সঠিক পরিকল্পনা আর সমন্বয় পেতে কাজ এখনই শুরু করতে হবে, তাই না?

প্রশ্ন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার দ্বৈরথের কথা বলছিলেন। কেমন উপভোগ করেন এ দ্বৈরথ?
রাসেল: আমার কাছে এসব মাঠের বিষয়। খেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়া চাই, যেটি সেদিন (প্রথম টি-টোয়েন্টি) আমরা দেখলাম। এক ইঞ্চিও ছাড়া যাবে না, দেওয়া যাবে না—এটাই দুই দলকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নামিয়ে দিচ্ছে।
    
প্রশ্ন: সেদিন জাকের আলী অনিকের ব্যাটিং কেমন লেগেছে? 
রাসেল: যেভাবে সে খেলেছে, উপভোগ্য ছিল। পাওয়ার শট খেলে বাংলাদেশকে আশা দিয়েছিল। যদি শেষ ওভারে সে আউট না হতো, সেদিন বাংলাদেশ জিততেও পারত। সব সময় সে এভাবে খেলতে পারবে না। সুযোগ এলেই যদি ধারাবাহিক ভালো করতে পারে, সে একজন তারকা হবে। নিচের দিকে একজন পাওয়ার হিটার পাওয়া খুবই ভালো।

প্রশ্ন: আপনিও লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতেন। একই পজিশনের ব্যাটার তরুণ জাকের যদি আপনার কাছে টিপস চাইতে আসেন, কী পরামর্শ দেবেন? 
রাসেল: এখন যদি সে আমার কাছে না আসে, তাহলে ভালোই হবে। সত্যি সে ভালো খেলছে। টি-টোয়েন্টি একটু অন্য রকম খেলা। পাওয়ার আছে, তাকে শুধু নার্ভটা ধরে রাখতে হবে। নিজের শক্তির ওপর আস্থা রাখতে হবে। ৬-৭ নম্বর পজিশনে একজন ব্যাটারকে গেম খুব ভালো বুঝতে হয়। কীভাবে গতি ধরে রাখতে হবে, সেটি বুঝতে ট্যাকটিক্যালি ভালো হতে হয়। একই সঙ্গে আপনার সঙ্গীর কাছ থেকেও সেরাটা বের করে নিয়ে আসতে হবে। খেলাটা শেষ করে আসার সামর্থ্য আছে বলেই এ পজিশনে আপনি ব্যাটিং করেন। আশা করি, সে এসব ঠিকঠাক ধরে রাখতে পারবে। সেদিন সে যখন ব্যাটিং করতে এল, শুরুতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সমর্থন করে যাওয়া ছিল তার মূল কাজ। পরে নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে নিয়েছে। শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটেও এভাবে খেলতে হবে—দ্যাটস হোয়াট ইট ইজ। ওর এটা শুধু ধরে রাখতে হবে। 

 ৬-৭ নম্বর পজিশনে ব্যাটারকে গেম খুব ভালো বুঝতে হয়। কীভাবে গতি ধরে রাখতে হবে, সেটি বুঝতে ট্যাকটিক্যালি ভালো হতে হয়। খেলাটা শেষ করে আসার সামর্থ্য আছে বলেই এ পজিশনে আপনি ব্যাটিং করেন। আশা করি, অনিক এসব ঠিকঠাক ধরে রাখতে পারবে।

প্রশ্ন: দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ দলে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের এক বছর হলো। তাঁর এক বছর কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
রাসেল: দল ভালো করছে। বিষয়টা হচ্ছে, দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। রেকর্ড ভালো। আমার মনে হয়েছে, গত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো করতে পারেনি। তবে তারা নিউজিল্যান্ডে ভালো করেছে। এটাই তো আপনি চাইবেন। ঠিকঠাক উন্নতি চাইবেন। প্রতিটি ম্যাচ বা খেলায় জিততে পারবেন না। তবে যেখানেই খেলতে যান, সঠিক পথে থাকতে হবে। 

প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অ্যাপ্রোচ কেমন হওয়া উচিত বা তাদের আর কোথায় কোথায় উন্নতি করতে হবে?
রাসেল: তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে। বিপিএল থেকে এসেছে সবাই, খেলোয়াড়েরা ছন্দে। আছে আত্মবিশ্বাসও। সেরা খেলোয়াড়দের নেওয়া হয়েছে। আবারও বলি, স্মার্ট হতে হবে। সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নিতে হবে। সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে, কন্ডিশন বুঝে খেললে ভালোভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। হ্যাঁ, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা বেশি স্পিন খেলে অভ্যস্ত। তবে এখানে (সিলেটে) তো ফাস্ট বোলাররাও ভালো করছে। প্রতিপক্ষের পাওয়ার প্লেতে আরও বেশি উইকেট নিতে হবে। যদি তারা এটা পারে, কন্ডিশন ও পরিস্থিতি বুঝে খেলতে পারে, আরও ভালো দল হয়ে উঠতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত