আহমেদ রিয়াদ, সাভার থেকে

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটেছে তামিমের।
বিকেএসপি থেকে যখন নিকটবর্তী কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন সেখানে যেন মানুষের ঢল নেমেছিল। কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে এসেছেন খবর নিতে, কেউবা নিশ্চিত হতে চেয়েছেন, প্রিয় তারকার চিকিৎসা সেরা মানের হচ্ছে কি না। কাল রাতে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার খবরই মিলেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তামিম।
গতকালের ম্যাচটা দেবব্রত পালের জন্য শুরু হয়েছিল অন্য সব ম্যাচের মতোই। বিকেএসপিতে সকালে প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচে তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। দুই দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও রায়ান রাফসানকে নিয়ে সকাল ৯টায় টস করেন। তামিম কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন টসের আগে, ওয়ার্মআপের সময়েই। টস করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর সেটা আরও বাড়ে। মোহামেডান কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে এ সময় তিনি বলেন, তাঁর সম্ভবত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে। তারিকুল তখন তাঁকে বলেন, ‘তোমার মাঠে যাওয়ার দরকার নেই। বিশ্রাম নাও।’ কিছুক্ষণ পর তামিম আরও অসুস্থ বোধ করেন। তারিকুলকে তিনি জানান, তাঁর খারাপ লাগছে, মুখের দিকে ব্যথা হচ্ছে।
তারিকুল ও টিম ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেনসহ মোহামেডান দলের সংশ্লিষ্টরা দ্রুত তামিমকে বিকেএসপির কাছের কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় বিকেএসপির চিকিৎসকও তাঁদের সহায়তা করেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদের তিনিই পরামর্শ দেন তামিমকে বিকেএসপির কাছের এই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তামিম নিজের গাড়িতে চড়েই হাসপাতালে যান। সকাল সাড়ে ৯টায় তামিমকে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান।
হাসপাতালে নেওয়ার পরই তামিমের ইসিজি ও কয়েকটি প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। তবে তখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাঁর প্রকৃত অবস্থা কী। দ্রুত ঢাকায় যোগাযোগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়, সেটা বিকেএসপির মাঠেও সময়মতো পৌঁছায়। কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষায় কিছু ধরা না পড়ায় তামিমও ভেবেছিলেন, ঢাকায় গিয়েই আরও বিস্তারিত পরীক্ষা করাবেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদেরও সেই পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তবে কেপিজে হাসপাতাল থেকে বিকেএসপিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ওঠার আগেই হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তামিম। ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তখন তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল, পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। আকস্মিক এই অবস্থায় উপস্থিত সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। বিকেএসপির চিকিৎসক তখন জানান, পরিস্থিতি সংকটজনক। হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়ার পথে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। দ্রুত কাছের হাসপাতালেই চিকিৎসা শুরু করাই সঠিক উপায়। তামিমের শারীরিক অবস্থার কথা শুনে হেলিকপ্টারের পাইলটও ওড়ার ঝুঁকি নিতে চাননি।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আবারও কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয় তামিমকে। অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার পুরোটা সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করেন। বুকে পাঞ্চ করা এই প্রক্রিয়ায় নিঃসাড় হৃৎপিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তামিমের সঙ্গে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তামিম তখন সম্পূর্ণ অচেতন, কারও ডাকেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। যখন ট্রেইনার ইয়াকুব তামিমের মুখ খুলে সিপিআর করছিলেন, তখন মুখ দিয়ে লালা ও ফেনা বেরিয়ে এসেছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত বিকেএসপির চিকিৎসকসহ সবাই সিদ্ধান্ত নেন, কাছের কেপিজে হাসপাতালেই তামিমকে নিতে হবে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও হাসপাতালে এসে পৌঁছান। কেপিজে হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তামিমের এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়। পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি ব্লক ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্ট বসানো হয়।
তামিমকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুবের সিপিআর কতটা কাজে দিয়েছে, সেটা পরে দেখাই গেল। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তামিম কেপিজে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তামিমের পাশে ছিলেনে স্ত্রী আয়েশা ইকবাল। বিকেলে জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে তামিম কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তামিম পর্যবেক্ষণে থাকবেন, এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তামিমের শারীরিক অগ্রগতির খবর জানাবেন।
বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ তামিমের দ্রুত চিকিৎসায় বিকেএসপি ও কেপিজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তামিমের ভক্ত-সমর্থকদের বিসিবির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, অযথা হাসপাতালে ভিড় না করতে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তামিমের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর একজন সুস্থ মানুষের জন্যও বিশেষ কিছু গাইডলাইন অনুসরণ করতে হয়। যেখানে ক্রিকেটের মতো খেলায় শারীরিক ফিটনেস সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। স্টেন্ট মূলত হৃদ্যন্ত্রের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবহার করা হয়, যা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে। সংকট কাটিয়ে উঠলেও তামিমের মতো একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য নিয়মিত অনুশীলন ও ম্যাচ খেলা কতটা নিরাপদ হবে, সেটি নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার পর অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের ক্যারিয়ারের পাশে যতিচিহ্ন বসে যায়। তামিমেরও কি তা-ই হতে যাচ্ছে? এখানে তামিমকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজের সুস্থতা ও জীবনমূল্যের হিসাব কষে। প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগের দিনই সংবাদমাধ্যমে বিকেএসপির মতো ঢাকার বাইরে লিগ খেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তামিম। সেই শঙ্কা তাঁর ক্ষেত্রেই সত্যি হবে, সেটা কে ভেবেছিল?

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটেছে তামিমের।
বিকেএসপি থেকে যখন নিকটবর্তী কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন সেখানে যেন মানুষের ঢল নেমেছিল। কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে এসেছেন খবর নিতে, কেউবা নিশ্চিত হতে চেয়েছেন, প্রিয় তারকার চিকিৎসা সেরা মানের হচ্ছে কি না। কাল রাতে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার খবরই মিলেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তামিম।
গতকালের ম্যাচটা দেবব্রত পালের জন্য শুরু হয়েছিল অন্য সব ম্যাচের মতোই। বিকেএসপিতে সকালে প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচে তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। দুই দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও রায়ান রাফসানকে নিয়ে সকাল ৯টায় টস করেন। তামিম কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন টসের আগে, ওয়ার্মআপের সময়েই। টস করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর সেটা আরও বাড়ে। মোহামেডান কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে এ সময় তিনি বলেন, তাঁর সম্ভবত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে। তারিকুল তখন তাঁকে বলেন, ‘তোমার মাঠে যাওয়ার দরকার নেই। বিশ্রাম নাও।’ কিছুক্ষণ পর তামিম আরও অসুস্থ বোধ করেন। তারিকুলকে তিনি জানান, তাঁর খারাপ লাগছে, মুখের দিকে ব্যথা হচ্ছে।
তারিকুল ও টিম ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেনসহ মোহামেডান দলের সংশ্লিষ্টরা দ্রুত তামিমকে বিকেএসপির কাছের কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় বিকেএসপির চিকিৎসকও তাঁদের সহায়তা করেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদের তিনিই পরামর্শ দেন তামিমকে বিকেএসপির কাছের এই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তামিম নিজের গাড়িতে চড়েই হাসপাতালে যান। সকাল সাড়ে ৯টায় তামিমকে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান।
হাসপাতালে নেওয়ার পরই তামিমের ইসিজি ও কয়েকটি প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। তবে তখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাঁর প্রকৃত অবস্থা কী। দ্রুত ঢাকায় যোগাযোগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়, সেটা বিকেএসপির মাঠেও সময়মতো পৌঁছায়। কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষায় কিছু ধরা না পড়ায় তামিমও ভেবেছিলেন, ঢাকায় গিয়েই আরও বিস্তারিত পরীক্ষা করাবেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদেরও সেই পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তবে কেপিজে হাসপাতাল থেকে বিকেএসপিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ওঠার আগেই হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তামিম। ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তখন তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল, পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। আকস্মিক এই অবস্থায় উপস্থিত সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। বিকেএসপির চিকিৎসক তখন জানান, পরিস্থিতি সংকটজনক। হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়ার পথে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। দ্রুত কাছের হাসপাতালেই চিকিৎসা শুরু করাই সঠিক উপায়। তামিমের শারীরিক অবস্থার কথা শুনে হেলিকপ্টারের পাইলটও ওড়ার ঝুঁকি নিতে চাননি।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আবারও কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয় তামিমকে। অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার পুরোটা সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করেন। বুকে পাঞ্চ করা এই প্রক্রিয়ায় নিঃসাড় হৃৎপিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তামিমের সঙ্গে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তামিম তখন সম্পূর্ণ অচেতন, কারও ডাকেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। যখন ট্রেইনার ইয়াকুব তামিমের মুখ খুলে সিপিআর করছিলেন, তখন মুখ দিয়ে লালা ও ফেনা বেরিয়ে এসেছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত বিকেএসপির চিকিৎসকসহ সবাই সিদ্ধান্ত নেন, কাছের কেপিজে হাসপাতালেই তামিমকে নিতে হবে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও হাসপাতালে এসে পৌঁছান। কেপিজে হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তামিমের এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়। পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি ব্লক ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্ট বসানো হয়।
তামিমকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুবের সিপিআর কতটা কাজে দিয়েছে, সেটা পরে দেখাই গেল। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তামিম কেপিজে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তামিমের পাশে ছিলেনে স্ত্রী আয়েশা ইকবাল। বিকেলে জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে তামিম কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তামিম পর্যবেক্ষণে থাকবেন, এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তামিমের শারীরিক অগ্রগতির খবর জানাবেন।
বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ তামিমের দ্রুত চিকিৎসায় বিকেএসপি ও কেপিজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তামিমের ভক্ত-সমর্থকদের বিসিবির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, অযথা হাসপাতালে ভিড় না করতে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তামিমের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর একজন সুস্থ মানুষের জন্যও বিশেষ কিছু গাইডলাইন অনুসরণ করতে হয়। যেখানে ক্রিকেটের মতো খেলায় শারীরিক ফিটনেস সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। স্টেন্ট মূলত হৃদ্যন্ত্রের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবহার করা হয়, যা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে। সংকট কাটিয়ে উঠলেও তামিমের মতো একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য নিয়মিত অনুশীলন ও ম্যাচ খেলা কতটা নিরাপদ হবে, সেটি নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার পর অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের ক্যারিয়ারের পাশে যতিচিহ্ন বসে যায়। তামিমেরও কি তা-ই হতে যাচ্ছে? এখানে তামিমকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজের সুস্থতা ও জীবনমূল্যের হিসাব কষে। প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগের দিনই সংবাদমাধ্যমে বিকেএসপির মতো ঢাকার বাইরে লিগ খেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তামিম। সেই শঙ্কা তাঁর ক্ষেত্রেই সত্যি হবে, সেটা কে ভেবেছিল?
আহমেদ রিয়াদ, সাভার থেকে

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটেছে তামিমের।
বিকেএসপি থেকে যখন নিকটবর্তী কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন সেখানে যেন মানুষের ঢল নেমেছিল। কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে এসেছেন খবর নিতে, কেউবা নিশ্চিত হতে চেয়েছেন, প্রিয় তারকার চিকিৎসা সেরা মানের হচ্ছে কি না। কাল রাতে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার খবরই মিলেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তামিম।
গতকালের ম্যাচটা দেবব্রত পালের জন্য শুরু হয়েছিল অন্য সব ম্যাচের মতোই। বিকেএসপিতে সকালে প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচে তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। দুই দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও রায়ান রাফসানকে নিয়ে সকাল ৯টায় টস করেন। তামিম কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন টসের আগে, ওয়ার্মআপের সময়েই। টস করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর সেটা আরও বাড়ে। মোহামেডান কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে এ সময় তিনি বলেন, তাঁর সম্ভবত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে। তারিকুল তখন তাঁকে বলেন, ‘তোমার মাঠে যাওয়ার দরকার নেই। বিশ্রাম নাও।’ কিছুক্ষণ পর তামিম আরও অসুস্থ বোধ করেন। তারিকুলকে তিনি জানান, তাঁর খারাপ লাগছে, মুখের দিকে ব্যথা হচ্ছে।
তারিকুল ও টিম ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেনসহ মোহামেডান দলের সংশ্লিষ্টরা দ্রুত তামিমকে বিকেএসপির কাছের কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় বিকেএসপির চিকিৎসকও তাঁদের সহায়তা করেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদের তিনিই পরামর্শ দেন তামিমকে বিকেএসপির কাছের এই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তামিম নিজের গাড়িতে চড়েই হাসপাতালে যান। সকাল সাড়ে ৯টায় তামিমকে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান।
হাসপাতালে নেওয়ার পরই তামিমের ইসিজি ও কয়েকটি প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। তবে তখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাঁর প্রকৃত অবস্থা কী। দ্রুত ঢাকায় যোগাযোগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়, সেটা বিকেএসপির মাঠেও সময়মতো পৌঁছায়। কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষায় কিছু ধরা না পড়ায় তামিমও ভেবেছিলেন, ঢাকায় গিয়েই আরও বিস্তারিত পরীক্ষা করাবেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদেরও সেই পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তবে কেপিজে হাসপাতাল থেকে বিকেএসপিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ওঠার আগেই হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তামিম। ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তখন তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল, পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। আকস্মিক এই অবস্থায় উপস্থিত সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। বিকেএসপির চিকিৎসক তখন জানান, পরিস্থিতি সংকটজনক। হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়ার পথে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। দ্রুত কাছের হাসপাতালেই চিকিৎসা শুরু করাই সঠিক উপায়। তামিমের শারীরিক অবস্থার কথা শুনে হেলিকপ্টারের পাইলটও ওড়ার ঝুঁকি নিতে চাননি।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আবারও কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয় তামিমকে। অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার পুরোটা সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করেন। বুকে পাঞ্চ করা এই প্রক্রিয়ায় নিঃসাড় হৃৎপিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তামিমের সঙ্গে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তামিম তখন সম্পূর্ণ অচেতন, কারও ডাকেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। যখন ট্রেইনার ইয়াকুব তামিমের মুখ খুলে সিপিআর করছিলেন, তখন মুখ দিয়ে লালা ও ফেনা বেরিয়ে এসেছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত বিকেএসপির চিকিৎসকসহ সবাই সিদ্ধান্ত নেন, কাছের কেপিজে হাসপাতালেই তামিমকে নিতে হবে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও হাসপাতালে এসে পৌঁছান। কেপিজে হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তামিমের এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়। পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি ব্লক ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্ট বসানো হয়।
তামিমকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুবের সিপিআর কতটা কাজে দিয়েছে, সেটা পরে দেখাই গেল। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তামিম কেপিজে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তামিমের পাশে ছিলেনে স্ত্রী আয়েশা ইকবাল। বিকেলে জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে তামিম কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তামিম পর্যবেক্ষণে থাকবেন, এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তামিমের শারীরিক অগ্রগতির খবর জানাবেন।
বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ তামিমের দ্রুত চিকিৎসায় বিকেএসপি ও কেপিজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তামিমের ভক্ত-সমর্থকদের বিসিবির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, অযথা হাসপাতালে ভিড় না করতে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তামিমের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর একজন সুস্থ মানুষের জন্যও বিশেষ কিছু গাইডলাইন অনুসরণ করতে হয়। যেখানে ক্রিকেটের মতো খেলায় শারীরিক ফিটনেস সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। স্টেন্ট মূলত হৃদ্যন্ত্রের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবহার করা হয়, যা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে। সংকট কাটিয়ে উঠলেও তামিমের মতো একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য নিয়মিত অনুশীলন ও ম্যাচ খেলা কতটা নিরাপদ হবে, সেটি নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার পর অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের ক্যারিয়ারের পাশে যতিচিহ্ন বসে যায়। তামিমেরও কি তা-ই হতে যাচ্ছে? এখানে তামিমকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজের সুস্থতা ও জীবনমূল্যের হিসাব কষে। প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগের দিনই সংবাদমাধ্যমে বিকেএসপির মতো ঢাকার বাইরে লিগ খেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তামিম। সেই শঙ্কা তাঁর ক্ষেত্রেই সত্যি হবে, সেটা কে ভেবেছিল?

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটেছে তামিমের।
বিকেএসপি থেকে যখন নিকটবর্তী কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়, তখন সেখানে যেন মানুষের ঢল নেমেছিল। কেউ উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটে এসেছেন খবর নিতে, কেউবা নিশ্চিত হতে চেয়েছেন, প্রিয় তারকার চিকিৎসা সেরা মানের হচ্ছে কি না। কাল রাতে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার খবরই মিলেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তামিম।
গতকালের ম্যাচটা দেবব্রত পালের জন্য শুরু হয়েছিল অন্য সব ম্যাচের মতোই। বিকেএসপিতে সকালে প্রিমিয়ার লিগের মোহামেডান-শাইনপুকুর ম্যাচে তিনি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। দুই দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও রায়ান রাফসানকে নিয়ে সকাল ৯টায় টস করেন। তামিম কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন টসের আগে, ওয়ার্মআপের সময়েই। টস করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর সেটা আরও বাড়ে। মোহামেডান কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে এ সময় তিনি বলেন, তাঁর সম্ভবত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে। তারিকুল তখন তাঁকে বলেন, ‘তোমার মাঠে যাওয়ার দরকার নেই। বিশ্রাম নাও।’ কিছুক্ষণ পর তামিম আরও অসুস্থ বোধ করেন। তারিকুলকে তিনি জানান, তাঁর খারাপ লাগছে, মুখের দিকে ব্যথা হচ্ছে।
তারিকুল ও টিম ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেনসহ মোহামেডান দলের সংশ্লিষ্টরা দ্রুত তামিমকে বিকেএসপির কাছের কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় বিকেএসপির চিকিৎসকও তাঁদের সহায়তা করেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদের তিনিই পরামর্শ দেন তামিমকে বিকেএসপির কাছের এই হাসপাতালে নিয়ে যেতে। তামিম নিজের গাড়িতে চড়েই হাসপাতালে যান। সকাল সাড়ে ৯টায় তামিমকে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান।
হাসপাতালে নেওয়ার পরই তামিমের ইসিজি ও কয়েকটি প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। তবে তখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তাঁর প্রকৃত অবস্থা কী। দ্রুত ঢাকায় যোগাযোগ করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়, সেটা বিকেএসপির মাঠেও সময়মতো পৌঁছায়। কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষায় কিছু ধরা না পড়ায় তামিমও ভেবেছিলেন, ঢাকায় গিয়েই আরও বিস্তারিত পরীক্ষা করাবেন। মোহামেডান কর্মকর্তাদেরও সেই পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তবে কেপিজে হাসপাতাল থেকে বিকেএসপিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ওঠার আগেই হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তামিম। ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তখন তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল, পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। আকস্মিক এই অবস্থায় উপস্থিত সবাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। বিকেএসপির চিকিৎসক তখন জানান, পরিস্থিতি সংকটজনক। হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়ার পথে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। দ্রুত কাছের হাসপাতালেই চিকিৎসা শুরু করাই সঠিক উপায়। তামিমের শারীরিক অবস্থার কথা শুনে হেলিকপ্টারের পাইলটও ওড়ার ঝুঁকি নিতে চাননি।
বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আবারও কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয় তামিমকে। অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার পুরোটা সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করেন। বুকে পাঞ্চ করা এই প্রক্রিয়ায় নিঃসাড় হৃৎপিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তামিমের সঙ্গে থাকা ম্যাচ রেফারি দেবব্রত জানান, তামিম তখন সম্পূর্ণ অচেতন, কারও ডাকেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। যখন ট্রেইনার ইয়াকুব তামিমের মুখ খুলে সিপিআর করছিলেন, তখন মুখ দিয়ে লালা ও ফেনা বেরিয়ে এসেছিল। অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত বিকেএসপির চিকিৎসকসহ সবাই সিদ্ধান্ত নেন, কাছের কেপিজে হাসপাতালেই তামিমকে নিতে হবে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরাও হাসপাতালে এসে পৌঁছান। কেপিজে হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তামিমের এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং করা হয়। পরীক্ষায় তাঁর হৃদ্যন্ত্রে একটি ব্লক ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্ট বসানো হয়।
তামিমকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুবের সিপিআর কতটা কাজে দিয়েছে, সেটা পরে দেখাই গেল। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, তামিম কেপিজে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তামিমের পাশে ছিলেনে স্ত্রী আয়েশা ইকবাল। বিকেলে জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে তামিম কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তামিম পর্যবেক্ষণে থাকবেন, এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তামিমের শারীরিক অগ্রগতির খবর জানাবেন।
বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ তামিমের দ্রুত চিকিৎসায় বিকেএসপি ও কেপিজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তামিমের ভক্ত-সমর্থকদের বিসিবির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, অযথা হাসপাতালে ভিড় না করতে। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে তামিমের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর একজন সুস্থ মানুষের জন্যও বিশেষ কিছু গাইডলাইন অনুসরণ করতে হয়। যেখানে ক্রিকেটের মতো খেলায় শারীরিক ফিটনেস সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়। স্টেন্ট মূলত হৃদ্যন্ত্রের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবহার করা হয়, যা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করে। সংকট কাটিয়ে উঠলেও তামিমের মতো একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য নিয়মিত অনুশীলন ও ম্যাচ খেলা কতটা নিরাপদ হবে, সেটি নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার পর অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের ক্যারিয়ারের পাশে যতিচিহ্ন বসে যায়। তামিমেরও কি তা-ই হতে যাচ্ছে? এখানে তামিমকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজের সুস্থতা ও জীবনমূল্যের হিসাব কষে। প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগের দিনই সংবাদমাধ্যমে বিকেএসপির মতো ঢাকার বাইরে লিগ খেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তামিম। সেই শঙ্কা তাঁর ক্ষেত্রেই সত্যি হবে, সেটা কে ভেবেছিল?

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২ ঘণ্টা আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগময় মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’
ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।
মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্র হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন একধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগময় মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’
ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।
মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্র হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন একধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটে
২৫ মার্চ ২০২৫
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২ ঘণ্টা আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।
সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’
দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।
সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’
দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটে
২৫ মার্চ ২০২৫
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২ ঘণ্টা আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।
আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন সিরিজসেরার পুরস্কার।
নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।
আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের
ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।
আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন সিরিজসেরার পুরস্কার।
নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।
আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের
ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটে
২৫ মার্চ ২০২৫
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
১ ঘণ্টা আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’
আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।
মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,
‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’
লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’
আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।
মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,
‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’
লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

দুই বছর আগে দেশের একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এক দরিদ্র বাবার হার্টে রিং পরানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস—দুই বছর পর তিনি নিজেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত। ৩৬ বছর বয়সে জীবন-মৃত্যুর সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিম। তবে সময়মতো সঠিক চিকিৎসায় কাল বড় বিপদ কেটে
২৫ মার্চ ২০২৫
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
১ ঘণ্টা আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
২ ঘণ্টা আগে