Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

পারফর্ম করতে পারলে দুনিয়ার সব ট্যাগই লেগে যাবে

তাসকিনের কাছে পারফর্মই সব। ছবি: এএফপি

এ বছর বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে এ প্লাস গ্রেডে আছেন তাসকিন আহমেদ। পারফরম্যান্সের বিচারে বিসিবির নতুন গ্রেডিং ব্যবস্থায় বাংলাদেশের একজন ফাস্ট বোলারের সর্বোচ্চ শ্রেণিতে থাকাটা দেশের পেস বোলিং আক্রমণের উন্নতিই তুলে ধরে। গত চার বছরে তাসকিন নিজেকে দেশের পেস বোলিং আক্রমণের নেতা হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করেছেন। কাল সন্ধ্যায় তাসকিনের লালমাটিয়ার বাসায় আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারসহ কথা বললেন প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ১১: ৩৫

প্রশ্ন: এ প্লাস গ্রেডে থাকা নিশ্চয়ই আপনার একটা বড় ব্যক্তিগত অর্জন। এই অর্জনটা কীভাবে দেখেন?

তাসকিন আহমেদ: সত্যি বলতে প্রক্রিয়া, উন্নতির জায়গা, নিজের ইচ্ছা—এসব থেকেই উন্নতি হয়। দিনের পর দিন উন্নতির লক্ষ্যে ঘুরেছি। ফাস্ট বোলার হিসেবে এটা সহজ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করাটা। এই এ‍ প্লাস গ্রেডে আসাটা ফ্যাক্ট না। হাই নোটে আরও ভালো করে শেষ করতে চাই।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ নিয়ে প্রশংসা হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। এই বদলে যাওয়ার গল্পে কাকে বেশি কৃতিত্ব দেবেন?

তাসকিন: আমরা এখন এই মুহূর্তে যে দলে খেলছি, তাদের সবাই শৈশব থেকে বাংলাদেশ দলে মাশরাফি ভাইকে ভিন্নভাবে দেখে এসেছে। অনেকেরই তিনি আদর্শ। তাঁকে আমরা দেখে বড় হয়েছি যে বাংলাদেশ দলের পেসারদের মধ্যে আগ্রাসন, পেস, সুইং—সবকিছু মাশরাফি ভাইয়ের ছিল। ম্যাশ যাওয়ার পরে বা ম্যাশ যখন শেষের দিকে, তখন তো আমি দল থেকেই বাদ পড়েছিলাম। যখন বাদ পড়লাম এবং কোভিডের ওই সময়ে সত্যি কথা বলতে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন পড়ে গিয়েছিল আমার পাশে। সে সময় সিদ্ধান্ত নিই, নিজের জন্য হলেও একটা ম্যাচ খেলব লাল-সবুজ জার্সিতে। এই ফাস্ট বোলিং বিভাগ বদলে যাওয়ার পেছনে আমি মনে করি আমার ওই ফিরে আসা—কী প্রক্রিয়াতে আমি এসেছি, কীভাবে উন্নতি করেছি, এই প্রক্রিয়াটা দৃশ্যমান হওয়ার পর এক ধাপ ওপরে উঠতে বাকিদের সহায়তা করেছে। এটাতে আমিই হয়তো বড় উদাহরণ ছিলাম। খুব বাজে জায়গা থেকে এসে বাংলাদেশ দলে ভালো করা সম্ভব, সেটা দেখিয়েছি।

প্রশ্ন: নাহিদ রানা, যিনি ঘণ্টায় ১৪৯-১৫০ কিমি গতিতে বোলিং করছেন। তাঁর কাছ থেকে ১০০ মাইল গতিতে বোলিং দেখতে আপনি কতটা আশাবাদী?

তাসকিন: কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কারণ, সে অনেক তরুণ। তার ক্ষুধা আছে। কঠোর পরিশ্রমী ছেলে। সে (নাহিদ রানা) চায় উন্নতি করতে। শুধু গতি না, ধীরে ধীরে সুইং, ভেরিয়েশন নিয়েও কাজ করছে। যার মধ্যে আত্মনিবেদন ও ক্ষুধা আছে, সে উন্নতি করবে। আল্লাহ তাকে সামর্থ্য দিয়েছেন ১৫০ কিমিতে বোলিং করার। সে উন্নতি করে ১৫০ থেকে বাড়াতেও পারবে ইনশা আল্লাহ; যদি ফিট থাকে, ছন্দে থাকে। গতি নির্ভর করে ছন্দ ও ফিটনেসের ওপর। সে আমাদের বড় ভরসা। সে যদি ভালো করতে পারে, সুস্থ থাকে আর উন্নতি করে, বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই ভালো।

প্রশ্ন: এখন আপনাদের ওয়ার্ক লোড ম্যানেজমেন্ট কেমন হওয়া দরকার? বিসিবির কি উচিত রোটেশন নীতির দিকে যাওয়া?

তাসকিন: খেয়াল করে দেখবেন, আগের চেয়ে কিন্তু উন্নতি হয়েছে এ জায়গায়। সম্প্রতি যে যতই ভালো করুক, বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে যখন সিরিজ খেললাম, দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা থাকার পরও তৃতীয় ম্যাচে কিন্তু আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল (আফগানিস্তানের বিপক্ষে)। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের চাপের কথা চিন্তা করে আমাকে বিশ্রাম দিয়েছিল। পরে দুটি টেস্ট খেললাম। একটা জিতলাম, একটা হারলাম। ক্যারিবীয় সফরে প্রথম ওয়ানডে খেলে হারার পরও কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্রাম নিয়েছি। রোটেশন পলিসি তাই ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে, আমাদের ৫-৬ জনের বেশি সে রকম ফাস্ট বোলার নেই। তাই চাইলেও অত বড় আকারে রোটেশন করতে পারছে না। তবে সবাইকে টিকিয়ে রাখতে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

অন্তত ৫০০ আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে চান তাসকিন। ছবি: এএফপি
অন্তত ৫০০ আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে চান তাসকিন। ছবি: এএফপি

প্রশ্ন: পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার একে একে বিদায় নিচ্ছেন। তাঁদের কাছ থেকে আপনার মূল শিক্ষা কী?

তাসকিন: তাঁরা আসলে দেশের জন্য অনেক করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক দিন খেলেছেন, বাংলাদেশ দলকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে এসেছেন। তাঁদের অবদান অনেক বেশি। তাঁদের দেখে ব্যক্তিগতভাবে যেটা শিখেছি, চাপের মধ্যে কীভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু কিছু কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে কীভাবে বের করে নিয়ে আসা যায়। চাপের মধ্যে শান্ত থেকে পারফর্ম করা; বিশেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি দ্রুত বুঝতে পারা। তাঁদের মধ্যে এ বিষয়গুলো দেখে বুঝেছি অভিজ্ঞতার মূল্য আসলে কী।

প্রশ্ন: সেদিন সৌম্য সরকার বলছিলেন, ১০-১২ বছর খেলেও আপনারা সিনিয়র ট্যাগ পাননি, পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের ছায়াতেই থেকে গেছেন। আপনি কীভাবে দেখেন এই পর্যবেক্ষণ?

তাসকিন: ট্যাগ লাগানো চিন্তা না করে পারফর্ম করতে পারলে দুনিয়ার সব ট্যাগই লেগে যাবে। খুবই সহজ কথা—পারফরম্যান্স খারাপ হলে কোনো ট্যাগই লাগবে না। পারফর্ম করলে এক রকম, না করলে আরেক রকম। আমিই এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এগুলো নিয়ে আসলে চিন্তা করি না। তাঁরা ভালো করেছেন বলেই তো এত দিন খেলেছেন। হ্যাঁ, কখনো কখনো অফ ফর্মেও ছিলেন, কিন্তু পারফরম্যান্স না করলে তো এত দিন খেলতে পারতেন না। তাঁরা বাদে বাকি যারা আছে, তাদের ধারাবাহিকতা দেখলে বোঝা যাবে কেন ট্যাগ লেগেছে, কেন লাগেনি। তো আমাদের সেভাবে ধারাবাহিক থাকলে সিনিয়র কেন, এর চেয়ে আরও বড় ট্যাগও লেগে যেত। দিন শেষে পারফরম্যান্সই আসল কথা।

সুযোগ এলে আইপিএলে খেলতে চান তাসকিন। ছবি: এএফপি
সুযোগ এলে আইপিএলে খেলতে চান তাসকিন। ছবি: এএফপি

প্রশ্ন: ক্যারিয়ার শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

তাসকিন: ভালোর তো কোনো শেষ নেই। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেভাবে চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে, আমি যদি সব ফরম্যাট খেলতে পারি, নিজেকে কিংবদন্তি পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। অন্তত ৫০০ আন্তর্জাতিক উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই।

প্রশ্ন: নির্দিষ্ট কোনো সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক হওয়াটা কি ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে পাওনা মনে হয়?

তাসকিন: আসলে এটা বোর্ডের ব্যাপার। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছে। আমি অধিনায়ক হলেই যে রকেট সায়েন্সের মতো সবকিছু উল্টে যাবে, তা তো না। আমাকে দায়িত্ব দিলে হয়তো সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। বড় বিষয় হলো, আমি ক্রিকেট উপভোগ করতে চাই। আল্লাহ আমাকে ফিট রাখুন। বোর্ড যদি কখনো মনে করে আমি যোগ্য, তাহলে করব। না দিলে আমার খেলায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।

প্রশ্ন: আইপিএল আপনার কাছে আফসোসের এক নাম। সুযোগ পেয়েও খেলা হয়নি। যদি সামনে সুযোগ আসে, পুরো মৌসুম খেলতে চান?

তাসকিন: সুযোগ এলে কেন নয়? অবশ্যই খেলতে চাই। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে, সুযোগ পাব কি না। তিনবার সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। এবার সুযোগ আসতে পারে যদি কারও (লক্ষ্ণৌর সঙ্গে কথা হচ্ছে) বিকল্প প্রয়োজন হয়। এভাবেই কথা হয়েছিল। আমি চাই বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণে নিয়মিত খেলতে। তেমন গুরুত্বপূর্ণ খেলা না থাকলে আমাদের বেশ কিছু লিগে যেতে দেওয়া হবে, এমনই কথা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। এখন সবাইকে অনাপত্তিপত্র দেবে বলে মনে করি।

প্রশ্ন: বিশ্বমঞ্চে ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে বোলারদের সাফল্য ম্লান হয়ে যায়। এদিক থেকে নিজেকে কি দুর্ভাগা মনে হয়?

তাসকিন: দিন শেষে এটি দলীয় খেলা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালো হোক বা খারাপ হোক, দল ভালো না করতে না পারলে কোনো লাভ নেই। আমরা সবাই চাই ম্যাচ যেন জিততে পারি। এমনও হতে পারে, আমি ভালো করলাম আরেকজন খারাপ করল, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সে একটা ওভার ভালো করে ম্যাচ জিতিয়ে দিল, এটাই আসলে অবদান। প্রতিদিন সবাই বড় পারফরমার হবে না। একটি ওভার বা কারও পরিস্থিতি বুঝে ২০ রান—এসব ছোট ছোট অবদানেই আমরা ম্যাচ জিততে পারি। হ্যাঁ, এটা ঠিক, গত কয়েক বছরে ব্যাটিংয়ের তুলনায় বোলিং একটু উন্নতি করেছে। আশা করছি, ব্যাটিংয়েও দ্রুত উন্নতি হবে। হয়তো সময় লাগছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ডাই বিচে হামলার পর অ্যাশেজে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
সিডনির এই বন্ডাই বিচ গতকাল শোকে পরিণত হয়। ছবি: এএফপি
সিডনির এই বন্ডাই বিচ গতকাল শোকে পরিণত হয়। ছবি: এএফপি

সিডনির বন্ডাই বিচে এক ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হঠাৎ শোকে পরিণত হয়। বন্দুকধারীদের হামলায় রক্তে সয়লাব হয়ে যায় বন্ডাই বিচ। সিডনি থেকে ১৩৭২ কিলোমিটার দূরে অ্যাডিলেডেও ছড়িয়ে পড়েছে এই আতঙ্ক। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড দুই দলই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

অ্যাডিলেড ওভালে পরশু সিরিজের তৃতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। বন্ডাই বিচে হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এক যৌথ বিবৃতিতে সিএ, ইসিবি বলেছে,‘বন্ডি বিচে যে হৃদয়বিদারক ঘটেছে, তাতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রত্যেকেই ভীষণ শঙ্কিত। নিহতদের পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মানুষেরা খুবই হতাশাজনক সময় কাটাচ্ছেন। হামলার শিকার যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আপনাদের পাশে আছি আমরা।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। আহতদের রক্তদান করার আহ্বান জানিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে অজি অধিনায়ক লিখেছেন, ‘গত রাতে বন্ডি বিচে যে হৃদয়বিদারক ঘটেছে, তাতে বিধ্বস্ত। নিহত-আহতদের পরিবার ও বন্ডির মানুষদের প্রতি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সমবেদনা। যদি আপনারা পারেন, রক্তদান করুন।’

অ্যাডিলেড ওভালে আজ পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের ভেন্যুতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার পিটার মালিনস্কাস। আজ মালিনস্কাস বলেন, ‘বুধবার দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে একটি বড় ইভেন্ট। অ্যাডিলেড ওভালে গড়াচ্ছে অ্যাশেজ। অ্যাডিলেড ওভালে এমন একটা মেজর ইভেন্টে ঝুঁকি তো থাকলেই। সিডনিতে গতকাল যা ঘটেছে, অ্যাডিলেড ওভালে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। পূর্বসতর্কতা হিসেবে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমরা এই মুহূর্তে যথেষ্ট নিরাপদ অবস্থায় আছি।’

পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টেই অজিরা ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট শেষ হয়েছিল দুই দিনে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় দ্বিতীয় টেস্ট চার দিনে শেষ হয়েছিল। অ্যাডিলেড টেস্টের পর হবে বক্সিং ডে টেস্ট। ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) মাঠে গড়াবে চতুর্থ টেস্ট। পঞ্চম টেস্ট নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ম্যাচ জিতেও অসন্তুষ্ট রিয়াল কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
রেফারির সঙ্গে কথা বলছেন আলোনসো। ছবি: এক্স
রেফারির সঙ্গে কথা বলছেন আলোনসো। ছবি: এক্স

আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগায় ২-১ গোলের জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। সাম্প্রতিক সময়ের দুঃসময়ের ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসতে এই জয়ের বিকল্প ছিল না মাদ্রিদের ক্লাবটির জন্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়ের পরও অসন্তুষ্ট দলটির প্রধান কোচ জাবি আলোনসো।

বার্সেলোনার চেয়ে ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে আলাভেসের বিপক্ষে মাঠে নামে রিয়াল। ম্যাচ জিতে ব্যবধানে চারে নামিয়ে এনেছে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। সেই সঙ্গে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২ হারের পর জয়ের মুখ দেখল তারা। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নিলেও পেনাল্টি না পাওয়াকে কেন্দ্র করে রেফারিকে দিকে আঙুল তুলেছেন আলোনসো।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আলাভেসের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এমন একটি স্পর্শকাতর ফাউলের পরও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা নেননি রেফারি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না আলোনসো।

তিনি বলেন, ‘আমি খেলা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি, রেফারিকে নিয়ে নয়। আমার মনে হয় এটা স্পষ্ট পেনাল্টি ছিল। ভিনিসিয়ুস বল নিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। সতীর্থের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। আমি খুব অবাক হয়েছি কারণ রেফারি ভিএআরের সিদ্ধান্তও নেয়নি। তবে এটা সত্যি যে আমাদের কিছু করার নেই। এভাবেই আমাদের খেলা চালিয়ে যেতে হবে।’

সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলোনসোর তিক্ততার কথা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। তবে এই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন আলোনসো, ‘এই দলের সবাই একতাবদ্ধ। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা একতাবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছি। আলাভেসের বিপক্ষে দল ভালো লড়াই করেছে। শুরুটা ভালো করেছি আমরা এবং পরে শেষটাও ভালোভাবে করতে পেরেছি। একতাই হলো সবচেয়ে বড় কথা।’

ফুটবল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চান না আলোনসো, ‘নিজেদের কাজের দিকেই আমাদের সব মনোযোগ। দলে সবার মধ্যে বন্ধন অটুট আছে। প্রতিটি ম্যাচের আগে আমরা নিজেদের সেরা প্রস্তুতি নেই। আলাভেসের বিপক্ষে জয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চোটের কারণে আমরা স্কোয়াডের কয়েকজন সেরা ফুটবলারদের পায়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেপালকে বিধ্বস্ত করে সেমির আরও কাছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৫
নেপালের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
নেপালের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

নেপালের লেগস্পিনার যুবরাজ খাত্রিকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারলেন রিজান হোসেন। বলটা যে নিশ্চিত ছক্কা, সেটা না বললেও চলছে। কিন্তু বলটা যে কোথায় গিয়ে আটকেছে, সেটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েনি। রিজানের এই ছক্কাতেই সেমিফাইনালের আরও কাছে এখন বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পর নেপালকে হারিয়ে টানা দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়ে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ শুরু করলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৭ বল হাতে রেখে। তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আজ নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। দুবাইয়ের ‘দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে’ নেপালের বিপক্ষে ১৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বিশাল জয়ে তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের নেট রানরেটটা হয়েছে ‍+১.৫৫৮। ৪ পয়েন্ট ও ‍+১.৫৫৮ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে। আইসিসি একাডেমিতে যদি শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যায়, তাহলে বিনা সমীকরণে সেমিতে উঠবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।

জয়ের লক্ষ্যে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করতে গিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রানে পরিণত হয় তামিমের দল। রিফাত বেগ (৫) ও তামিম (১) দুজনেই এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন। তামিম রান আউট হয়েছেন। রিফাতের উইকেট নিয়েছেন অভিষেক তিওয়ারি। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও ভড়কে যায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন আবরার ও কালাম সিদ্দিকী। ২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামকে (৩৩) ফেরালেন খাত্রি।

কালামের বিদায়ের পর বাকি ১০ রান করতে কেবল ১৪ বল লেগেছে। ১৪ বলে ১৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন কালাম-আবরার। ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নেপালের লেগস্পিনার খাত্রিকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বিশাল জয় এনে দিয়েছেন রিজান। ম্যাচসেরা হয়েছেন আবরার। ৬৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৭০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আগে ব্যাটিং পাওয়া নেপাল ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন আট নম্বরে নামা অভিষেক তিওয়ারি। ৪৩ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ ছক্কা। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সবুজ ৭ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক তামিমসহ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ। শাহরিয়া আল আমিন পেয়েছেন এক উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতকে গুঁড়িয়ে আইসিসির সেরা হারমার

ক্রীড়া ডেস্ক    
সায়মন হারমার। ছবি: এক্স
সায়মন হারমার। ছবি: এক্স

মাসসেরার দৌঁড়ে এগিয়েই ছিলেন সায়মন হারমার। শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি এই অফস্পিনারকে। আইসিসির নভেম্বরের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ নির্বাচিত হয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী বোলার। প্রথমবারের মতো এই স্বীকৃতি পেলেন পেলেন তিনি।

মাসসেরার পুরস্কার জেতার পথে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজকে পেছনে ফেলেছেন হারমার। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতকে ধবলধোলাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকেদের হারাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন হারমার। ২ টেস্টে তাঁর শিকার ১৭ উইকেট।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের প্রথম টেস্টে লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতকে ৩০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচের ২ ইনিংসেই চারটি করে উইকেট নেন হারমার। গুয়াহাটি টেস্টে বল হাতে আরও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। এ যাত্রায় ২ ইনিংসে নেন ৯ উইকেট। ম্যাচটি সফরকারীরা জিতে নেয় ৪০৮ রানে। সব মিলিয়ে ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ শেষ করেন হারমার। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে।

মাসসেরার পুরস্কার জিতে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি হারমার। ক্যারিয়ারে এটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন তিনি, ‘প্লেয়ার অভ দ্য মান্থ হতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমার স্বপ্ন দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এরপর সঙ্গে যদি এমন স্বীকৃতি পাই তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’

মাসসেরা পুরস্কার পরিবারকে উৎসর্গ করেছেন তিনি, ‘এই পুরস্কার সতীর্থ, কোচ, সাপোর্ট স্টাফের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই। এটা আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি। পরিবারের সদস্যরা আমাকে সব সময় সমর্থন জুগিয়ে গেছে। আমার স্বপ্ন পূরণের জন্য তারা আমাকে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে দেয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ের ছয় মাস পর নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চার্জশিট

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত