আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম রক্ত উৎপাদনের গবেষণা চালাচ্ছেন, যাতে রক্তের ঘাটতি মোকাবিলা করা এবং নিরাপদ ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ রক্ত দান নিশ্চিত করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর লাখো মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। রক্ত শরীরের জন্য অক্সিজেন পরিবহন ও বর্জ্য অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
কৃত্রিম রক্ত তৈরির ক্ষেত্রে ২০২২ সালে এক বড় অগ্রগতি অর্জিত হয়। সে বছর বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে তৈরি রক্ত প্রথমবারের মতো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্যবহার করেন। বিশেষ করে, বিরল রক্তের গ্রুপের রোগীদের জন্য এই ট্রায়াল চালানো হয়। গবেষকেরা জরুরি চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার এবং ট্রান্সফিউশনের জন্য কৃত্রিম রক্ত তৈরির কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন।
কৃত্রিম রক্ত দুই ধরনের—‘ল্যাব-গ্রোথ ব্লাড’ ও ‘সিনথেটিক ব্লাড’। সিনথেটিক ব্লাড সম্পূর্ণভাবে মানুষের কোষবিহীন অর্থাৎ এটি মানব শরীরের কোনো কোষের মতো নয় এবং এটি অক্সিজেন পরিবহনের মাধ্যমে রক্তকণিকার ভূমিকা অনুকরণ করে। এটি মূলত জরুরি চিকিৎসা ও সামরিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যেখানে রক্তের ধরন মেলানো কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ‘এরিথ্রোমার’ নামক এক বিশ্বজনীন সামঞ্জস্যপূর্ণ ‘সিনথেটিক ব্লাড’ প্রকল্পে ৪৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই সিনথেটিক ব্লাড শীতলীকরণ ছাড়াই স্থিতিশীল থাকে। তবে এই বিষয়ে গবেষণা এখনো শেষ হয়নি। সিনথেটিক ব্লাডের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে গবেষণা এখনো চলমান।
অন্যদিকে, ল্যাব-গ্রোথ ব্লাড হলো—নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মানুষের শরীরের কোষ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের অধ্যাপক সেড্রিক গেভার্ট বলেন, ‘একবার বাজারে আসরে, পরীক্ষাগারে তৈরি রক্তকোষ নির্দিষ্ট কিছু রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি করতে পারে।’ উদাহরণ হিসেবে সেড্রিক গেভার্ট বলেন, ল্যাব-গ্রোথ প্লাটিলেট শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের রক্তপাত বন্ধ করতে কার্যকর হতে পারে।
এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয় হেমাটোপয়েটিক স্টেম সেলে। এটি লোহিত ও শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লাটিলেট তৈরি করে। এই স্টেম সেলগুলো অস্থিমজ্জা বা দাতার রক্ত থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং ল্যাবে কোষ বিকাশে সহায়ক উপাদানের সংস্পর্শে আনা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো পরিপক্ব লোহিত রক্তকণিকায় পরিণত হয় এবং স্বাভাবিক রক্তকণিকার মতো কাজ করে।
বিজ্ঞানীরা স্টেম সেলে ‘জিন এডিট’ করে অর্থাৎ, জিনে পরিবর্তন এনে রক্ত উৎপাদন বাড়াতে এবং রক্তের গ্রুপ নির্ধারক চিহ্ন মুছে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এটি ভবিষ্যতে সর্বজনীন রক্তদাতার রক্ত তৈরির পথ সুগম করতে পারে। তবে ল্যাব-গ্রোথ ও সিনথেটিক ব্লাড এখনো গবেষণা ও উন্নয়ন পর্যায়ে আছে। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ল্যাব-গ্রোথ লোহিত রক্তকণিকা মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং এর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব পরীক্ষা করা হয়। বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
কৃত্রিম রক্ত তৈরিতে অন্যতম বড় বাধা খরচ। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডারপা) জানায়, এক ইউনিট ল্যাব-গ্রোথ রক্ত উৎপাদনে ৯০ হাজার ডলারের বেশি খরচ হয়। উন্নত প্রযুক্তির ফলে এই ব্যয় কমে এখন প্রতি ইউনিট ৫ হাজার ডলারের নিচে এসেছে। কিন্তু তাও অনেক বেশি। কারণ, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে যারা এক ইউনিট করে লোহিত রক্তকণিকা দান করেছেন তাদের গড়ে ২১৫ ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।
২০২২ সালে জাপানে এক গবেষণায় ‘হিমোগ্লোবিন ভেসিকল’ বা ‘হিমোগ্লোবিন থলি’ পরীক্ষা করা হয়। এটি কৃত্রিম রক্তকণিকার মতো অক্সিজেন বহন করে। ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১২ জন সুস্থ পুরুষকে বিভিন্ন মাত্রার ইনজেকশন দেওয়া হয়। কয়েকজনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন জ্বর ও চর্মরোগ দেখা দিলেও তা দ্রুত সেরে যায়। তবে রক্তচাপসহ গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বাণিজ্যিক উৎপাদনেও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—বৃহৎ পরিসরে নিরাপদ ও কার্যকর উৎপাদন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার শ্রেণিবিভাগ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। গেভার্ট বলেন, ‘এটি যেকোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য এক নতুন ধরনের পণ্য, অর্থাৎ আমরা অজানা ক্ষেত্রে প্রবেশ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ল্যাব-গ্রোথ রক্তকে কোন শ্রেণিতে ফেলা হবে—‘সেল থেরাপি’ নাকি ‘ওষুধ’ হিসেবে। সিদ্ধান্ত যাই হোক না কে, বিষয়টি এই রক্তের অনুমোদন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।
ল্যাব-গ্রোথ রক্ত বিরল ব্লাড গ্রুপের জন্য পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। সিনথেটিক রক্তে যেহেতু কোনো কোষ নেই ফলে এটি বিশেষ কোনো ব্লাড গ্রুপের ওপর নির্ভর করে না। আর তাই এটি সম্ভাব্যভাবে সর্বজনীন ট্রান্সফিউশনের বিকল্প হতে পারে। এ, বি এবং ও গ্রুপ এবং রেসাস ব্লাড গ্রুপের বাইরেও বিজ্ঞানীরা ৩৬টি ভিন্ন ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম চিহ্নিত করেছেন, যেখানে ৬ শতাধিক অনন্য অ্যান্টিজেন আছে। বিরল ব্লাড গ্রুপের ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত থাকে বা বিশেষ অ্যান্টিজেন থাকে, যা দাতার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে।
বিরল রক্তের ধরন অঞ্চল ও জাতিগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ‘Bombay blood’ যা ‘ও’ ব্লাড গ্রুপের একটি বিরল উপপ্রকরণ। এটি বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে মাত্র এক বা তারও কম মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে এটি ভারত, ইরান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তুলনামূলক বেশি।
বিশ্বজুড়ে রক্তের ঘাটতি মেটাতে কৃত্রিম রক্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর গড়ে ১১ দশমিক ৮৫ কোটি ইউনিট দান করা রক্ত রক্তদান সংগ্রহ করা হয়, যার ৪০ শতাংশই আসে উচ্চ আয়ের দেশগুলো থেকে, যদিও এসব দেশের জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৬ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি ১ লাখ মানুষের জন্য গড়ে ২ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। তবে সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও ওশেনিয়ায় চরম ঘাটতি আছে রক্ত প্রাপ্যতার।
রক্ত প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকাগুলো বিশেষভাবে পিছিয়ে, যেখানে ৭৫ শতাংশ রোগী রক্ত পায় না। এটি মূলত মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থার সমস্যা, সরবরাহের নয়। অনেক অঞ্চলে ব্লাড ব্যাংক কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে থাকায় চিকিৎসকদের জীবন রক্ষাকারী অস্ত্রোপচার স্থগিত বা বাতিল করতে হয়।
গেভার্ট কৃত্রিম রক্তের সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘ল্যাবে উৎপাদিত রক্তের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এর মূল্য সংকটময় পরিস্থিতিতে, যেমন—মহামারি, যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যখন হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যায় তখন।’ যাই হোক, গবেষণায় অগ্রগতি হলেও কৃত্রিম রক্ত এখনো উন্নয়নের পর্যায়েই আছে। বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হতে গবেষণা, ব্যয় হ্রাস ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম রক্ত উৎপাদনের গবেষণা চালাচ্ছেন, যাতে রক্তের ঘাটতি মোকাবিলা করা এবং নিরাপদ ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ রক্ত দান নিশ্চিত করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর লাখো মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। রক্ত শরীরের জন্য অক্সিজেন পরিবহন ও বর্জ্য অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।
কৃত্রিম রক্ত তৈরির ক্ষেত্রে ২০২২ সালে এক বড় অগ্রগতি অর্জিত হয়। সে বছর বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে তৈরি রক্ত প্রথমবারের মতো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্যবহার করেন। বিশেষ করে, বিরল রক্তের গ্রুপের রোগীদের জন্য এই ট্রায়াল চালানো হয়। গবেষকেরা জরুরি চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার এবং ট্রান্সফিউশনের জন্য কৃত্রিম রক্ত তৈরির কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন।
কৃত্রিম রক্ত দুই ধরনের—‘ল্যাব-গ্রোথ ব্লাড’ ও ‘সিনথেটিক ব্লাড’। সিনথেটিক ব্লাড সম্পূর্ণভাবে মানুষের কোষবিহীন অর্থাৎ এটি মানব শরীরের কোনো কোষের মতো নয় এবং এটি অক্সিজেন পরিবহনের মাধ্যমে রক্তকণিকার ভূমিকা অনুকরণ করে। এটি মূলত জরুরি চিকিৎসা ও সামরিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যেখানে রক্তের ধরন মেলানো কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ‘এরিথ্রোমার’ নামক এক বিশ্বজনীন সামঞ্জস্যপূর্ণ ‘সিনথেটিক ব্লাড’ প্রকল্পে ৪৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই সিনথেটিক ব্লাড শীতলীকরণ ছাড়াই স্থিতিশীল থাকে। তবে এই বিষয়ে গবেষণা এখনো শেষ হয়নি। সিনথেটিক ব্লাডের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে গবেষণা এখনো চলমান।
অন্যদিকে, ল্যাব-গ্রোথ ব্লাড হলো—নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মানুষের শরীরের কোষ ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের অধ্যাপক সেড্রিক গেভার্ট বলেন, ‘একবার বাজারে আসরে, পরীক্ষাগারে তৈরি রক্তকোষ নির্দিষ্ট কিছু রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি করতে পারে।’ উদাহরণ হিসেবে সেড্রিক গেভার্ট বলেন, ল্যাব-গ্রোথ প্লাটিলেট শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীদের রক্তপাত বন্ধ করতে কার্যকর হতে পারে।
এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয় হেমাটোপয়েটিক স্টেম সেলে। এটি লোহিত ও শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লাটিলেট তৈরি করে। এই স্টেম সেলগুলো অস্থিমজ্জা বা দাতার রক্ত থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং ল্যাবে কোষ বিকাশে সহায়ক উপাদানের সংস্পর্শে আনা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো পরিপক্ব লোহিত রক্তকণিকায় পরিণত হয় এবং স্বাভাবিক রক্তকণিকার মতো কাজ করে।
বিজ্ঞানীরা স্টেম সেলে ‘জিন এডিট’ করে অর্থাৎ, জিনে পরিবর্তন এনে রক্ত উৎপাদন বাড়াতে এবং রক্তের গ্রুপ নির্ধারক চিহ্ন মুছে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এটি ভবিষ্যতে সর্বজনীন রক্তদাতার রক্ত তৈরির পথ সুগম করতে পারে। তবে ল্যাব-গ্রোথ ও সিনথেটিক ব্লাড এখনো গবেষণা ও উন্নয়ন পর্যায়ে আছে। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ল্যাব-গ্রোথ লোহিত রক্তকণিকা মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয় এবং এর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব পরীক্ষা করা হয়। বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
কৃত্রিম রক্ত তৈরিতে অন্যতম বড় বাধা খরচ। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডারপা) জানায়, এক ইউনিট ল্যাব-গ্রোথ রক্ত উৎপাদনে ৯০ হাজার ডলারের বেশি খরচ হয়। উন্নত প্রযুক্তির ফলে এই ব্যয় কমে এখন প্রতি ইউনিট ৫ হাজার ডলারের নিচে এসেছে। কিন্তু তাও অনেক বেশি। কারণ, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে যারা এক ইউনিট করে লোহিত রক্তকণিকা দান করেছেন তাদের গড়ে ২১৫ ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল।
২০২২ সালে জাপানে এক গবেষণায় ‘হিমোগ্লোবিন ভেসিকল’ বা ‘হিমোগ্লোবিন থলি’ পরীক্ষা করা হয়। এটি কৃত্রিম রক্তকণিকার মতো অক্সিজেন বহন করে। ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১২ জন সুস্থ পুরুষকে বিভিন্ন মাত্রার ইনজেকশন দেওয়া হয়। কয়েকজনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যেমন জ্বর ও চর্মরোগ দেখা দিলেও তা দ্রুত সেরে যায়। তবে রক্তচাপসহ গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বাণিজ্যিক উৎপাদনেও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—বৃহৎ পরিসরে নিরাপদ ও কার্যকর উৎপাদন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার শ্রেণিবিভাগ নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। গেভার্ট বলেন, ‘এটি যেকোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য এক নতুন ধরনের পণ্য, অর্থাৎ আমরা অজানা ক্ষেত্রে প্রবেশ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ল্যাব-গ্রোথ রক্তকে কোন শ্রেণিতে ফেলা হবে—‘সেল থেরাপি’ নাকি ‘ওষুধ’ হিসেবে। সিদ্ধান্ত যাই হোক না কে, বিষয়টি এই রক্তের অনুমোদন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।
ল্যাব-গ্রোথ রক্ত বিরল ব্লাড গ্রুপের জন্য পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। সিনথেটিক রক্তে যেহেতু কোনো কোষ নেই ফলে এটি বিশেষ কোনো ব্লাড গ্রুপের ওপর নির্ভর করে না। আর তাই এটি সম্ভাব্যভাবে সর্বজনীন ট্রান্সফিউশনের বিকল্প হতে পারে। এ, বি এবং ও গ্রুপ এবং রেসাস ব্লাড গ্রুপের বাইরেও বিজ্ঞানীরা ৩৬টি ভিন্ন ব্লাড গ্রুপ সিস্টেম চিহ্নিত করেছেন, যেখানে ৬ শতাধিক অনন্য অ্যান্টিজেন আছে। বিরল ব্লাড গ্রুপের ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত থাকে বা বিশেষ অ্যান্টিজেন থাকে, যা দাতার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে।
বিরল রক্তের ধরন অঞ্চল ও জাতিগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ‘Bombay blood’ যা ‘ও’ ব্লাড গ্রুপের একটি বিরল উপপ্রকরণ। এটি বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে মাত্র এক বা তারও কম মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে এটি ভারত, ইরান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তুলনামূলক বেশি।
বিশ্বজুড়ে রক্তের ঘাটতি মেটাতে কৃত্রিম রক্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর গড়ে ১১ দশমিক ৮৫ কোটি ইউনিট দান করা রক্ত রক্তদান সংগ্রহ করা হয়, যার ৪০ শতাংশই আসে উচ্চ আয়ের দেশগুলো থেকে, যদিও এসব দেশের জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৬ শতাংশ। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি ১ লাখ মানুষের জন্য গড়ে ২ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। তবে সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও ওশেনিয়ায় চরম ঘাটতি আছে রক্ত প্রাপ্যতার।
রক্ত প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকাগুলো বিশেষভাবে পিছিয়ে, যেখানে ৭৫ শতাংশ রোগী রক্ত পায় না। এটি মূলত মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থার সমস্যা, সরবরাহের নয়। অনেক অঞ্চলে ব্লাড ব্যাংক কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে থাকায় চিকিৎসকদের জীবন রক্ষাকারী অস্ত্রোপচার স্থগিত বা বাতিল করতে হয়।
গেভার্ট কৃত্রিম রক্তের সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘ল্যাবে উৎপাদিত রক্তের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এর মূল্য সংকটময় পরিস্থিতিতে, যেমন—মহামারি, যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যখন হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যায় তখন।’ যাই হোক, গবেষণায় অগ্রগতি হলেও কৃত্রিম রক্ত এখনো উন্নয়নের পর্যায়েই আছে। বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হতে গবেষণা, ব্যয় হ্রাস ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৯ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম রক্ত উৎপাদনের গবেষণা চালাচ্ছেন, যাতে রক্তের ঘাটতি মোকাবিলা করা এবং নিরাপদ ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ রক্ত দান নিশ্চিত করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর লাখো মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। রক্ত শরীরের জন্য অক্সিজেন...
১৩ মার্চ ২০২৫
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম রক্ত উৎপাদনের গবেষণা চালাচ্ছেন, যাতে রক্তের ঘাটতি মোকাবিলা করা এবং নিরাপদ ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ রক্ত দান নিশ্চিত করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর লাখো মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। রক্ত শরীরের জন্য অক্সিজেন...
১৩ মার্চ ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৯ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম রক্ত উৎপাদনের গবেষণা চালাচ্ছেন, যাতে রক্তের ঘাটতি মোকাবিলা করা এবং নিরাপদ ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ রক্ত দান নিশ্চিত করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর লাখো মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। রক্ত শরীরের জন্য অক্সিজেন...
১৩ মার্চ ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৯ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম রক্ত উৎপাদনের গবেষণা চালাচ্ছেন, যাতে রক্তের ঘাটতি মোকাবিলা করা এবং নিরাপদ ট্রান্সফিউশন অর্থাৎ রক্ত দান নিশ্চিত করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর লাখো মানুষ রক্তের অভাবে মারা যায়। রক্ত শরীরের জন্য অক্সিজেন...
১৩ মার্চ ২০২৫
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
১৯ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৭ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৭ দিন আগে