
জনপ্রিয় বিশ্বাস হচ্ছে, গুহামানবেরা পশুর পশম দিয়ে শরীর ঢেকে রাখত। কিন্তু প্রস্তর যুগের মানুষেরা আসলে কী পরতো এবং তারা কীভাবে পোশাক তৈরি করত সে বিষয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলো খুব ঝাপসা।
পশম, চামড়া এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ সাধারণত দীর্ঘ দিন সংরক্ষিত থাকে না। বিশেষ করে এক লাখ বছর আগের এমন নিদর্শন পাওয়া যায় না। যাইহোক, গবেষকেরা বলছেন যে মরক্কোর একটি গুহায় পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত এবং মসৃণ করতে ব্যবহৃত ৬২টি হাড়ের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। পোশাক ব্যবহারের প্রথম দিকের একটি প্রমাণ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই সরঞ্জামগুলোর বয়স ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অব হিউম্যান হিস্ট্রি-এর প্যান আফ্রিকান ইভল্যুশন রিসার্চ গ্রুপের পোস্ট ডক্টরাল বিজ্ঞানী এমিলি ইউকো হ্যালেট বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে মানুষের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য পশুর হাড়ের পরিণতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। যখন আমি প্রায় ১২ হাজার পশুর হাড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলাম। লক্ষ্য করলাম কিছু হাড়ের আকৃতি খুব আলাদা। এটি কোনোভাবেই প্রাকৃতিক আকৃতি নয়। হাড়গুলোর গায়ে খাঁজ বা আঁচড়ের মতো দাগ। আবার ঝকঝকে।
একটি পশুর মাংস খাওয়ার পর হাড়গুলো ফেলে দেওয়ার বদলে মানুষ নিয়মিত ব্যবহার করত। দীর্ঘ ব্যবহারে সেগুলো চকচকে মসৃণ হয়ে যেত। এই হাড়গুলোও তেমন। তবে আকার আকৃতিতে বিশেষ পার্থক্য আছে।
গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংসের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হতো।
পোশাকের ব্যবহার কখন শুরু হয়েছিল তা হিসাব করে বলা মুশকিল। এটা খুব সম্ভবত প্রাথমিক নিয়ানডারথালদের মতো মানুষ যারা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাস করত, তারা এই চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পোশাক পরতো। এটা হোমো সেপিয়েন্সদের আগমনের অনেক আগের ঘটনা। কিন্তু এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই।
উকুনের জিন গবেষণায় দেখা যায়, পোশাকের উকুনের পূর্ব পুরুষ মানুষের মাথার উকুন। আর এরা এই পূর্বপুরুষদের থেকে এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কমপক্ষে ৮৩ হাজার বছর আগে এটি ঘটেছে। সম্ভবত ১ লাখ ৭০ হাজার বছর আগেই তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এতে ধারণা করা যায়, আফ্রিকার বাইরে ব্যাপকভাবে অভিবাসন শুরুর আগে থেকেই মানুষ পোশাক পরতে শুরু করেছিল।
ড. হ্যালেট বলেন, হাতির হাড় দিয়ে তৈরি ৪ লাখ বছর আগের ৯৮টি সরঞ্জামের মধ্যে একটি সম্প্রতি ইতালিতে আবিষ্কৃত হয়েছে। সম্ভব এটি চামড়া মসৃণ করার কাজে ব্যবহৃত হতো। এগুলো নিয়ানডারথালরা ব্যবহার করত বলেই ধারণা করা হয়। ছিদ্রওয়ালা সুচ এরও অনেক পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড অনুযায়ী সেটি প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের ঘটনা।
ড. হ্যালট মরক্কোতে হাড়ের যে সরঞ্জামগুলো আবিষ্কার করেছেন সেগুলো কিছুটা স্প্যাটুলার (খুন্তি) মতো। এই সরঞ্জাম চামড়ার সংযোগকারী টিস্যু অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হতো। হ্যালেট বলেন, একই ধরনের হাড়ের সরঞ্জাম আজও কিছু চামড়া পাটকারী ব্যবহার করেন।
এই ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণ হলো, এগুলো সহজে চামড়ায় বিদ্ধ হয় না। অর্থাৎ চামড়া অক্ষত রেখে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য এমন সরঞ্জামেরই দরকার।
মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলে কনট্রেব্যান্ডিয়ার্স গুহায় হাড়ের সরঞ্জামগুলো পাওয়া গেছে। ড. হ্যালেট বলছেন, আজ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছর আগের জলবায়ু এখনকার মতোই নরম (চরম ভাবাপন্ন নয়) ছিল। এতে ধারণা করা যায়, প্রাথমিক যুগের পোশাক ছিল মূলত অলংকার এবং কোনো ক্ষেত্রে সুরক্ষার বস্তু। অর্থাৎ প্রস্তর যুগেও ফ্যাশন সচেতন কেউ তাহলে ছিল!
অতীতে বা আজকের দিনে কখনোই এখানে কোনো চরম তাপমাত্রা বা চরম জলবায়ু পরিস্থিতি ছিল না। তাই এখানে পোশাকের সত্যিই কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপযোগিতা ছিল নাকি প্রতীকী বস্তু অথবা দুটোই এ নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী আইসায়েন্সে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

জনপ্রিয় বিশ্বাস হচ্ছে, গুহামানবেরা পশুর পশম দিয়ে শরীর ঢেকে রাখত। কিন্তু প্রস্তর যুগের মানুষেরা আসলে কী পরতো এবং তারা কীভাবে পোশাক তৈরি করত সে বিষয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলো খুব ঝাপসা।
পশম, চামড়া এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ সাধারণত দীর্ঘ দিন সংরক্ষিত থাকে না। বিশেষ করে এক লাখ বছর আগের এমন নিদর্শন পাওয়া যায় না। যাইহোক, গবেষকেরা বলছেন যে মরক্কোর একটি গুহায় পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত এবং মসৃণ করতে ব্যবহৃত ৬২টি হাড়ের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। পোশাক ব্যবহারের প্রথম দিকের একটি প্রমাণ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই সরঞ্জামগুলোর বয়স ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অব হিউম্যান হিস্ট্রি-এর প্যান আফ্রিকান ইভল্যুশন রিসার্চ গ্রুপের পোস্ট ডক্টরাল বিজ্ঞানী এমিলি ইউকো হ্যালেট বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে মানুষের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য পশুর হাড়ের পরিণতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। যখন আমি প্রায় ১২ হাজার পশুর হাড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলাম। লক্ষ্য করলাম কিছু হাড়ের আকৃতি খুব আলাদা। এটি কোনোভাবেই প্রাকৃতিক আকৃতি নয়। হাড়গুলোর গায়ে খাঁজ বা আঁচড়ের মতো দাগ। আবার ঝকঝকে।
একটি পশুর মাংস খাওয়ার পর হাড়গুলো ফেলে দেওয়ার বদলে মানুষ নিয়মিত ব্যবহার করত। দীর্ঘ ব্যবহারে সেগুলো চকচকে মসৃণ হয়ে যেত। এই হাড়গুলোও তেমন। তবে আকার আকৃতিতে বিশেষ পার্থক্য আছে।
গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংসের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হতো।
পোশাকের ব্যবহার কখন শুরু হয়েছিল তা হিসাব করে বলা মুশকিল। এটা খুব সম্ভবত প্রাথমিক নিয়ানডারথালদের মতো মানুষ যারা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাস করত, তারা এই চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পোশাক পরতো। এটা হোমো সেপিয়েন্সদের আগমনের অনেক আগের ঘটনা। কিন্তু এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই।
উকুনের জিন গবেষণায় দেখা যায়, পোশাকের উকুনের পূর্ব পুরুষ মানুষের মাথার উকুন। আর এরা এই পূর্বপুরুষদের থেকে এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কমপক্ষে ৮৩ হাজার বছর আগে এটি ঘটেছে। সম্ভবত ১ লাখ ৭০ হাজার বছর আগেই তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এতে ধারণা করা যায়, আফ্রিকার বাইরে ব্যাপকভাবে অভিবাসন শুরুর আগে থেকেই মানুষ পোশাক পরতে শুরু করেছিল।
ড. হ্যালেট বলেন, হাতির হাড় দিয়ে তৈরি ৪ লাখ বছর আগের ৯৮টি সরঞ্জামের মধ্যে একটি সম্প্রতি ইতালিতে আবিষ্কৃত হয়েছে। সম্ভব এটি চামড়া মসৃণ করার কাজে ব্যবহৃত হতো। এগুলো নিয়ানডারথালরা ব্যবহার করত বলেই ধারণা করা হয়। ছিদ্রওয়ালা সুচ এরও অনেক পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড অনুযায়ী সেটি প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের ঘটনা।
ড. হ্যালট মরক্কোতে হাড়ের যে সরঞ্জামগুলো আবিষ্কার করেছেন সেগুলো কিছুটা স্প্যাটুলার (খুন্তি) মতো। এই সরঞ্জাম চামড়ার সংযোগকারী টিস্যু অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হতো। হ্যালেট বলেন, একই ধরনের হাড়ের সরঞ্জাম আজও কিছু চামড়া পাটকারী ব্যবহার করেন।
এই ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণ হলো, এগুলো সহজে চামড়ায় বিদ্ধ হয় না। অর্থাৎ চামড়া অক্ষত রেখে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য এমন সরঞ্জামেরই দরকার।
মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলে কনট্রেব্যান্ডিয়ার্স গুহায় হাড়ের সরঞ্জামগুলো পাওয়া গেছে। ড. হ্যালেট বলছেন, আজ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছর আগের জলবায়ু এখনকার মতোই নরম (চরম ভাবাপন্ন নয়) ছিল। এতে ধারণা করা যায়, প্রাথমিক যুগের পোশাক ছিল মূলত অলংকার এবং কোনো ক্ষেত্রে সুরক্ষার বস্তু। অর্থাৎ প্রস্তর যুগেও ফ্যাশন সচেতন কেউ তাহলে ছিল!
অতীতে বা আজকের দিনে কখনোই এখানে কোনো চরম তাপমাত্রা বা চরম জলবায়ু পরিস্থিতি ছিল না। তাই এখানে পোশাকের সত্যিই কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপযোগিতা ছিল নাকি প্রতীকী বস্তু অথবা দুটোই এ নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী আইসায়েন্সে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

জনপ্রিয় বিশ্বাস হচ্ছে, গুহামানবেরা পশুর পশম দিয়ে শরীর ঢেকে রাখত। কিন্তু প্রস্তর যুগের মানুষেরা আসলে কী পরতো এবং তারা কীভাবে পোশাক তৈরি করত সে বিষয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলো খুব ঝাপসা।
পশম, চামড়া এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ সাধারণত দীর্ঘ দিন সংরক্ষিত থাকে না। বিশেষ করে এক লাখ বছর আগের এমন নিদর্শন পাওয়া যায় না। যাইহোক, গবেষকেরা বলছেন যে মরক্কোর একটি গুহায় পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত এবং মসৃণ করতে ব্যবহৃত ৬২টি হাড়ের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। পোশাক ব্যবহারের প্রথম দিকের একটি প্রমাণ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই সরঞ্জামগুলোর বয়স ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অব হিউম্যান হিস্ট্রি-এর প্যান আফ্রিকান ইভল্যুশন রিসার্চ গ্রুপের পোস্ট ডক্টরাল বিজ্ঞানী এমিলি ইউকো হ্যালেট বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে মানুষের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য পশুর হাড়ের পরিণতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। যখন আমি প্রায় ১২ হাজার পশুর হাড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলাম। লক্ষ্য করলাম কিছু হাড়ের আকৃতি খুব আলাদা। এটি কোনোভাবেই প্রাকৃতিক আকৃতি নয়। হাড়গুলোর গায়ে খাঁজ বা আঁচড়ের মতো দাগ। আবার ঝকঝকে।
একটি পশুর মাংস খাওয়ার পর হাড়গুলো ফেলে দেওয়ার বদলে মানুষ নিয়মিত ব্যবহার করত। দীর্ঘ ব্যবহারে সেগুলো চকচকে মসৃণ হয়ে যেত। এই হাড়গুলোও তেমন। তবে আকার আকৃতিতে বিশেষ পার্থক্য আছে।
গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংসের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হতো।
পোশাকের ব্যবহার কখন শুরু হয়েছিল তা হিসাব করে বলা মুশকিল। এটা খুব সম্ভবত প্রাথমিক নিয়ানডারথালদের মতো মানুষ যারা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাস করত, তারা এই চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পোশাক পরতো। এটা হোমো সেপিয়েন্সদের আগমনের অনেক আগের ঘটনা। কিন্তু এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই।
উকুনের জিন গবেষণায় দেখা যায়, পোশাকের উকুনের পূর্ব পুরুষ মানুষের মাথার উকুন। আর এরা এই পূর্বপুরুষদের থেকে এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কমপক্ষে ৮৩ হাজার বছর আগে এটি ঘটেছে। সম্ভবত ১ লাখ ৭০ হাজার বছর আগেই তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এতে ধারণা করা যায়, আফ্রিকার বাইরে ব্যাপকভাবে অভিবাসন শুরুর আগে থেকেই মানুষ পোশাক পরতে শুরু করেছিল।
ড. হ্যালেট বলেন, হাতির হাড় দিয়ে তৈরি ৪ লাখ বছর আগের ৯৮টি সরঞ্জামের মধ্যে একটি সম্প্রতি ইতালিতে আবিষ্কৃত হয়েছে। সম্ভব এটি চামড়া মসৃণ করার কাজে ব্যবহৃত হতো। এগুলো নিয়ানডারথালরা ব্যবহার করত বলেই ধারণা করা হয়। ছিদ্রওয়ালা সুচ এরও অনেক পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড অনুযায়ী সেটি প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের ঘটনা।
ড. হ্যালট মরক্কোতে হাড়ের যে সরঞ্জামগুলো আবিষ্কার করেছেন সেগুলো কিছুটা স্প্যাটুলার (খুন্তি) মতো। এই সরঞ্জাম চামড়ার সংযোগকারী টিস্যু অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হতো। হ্যালেট বলেন, একই ধরনের হাড়ের সরঞ্জাম আজও কিছু চামড়া পাটকারী ব্যবহার করেন।
এই ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণ হলো, এগুলো সহজে চামড়ায় বিদ্ধ হয় না। অর্থাৎ চামড়া অক্ষত রেখে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য এমন সরঞ্জামেরই দরকার।
মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলে কনট্রেব্যান্ডিয়ার্স গুহায় হাড়ের সরঞ্জামগুলো পাওয়া গেছে। ড. হ্যালেট বলছেন, আজ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছর আগের জলবায়ু এখনকার মতোই নরম (চরম ভাবাপন্ন নয়) ছিল। এতে ধারণা করা যায়, প্রাথমিক যুগের পোশাক ছিল মূলত অলংকার এবং কোনো ক্ষেত্রে সুরক্ষার বস্তু। অর্থাৎ প্রস্তর যুগেও ফ্যাশন সচেতন কেউ তাহলে ছিল!
অতীতে বা আজকের দিনে কখনোই এখানে কোনো চরম তাপমাত্রা বা চরম জলবায়ু পরিস্থিতি ছিল না। তাই এখানে পোশাকের সত্যিই কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপযোগিতা ছিল নাকি প্রতীকী বস্তু অথবা দুটোই এ নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী আইসায়েন্সে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

জনপ্রিয় বিশ্বাস হচ্ছে, গুহামানবেরা পশুর পশম দিয়ে শরীর ঢেকে রাখত। কিন্তু প্রস্তর যুগের মানুষেরা আসলে কী পরতো এবং তারা কীভাবে পোশাক তৈরি করত সে বিষয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলো খুব ঝাপসা।
পশম, চামড়া এবং অন্যান্য জৈব পদার্থ সাধারণত দীর্ঘ দিন সংরক্ষিত থাকে না। বিশেষ করে এক লাখ বছর আগের এমন নিদর্শন পাওয়া যায় না। যাইহোক, গবেষকেরা বলছেন যে মরক্কোর একটি গুহায় পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত এবং মসৃণ করতে ব্যবহৃত ৬২টি হাড়ের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। পোশাক ব্যবহারের প্রথম দিকের একটি প্রমাণ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই সরঞ্জামগুলোর বয়স ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছরের মধ্যে।
ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্স অব হিউম্যান হিস্ট্রি-এর প্যান আফ্রিকান ইভল্যুশন রিসার্চ গ্রুপের পোস্ট ডক্টরাল বিজ্ঞানী এমিলি ইউকো হ্যালেট বলেন, আমি প্রাথমিকভাবে মানুষের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য পশুর হাড়ের পরিণতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। যখন আমি প্রায় ১২ হাজার পশুর হাড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলাম। লক্ষ্য করলাম কিছু হাড়ের আকৃতি খুব আলাদা। এটি কোনোভাবেই প্রাকৃতিক আকৃতি নয়। হাড়গুলোর গায়ে খাঁজ বা আঁচড়ের মতো দাগ। আবার ঝকঝকে।
একটি পশুর মাংস খাওয়ার পর হাড়গুলো ফেলে দেওয়ার বদলে মানুষ নিয়মিত ব্যবহার করত। দীর্ঘ ব্যবহারে সেগুলো চকচকে মসৃণ হয়ে যেত। এই হাড়গুলোও তেমন। তবে আকার আকৃতিতে বিশেষ পার্থক্য আছে।
গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংসের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হতো।
পোশাকের ব্যবহার কখন শুরু হয়েছিল তা হিসাব করে বলা মুশকিল। এটা খুব সম্ভবত প্রাথমিক নিয়ানডারথালদের মতো মানুষ যারা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাস করত, তারা এই চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পোশাক পরতো। এটা হোমো সেপিয়েন্সদের আগমনের অনেক আগের ঘটনা। কিন্তু এর সপক্ষে শক্ত প্রমাণ নেই।
উকুনের জিন গবেষণায় দেখা যায়, পোশাকের উকুনের পূর্ব পুরুষ মানুষের মাথার উকুন। আর এরা এই পূর্বপুরুষদের থেকে এক সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। কমপক্ষে ৮৩ হাজার বছর আগে এটি ঘটেছে। সম্ভবত ১ লাখ ৭০ হাজার বছর আগেই তারা আলাদা হয়ে গিয়েছিল। এতে ধারণা করা যায়, আফ্রিকার বাইরে ব্যাপকভাবে অভিবাসন শুরুর আগে থেকেই মানুষ পোশাক পরতে শুরু করেছিল।
ড. হ্যালেট বলেন, হাতির হাড় দিয়ে তৈরি ৪ লাখ বছর আগের ৯৮টি সরঞ্জামের মধ্যে একটি সম্প্রতি ইতালিতে আবিষ্কৃত হয়েছে। সম্ভব এটি চামড়া মসৃণ করার কাজে ব্যবহৃত হতো। এগুলো নিয়ানডারথালরা ব্যবহার করত বলেই ধারণা করা হয়। ছিদ্রওয়ালা সুচ এরও অনেক পরে আবিষ্কৃত হয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড অনুযায়ী সেটি প্রায় ৪০ হাজার বছর আগের ঘটনা।
ড. হ্যালট মরক্কোতে হাড়ের যে সরঞ্জামগুলো আবিষ্কার করেছেন সেগুলো কিছুটা স্প্যাটুলার (খুন্তি) মতো। এই সরঞ্জাম চামড়ার সংযোগকারী টিস্যু অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হতো। হ্যালেট বলেন, একই ধরনের হাড়ের সরঞ্জাম আজও কিছু চামড়া পাটকারী ব্যবহার করেন।
এই ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণ হলো, এগুলো সহজে চামড়ায় বিদ্ধ হয় না। অর্থাৎ চামড়া অক্ষত রেখে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য এমন সরঞ্জামেরই দরকার।
মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলে কনট্রেব্যান্ডিয়ার্স গুহায় হাড়ের সরঞ্জামগুলো পাওয়া গেছে। ড. হ্যালেট বলছেন, আজ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বছর আগের জলবায়ু এখনকার মতোই নরম (চরম ভাবাপন্ন নয়) ছিল। এতে ধারণা করা যায়, প্রাথমিক যুগের পোশাক ছিল মূলত অলংকার এবং কোনো ক্ষেত্রে সুরক্ষার বস্তু। অর্থাৎ প্রস্তর যুগেও ফ্যাশন সচেতন কেউ তাহলে ছিল!
অতীতে বা আজকের দিনে কখনোই এখানে কোনো চরম তাপমাত্রা বা চরম জলবায়ু পরিস্থিতি ছিল না। তাই এখানে পোশাকের সত্যিই কোনো গুরুত্বপূর্ণ উপযোগিতা ছিল নাকি প্রতীকী বস্তু অথবা দুটোই এ নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান সাময়িকী আইসায়েন্সে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংস
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংস
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংস
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

ফ্রান্সের ব্রিতানি উপকূলের কাছে সমুদ্রের গভীরে এক বিশাল পাথরের প্রাচীরের সন্ধান মিলেছে। এই প্রাচীন প্রায় ৭ হাজার বছর আগে—অর্থাৎ ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে নির্মিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরাসি সামুদ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা ধারণা করছেন, সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে যে প্রস্তর যুগের সমাজ এই এলাকা থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, এই আবিষ্কার হয়তো সেই সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। সেখানে তলিয়ে যাওয়া শহরের প্রচলিত কিংবদন্তির নিদর্শনও হতে পারে এই প্রাচীর।
১২০ মিটার দীর্ঘ এই প্রাচীর ফ্রান্সের জলসীমায় পাওয়া সমুদ্রতলের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনুমান, এটি হয়তো মাছ ধরার জন্য এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো, অথবা সমুদ্রের ক্রমবর্ধমান জলস্তর থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাঁধ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল।
প্রাচীরটি ব্রিতানির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইলে দে সঁ-এর উপকূলে আবিষ্কৃত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের চিহ্ন এখনো বহন করছে এই প্রাচীর। বর্তমানে প্রাচীরটি প্রায় নয় মিটার গভীরে ডুবে আছে। দ্বীপটি আগের আকারের তুলনায় অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে, সমুদ্রের পানিস্তর বৃদ্ধির এটি বড় প্রমাণ।
প্রাচীরটির গড় প্রস্থ প্রায় ২০ মিটার এবং উচ্চতা দুই মিটার। নিয়মিত ব্যবধানে ডুবুরিরা এর মধ্যে বড় গ্রানাইট পাথর বা মনোলিথ-এর অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। এগুলো দুটি সমান্তরাল রেখায় প্রাচীরের ওপরে উঁচু হয়ে আছে। মনে করা হচ্ছে, এই মনোলিথগুলোই প্রাচীরের মূল ভিত্তি হিসেবে শিলাস্তরের ওপর স্থাপন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে স্ল্যাব ও ছোট পাথর দিয়ে তাদের ঘিরে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। যদি মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে ব্যবহারের অনুমানটি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায়, মনোলিথগুলোতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার সময় মাছ ধরার জাল বেঁধে রাখা হতো।
প্রাচীরটির মোট ভর প্রায় ৩ হাজার ৩০০ টন। প্রত্নতাত্ত্বিক ইভান পাইয়ার বলেন, এই বিশাল নির্মাণ একটি সুসংগঠিত সমাজের কাজ হতে পারে। মূলত শিকারি-সংগ্রাহক (হান্টার গ্যাদারার) জনগোষ্ঠী এটি নির্মাণ করেছে, যারা সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় স্থিতিশীল জীবনযাপন শুরু করেছিল। অথবা, এটি ছিল ৫ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলে আসা নব্যপ্রস্তর যুগের জনগোষ্ঠীর নির্মাণ।
পাইয়ারের মতে, মনোলিথগুলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিখ্যাত মেনহিরগুলোর চেয়েও প্রাচীন। ফলে এটি পাথর উত্তোলন, কাটা এবং পরিবহনের জ্ঞান তৎকালীন শিকারি-সংগ্রাহক সমাজ থেকে পরবর্তী নব্যপ্রস্তর যুগের কৃষকদের কাছে স্থানান্তরিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নটিক্যাল আর্কিওলজিতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই আবিষ্কার স্থানীয় ব্রেটোন কিংবদন্তিগুলোর উৎস হতে পারে। যেমন, ব্রিতানির উপকূলে অবস্থিত বে অব দোয়ারনেনেজ-এর আশপাশে ডুবে যাওয়া শহর ইশ (Ys)-এর কিংবদন্তি। গবেষকদের মতে, একটি অত্যন্ত সুসংগঠিত সমাজ দ্বারা গঠিত অঞ্চলের বিলুপ্তি মানুষের স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে মাছ ধরার কাঠামো, প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলো সম্ভবত স্থানীয় মানুষের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলেছিল।

গুহার অন্যান্য হাড়ের গায়ে বিশেষ ধরনের কাটা দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা যায়, এখানে বসবাসকারী মানুষেরা মাংসাশী প্রাণী যেমন- বালি শিয়াল, সোনালি খ্যাঁকশিয়াল এবং বনবিড়ালের চামড়া ছাড়াত। মূলত পশমের জন্যই এগুলো সংগ্রহ করা হতো। আর গবাদিপশুর মতো পশুর হাড়গুলোতে যে ধরনের চিহ্ন দেখা গেছে তাতে মনে হয় এগুলো শুধু মাংস
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
৪ দিন আগে