ফিচার ডেস্ক
আমরা যেমন মলা-ঢেলার মতো ছোট মাছ খেতে অভ্যস্ত, তেমনি দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের অধিবাসীরা বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ খেয়ে থাকে। তাদের মধ্যে হোয়াইট বেট, আটলান্টিক ক্যাপেলিন কিংবা ছোট শুকনো সার্ডিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস আছে। মাথা, হাড় কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোনো কিছু না ফেলে সম্পূর্ণ ছোট মাছ খাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে, মলা, ঢেলা, চান্দা, পুঁটি, কাঁচকি, ট্যাংরা, বাতাসি ইত্যাদির মতো যেকোনো ছোট মাছ যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন, ফসফরাস ও প্রোটিনের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ।
জাপানের নাগোয়া ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনের একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট মাছ খাওয়ার সঙ্গে জাপানি নারীদের ক্যানসার ও অন্যান্য রোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যাওয়ার সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ‘পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাকর্মে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ছোট মাছ রাখা আয়ু বাড়ানোর সহজ ও কার্যকর উপায়।
এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. চিনাৎসু কাসাহারা জানান, ছোটবেলা থেকে তাঁর ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস ছিল বলে এই গবেষণার বিষয়ে আগ্রহী হয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি নিজের সন্তানদের এগুলো খাওয়াচ্ছেন নিয়মিত।
নারীদের জন্য সুখবর
গবেষকেরা জাপানিদের মধ্যে ছোট মাছ খাওয়া এবং মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেন। সে জন্য ৩৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৮০ হাজার ৮০২ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৫৫ জন পুরুষ এবং ৪৬ হাজার ২৪৭ জন ছিলেন নারী। গবেষকেরা এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে গড়ে ৯ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেন। ফলোআপের সময় গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২ হাজার ৪৮২ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছিল।
গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীদের ছোট মাছ খাওয়ার কারণে ক্যানসারে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী যেসব নারী মাসে এক থেকে তিনবার ছোট মাছ খেয়েছিল, ক্যানসারে তাদের মৃত্যুঝুঁকি যারা এর চেয়ে কম ছোট মাছ খেলেছিল তাদের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া যারা সপ্তাহে এক থেকে দুবার বা তার বেশি ছোট মাছ খেয়েছিল, তাদের মৃত্যুঝুঁকি শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এভাবে একাধিক প্যারামিটার ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয় এই গবেষণায়।
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস, বিএমআই এবং বিভিন্ন পুষ্টি ও খাবার গ্রহণের মতো মৃত্যুর ঝুঁকিকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কারণগুলো প্রথমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এরপর গবেষকেরা দেখেন, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী যেসব নারী ঘন ঘন ছোট মাছ খায়, তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা কম ছিল।
যদিও বিপুলসংখ্যক পুরুষ এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিল, কিন্তু ফলাফলে পুরুষদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ গবেষণা
অতিরিক্ত গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন প্রধান গবেষক ড. চিনাৎসু কাসাহারা। তিনি জানান, গবেষণাটি শুধু জাপানিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও অন্যান্য জাতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।
সাশ্রয়ী মূল্যের ছোট মাছকে পুষ্টির সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে তুলে ধরেতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর আগেও কিছু গবেষণা হয়েছিল। এবারের গবেষণাটি প্রমাণ করেছে, খাদ্যতালিকায় থাকা যেসব খাবার বেশি স্বাস্থ্যসুবিধা দিতে পারে, তার মধ্যে ছোট মাছ গুরুত্বপূর্ণ। কাসাহারা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘ছোট মাছ প্রত্যেকের পক্ষে খাওয়া সহজ এবং এগুলো মাথা, হাড় ও অঙ্গসহ পুরো খাওয়া যেতে পারে। ছোট মাছের অনন্য পুষ্টি এবং শারীরবৃত্তীয় সক্রিয় উপাদানগুলো আমাদের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। ছোট মাছ খাওয়ার সঙ্গে নারীর মৃত্যুঝুঁকির বিপরীত সম্পর্ক মানুষের ডায়েটে এই পুষ্টিঘন খাবারের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।’
কাসাহারার সহগবেষক ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক তাকাশি তামুরা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি যে, যেকোনো জায়গার ছোট মাছ খাওয়াকে আয়ু বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে ছোট মাছ খাওয়ার সম্ভাব্য ভূমিকা ব্যাখ্যা করার জন্য আরও প্রমাণ প্রয়োজন।’
সূত্র: এসসিআইটেক ডেইলি ডট কম
আমরা যেমন মলা-ঢেলার মতো ছোট মাছ খেতে অভ্যস্ত, তেমনি দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের অধিবাসীরা বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ খেয়ে থাকে। তাদের মধ্যে হোয়াইট বেট, আটলান্টিক ক্যাপেলিন কিংবা ছোট শুকনো সার্ডিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস আছে। মাথা, হাড় কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোনো কিছু না ফেলে সম্পূর্ণ ছোট মাছ খাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে, মলা, ঢেলা, চান্দা, পুঁটি, কাঁচকি, ট্যাংরা, বাতাসি ইত্যাদির মতো যেকোনো ছোট মাছ যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন, ফসফরাস ও প্রোটিনের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে সমৃদ্ধ।
জাপানের নাগোয়া ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনের একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট মাছ খাওয়ার সঙ্গে জাপানি নারীদের ক্যানসার ও অন্যান্য রোগের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যাওয়ার সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি ‘পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাকর্মে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ছোট মাছ রাখা আয়ু বাড়ানোর সহজ ও কার্যকর উপায়।
এই গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. চিনাৎসু কাসাহারা জানান, ছোটবেলা থেকে তাঁর ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস ছিল বলে এই গবেষণার বিষয়ে আগ্রহী হয়েছিলেন তিনি। এখন তিনি নিজের সন্তানদের এগুলো খাওয়াচ্ছেন নিয়মিত।
নারীদের জন্য সুখবর
গবেষকেরা জাপানিদের মধ্যে ছোট মাছ খাওয়া এবং মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে সম্পর্ক খোঁজার চেষ্টা করেন। সে জন্য ৩৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৮০ হাজার ৮০২ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৫৫৫ জন পুরুষ এবং ৪৬ হাজার ২৪৭ জন ছিলেন নারী। গবেষকেরা এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে গড়ে ৯ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেন। ফলোআপের সময় গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২ হাজার ৪৮২ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছিল।
গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীদের ছোট মাছ খাওয়ার কারণে ক্যানসারে মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী যেসব নারী মাসে এক থেকে তিনবার ছোট মাছ খেয়েছিল, ক্যানসারে তাদের মৃত্যুঝুঁকি যারা এর চেয়ে কম ছোট মাছ খেলেছিল তাদের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ কম। এ ছাড়া যারা সপ্তাহে এক থেকে দুবার বা তার বেশি ছোট মাছ খেয়েছিল, তাদের মৃত্যুঝুঁকি শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। এভাবে একাধিক প্যারামিটার ধরে পর্যবেক্ষণ করা হয় এই গবেষণায়।
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স, ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস, বিএমআই এবং বিভিন্ন পুষ্টি ও খাবার গ্রহণের মতো মৃত্যুর ঝুঁকিকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কারণগুলো প্রথমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এরপর গবেষকেরা দেখেন, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী যেসব নারী ঘন ঘন ছোট মাছ খায়, তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা কম ছিল।
যদিও বিপুলসংখ্যক পুরুষ এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিল, কিন্তু ফলাফলে পুরুষদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ গবেষণা
অতিরিক্ত গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছেন প্রধান গবেষক ড. চিনাৎসু কাসাহারা। তিনি জানান, গবেষণাটি শুধু জাপানিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও অন্যান্য জাতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।
সাশ্রয়ী মূল্যের ছোট মাছকে পুষ্টির সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে তুলে ধরেতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর আগেও কিছু গবেষণা হয়েছিল। এবারের গবেষণাটি প্রমাণ করেছে, খাদ্যতালিকায় থাকা যেসব খাবার বেশি স্বাস্থ্যসুবিধা দিতে পারে, তার মধ্যে ছোট মাছ গুরুত্বপূর্ণ। কাসাহারা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘ছোট মাছ প্রত্যেকের পক্ষে খাওয়া সহজ এবং এগুলো মাথা, হাড় ও অঙ্গসহ পুরো খাওয়া যেতে পারে। ছোট মাছের অনন্য পুষ্টি এবং শারীরবৃত্তীয় সক্রিয় উপাদানগুলো আমাদের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। ছোট মাছ খাওয়ার সঙ্গে নারীর মৃত্যুঝুঁকির বিপরীত সম্পর্ক মানুষের ডায়েটে এই পুষ্টিঘন খাবারের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।’
কাসাহারার সহগবেষক ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক তাকাশি তামুরা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ধারণা করছি যে, যেকোনো জায়গার ছোট মাছ খাওয়াকে আয়ু বাড়ানোর উপায় হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে ছোট মাছ খাওয়ার সম্ভাব্য ভূমিকা ব্যাখ্যা করার জন্য আরও প্রমাণ প্রয়োজন।’
সূত্র: এসসিআইটেক ডেইলি ডট কম
মানুষের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে বেশি মানসিক সমর্থন দেয় পোষা কুকুর। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক গবেষণা। আন্তর্জাতিক জার্নাল সায়েন্টিফিক রিপোর্ট–এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ তাদের কুকুরকে শুধুমাত্র ‘পোষা প্রাণী’ হিসেবে নয়, বরং ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সন্তানের মতো আদরের...
২ দিন আগেপূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন মশার প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার ম্যালেরিয়া পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩ দিন আগেমুরগির ডিমের কথা বললে সাধারণত সাদা বা বাদামি খোলসের ডিমই ভেসে ওঠে আমাদের চোখে। প্রকৃতপক্ষে ডিমের খোলসের রং হতে পারে ক্রিম, গোলাপি, নীল, এমনকি সবুজও। শুধু তাই নয়—কিছু ডিমের খোলসের ওপর আবার দাগও দেখা যায়। তবে প্রশ্ন হলো—ডিমের রঙে এত বৈচিত্র্য কেন এবং কী কারণে একেক মুরগি একেক রঙের ডিম পাড়ে?
৩ দিন আগেএখন মোবাইল ফোনেই জটিল হিসাব-নিকাশ ঝটপট কষে ফেলা যায়। কিন্তু সময়টা যখন সতেরো শতক, যখন কাগজ-কলমই ভরসা, আর জটিল গাণিতিক হিসাব করতে গিয়ে মানুষ হারিয়ে যেত সংখ্যার গোলকধাঁধায়। তখনই জার্মানির এক বিরল প্রতিভা উইলহেম শিকার্ড উদ্ভাবন করেন এমন এক যন্ত্র, যা গাণিতিক অনেক হিসাব-নিকাশ সহজ করে দেয়।
৪ দিন আগে