অনলাইন ডেস্ক
পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন মশার প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার ম্যালেরিয়া পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই সদ্য আবিষ্কৃত মশার প্রজাতিটি আপাতত ‘পওয়ানি মলিকুলার ফর্ম’ (Pwani molecular form) নামে পরিচিত। এটি ‘অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ে কমপ্লেক্স’ (Anopheles gambiae complex)-এর অন্তর্গত। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যালেরিয়া বাহক মশা রয়েছে এই গ্রুপে।
এই প্রজাতি নিয়ে গবেষণাটি মলিকুলার ইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আর এটি পরিচালনা করেছে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউট ও ইফাকারা হেলথ ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা। জেনেটিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁরা দেখতে পান, এই নতুন প্রজাতি পূর্ব আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চল—বিশেষ করে কেনিয়া ও তানজানিয়ার কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ এবং এটি জিনগতভাবে অন্যান্য মশা থেকে বেশ আলাদা।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রজাতির মশার কীটনাশক প্রতিরোধের ধরন অন্যান্য পরিচিত প্রজাতির চেয়ে আলাদা। এতে সাধারণ প্রতিরোধের জিনগত চিহ্ন নেই, যা ইঙ্গিত করে এটি হয়তো কীটনাশকের প্রতি বেশি সংবেদনশীল বা প্রতিরোধ গঠনের পদ্ধতিই একেবারে ভিন্ন রকমের। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে গবেষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকেরা।
বর্তমানে ম্যালেরিয়ার বাহক মশা নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের ওপর নির্ভর করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিবছর লক্ষাধিক ম্যালেরিয়া সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়। ম্যালেরিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ মানুষ মারা যায়।
গবেষণার প্রধান লেখক সোফিয়া মুইনিই বলেন, ‘পওয়ানি মলিকুলার ফর্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চলে মশার বৈচিত্র্য সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনো কম। এই প্রজাতির অনন্য কীটনাশকের বৈশিষ্ট্য ও নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা ইঙ্গিত দেয়, শুষ্ক মৌসুমে যখন অন্যান্য বাহক কম সক্রিয় থাকে, তখন ম্যালেরিয়া সংক্রমণ টিকিয়ে রাখতে এর ভূমিকা থাকতে পারে। এটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে কেন বিছানায় মশারি বিস্তৃত ব্যবহার সত্ত্বেও এসব এলাকায় ম্যালেরিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।’
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মশাটি অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ে কমপ্লেক্সের অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় জিনগতভাবে এতটাই আলাদা যে, এর আলাদা পরিবেশগত বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। যদিও এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি এই প্রজাতি ম্যালেরিয়া ছড়ায় কি না, তবে এটি ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চলে দেখা গিয়েছে। তাই গবেষকদের কাছে এটি বিস্তারিতভাবে গবেষণা করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরেক গবেষক ফ্রেডরস ওকুমু বলেন ‘জেনেটিকস ব্যবহার করে আমরা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এগিয়ে থাকতে পারি। মশার জেনেটিক গঠন বুঝলে বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
গবেষণাটি ওয়েলকাম ট্রাস্ট, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও ইউকে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আর এই নতুন প্রজাতির আচরণ, বাস্তুসংস্থান ও ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষমতা নির্ধারণে অবিলম্বে নতুন গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকেরা।
পূর্ব আফ্রিকার কেনিয়া ও তানজানিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন মশার প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার ম্যালেরিয়া পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই সদ্য আবিষ্কৃত মশার প্রজাতিটি আপাতত ‘পওয়ানি মলিকুলার ফর্ম’ (Pwani molecular form) নামে পরিচিত। এটি ‘অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ে কমপ্লেক্স’ (Anopheles gambiae complex)-এর অন্তর্গত। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যালেরিয়া বাহক মশা রয়েছে এই গ্রুপে।
এই প্রজাতি নিয়ে গবেষণাটি মলিকুলার ইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আর এটি পরিচালনা করেছে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউট ও ইফাকারা হেলথ ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা। জেনেটিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁরা দেখতে পান, এই নতুন প্রজাতি পূর্ব আফ্রিকার উপকূলীয় অঞ্চল—বিশেষ করে কেনিয়া ও তানজানিয়ার কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ এবং এটি জিনগতভাবে অন্যান্য মশা থেকে বেশ আলাদা।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রজাতির মশার কীটনাশক প্রতিরোধের ধরন অন্যান্য পরিচিত প্রজাতির চেয়ে আলাদা। এতে সাধারণ প্রতিরোধের জিনগত চিহ্ন নেই, যা ইঙ্গিত করে এটি হয়তো কীটনাশকের প্রতি বেশি সংবেদনশীল বা প্রতিরোধ গঠনের পদ্ধতিই একেবারে ভিন্ন রকমের। এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে গবেষণা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকেরা।
বর্তমানে ম্যালেরিয়ার বাহক মশা নিয়ন্ত্রণে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের ওপর নির্ভর করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিবছর লক্ষাধিক ম্যালেরিয়া সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়। ম্যালেরিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ মানুষ মারা যায়।
গবেষণার প্রধান লেখক সোফিয়া মুইনিই বলেন, ‘পওয়ানি মলিকুলার ফর্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চলে মশার বৈচিত্র্য সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনো কম। এই প্রজাতির অনন্য কীটনাশকের বৈশিষ্ট্য ও নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা ইঙ্গিত দেয়, শুষ্ক মৌসুমে যখন অন্যান্য বাহক কম সক্রিয় থাকে, তখন ম্যালেরিয়া সংক্রমণ টিকিয়ে রাখতে এর ভূমিকা থাকতে পারে। এটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে কেন বিছানায় মশারি বিস্তৃত ব্যবহার সত্ত্বেও এসব এলাকায় ম্যালেরিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।’
গবেষকেরা জানিয়েছেন, মশাটি অ্যানোফিলিস গাম্বিয়ে কমপ্লেক্সের অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় জিনগতভাবে এতটাই আলাদা যে, এর আলাদা পরিবেশগত বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। যদিও এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যায়নি এই প্রজাতি ম্যালেরিয়া ছড়ায় কি না, তবে এটি ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চলে দেখা গিয়েছে। তাই গবেষকদের কাছে এটি বিস্তারিতভাবে গবেষণা করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরেক গবেষক ফ্রেডরস ওকুমু বলেন ‘জেনেটিকস ব্যবহার করে আমরা ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এগিয়ে থাকতে পারি। মশার জেনেটিক গঠন বুঝলে বিজ্ঞানী ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
গবেষণাটি ওয়েলকাম ট্রাস্ট, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও ইউকে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। আর এই নতুন প্রজাতির আচরণ, বাস্তুসংস্থান ও ম্যালেরিয়া ছড়ানোর ক্ষমতা নির্ধারণে অবিলম্বে নতুন গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকেরা।
মানুষের সংবেদনশীল দাঁতের উৎপত্তি হয়েছিল প্রাচীন বিলুপ্ত মাছের ‘দেহবর্ম’ বা বর্মা কৃতি আবরণ থেকে। প্রায় ৪৬ কোটি ৫০ লাখ বছর আগের সেই মাছদের শরীরে থাকা এক ধরনের সংবেদনশীল টিস্যুই পরবর্তীতে বিবর্তিত হয়ে দাঁতে রূপ নেয়। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
১ দিন আগে১২৪ বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব। অবিশ্বাস্য মনে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফায়ার স্টেশনের ছাদে ঝুলে থাকা এই সাধারণ বাল্ব যেন সময়ের সাক্ষী হয়ে আজও আলো ছড়াচ্ছে।
২ দিন আগেপরিমাপের একক হিসেবে ‘মিটার’ ব্যবহার আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুদির দোকান থেকে আলু কেনা বা গাড়িতে পেট্রল ভরার মতো সাধারণ কাজেও এটি ব্যবহার হয়। তবে এ সুবিধার পেছনে রয়েছে ১৫০ বছর আগের এক ঐতিহাসিক ‘মেট্রিক চুক্তি’ বা ‘মিটার কনভেনশন’।
৩ দিন আগেচীনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন থেকে সংগ্রহ করা নমুনা বিশ্লেষণের সময় অজানা প্রজাতির এক ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি পৃথিবীতে আগে কখনো দেখা যায়নি। ব্যতিক্রমধর্মী এই জীবাণুটি মহাকাশের চরম পরিবেশে টিকে থাকার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
৩ দিন আগে