
প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
৭ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৪ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রথম জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভেড়াটি সম্প্রতি এক বছর পূর্ণ করেছে। সে ভালোই আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভেড়াটির জন্ম হয়। এর নাম রাখা হয় তারমিম; আরবি ভাষায় যার অর্থ পরিবর্তন বা সম্পাদনা।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেড়াটিকে একটি আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে তার জিনগতভাবে অপরিবর্তিত যমজ বোনটিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভেড়াটি পরিবর্তনে তারা ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এটি ডিএনএ পরিবর্তনের একটি আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি।
সহজভাবে বললে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কাঁচির মতো ডিএনএর এমন অংশ কেটে ফেলতে পারেন, যেগুলো দুর্বলতা বা রোগ সৃষ্টি করে।
গবেষক ড. সুহাইল মাগরে বিবিসিকে বলেন, ‘গর্ভবতী ভেড়ার শরীর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্রূণ সংগ্রহ করি এবং একটি নির্দিষ্ট জিন–যাকে মায়োস্টাটিন জিন বলা হয়, সম্পাদনা করি। এই জিনটি পেশির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।’
নিষিক্ত ডিম্বাণু বা ভ্রূণগুলোকে দুই থেকে তিন দিন ল্যাবরেটরির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি স্ত্রী ভেড়ার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে ফস্টার রিসিপিয়েন্ট বলা হয়।
ড. সুহাইল মাগরে বলেন, ‘এরপর প্রকৃতি তার কাজ করেছে। প্রায় ১৫০ দিন পর বাচ্চা জন্ম নেয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভেড়ার পেশির পরিমাণ বাড়ানো। মায়োস্টাটিন জিন নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি।’
চলতি মাসের শুরুতে তারমিম এক বছর পূর্ণ করার পর প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ও অধ্যাপক রিয়াজ শাহ বিবিসিকে ভেড়াটির বর্তমান অবস্থা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
অধ্যাপক শাহ বলেন, ভেড়াটির স্বাস্থ্য ও টিকে থাকার সক্ষমতা যাচাই করতে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কঠোর নজরদারির মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে ভেড়াটিকে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়ন পেতে তারা একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
গবেষণা ও চিকিৎসার লক্ষ্যে বহু দশক ধরে ভেড়ার জিনগত পরিবর্তন এবং জিন সম্পাদনা করা হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাজ্যের ট্রেসি নামের ভেড়াটি ছিল এর বড় উদাহরণ; যা তার দুধের মাধ্যমে বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে পারত। বর্তমানে ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেশির বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রজননক্ষমতার মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
তারমিমের জন্য ভারতের আট সদস্যের গবেষক দল টানা সাত বছর ধরে কাজ করছে।
অধ্যাপক শাহ বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু ব্যর্থতা ছিল। আমরা একাধিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাফল্য আসে। আমরা সাতটি আইভিএফ প্রক্রিয়া চালাই। এর মধ্যে পাঁচটি জীবিত বাচ্চা জন্ম নেয় এবং দুটি গর্ভপাত ঘটে। জিন সম্পাদনা সফল হয়েছে কেবল একটির ক্ষেত্রে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। এখন পুরো প্রক্রিয়াটি মানসম্মতভাবে স্থির করা গেছে। ভবিষ্যতে সাফল্যের হার অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।’

ভারতের প্রথম জিনগতভাবে পরিবর্তিত ভেড়াটি সম্প্রতি এক বছর পূর্ণ করেছে। সে ভালোই আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।
ভারতশাসিত কাশ্মীরে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ভেড়াটির জন্ম হয়। এর নাম রাখা হয় তারমিম; আরবি ভাষায় যার অর্থ পরিবর্তন বা সম্পাদনা।
শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেড়াটিকে একটি আলাদা খাঁচায় রাখা হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছে তার জিনগতভাবে অপরিবর্তিত যমজ বোনটিও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভেড়াটি পরিবর্তনে তারা ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এটি ডিএনএ পরিবর্তনের একটি আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি।
সহজভাবে বললে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কাঁচির মতো ডিএনএর এমন অংশ কেটে ফেলতে পারেন, যেগুলো দুর্বলতা বা রোগ সৃষ্টি করে।
গবেষক ড. সুহাইল মাগরে বিবিসিকে বলেন, ‘গর্ভবতী ভেড়ার শরীর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্রূণ সংগ্রহ করি এবং একটি নির্দিষ্ট জিন–যাকে মায়োস্টাটিন জিন বলা হয়, সম্পাদনা করি। এই জিনটি পেশির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।’
নিষিক্ত ডিম্বাণু বা ভ্রূণগুলোকে দুই থেকে তিন দিন ল্যাবরেটরির নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি স্ত্রী ভেড়ার শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়, যাকে ফস্টার রিসিপিয়েন্ট বলা হয়।
ড. সুহাইল মাগরে বলেন, ‘এরপর প্রকৃতি তার কাজ করেছে। প্রায় ১৫০ দিন পর বাচ্চা জন্ম নেয়। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভেড়ার পেশির পরিমাণ বাড়ানো। মায়োস্টাটিন জিন নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে আমরা তা সফলভাবে করতে পেরেছি।’
চলতি মাসের শুরুতে তারমিম এক বছর পূর্ণ করার পর প্রকল্পটির প্রধান গবেষক ও অধ্যাপক রিয়াজ শাহ বিবিসিকে ভেড়াটির বর্তমান অবস্থা জানান।
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
অধ্যাপক শাহ বলেন, ভেড়াটির স্বাস্থ্য ও টিকে থাকার সক্ষমতা যাচাই করতে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কঠোর নজরদারির মধ্যে নিরাপদ পরিবেশে ভেড়াটিকে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, গবেষণার জন্য সরকারি অর্থায়ন পেতে তারা একটি প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
গবেষণা ও চিকিৎসার লক্ষ্যে বহু দশক ধরে ভেড়ার জিনগত পরিবর্তন এবং জিন সম্পাদনা করা হচ্ছে। নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাজ্যের ট্রেসি নামের ভেড়াটি ছিল এর বড় উদাহরণ; যা তার দুধের মাধ্যমে বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে পারত। বর্তমানে ক্রিসপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেশির বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রজননক্ষমতার মতো বৈশিষ্ট্য নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।
তারমিমের জন্য ভারতের আট সদস্যের গবেষক দল টানা সাত বছর ধরে কাজ করছে।
অধ্যাপক শাহ বলেন, ‘শুরুর দিকে কিছু ব্যর্থতা ছিল। আমরা একাধিক কৌশল প্রয়োগ করেছি। শেষ পর্যন্ত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাফল্য আসে। আমরা সাতটি আইভিএফ প্রক্রিয়া চালাই। এর মধ্যে পাঁচটি জীবিত বাচ্চা জন্ম নেয় এবং দুটি গর্ভপাত ঘটে। জিন সম্পাদনা সফল হয়েছে কেবল একটির ক্ষেত্রে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। এখন পুরো প্রক্রিয়াটি মানসম্মতভাবে স্থির করা গেছে। ভবিষ্যতে সাফল্যের হার অনেক বেশি হবে বলে আমি আশাবাদী।’

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৪ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
৭ ঘণ্টা আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
৭ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৪ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
১০ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
তিনি বলেন, ‘তারমিম ভালোভাবে বেড়ে উঠছে। এর শারীরবৃত্তীয়, জৈব-রাসায়নিক ও শারীরিক সব সূচকই স্বাভাবিক রয়েছে। প্রত্যাশিতভাবে তারমিমের পেশির বৃদ্ধি তার অ-সম্পাদিত যমজ বোনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য আরও বাড়তে পারে বলে আমরা মনে করি।’
৭ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
৪ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১০ দিন আগে