Ajker Patrika

চতুর্থ ধাপে ঢাকা ও ময়মনসিংহে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চতুর্থ ধাপে ঢাকা ও ময়মনসিংহে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

চতুর্থ ধাপে আগামী ২৩ ডিসেম্বর দেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ইউপিগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। 

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থী তালিকা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। 

ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদে মো. সোলায়মান হোসেন, হুগড়ায় মো. তোফাজ্জল হোসেন খান, করটিয়ায় মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, ঘারিন্দায় মো. হোসাইন সাদাব অন্তু, পোড়াবাড়ীয়ায় মো. ফজলুজ্জামান রশীদ, মগড়ায় মো. আজাহারুল ইসলাম, বাঘিল ইউনিয়নে এস, এম, মতিয়ার রহমান, গালায় রাজকুমার সরকার, ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুন ইউনিয়ন পরিষদে মো. দিদারুল আলম খান (মাহবুব), গাবসারায় মো. মনিরুজ্জামান, ফলদায় মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার, গোবিন্দাসীতে মো. দুলাল হোসেন চকদার, অলোয়ায় মো. রফিকুল ইসলাম, নিকরাইলে মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার, ঘাটাইল উপজেলার দেউলাবাড়ীতে মো. সুজাত আলী খান, ঘাটাইলে মোহাম্মদ হায়দার আলী, লোকেরপাড়ায় মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, আনেহলায় তালুকদার মো. শাহজাহান, দিঘলকান্দিতে মো. ইকবাল হোসেন, দিগড়ে মো. জামাল হোসেন, দেওপাড়ায় মো. বাহাদুর আলম খান, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়ন পরিষদে মো. আঃ ছালাম, সিদলায় মো. কামরুজ্জামান কাঞ্চন, গোবিন্দপুরে মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, আড়াইবাড়ীয়াতে মো. মোছলেহ উদ্দিন, শাহেদলে শাহ্ মাহবুবুল হক, পুমদীতে আঃ কাইয়ুম, কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামে মো. কামাল হোসেন মিলন, সহশ্রাম ধুলদিয়াতে মো. আবুল কাসেম আকন্দ, করগাঁওয়ে মো. বেলায়েত হোসেন, চান্দপুরে মাফুজুর রহমান, মুমুরদিয়ায় তরিকুল ইসলাম, আচমিতায় এ, কে, এম, এম, মুর্শেদ, মসুয়ায় মো. আল আমিন, লোহাজুরীতে মো. আতাহার উদ্দিন ভূইয়া, জালালপুরে আঃ খালেক সরকার (রাজু), ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দিতে মো. মিজানুর রহমান, শ্রীনগরে মো. আবুল বাশার, শিবপুরে মো. শফিকুল ইসলাম, সাদেকপুরে মো. সাফায়েত উল্লাহ, গজারিয়ায় ফরিদ উদ্দিন খান, কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে মো. ফারুক মিয়া, আগানগরে মো. হুমায়ুন কবীর চেয়াম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদে মো. হারুন অর রশিদ, দিঘুলিয়ায় সফিউল আলম (জুয়েল), দড়গ্রামে মো. আলীনূর বক্স, সাটুরিয়ায় মো. আনোয়ার হোসেন, হরগঞ্জে মো. আনোয়ার হোসেন খান, ফকুরহাটিতে মো. আফাজ উদ্দিন, ধানকোড়ায় মো. আব্দুর রউফ, তিল্লীতে শরীফুল ইসলাম, বালিয়াটিতে মো. রুহুল আমিন, ঘিওর উপজেলার ঘিওর ইউনিয়ন পরিষদে মো. হামিদুর রহমান, বানিয়াজুড়ীতে মো. নূর আলম, বড়টিয়ায় সামছুল হক মোল্লা (রওশন), বালিয়াখোড়ায় এম এ লতিফ, পয়লায় মো. হারুন অর রশীদ, নালীতে মো. আব্দুল কুদ্দুস, সিংজুরীতে মো. আব্দুল আজিজ, মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার শেখর নগর ইউনিয়ন পরিষদে দেবব্রত সরকার, বালুচরে এ এস এম শাহাদাত হোসেন, রশনিয়ায় মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, ইছাপুরায় আবদুল মতিন হাওলাদার, রাজানগরে মো. মজিবর রহমান, চিত্রকোর্টে শামছুল হুদা (বাবুল), কেয়াইনে মো. আশ্রাফ আলী, বাসাইলে মো. সাইফুল ইসলাম, মধ্যপাড়ায় মিঃ করিম শেখ, বয়রাগাদীতে মো. শহিদুল্লাহ, লতব্দীতে এস এম সোহরাব হোসেন, কোলায় মীর লিয়াকত আলী, জৈনসারে মো. আবুল খায়ের বেপারী, মালখানগরে সানজিদা আক্তার, লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদে আমিনুল ইসলাম ফকির, খিদিরপাড়ায় আবুল কালাম আজাদ, গাঁওদিয়ায় মো. শহিদুল ইসলাম, বৌলতলীতে মো. তোফাজ্জল হোসেন, বেজগাঁওয়ে মো. ফারুক ইকবাল, হলদিয়ায় মো. মোজাম্মেল হক, কনকসারে মো. মেহেদী হাসান, কুমারভোগে লুৎফর রহমান তালুকদার, মেদিনীমন্ডলে মো. আশরাফ হোসেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে মো. জহিরুল ইসলাম খান, কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরি ইউনিয়ন পরিষদে মোহাম্মদ অলিউল ইসলাম, নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদে মো. জাকির হোসেন আকন্দ, চালাকচরে মো. ফখরুল মান্নান, চন্দনবাড়ীতে আব্দুর রউফ হিরন, বড়চাপায় অধ্যাপক এম সুলতান উদ্দিন, কাচিকাটায় নাজিবুর রহমান  (সেলিম), শুকুন্দীতে মো. ছাদিকুর রহমান শামিম,  দৌলতপুরে মো. হাদিউল ইসলাম, এক দুয়ারিয়ায়  আনিসুজ্জামান মিটুল, গোতাশিয়ায় মো. মতিউর রহমান, পলাশ উপজেলার চরসিন্দুরে মোফাজ্জল হোসেন (রতন), জিনারদীতে মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম গাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে অদুদ মাহমুদ, দুপ্তারায় মো. নাজমুল হক, ব্রাহ্মন্দীতে মো. লাক মিয়া, ফতেপুরে মো. আবু তালিব, মাহমুদপুরে মোহাম্মদ আমান উল্যাহ, হাইজাদীতে আলী হোসেন, উচিতপুরায় মো. ইসমাঈল, খাগকান্দায় মো. আরিফুল ইসলাম, বিশনন্দীতে মো. সিরাজুল ইসলাম, কালাপাহাড়িয়ায় মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদে আল আমিন সরকার, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদে মো. টুকু মিজি, খানগঞ্জে মুহাম্মদ শরিফুর রহমান সোহান, চন্দনীতে মো. আব্দুর রব, সুলতানপুরে মো. লুৎফর রহমান চুন্নু, শহীদ ওহাবপুরে নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, পাঁচুরিয়ায় কাজী আলমগীর, দাদশীতে মো. রমজান আলী, বরাট ইউনিয়নে মো. ফরিদ উদ্দিন শেখ, বাণীবহে মোছা. শেফালী আক্তার, রামকান্তপুরে মো. আবুল হাসেম বিশ্বাস, মুলঘরে ওহিদুজ্জামান শেখ, খানখানাপুরে মো. আমীর আলী মোল্লা, বসন্তপুরে মো. আব্দুল মান্নান মিয়া, আলীপুরে মুহাম্মদ বজলুর রশিদ মিঞা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ফরিদপুর জেলার আলফাডাংগা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদে মিয়া আসাদুজ্জামান, বানায় আশরাফুজ্জামান মিয়া (জিল্লু), পাঁচুড়িয়ায় এস এম মিজানুর রহমান, বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুরে মো. ফারুক হোসেন, ময়নায় পলাশ বিশ্বাস, চতুলে খোন্দকার মো. আবুল বাশার, গুনবহায় কামরুল ইসলাম, শেখরে কামাল আহমেদ, বোয়ালমারীতে ওহাব মোল্যা (তাঁরা), পরমেশ্বরদীতে মো. সোলাইমান মোল্যা, দাদপুরে শেখ সাজ্জাদুর রহমান হাই, রূপাপাতে মো. মাহব্বত আলী, সাতৈরে মুহাম্মদ মুজিবর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নে বিজন বিশ্বাস, সাদুল্যাপুরে সমর চাঁদ মৃধা, রাধাগঞ্জে ভীম চন্দ্র বাগচী, বান্ধবাড়ীতে মিজানুর রহমান হাওলাদার, আমতলীতে রাফেজা বেগম, পিঞ্জুরীতে আমিনুজ্জামান খাঁন, হিরণে মাজাহারুল আলম, কান্দিতে তুষার মধু, কুশলায় সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, শোয়াগ্রামে যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলীতে মো. বেলায়েত হোসেন সরদার, বর্ণিতে মোসাঃ মিলিয়া আমিনুল, গোপালপুরে লাল বাহাদুর বিশ্বাস, পাটগাতীতে শেখ শুকুর আহমদ, ডুমুরিয়ায় মো. আলী আহম্মেদ শেখ,

ময়মনসিংহ বিভাগে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়ন পরিষদে মো. মোখলেছুর রহমান তালুকদার, বকশীগঞ্জ সদরে মো. আলমগীর কবির আলমাস, মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়ন পরিষদে মো. মোজাম্মেল হক, গুনারীতলায় মোস্তাফিজুর রহমান, আদারভিটায় মো. মিজানুর রহমান, সিধুলীতে মো. মাহাবুব আলম, চরপাকেরদহে বদরুল আলম সরদার, বালিজুড়ীতে মির্জা ফকরুল ইসলাম, জোড়খালীতে মো. সুজা মিঞা, সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়ন পরিষদে মো. আবু তাহের, পোগলদিঘাতে মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, ডোয়াইলে মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, আওনায় মো. বেল্লাল হোসেন, ভাটারায় মো. বোরহান উদ্দিন, কামরাবাদে মো. আব্দুস ছালাম, মহাদানে এ, কে,এম আনিছুর রহমান, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী ইউনিয়ন পরিষদে মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, গড়জরিপায় মো. সাইফুল আলম সাগর, সিংগাবরুনায় মো. ফকরুজ্জামান, কাকিলাকুড়ায় মো. জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িকাহনিয়ায় মো. নুর হোসেন, ভেলুয়ায় মো. রেজাউল করিম, গোসাইপুরে মো. শাহজামাল ইসলাম আশিক, রাণীশিমূলে মো. মাসুদ রানা, তাতিহাটিতে মো. আসাদউল্লাহ,  ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার তারাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদে মো. খাদেমুল আলম শিশির, গালাগাওয়ে মো. আবদুর রহমান তালুকদার, ঢাকুয়ায় এনায়েত কবির, বিষকায় মো. আব্দুছ ছালাম মন্ডল, বানিহালায় মো. আলতাব হোসেন খন্দকার, কাকনীতে  মো. মশিউর রহমান, বালিখাতে মো. শামছুল ইসলাম, রামপুরে মো. আজিজুর রহমান, কামারিয়ায় একেএম আজাহারুল ইসলাম, কামারগাঁওয়ে মো. রফিকুল ইসলাম, গৌরিপুরে মইলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ মুহাম্মদ জোসেফ উদ্দিন, গৌরীপুরে মো. হযরত আলী, অচিন্তপুরে মোছা. জাহানারা বেগম, মাওহাতে নুর মোহাম্মদ কালন, ডৌহাখলায় মো. শহীদুল হক সরকার, সহনাটিতে সালাউদ্দিন কাদের রুবেল, বোকাইনগরে মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রামগোপালপুরে মো. আবুল হাসিম, ভাংনামারীতে মো. নুরুল ইসলাম আকন্দ, সিধলাতে মো. জয়নাল আবেদীন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।  

নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদে মোতাহার হোসেন চৌধুরী, বড়তলী বানিহারীতে মো. মুখলেছুর রহমান, তেতুলিয়ায় মো. শফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মাঘান সিয়াধারে মো. আবু বকর সিদ্দিক, সুয়াইরে কামরুল হাসান, গাগলাজুরে মো. হাবিবুর রহমান, সমাজ সহিলদেও ইউনিয়ন পরিষদে মো. আমিনুল ইসলাম খান সোহেল, খালিয়াজুরি উপজেলার চাকুয়ায় আবুল কালাম আজাদ, নগরে হরিধন সরকার, কৃষ্ণপুরে মো. নাজিম উদ্দিন সরকার, গাজীপুরে আতাউর রহমান, সদর উপজেলার মদনপুরে মো. কামরুজ্জামান চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপিতে তিন ধরনের বিদ্রোহী নেত্রী

অর্চি হক, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে অস্থিরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দলটির একাধিক নারী নেত্রী প্রকাশ্যেই আপত্তি তুলেছেন। কেউ পদত্যাগ করেছেন, কেউ প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আবার কেউ নির্বাচনকালীন সব কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় থাকার কথা জানিয়েছেন। এতে তরুণদের এই দলের সাংগঠনিক ঐক্য ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ ও মধ্যপন্থী রাজনীতির প্রত্যাশা নিয়ে এনসিপির যাত্রা শুরু হয়। দলটি শুরুতে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই ঘোষণার ভিত্তিতেই সারা দেশে মনোনয়ন সংগ্রহ ও প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম চলে। কিন্তু হঠাৎ করেই জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসে, যা দলের ভেতর বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

দুজনের পদত্যাগ

জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ ডিসেম্বর ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে এনসিপি। এর মধ্যে ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী হিসেবে তাসনিম জারা ও ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে তাজনূভা জাবীনের নাম ছিল।

জামায়াতের সঙ্গে এনসিপি নির্বাচনী সমঝোতার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগের কথা জানান এই দুই নেত্রী।

গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাসনিম জারা নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

এরপর গতকাল রোববার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাজনূভা জাবীন। তিনি পোস্টে লেখেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশায় ছিলাম। কিন্তু গতকাল সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সীল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস, অনাস্থা মূল কারণ।’

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুজন

দল থেকে পদত্যাগ না করলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এনসিপির আরও দুই নেত্রী। তাঁরা হলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও কেন্দ্রীয় কমিটির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মনজিলা ঝুমা। মনিরা শারমিন নওগাঁ-৫ ও মনজিলা ঝুমা খাগড়াছড়ি থেকে এনসিপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

গতকাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মনিরা শারমিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থী রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ–৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণ-অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এনসিপির এই নেত্রী আরও লেখেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’

অন্য দিকে মনজিলা ঝুমা গতকাল রাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যেই ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল। ২৪ তারিখে আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়ন উত্তোলন করেছে। আগামীকাল জমা দেওয়ার লাস্ট ডেইট। আজ প্রায় ২ ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক জনাব নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে আমি বিশ্বাস করি তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’

মনজিলা ঝুমা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও তিনি এর কারণ জানাননি। গত শনিবার তিনি ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলামের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছিলেন।

নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকবেন একাধিক নেত্রী

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম গতকাল রাতে ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে জানান, তিনি নির্বাচনকালে নিষ্ক্রিয় থাকবেন। নুসরাত কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে এনসিপি থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তবে প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় তাঁর নাম ছিল না।

ফেসবুক পোস্টে নুসরাত লেখেন, ‘আজ ২৮ ডিসেম্বর ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামীসহ ১০–দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়েছেন। বিশেষ করে বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক (নাহিদ ইসলাম) মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত, বিশেষ করে মনোনয়ন নেওয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি। এ সমস্ত ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালীন সময়ে পার্টির সব কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যেকোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘোষণা করছি।’

এদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সামান্তা লিখেছেন, ‘মধ্যমপন্থায় পৌঁছানো কোনো সহজ বা তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়া নয়। ভিন্ন মতাদর্শ ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আসা মানুষদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) মতভিন্নতা ও অভ্যন্তরীণ বিতর্ক স্বাভাবিক ও অনিবার্য। পার্টির মাত্র দশ মাসের পথচলায় সাংগঠনিক মধ্যমপন্থার চূড়ান্ত রূপ নির্ধারিত হয়ে যাবে—এমন প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নয়। ফলত ‘‘ইনার পার্টি স্ট্রাগল’’ একটা অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা হয়ে উঠেছে।’

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সমঝোতার প্রসঙ্গ টেনে সামান্তা বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনী কৌশল, বিশেষত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোট ও আসন সমঝোতার প্রশ্নে পার্টির ভেতরে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। আমি এই বিষয়ে আমার ভিন্নমত প্রকাশ করেছি। প্রত্যেকে নিজ নিজ রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও বাস্তবতার মূল্যায়নের ভিত্তিতেই অবস্থান নিয়েছে; কোনটি সঠিক, তা সময়ই নির্ধারণ করবে।’

অপর দিকে এনসিপির হয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী। আজ এক ফেসবুক পোস্টে দ্যুতি লেখেন, ‘নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না, সেটা আমার দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নয়। বরং আমার দলের সিদ্ধান্ত দলের বহু নেতা-কর্মীর স্বপ্নভঙ্গের কারণ বলে মনে করি।’

এ ছাড়া এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা আপাতত পদত্যাগ করবেন না। তবে দলের নির্বাচনী কার্যক্রম ও প্রচারে তাঁরা অংশ নেবেন না।

জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন নেতা আপত্তি জানিয়ে দলের আহ্বায়ক বরাবর স্মারকলিপি দেন। এই ৩০ জনের মধ্যে পাঁচজন নারী নেত্রী। তাঁরা হলেন—যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দা নীলিমা দোলা।

এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন আজকের পত্রিকাকে জানান, জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর তাঁরা ছয়জন নেত্রী দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দেখা করে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সেখানে মনিরা শারমিন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, তাজনূভা জাবীন, তাসনিম জারা, নুসরাত তাবাসসুম ও নাহিদা সারওয়ার নিভা। তাঁরা সেদিন নাহিদ ইসলামকে জানিয়েছিলেন, জামায়াতকে সঙ্গী করলে এই নারী নেত্রীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না।

মনিরা শারমিন বলেন, নাহিদ ইসলাম এক মাস আগেও বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাসের দায় রয়েছে। যাদের ইতিহাসের দায় রয়েছে, এনসিপি তাদের সঙ্গে জোটে যাবে না। অথচ এখন সেই জোটেই যাওয়া হলো। যদিও বলা হচ্ছে, এটা নির্বাচনী সমঝোতা, আদর্শিক জোট নয়। কিন্তু এই সমঝোতাও এনসিপির আদর্শের পরিপন্থী।

নারী নেত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, কেউ দলে থাকবে কি না বা নির্বাচন করবে কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

এনসিপির নারী নেত্রীদের একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোটের পক্ষে আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে। গত শনিবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির ১১৪ জন নেতা জোট বা সমঝোতার প্রতি আস্থা জানিয়ে নাহিদ ইসলামকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাতজন নারী নেত্রী রয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটে যাওয়ায় দলে বিভাজনের বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, যেকোনো মতামতের ক্ষেত্রে কারও ভেটো (আপত্তি) থাকতে পারে, মতামত থাকতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি, সারা দেশের নেতা–কর্মীরা এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা জোটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত। তিনি বলেন, ‘যারা বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তাদের আরও বোঝানোর চেষ্টা করব। আশা করি, তারা এনসিপির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই থাকবে।’

একাধিক নেত্রীর পদত্যাগ, সরে দাঁড়ানো ও নিষ্ক্রিয় থাকার ঘোষণায় স্পষ্ট, জামায়াতের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত এনসিপির ভেতরে গভীর বিভাজন তৈরি করেছে। সামনে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, এই সংকট দলটির সাংগঠনিক শক্তি ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে কোন পথে নিয়ে যায়, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা জাসদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা জাসদের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কারাবন্দী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাসদ অসাংবিধানিক গণভোট এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় ও একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্তর্বর্তী সরকার সুস্পষ্টভাবেই নিরপেক্ষ না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সরকার নিরপেক্ষ অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বদলে একটি অসাংবিধানিক গণভোট, একপক্ষীয় ও একতরফা সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেছে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছা বাস্তবায়নে অসাংবিধানিক গণভোট, একপক্ষীয় ও একতরফা সংসদ নির্বাচনের প্রহসন করছে। তাই জাসদ অসাংবিধানিক গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় ও একতরফা নির্বাচন বর্জন করছে।

অন্যদিকে দিলীপ বড়ুয়া নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দলও আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভ্যুত্থান দমনের চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ইনুকে কয়েকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াতের আমিরের হাতে নগদ টাকা আছে ৬১ লাখ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ঢাকা-১৫ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তাঁর হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। আর বর্তমান ও পূর্বতন পেশা হিসেবে চিকিৎসক উল্লেখ করলেও সেখান থেকে কোনো আয় দেখাননি তিনি।

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীর কাছে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আমিরের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। ইসিতে জমা দেওয়া জামায়াত আমিরের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইসিতে জমা দেওয়া হলফনামায় আয়ের উৎস হিসেবে শফিকুর রহমান উল্লেখ করেছেন, কৃষি খাত থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৩ লাখ টাকা। দান থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন।

অস্থাবর সম্পদে জামায়াত আমির উল্লেখ করেছেন, হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থ ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৩ টাকা। বন্ড ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়—এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকার। বাস, ট্রাক, মোটরযান, মোটরসাইকেল ইত্যাদির মূল্য (অধিগ্রহণকালে) ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১০ ভরি সোনা—যার অধিগ্রহণকালে মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। ইলেকট্রনিক পণ্য—অধিগ্রহণকালে যার মূল্য ২ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র আছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার।

স্থাবর সম্পদে শফিকুর রহমান উল্লেখ করেছেন, কৃষিজমি আছে ২১৭ শতক; যার অর্জনকালীন মূল্য ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা। অকৃষিজমি আছে ১৩ শতক; যার অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৪ টাকা। ১১ দশমিক ৭৭ শতক জমিতে ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে; যার অধিগ্রহণকালে মূল্য ২৭ লাখ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাসনিম জারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করা ডা. তাসনিম জারা সফলভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভোটারদের স্বাক্ষর তালিকা ও মনোনয়নপত্র জমাদানের একটি ছবিযুক্ত ওই পোস্টে তাসনিম জারা লিখেন, ‘আমরা পেরেছি (উই হ্যাভ মেইড ইট)।’ তবে ঠিক কোন সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করেননি জারা।

অপরদিকে দল থেকে পদত্যাগ করা আরেক এনসিপি নেতা অনিক রায় ও এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাসনিম জারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে অনিক রায় সক্রিয়ভাবে তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করছেন।

এনসিপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায় এক শব্দের একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, Done!

এর আগে, গত শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানান তাসনিম জারা। ফেসবুক পোস্টে তাসনিম জারা লিখেছেন, ‘প্রিয় খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদাবাসী, আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। খিলগাঁওয়েই আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত