Ajker Patrika

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ৩৫
পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল 

রাজধানীর আমেরিকান ক্লাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার সকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে ফখরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকেরা। 

এ সময় সাংবাদিকদের অনুরোধ করে ফখরুল বলেন, ‘আমরা এটার উত্তর দেব না। কালকে দিয়ে দিয়েছি (উত্তর)।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে পিটার হাসের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বেলা পৌনে ১টায় শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলে বৈঠক। বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানো হলেও দলটির একটি সূত্র বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি বলছে, পিটার হাসের সঙ্গে আজকের বৈঠকটি পূর্বনির্ধারিত ছিল না। এই বৈঠকের কারণেই এদিন পূর্বনির্ধারিত দুপুর ১২টার সংবাদ সম্মেলনও স্থগিত করা হয়। হাসের সঙ্গে বৈঠক করে একই দিন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্র কনভেনশনে যোগ দেন মির্জা ফখরুল। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনীতি ও অর্থনীতি–বিষয়ক ডেপুটি কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু ওই বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিএনপি মহাসচিব। পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের খবরকে ‘গুজব’ দাবি করে গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বৈঠক হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা। গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

এরপর আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এটার উত্তর দেব না। কালকে দিয়ে দিয়েছি (উত্তর)। আমি আপনাদের একটাই অনুরোধ করব সব সময়, আমরা সবাই তো এ দেশের মানুষ। আমাদের প্রত্যেকেরই এই দেশের প্রতি, মাটির প্রতি, মানুষের প্রতি দায়িত্ব আছে। আপনারা সাংবাদিক, স্বাভাবিকভাবেই স্কুপ নিউজ খুঁজবেন। বাট এট দ্য সেম টাইম সেই বিষয়টাকে আমরা ডাইভার্ট করব না, যা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরে শনির আছর পড়েছে বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট লুটেরা সরকার ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার শুরুর দিকেই। যার পরিণতিতে আজ সমগ্র অর্থনীতি ভয়াবহ নৈরাজ্যকর অবস্থায় পতিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির প্রতিটি প্রধান সূচকের (মূল্যস্ফীতি, নিম্নমুখী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, নিম্নমুখী রেমিট্যান্স প্রবাহ, চলতি হিসাবের ঘাটতি, রাজস্ব ঘাটতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার দরপতন) অবস্থান এতটাই শোচনীয়, যা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিকে এক মহাবিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অথচ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি। অনেক দেশ মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হচ্ছে। কী ভয়ংকর ও বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে শ্রীলঙ্কা কত দ্রুত ওভারকাম করতে শুরু করেছে! তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে ধার নেওয়া কিছু ঋণ ইতিমধ্যে শোধও করেছে।’

মূল্যস্ফীতির প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি ছিল রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ২০২৩–এর আগস্টে নেমে হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশে। অর্থাৎ, ১ বছরের মাথায় ৬৭ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে এনেছে শ্রীলঙ্কা। অথচ আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে তো পড়ছেই। যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে অস্বচ্ছ ও সমন্বয়হীনভাবে সমস্যাগুলোর সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম আরও বেড়েছে। এখন খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ভবিষ্যতের জন্য ডলার বুকিং দিয়ে রাখলে এক বছর পর প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পতনও ঠেকানো যাচ্ছে না। রিজার্ভ পতনে বিপর্যয়ের মাস সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ এখন ২১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আর আইএমএফ–এর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে নিট রিজার্ভ ১৭ বিলিয়ন ডলার।’

দেশে প্রবাসী আয় কমছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্সের বিপর্যয় আরও গভীর হয়েছে। টানা ৩ মাস ধরে এ আয় কমেছে। ৪১ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৪ কোটি ডলার। গত ৩ বছরের মধ্যে সেপ্টেম্বরে একক মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে। প্রতি মাসে যেভাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমছে, তাতে বড় ধরনের সংকটের দিকে এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকেরা। আর অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, রিজার্ভ নিয়ে অত চিন্তার কিছু নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘একদিকে দেশের সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারে না, হত দরিদ্র মানুষ পেট ভরে দুবেলা খেতে পারে না, অন্যদিকে আওয়ামী স্বৈরশাসকেরা উন্নয়নের গালগল্প করে দেশটিকে ঋণের জালে জর্জরিত করে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, আর ঋণ করে ঘি খাওয়ার পরিণতিতে দেশ এখন প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের চাকায় পিষ্ট। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব, ভ্রান্তনীতি গ্রহণ, নীতির সমন্বয়হীনতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব, সর্বোপরি লাগামহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ সংকট থেকে বের হতে পারছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাইমা রহমানের সেলফিতে যে বই নিয়ে আলোচনায় মেতেছে নেটিজেনরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৩
জাইমা রহমানের সেলফিতে দেখা যাচ্ছে ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি। ছবি: ফেসবুক
জাইমা রহমানের সেলফিতে দেখা যাচ্ছে ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি। ছবি: ফেসবুক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তাঁর কন্যা জাইমা রহমানের একটি সেলফি। সেই ছবিতে জাইমা রহমানের হাতে থাকা একটি বইকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের মধ্যে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে।

জাইমা রহমানের শেয়ার করা সেই সেলফিতে দেখা যায় তিনি ‘দ্য পেঙ্গুইন বুক অব বেঙ্গলি শর্ট স্টোরিজ’ বইটি বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজে তাঁর আসনের পাশেই রেখেছেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন ভারতীয় অনুবাদক অনুরাভা সিনহা।

পেঙ্গুইন মূলত একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা। কিন্তু ব্যবসায়িক ও ভৌগোলিক কারণে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তারা ভারত থেকে বই মুদ্রণ ও সরবরাহ করে থাকে।

আলোচিত এই সংকলনটি মূলত বাংলা সাহিত্যের এক শতাব্দীর সেরা ছোটগল্পগুলোর ইংরেজি অনুবাদ। সংকলনটিতে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমা উঠে এসেছে। এতে স্থান পেয়েছে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দেশভাগ এবং সামাজিক বাস্তবতার নিখুঁত চিত্র।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত ধরে বাংলায় ছোটগল্পের আগমন ঘটেছিল এবং বাঙালি লেখকেরা দ্রুতই এই শিল্পরূপটিকে আপন করে নিয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর মধ্যে অসংখ্য সাহিত্য পত্রিকা ও সাময়িকীর প্রসারের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই গল্পগুলো পরম আগ্রহে পড়তে শুরু করে।

লেখকেরা তাঁদের সময়ের অস্থিরতাকে ধারণ করে এক প্রচণ্ড প্রাণশক্তি নিয়ে শব্দের এই ক্ষুধার প্রতি সাড়া দিয়েছিলেন। এই গল্পগুলোতে ভূমি যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, বর্ণপ্রথা, ধর্মীয় সংঘাত, পিতৃতন্ত্র, দেশভাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। এই পরিবর্তনশীল ভৌগোলিক সীমানার মাঝে লেখকরাও অন্তর্মুখী হয়েছেন, নতুন সাহিত্যশৈলী উদ্ভাবন করেছেন এবং সামাজিক বাস্তববাদ, রাজনৈতিক কথাসাহিত্য ও অন্তরঙ্গ পারিবারিক আখ্যানের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করেছেন।

লন্ডন থেকে আসার পথে জাইমা রহমানের সঙ্গী ছিল বইটি। ছবি: সংগৃহীত

ইংরেজিতে প্রথমবারের মতো এই সংকলনটি এক শতাব্দীর অসাধারণ সব গল্পকে একত্রিত করেছে। গোপনে মাছ খাওয়া এক নারী থেকে শুরু করে এক বয়স্ক ফুটবলারের দুঃখ, মধ্যবিত্ত ইউনিয়ন প্রতিনিধির উদ্বেগ থেকে পরশপাথর খুঁজে পাওয়া এক আইনজীবী—এটি এমন এক সংগ্রহ যা জীবনের সমস্ত প্রতিকূলতা ও আনন্দকে শিল্পে রূপ দেওয়ার মহিমা প্রচার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াত আমির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া পোস্টে স্বাগতবার্তা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’

তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। প্রথমেই তিনি ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাসায় পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা ও জাইমা রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান তাদের গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে গুলশানের উদ্দেশে রওনা হন তাঁরা। দুপুর সোয়া ১টার দিকে তাদের বহনকারী গাড়িটি গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে নেমে দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর লাল-সবুজ রঙের বাসে চড়ে সংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান।

তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমান বিমানবন্দর থেকে পুলিশ ও সিএসএফ প্রটোকলে বাসায় উদ্দেশে রওনা হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, গণপরিবহনশূন্য মহাসড়ক

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা)
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৪
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিমানবন্দর সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মহাসড়কটিতে যান চলাচল শূন্য করা হয়েছে। সরেজমিনে রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর হয়ে খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট সড়ক পর্যন্ত আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকতে দেখা যায়।

এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে গণপরিবহন চলাচল তো দূরের কথা, কোনো মোটরসাইকেলও চলাচল করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার জসীমউদ্‌দীন সড়কে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। তাদের সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‍্যাব।

এ ছাড়া বিমানবন্দরসহ এর আশপাশ এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। শুধু বিমানবন্দরেই নয়, বিমানবন্দর-৩০০ ফুট সড়কে কয়েক হাত পরপরই রয়েছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সশস্ত্র সদস্যরা। রয়েছেন বিবিজি ও র‍্যাবের সদস্যরাও।

জসীমউদ্‌দীনে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সড়কটিতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাঁরা সংবর্ধনাস্থলে যাচ্ছেন, তাঁরা সবাই হেঁটে যাচ্ছেন।

সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তারা জানান, গণপরিবহন তো দূরের কথা, মোটরসাইকেলও সড়কে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয়েছেন, তাঁদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। না হলে অন্যত্র মোটরসাইকেল রেখে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রথম সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী বিমান। সেখান থেকে বিমানে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। পরে ৩০০ ফুট সড়কের সংবর্ধনা মঞ্চে যোগ দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত