নাগরিক কোয়ালিশনের সংলাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি আদায়ের বিষয়টি সামনে আসছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত এক সংলাপেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক ওই সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যতামূলক (বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। অবাধ্যতামূলক (নন-বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতিতে জনগণের আস্থা নেই। তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ১৯৯০ সালের লিখিত চুক্তিও রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিদিনই কথা বলছি। কারণ, দেশ রাজনৈতিক দলগুলোই চালাবে। অবাধ্যতামূলক জাতীয় সনদ শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবার আহ্বান জানান তিনি।’
সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাবের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান। সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।
সংলাপে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবিত সাতটি প্রস্তাবের বিষয়বস্তু ছিল—নিম্নকক্ষের ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ; সাংবিধানিক নিয়োগ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা; প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা; স্থায়ী কমিটি, বিরোধীদলীয় স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর; নারীদের সরাসরি নির্বাচন ও জুলাই সনদ।
রাষ্ট্র চালানোর পথরেখা তৈরির আগে মূলনীতি ঠিক করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রিন্সিপালস (মূলনীতিগুলো) আগে ঠিক করতে হবে। কেননা প্রথমে পথরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে প্রিন্সিপালসের (মূলনীতি) জায়গাগুলোতে সম্ভবত অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এক টেবিলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখেছি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ অতীতে ব্যক্তিগত পছন্দ দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধি যাতে এক টেবিলে বসতে পারেন, সে ধারণা থেকে এ প্রস্তাব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সব বিষয় সংবিধানে থাকলেই যে কোনো রাষ্ট্র উন্নত গণতন্ত্রের হয়, তা নয়। অনেক দেশে সেটা পরীক্ষিত। অনেক সংস্কার সংসদে আইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। সংবিধান প্রতিদিন পরিবর্তন করা যায় না। গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে তিনি বলেন, গণপরিষদ প্রয়োজন হয় নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য। দেশে ‘মরাধরা’ হলেও একটি সংবিধান আছে। সেখানে দলীয়করণ হয়েছে, রুগ্ণ হয়ে গেছে। এ জন্যই অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে রাজনৈতিকগুলো একমত হলেও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ যদি নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতের ভিত্তিতে হলে যৌক্তিকতা থাকবে কি না? কারণ নিম্নকক্ষের আসনের হারে হলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করবে, পাকাপোক্ত করবে। এ রকম উচ্চকক্ষ অর্থহীন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়া মৌলিক। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। মৌলিক সংস্কারের বৈধতা এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বৈধতার পার্থক্য রয়েছে। গণপরিষদকে নতুন করে সংবিধান লেখার এখতিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে সংবিধান লেখার মতো ঐকমত্য এখনো তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি আদায়ের বিষয়টি সামনে আসছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত এক সংলাপেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক ওই সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যতামূলক (বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। অবাধ্যতামূলক (নন-বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতিতে জনগণের আস্থা নেই। তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ১৯৯০ সালের লিখিত চুক্তিও রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিদিনই কথা বলছি। কারণ, দেশ রাজনৈতিক দলগুলোই চালাবে। অবাধ্যতামূলক জাতীয় সনদ শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবার আহ্বান জানান তিনি।’
সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাবের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান। সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।
সংলাপে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবিত সাতটি প্রস্তাবের বিষয়বস্তু ছিল—নিম্নকক্ষের ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ; সাংবিধানিক নিয়োগ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা; প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা; স্থায়ী কমিটি, বিরোধীদলীয় স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর; নারীদের সরাসরি নির্বাচন ও জুলাই সনদ।
রাষ্ট্র চালানোর পথরেখা তৈরির আগে মূলনীতি ঠিক করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রিন্সিপালস (মূলনীতিগুলো) আগে ঠিক করতে হবে। কেননা প্রথমে পথরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে প্রিন্সিপালসের (মূলনীতি) জায়গাগুলোতে সম্ভবত অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এক টেবিলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখেছি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ অতীতে ব্যক্তিগত পছন্দ দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধি যাতে এক টেবিলে বসতে পারেন, সে ধারণা থেকে এ প্রস্তাব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সব বিষয় সংবিধানে থাকলেই যে কোনো রাষ্ট্র উন্নত গণতন্ত্রের হয়, তা নয়। অনেক দেশে সেটা পরীক্ষিত। অনেক সংস্কার সংসদে আইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। সংবিধান প্রতিদিন পরিবর্তন করা যায় না। গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে তিনি বলেন, গণপরিষদ প্রয়োজন হয় নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য। দেশে ‘মরাধরা’ হলেও একটি সংবিধান আছে। সেখানে দলীয়করণ হয়েছে, রুগ্ণ হয়ে গেছে। এ জন্যই অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে রাজনৈতিকগুলো একমত হলেও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ যদি নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতের ভিত্তিতে হলে যৌক্তিকতা থাকবে কি না? কারণ নিম্নকক্ষের আসনের হারে হলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করবে, পাকাপোক্ত করবে। এ রকম উচ্চকক্ষ অর্থহীন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়া মৌলিক। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। মৌলিক সংস্কারের বৈধতা এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বৈধতার পার্থক্য রয়েছে। গণপরিষদকে নতুন করে সংবিধান লেখার এখতিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে সংবিধান লেখার মতো ঐকমত্য এখনো তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা।
নাগরিক কোয়ালিশনের সংলাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি আদায়ের বিষয়টি সামনে আসছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত এক সংলাপেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক ওই সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যতামূলক (বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। অবাধ্যতামূলক (নন-বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতিতে জনগণের আস্থা নেই। তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ১৯৯০ সালের লিখিত চুক্তিও রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিদিনই কথা বলছি। কারণ, দেশ রাজনৈতিক দলগুলোই চালাবে। অবাধ্যতামূলক জাতীয় সনদ শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবার আহ্বান জানান তিনি।’
সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাবের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান। সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।
সংলাপে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবিত সাতটি প্রস্তাবের বিষয়বস্তু ছিল—নিম্নকক্ষের ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ; সাংবিধানিক নিয়োগ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা; প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা; স্থায়ী কমিটি, বিরোধীদলীয় স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর; নারীদের সরাসরি নির্বাচন ও জুলাই সনদ।
রাষ্ট্র চালানোর পথরেখা তৈরির আগে মূলনীতি ঠিক করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রিন্সিপালস (মূলনীতিগুলো) আগে ঠিক করতে হবে। কেননা প্রথমে পথরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে প্রিন্সিপালসের (মূলনীতি) জায়গাগুলোতে সম্ভবত অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এক টেবিলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখেছি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ অতীতে ব্যক্তিগত পছন্দ দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধি যাতে এক টেবিলে বসতে পারেন, সে ধারণা থেকে এ প্রস্তাব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সব বিষয় সংবিধানে থাকলেই যে কোনো রাষ্ট্র উন্নত গণতন্ত্রের হয়, তা নয়। অনেক দেশে সেটা পরীক্ষিত। অনেক সংস্কার সংসদে আইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। সংবিধান প্রতিদিন পরিবর্তন করা যায় না। গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে তিনি বলেন, গণপরিষদ প্রয়োজন হয় নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য। দেশে ‘মরাধরা’ হলেও একটি সংবিধান আছে। সেখানে দলীয়করণ হয়েছে, রুগ্ণ হয়ে গেছে। এ জন্যই অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে রাজনৈতিকগুলো একমত হলেও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ যদি নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতের ভিত্তিতে হলে যৌক্তিকতা থাকবে কি না? কারণ নিম্নকক্ষের আসনের হারে হলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করবে, পাকাপোক্ত করবে। এ রকম উচ্চকক্ষ অর্থহীন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়া মৌলিক। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। মৌলিক সংস্কারের বৈধতা এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বৈধতার পার্থক্য রয়েছে। গণপরিষদকে নতুন করে সংবিধান লেখার এখতিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে সংবিধান লেখার মতো ঐকমত্য এখনো তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতি আদায়ের বিষয়টি সামনে আসছে। গতকাল রোববার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত এক সংলাপেও বিষয়টি উঠে এসেছে।
‘সংবিধান সংস্কারে নাগরিক জোটের ৭ প্রস্তাব’ শীর্ষক ওই সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর বাধ্যতামূলক (বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। অবাধ্যতামূলক (নন-বাইন্ডিং) প্রতিশ্রুতিতে জনগণের আস্থা নেই। তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, ১৯৯০ সালের লিখিত চুক্তিও রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। তাদের সঙ্গে আমরা প্রতিদিনই কথা বলছি। কারণ, দেশ রাজনৈতিক দলগুলোই চালাবে। অবাধ্যতামূলক জাতীয় সনদ শেষ পর্যন্ত জনগণের আস্থা অর্জন করবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবার আহ্বান জানান তিনি।’
সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও নাগরিক কোয়ালিশনের সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান। এসব প্রস্তাবের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান। সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।
সংলাপে নাগরিক কোয়ালিশনের প্রস্তাবিত সাতটি প্রস্তাবের বিষয়বস্তু ছিল—নিম্নকক্ষের ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ; সাংবিধানিক নিয়োগ; তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা; প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসীমা; স্থায়ী কমিটি, বিরোধীদলীয় স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর; নারীদের সরাসরি নির্বাচন ও জুলাই সনদ।
রাষ্ট্র চালানোর পথরেখা তৈরির আগে মূলনীতি ঠিক করতে হবে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রিন্সিপালস (মূলনীতিগুলো) আগে ঠিক করতে হবে। কেননা প্রথমে পথরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করলে প্রিন্সিপালসের (মূলনীতি) জায়গাগুলোতে সম্ভবত অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।’
জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধিদের জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এক টেবিলে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা দেখেছি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ অতীতে ব্যক্তিগত পছন্দ দিয়ে নির্ধারিত হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের প্রতিনিধি যাতে এক টেবিলে বসতে পারেন, সে ধারণা থেকে এ প্রস্তাব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সব বিষয় সংবিধানে থাকলেই যে কোনো রাষ্ট্র উন্নত গণতন্ত্রের হয়, তা নয়। অনেক দেশে সেটা পরীক্ষিত। অনেক সংস্কার সংসদে আইনের মাধ্যমে করা সম্ভব। সংবিধান প্রতিদিন পরিবর্তন করা যায় না। গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে তিনি বলেন, গণপরিষদ প্রয়োজন হয় নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার জন্য। দেশে ‘মরাধরা’ হলেও একটি সংবিধান আছে। সেখানে দলীয়করণ হয়েছে, রুগ্ণ হয়ে গেছে। এ জন্যই অনেক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।
নতুন সংবিধান প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত সময়ের সংবিধান মানবাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব। আমাদের মৌলিক সংস্কারের দিকে এগোতে হবে। মৌলিক বিষয়ে একমত না হয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমত হওয়া ফলপ্রসূ হবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অনেক প্রস্তাবে রাজনৈতিকগুলো একমত হলেও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য থাকলেও নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উচ্চকক্ষ যদি নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতের ভিত্তিতে হলে যৌক্তিকতা থাকবে কি না? কারণ নিম্নকক্ষের আসনের হারে হলে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করবে, পাকাপোক্ত করবে। এ রকম উচ্চকক্ষ অর্থহীন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সংস্কারপ্রক্রিয়া মৌলিক। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। মৌলিক সংস্কারের বৈধতা এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কারের বৈধতার পার্থক্য রয়েছে। গণপরিষদকে নতুন করে সংবিধান লেখার এখতিয়ার দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন করে সংবিধান লেখার মতো ঐকমত্য এখনো তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন করা।

যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ
১২ মে ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা-ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনো তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ, সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এ সময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ
১২ মে ২০২৫
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনও তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনও আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এসময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন। সরকারের ভেতরের-বাইরের সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে; না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।’
সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে। এখনও তারা একই ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, জনগণের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী বুদ্ধিজীবীরা অতীতেও ছিলেন, এখনও আছেন। তাঁরা অবশ্যই কথা বলবেন। কারণ সাংস্কৃতিক ও চিন্তার স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’
অন্তর্বর্তী সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও এসময় অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
স্মৃতিসৌধে নাহিদের সঙ্গে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ
১২ মে ২০২৫
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে এরশাদের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে লিখিত চুক্তি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো, যা তিন জোটের রূপরেখা নামে পরিচিত। কিন্তু ক্ষমতায় সেই চুক্তি মানেনি দলগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানের অর্জনও যাতে এভাবে ব্যর্থ না হয়, সে জন্য জুলাই সনদ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ
১২ মে ২০২৫
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৩২ মিনিট আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন বানচাল ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং হচ্ছে। টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগে