Ajker Patrika

তাহলে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী কে: গ্রেনেড হামলার রায় প্রসঙ্গে সোহেল তাজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫: ০৬
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। ছবি: ফেসবুক
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। ছবি: ফেসবুক

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় কারা জড়িত, সেই বিষয়ে মানুষ সত্যটা জানে না। আজ সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হন এবং আহত হন আরও অনেকে। সম্প্রতি এই মামলার চার্জশিট অবৈধ ঘোষণা করে আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

এই রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেন, ‘তাহলে এই জঘন্য আক্রমণ এবং হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী কে?’ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষ দিশেহারা বা অসহায়—জানে না কোনটা সত্য আর কোনটা বানোয়াট।’

সোহেল তাজ তাঁর পোস্টে বলেন, ‘হতভাগা একটা দেশ বাংলাদেশ—যেই দেশে বিচারব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা থাকে না, সেই দেশ কোনো দিন উন্নতি করতে পারবে না। কারণ, একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে লাগে সুশাসন।’

সোহেল তাজ আরও লেখেন, ‘সুশাসন কায়েমের পূর্বশর্ত হচ্ছে ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন। কিন্তু যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির কালচার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। একেক দল/গোষ্ঠী একেকবার ক্ষমতায় আসে, আর তাদের মতো করে বিচারব্যবস্থাকে ম্যানিপুলেট করে। সাধারণ মানুষ দিশেহারা/অসহায়—জানে না কোনটা সত্য আর কোনটা বানোয়াট।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী কে সে প্রশ্ন তুলে সোহেল তাজ লেখেন, ‘কে দায়ী? বিএনপি সরকারের সময় জজ মিয়া কাহিনী। আবার ১/১১ সরকারের সময় শাইখ আব্দুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তারেক রহমান।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে কঠোর নিরাপত্তা, পৌঁছে গেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৯
জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। ছবি: স্ক্রিনশট
জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। ছবি: স্ক্রিনশট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে আজ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আজ শুক্রবার দুপুর থেকেই সেই প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিস্থলে পৌঁছে গেছেন।

আর কিছুক্ষণের মধ্যে গুলশানের বাসভবন থেকে বাবার কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তারেক রহমান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে সমাধি প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন।

সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করবেন তারেক রহমান। সেখানে এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বাবার কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমানের সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৮
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: ফেসবুক
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: ফেসবুক

সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজটি রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ারসমৃদ্ধ পেজটি পরিকল্পিতভাবে রিপোর্ট এবং কপিরাইট স্ট্রাইক দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওসমান হাদি ভাই সংশ্লিষ্ট সকল পোস্ট, ভিডিওতে স্ট্রাইক এবং সংঘবদ্ধ রিপোর্ট করে আমার অফিশিয়াল পেজটি (৩০ লক্ষাধিক ফলোয়ার) রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে।’

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে লিংক শেয়ার করে তাঁর পেজটির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে। বিশেষ করে ওসমান হাদিকে নিয়ে দেওয়া তিনটি ভিডিওতেই কপিরাইট স্ট্রাইক দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন এবং পরে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

ওসমান হাদিকে নিয়ে দেওয়া পোস্ট, ছবি ও ভিডিওতে অব্যাহত রিপোর্ট ও স্ট্রাইকের কারণে অনেকের আইডি ও পেজে সমস্যা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্র্রধান উপদেষ্টার পেজে হাদি-সংশ্লিষ্ট সব ভিডিও সংঘবদ্ধ রিপোর্ট ও কপিরাইট ক্লেইম করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকের আইডি ও পেজে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফেসবুকে একজন লিখেছেন, তাঁর প্রোফাইল থেকেও হাদি-সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও রিমুভ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

  • পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম নামল ৪২ টাকা কেজি
  • ডিম, মুরগি ও ডালের দাম আগের মতোই
  • চালের দাম কমলেও আশানুরূপ নয়, বলছেন ক্রেতা
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।

তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।

সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।

শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।

পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।

বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।

রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।

বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।

বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।

বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।

শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।

কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।

সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।

বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।

ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।

বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।

মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবশেষে মায়ের শয্যাপাশে ছেলে

  • এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পাশে তারেক রহমান
  • হাসপাতালে প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন তারেক রহমান, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে
  • চলতি বছরের শুরুতে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পূর্বাচলে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে গতকাল মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তারেক রহমান। এ সময় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল
পূর্বাচলে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে গতকাল মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তারেক রহমান। এ সময় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

দেশের মাটিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেখা হলো মা ও ছেলের। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর পূর্বাচলে সংবর্ধনা শেষে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি মায়ের পাশে ছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও ছিলেন।

তবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গতকাল বিএনপি বা চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন তারেক রহমান।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর ছেলের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে।

১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে গতকাল দেশে ফেরেন তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি যোগ দেন ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট সড়ক) বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সমাবেশে। সংবর্ধনা শেষে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে তাঁকে বহনকারী বাস এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে লাল-সবুজ রঙের বাসটি এভারকেয়ার হাসপাতালের গেটে পৌঁছায় এবং ৫টা ৫৪ মিনিটে তারেক রহমান হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ঢাকায় পৌঁছানোর পর গুলশানের বাসায় বিশ্রাম শেষে ডা. জুবাইদা রহমানও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিকেল ৫টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তারেক রহমান তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।

হাসপাতালে তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হাসপাতালের বাইরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।

খালেদা জিয়ার পাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারেক রহমান গুলশানের বাসার উদ্দেশ্যে ওই বাসে উঠে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। একই বাসে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও ওঠেন। পরে তাঁরা গুলশানের ২ নম্বরে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় সড়কের দুই পাশে সমবেত বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কেউ কেউ বাসের দিকে ফুল ছুড়ে দেন, তারেক রহমান সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন।

তারেক রহমানদের বহনকারী বাস রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত