Ajker Patrika

একাত্তরে আপনারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, জামায়াতকে রিজভীর প্রশ্ন

সিলেট প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ২০: ৩৭
আজ বৃহস্পতিবার সিলেট নগরের হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার সিলেট নগরের হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল আমি দেখলাম, এটি আমাকে বিস্মিত করেছে যে দেশপ্রেমী তারা আর সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক নিঃসন্দেহে। কারণ, তাদের পূর্বসূরিরা এই বাংলাদেশ নির্মাণে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে, তারাই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। দেখেছি জনগণ যখন অত্যাচারিত হয়েছে, সেনাবাহিনী তাদের পক্ষ নিয়েছে। এমনকি ২৪ এর যে গণ-অভ্যুত্থান, সেখানেও একটি উচ্ছল ভূমিকা রেখেছে। আমি সেই রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, ইসলামপন্থী সেই রাজনৈতিক দল যে আপনাদের একাত্তরের ভূমিকা কী ছিল, আপনারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, আপনারা কোনো সেক্টর কমান্ডারের আন্ডারে যুদ্ধ করেছেন, বাংলাদেশ কেউ দেশপ্রেমিক নেই? শুধু একটি রাজনৈতিক দল দেশপ্রেমিক? এই ধরনের বিভ্রান্তি আপনারা তৈরি করলে মানুষ হাসবে। মানুষ হাসি ছাড়া আর কিছু দেবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের হ‌ুমায়ূন রশীদ চত্বরে আমরা বিএনপি পরিবারে উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারকে উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে নিরাপদ করার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য, ১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছিলেন, এই অর্জনের মধ্যে দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে দ্বিতীয়বার কলঙ্কিত করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ন্যায় শেখ হাসিনা। সিলেটের এম ইলিয়াস আলী আজ নাই শেখ হাসিনার কারণে। কারণ, তিনি দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি টিপাইমুখ বাঁধে লংমার্চ করে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন। মানুষ বলে তাকে এই কারণে নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁকে অসুস্থ করা হয়েছে, তিনি গ্রেপ্তারের আগে চোখে অপারেশন করে এসেছিলেন। যে রুমটিতে রাখা হয়েছে, সেটি একটি ২০০ বছরের পুরোনো একটি বিল্ডিংয়ের পুরোনো একটি রুমের মধ্যে, চারদিকে বালি আর ধোঁয়া উড়ে। যার চোখে অপারেশন হয়েছে, তাঁকে ওই রুমটি দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি আরও অসুস্থ হন এই কারণে। তারপরও বিএনপি দেশনেত্রীর মুক্তির পাশাপাশি গণতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে কখনোই পিছপা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যেসব বাচ্চা, শিশু, শ্রমিক-জনতা আত্মদান করেছেন, তাঁদের সেই বহুমাত্রিক আত্মদানকে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের যেমন বিচার হতে হবে, ঠিক তেমনিভাবে গত ১৫ বছর গণতন্ত্রকে উদ্ধারের জন্য যারা অকাতরে জীবন দিয়েছেন, যারা নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের কেন বিচার হবে না। তাঁদেরও তো বিচার হওয়া উচিত। যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিচার হওয়া উচিত। সেটা কেন হবে না?’

নতুন পাঠ্যবইয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে, আমরা সেটারও দ্বিমত করছি না। সেখানে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী, সেখানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, সেখানে মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রয়েছে, ঠিক আছে কোনো অসুবিধা নাই। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত, এখানে একটা অধ্যায় রাখা হলো না কেন? জিয়াউর রহমান তো শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি, সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং পাকিস্তানি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে সেখানে একটি যুদ্ধ হয়েছিল, সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেটারও তো একটা ইতিহাস জড়িত আছে। তাহলে থ্রি, ফোর, ফাইভের এখানে মুক্তিযুদ্ধের একটা অধ্যায় থাকবে না কেন? সেটার সঙ্গে যাঁরা প্রবাসী সরকার হয়েছিলেন, সেটাও থাকতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের তো একটা অধ্যায় থাকবে। যতটুকু কাজ করেছেন, ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু অসম্পূর্ণ থাকবে কেন? মুক্তিযুদ্ধ তো একটা বড় ঘটনা।’

সিলেটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারকে উপহার দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারকে উপহার দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলন করেছেন, সেটি একটি স্বাধীনতার জন্য মাঠ প্রস্তুত হয়েছিল। কিন্তু, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাযুদ্ধের কোনো বিশেষ ঘোষণা বা বিশেষ প্রস্তুতির কথা বলেননি। সেই আহ্বান তো তাঁর নাই। জোর করে যেটা বলেছেন, গায়ের শক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগ যেটা বলেছে, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। প্রকৃত ইতিহাস হচ্ছে, এই যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। যুদ্ধ শুরু হলো ৯ মাস। এর তো একটা অধ্যায় থাকতে হবে। সেই অধ্যায় রাখা হয়নি।’

‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে এবং সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও কাতার বিএনপির সভাপতি শরিফুল হক সাজুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা আশরাফ হোসেন বকুল, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী ও এম নাসের রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

অনুষ্ঠানে তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারের হাতে দুটি ব্যাটারিচালিত অটোর চাবি হস্তান্তর করেন অতিথিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না: মাহমুদুর রহমান মান্না

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১০
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, ‘ওসমান হাদির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমাদের শান্ত থাকতে হবে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ধরনের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।’

আজ শুক্রবার দলটির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন সাহসী, অকুতোভয় দেশপ্রেমিক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠ বাংলাদেশকে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কল্যাণভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। ওসমান হাদি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। দল-মত-ধর্মনির্বিশেষে তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য লড়াই জারি রাখতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমি শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও তাঁর লড়াইয়ের সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। একই সঙ্গে হাদির হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য করণীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। হত্যাকারীরা যদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাকে, সেই দায় অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে এবং দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে হামলা চালানো হয়।

এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ওসমান হাদির লড়াই ছিল একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই হাদির লড়াইয়ের লক্ষ্য ছিল না। ওসমান হাদি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন।

যারা মব (দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) উসকে দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে, তাদের দুরভিসন্ধি রুখে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২২
শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।

জুমার নামাজ শেষে রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি’—শীর্ষক ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস।

বিক্ষোভ কর্মসূচির শুরুতে স্লোগান দেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। স্লোগানে তাঁরা বলতে থাকেন, ‘আমি কে তুমি কে, হাদি হাদি’; ‘আমার সোনার বাংলায়, খুনি লীগের ঠাঁই নাই’; ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব।’

এ ছাড়া একই সময়ে জুমার নামাজ শেষে খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা হাদি হত্যার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবি বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তারেক রহমান। ফাইল ছবি
তারেক রহমান। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন তারেক রহমান।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আজকের বৈঠকে কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা থাকছে না। তবে বৈঠকটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। হাদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই মূলত এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে দলীয় সাংগঠনিক বিষয় এবং আসন্ন কর্মসূচি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মির্জা ফখরুলের ফেসবুক পেজ হ্যাকের চেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৮
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়টি টের পাওয়ার পর পেজটি আপাতত নিষ্ক্রিয় (ডি-অ্যাকটিভেট) করে রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘পেজটি হ্যাক করার চেষ্টা চলছিল। তাই আপাতত নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পেজ থেকে সর্বশেষ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার বিচারসহ প্রতিটি মব সন্ত্রাসের বিচার দাবি করে পোস্ট করা হয়েছিল। পোস্টে লেখা হয়, ‘প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে।’ পোস্টে ডেইলি স্টার, দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম, নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবিরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে লেখা হয়, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। শহীদ হাদির মৃত্যুতে শোকার্ত জাতি যখন সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছে হাদির আত্মার মাগফিরাতের জন্য, তখন ডেইলি স্টার, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকা প্রতিষ্ঠান, বরেণ্য সাংবাদিক নুরুল কবিরসহ আরও অনেকের ওপর হীন হামলা সংঘটিত হলো।’

পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘দেশের সঙ্কটময় মুহূর্তকে কাজে লাগানোর জন্য যারা অপেক্ষা করে, এরা এই দেশের শত্রু। তারা অপেক্ষা করে সংকটের। আজ এই দুঃখভারাক্রান্ত মুহূর্তকে এরা ধ্বংসাত্মক কাজে রূপান্তর করল। আমি এই সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি!’

দেশের এই পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টে লেখা হয়, ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পরে সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা। আমরা সকল পক্ষকে দায়িত্বশীলতার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। অবিলম্বে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত