Ajker Patrika

গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপিকে ফাঁসানো হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্ত হোক: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ১৬
গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপিকে ফাঁসানো হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্ত হোক: মির্জা ফখরুল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘জঘন্য ঘটনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। 

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের নাম এফআইআরে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির নেতাদের নাম দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি কোনো সুষ্ঠু তদন্ত না করেই এই কাজটা করা হয়েছে। আমরা বারবার বলে এসেছি, এটার নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’

এই ঘটনায় তারেক রহমানের নামের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুরো বিষয়টাই একটা সাজানো নাটক। তারেক রহমানের নাম এফআইআরে ছিলই না। তিনবার এফআইআরে হয়েছে, কোনোবারই ছিল না। এরপর একজন ব্যক্তি যিনি রিজাইন করেছিলেন কাহার আখন্দ, যিনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিলেন। সেই ভদ্রলোক তারেক রহমানের নাম সেখানে দিলেন। পুরো তদন্তে তারেক রহমানের নাম কোথাও উচ্চারিত হয়নি।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘একমাত্র মুফতি হান্নান, তা-ও তাঁকে ১৪৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার পরে। সেটাও তিনি আবার অস্বীকার করে এফিডেভিট দিয়েছিলেন। সেটাকে গ্রহণ করা হয়নি। তিনি যেন কোর্টে গিয়ে আর কিছু না বলতে পারেন, তাই তড়িঘড়ি করে অন্য একটা কেসে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল, ফাঁসি কার্যকর করে তাঁকে আর কোর্টে আসার সুযোগই দেওয়া হলো না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্বীকার করি, ২১ আগস্টের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে অন্যতম জঘন্য ঘটনা। কিন্তু এতে রাজনৈতিক নেতাদের নাম জড়িয়ে যে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা হচ্ছে, সেটা কেউ সমর্থন করতে পারে না। এখানে তারেক রহমান, আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফুজ্জামান বাবর—কেউই এটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে মির্জা ফখরুল জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-গ্রেপ্তার শুরু করেছে। হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আবার সেই একই কায়দায় তারা শুরু করেছে। ছাত্রদলের নেতাদের হাতে পুরোনো অস্ত্র তুলে দিয়ে ছবি তুলেছে। আজকে একটা কথা সবার জানা উচিত, সরকার পরিকল্পনা করছে দেশে ভয়াবহ কিছু ঘটিয়ে যাতে করে নির্বাচনে বিরোধী দলকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করা যায়, তারপর অতীতে যেভাবে নির্বাচন করেছে, সেভাবে আরেকটা নির্বাচন করবে।’

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচাইতে সংকটময় সময় যাচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা জোর করে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করে আছে, তারা সর্বশক্তি দিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করে জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে তারা ধ্বংস করছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, অর্থনীতি—সবখানে চরম ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

ভারতের সঙ্গে সম্প্রতি যোগাযোগ কিংবা কোনো দ্বিপক্ষীয় আলোচনার চেষ্টা বিএনপির আছে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে এতটা ব্যাকফুটে যাইনি যে আমাদের ইউরোপ, ভারত গিয়ে রাজনীতি করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাত ১২টার সময়ই কানায় কানায় পূর্ণ সংবর্ধনাস্থল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাত ১২টার সময় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাত ১২টার সময় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসছেন। এ উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে আগের রাত (বুধবার) ১২টার সময়ই সংবর্ধনাস্থল ও এর আশপাশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০০ ফিট সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সবগুলো রাস্তায় মাঝরাতেও অসংখ্য নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

আরও দেখা গেছে, সমাবেশস্থলের আশপাশে অনেকেই কাঁথা-কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর আয়োজন করছেন। তাঁদেরই একজন মহসিন মিয়া। তিনি এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। কোনো পদ-পদবি না থাকলেও বিএনপিকে তিনি ভালোবাসেন। মহসিন বলেন, ‘ঘুম আসবে কি না জানি না। না ঘুমালেও চলবে। নেতার জন্য একদিন না ঘুমালে কিছুই হবে না।’

এদিকে সারা রাত না ঘুমিয়েই তারেক রহমানের জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানালেন নওগা জেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন। সংবর্ধনার মঞ্চ থেকে তিনি প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। ঘুমের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ঘুমাইনি। একরাতে কিছু হবে না।’

নওগা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক এখনো পৌঁছায়নি বলেও জানালেন লিটন। এই জেলার কয়েক হাজার নেতা কর্মী তখনো যাত্রাপথে অবস্থান করছিলেন।

শেফালি আক্তার নামে জামালপুর জেলা থেকে আসা এক নারী জানালেন, তিনিও ঘুমাবেন না। এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সারা রাত মিছিল স্লোগানেই কাটিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় বাসের সিটে বসে ঘুমাব।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ১২টায় (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টা) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট BG-202–এ চড়েছেন। এই ফ্লাইটটি লন্ডন–সিলেট–ঢাকা রুটে পরিচালিত হচ্ছে।

সূত্রমতে, ফ্লাইটটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চপর্যায়ের যাত্রী থাকায় ফ্লাইট পরিচালনায় অতিরিক্ত অপারেশনাল সমন্বয় ও বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজে তারেক রহমানকে সামনের সারির A1 নম্বর আসনে বসানো হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে, বোয়িং উড়োজাহাজে পরিচালিত এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্ন অ্যারাউন্ড শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং ১১টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর সূচি নির্ধারিত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনবেন ক্যাপ্টেন ইমামুল

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ০৪
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনজন জ্যেষ্ঠ পাইলটকে। এই গুরুত্বপূর্ণ যাত্রায় পাইলট-ইন-কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন ইমামুল।

ফ্লাইট ডেকে তাঁর সঙ্গে থাকবেন আরও দুই অভিজ্ঞ পাইলট—রাশেদিন ও আসিফ ইকবাল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন পর তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র পাইলটদের সমন্বয়ে এই ক্রু নির্বাচন করা হয়েছে।

সূত্রগুলো আরও জানায়, উচ্চ গুরুত্বসম্পন্ন ও সংবেদনশীল ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড অনুযায়ীই এই দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে, যাতে নিরাপত্তা ও পরিচালন দক্ষতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ০৯
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার এক বিবৃতিতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, শুভ বড়দিন একটি সর্বজনীন ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের সব ধর্মের মানুষ আবহমানকাল থেকে স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। যিশুখ্রিষ্ট মানুষকে ভালোবাসতে এবং সেবা, ক্ষমা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়েছেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘হিংসা-বিদ্বেষ, আক্রোশ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের অবিচার-নির্মমতা প্রতিরোধ করতে আমাদের সকলকে শপথ নিতে হবে। বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও মজবুত করতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষ বিভিন্নভাবে সমস্যাগ্রস্ত, যেটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক থেকে শুরু করে সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগতও হতে পারে। মহামানবদের জীবনদর্শন যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলেই মানবজীবনে ন্যায়নীতি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। আর তাহলেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে আমরা সক্ষম হব। আমি বড়দিনের সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।’

বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ক্ষমা, করুণা, মানবপ্রেমের দিশারি মহান যিশুখ্রিষ্ট এদিনে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। তাই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন মানুষে-মানুষে সম্প্রীতির মহা বার্তা নিয়ে। সব ধর্মের মূলকথাই হচ্ছে—মানুষের সেবা ও কল্যাণ। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও দশের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো সিয়ামকে: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি
ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেল বোমা বিস্ফোরণে সিয়াম নামের যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো নিরীহ সিয়ামকে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন, ‘নিহত সিয়ামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করুন, তার ওপর রহম করুন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে উত্তম ধৈর্যধারণের তৌফিক দান করুন।’

জামায়াত আমির বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো নিরীহ সিয়ামকে। একটি দুষ্টচক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।

প্রশাসনকে তার দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে এবং জনগণকেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত