Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন জামায়াতের আমির

ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন জামায়াতের আমির
আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ২২

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, তাঁর দল ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক চায়। তবে নয়াদিল্লিকে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে পররাষ্ট্রনীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোও বন্ধ করতে হবে। 

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামায়াতের আমির বলেন, তাঁর দল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সমর্থন করে, কিন্তু এটাও বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশের উচিত অতীত পেছনে ফেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। 

জামায়াতে ইসলামীকে ভারতবিরোধী হিসেবে ভাবাটা নয়াদিল্লির ধারণা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়। এটি একটা ভুল ধারণা, এই ধারণা পরিবর্তন করা দরকার।। আমরা বাংলাদেশপন্থী এবং আমরা একমাত্র বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় আগ্রহী।’ এ সময় তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত না গেলেই ভালো হতো। তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফিরে এসে আইনের মুখোমুখি হওয়া উচিত। 

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও আমরা একটি ভালো, স্থিতিশীল এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চাই। যা–ই হোক, ভারত অতীতে এমন কিছু কাজ করেছে, যা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে নেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘উদাহরণস্বরূপ, ২০১৪ সালের বাংলাদেশের নির্বাচনের সময় এক ভারতীয় কূটনীতিক ঢাকা সফর করেছিলেন এবং নির্বাচনে কার অংশগ্রহণ করা উচিত এবং কাদের উচিত নয়—সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এটি অগ্রহণযোগ্য। কারণ, এটি একটি প্রতিবেশী দেশের ভূমিকা নয়। আমরা বিশ্বাস করি, ভারত অবশেষে তার পররাষ্ট্রনীতি পুনর্মূল্যায়ন করবে। বাংলাদেশের বিষয়ে আমরা মনে করি, একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা উচিত।’ 

জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী চায়, ভারত বন্ধু হোক এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুক। তিনি বলেন, তাঁর দল সম্পর্কের উন্নতির ক্ষেত্রে নিজেদের দায়িত্ব স্বীকার করে, কিন্তু সম্পর্ক অবশ্যই একে অপরের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ক্ষেত্রে ‘অহস্তক্ষেপমূলক’ হবে। 

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত—এ বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করা এবং হস্তক্ষেপ করা, দুটি ভিন্ন জিনিস। একসঙ্গে কাজ করার একটি ইতিবাচক অর্থ আছে, কিন্তু হস্তক্ষেপ নেতিবাচক। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অর্থ হলো—সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সম্মান। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। আমরা স্থল ও সমুদ্র উভয় ধরনের সীমানা ভাগাভাগি করি, তাই আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। কারণ, আপনি আপনার প্রতিবেশী থেকে দূরে থাকতে পারবেন না।’ 

সাক্ষাৎকারে জামায়াতের আমির স্বীকার করেন, অতীতে তাঁরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। কিন্তু গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এই যোগাযোগ হ্রাস পেয়েছিল। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, ভারতের সঙ্গে জামায়াতের কার্যকর সম্পর্ক এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে। 

বাংলাদেশে জামায়াত কর্মীদের হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান সেগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। এ সময় তিনি জামায়াতের নেতিবাচক চরিত্র সামনে আসার জন্য বিদ্বেষপূর্ণ গণমাধ্যম প্রচারণাকে দায়ী করেন। তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরের নৃশংসতায় তাঁর দল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তারপরও দলটি এখনো টিকে আছে এবং জনগণের সমর্থন লাভ করেছে। 

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক চাই। আমরা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান, শ্রীলঙ্কাসহ উপমহাদেশের আমাদের সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সমান ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক চাই। স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এই ভারসাম্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ উল্লেখ্য, আগে পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতো বিশ্বশক্তির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই।’ 

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, পানি ছাড়ার আগে ভারতের উচিত ছিল বাংলাদেশকে আগে থেকে তথ্য দেওয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি না যে ভারী বৃষ্টির জন্য ভারত দায়ী। তবে ভারতের উচিত ছিল পানি ছাড়ার আগে আমাদের জানানো। যাতে আমরা পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং জীবন বাঁচাতে পারি। আমরা বিশ্বাস করি, এই বাঁধটির থাকা উচিত নয় এবং পানিকে প্রাকৃতিক গতিপথ অনুসরণ করতে দেওয়া উচিত।’ 
 
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, দেশে যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জামায়াতে ইসলামী তাতে অংশগ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়া উচিত, তবে তা অনির্দিষ্টকাল হওয়া উচিত নয়। আমরা যথাসময়ে নতুন নির্বাচনের সময় সম্পর্কে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করব। তবে যখনই নির্বাচন হবে, আমরা অংশগ্রহণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সব দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক: নাহিদ ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা উচিত বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘তফসিল নিয়ে ইসি (নির্বাচন কমিশন) সিদ্ধান্ত নেবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের মূল ব্যক্তির সুস্থতার ব্যাপার আছে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দল রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার পর তফসিল হোক।’

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় এনসিপি আয়োজিত নীতিনির্ধারণবিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি কোনো দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে সমঝোতায় যায়নি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা হয়েছে। অতি শিগগির প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করব। তৃতীয় একটি জোট নিয়ে আলোচনা ও প্রক্রিয়া চলমান আছে। পুরানপন্থী যে দলগুলো আছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে—তাদের ব্যাপারে জনগণের আস্থা নেই। তাই আমরা নতুন ধারার রাজনীতি করতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শরিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় ক্ষুব্ধ ১২ দলীয় জোট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শরিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় ক্ষুব্ধ ১২ দলীয় জোট

শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে বিএনপির দুই ধাপে সংসদীয় আসনের প্রার্থী ঘোষণায় বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন ও সরকার গঠনের যে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২৭২টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণার মাধ্যমে তার বরখেলাপ করা হয়েছে।

১২ দলীয় জোটপ্রধান জাতীয় পার্টির (একাংশের) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের খিলগাঁও কার্যালয়ে আজ শুক্রবার আয়োজিত এক সভায় জোটভুক্ত নেতারা এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তাঁরা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও করণীয় সম্পর্কে আগামী সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে জোটের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরা হবে। সংবাদ সম্মেলনের স্থান ও সময় আগামীকাল শনিবার জানানো হবে।

সভা শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির কামনায় মোনাজাত করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (একাংশের) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটপ্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২২
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে কাতার থেকেই অন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। জার্মান কোম্পানির এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল শনিবার বিকেলে ঢাকায় অবতরণ করবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শায়রুল কবির খান বলেছেন, কাতার রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি থাকায় কাতারের আমির তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছেন, যা আগামীকাল বিকেল ৫টায় ঢাকায় অবতরণ করবে।

শায়রুল কবির খান আরও বলেন, এখন যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসছে, সেটিও কাতারের, কিন্তু জার্মান কোম্পানির তৈরি। কাতার জার্মানি থেকে কোনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।

এদিকে, নতুন করে পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সেটি জার্মানি থেকে আসছে।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকি করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার সুস্থতায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া

বাসস, ঢাকা  
বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশের মসজিদগুলোতে বিএনপির পক্ষ থেকে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়।

একই সঙ্গে রাজধানীর নয়াপল্টনে মসজিদে আয়োজিত দোয়া মাহফিলের অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।

এ সময় তিনি বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। কারাগার থেকেই তাঁর রোগের সূচনা। চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ হন তিনি।’

বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম
বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। ছবি: জাহিদুল ইসলাম

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মানুষে দলমত-নির্বিশেষে এই মহান নেত্রীর জন্য দোয়া করছেন। তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন এবং দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে তাঁর অভিভাবকত্বে আমরা উত্তরণ হয়ে যেতে পারি, সে জন্য দেশের জনগণে আল্লাহ তাআলার কাছে আকুতি করেছেন।’

সবার কাছে দলীয় চেয়ারপারসনের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে পরম করুণাময়ের কাছে দোয়া করি, যিনি আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন, সেই নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসেন।’

রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণও দোয়ায় অংশ নেন। একই সঙ্গে দেশনেত্রীর সুস্থতা কামনায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার জন্যও অনুরোধ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত