রংপুর প্রতিনিধি

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণ অধিকার পরিষদের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে এই গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আপনারা সেই জনআকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছর ক্ষমতায় ছিল। আজকে যে ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন-নিপীড়ন, গণবিরোধী অবস্থান, সব সরকারের আমলে আমরা দেখেছি। আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে, তাঁরা ক্ষমতাকে ভোগের বিষয়বস্তু মনে করবে না। জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়েই তাঁরা রাষ্ট্রনীতি ঠিক করবে এবং জনগণ ক্ষমতায় বসাবে, কারা জনপ্রতিনিধি হবে সেটা নির্ধারণ করবে।’
আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে যুবসমাজকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আবু সাঈদ আপনাদের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের কৃতি সন্তান। আবু সাঈদের বীরত্বগাথা অবদানকে আপনারা ভুলতে দেবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধোঁকাবাজি করে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা করে, গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হওয়ার কথা বলে ভোট নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সিঙ্গাপুর চলে গেছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে, ছেলে-মেয়েদের উন্নত স্কুলে পড়িয়েছে কিন্তু অবহেলিত রংপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করে নাই, এমন প্রতারক জনপ্রতিনিধিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের এবং তারুণ্যের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দেশের প্রশ্নে আপসহীনভাবে একমাত্র কাজ করতে পারে তরুণেরাই। সেই তরুণদের নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং চার বছর মেয়াদি সংসদের সংস্কার প্রস্তাবনা দিচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়টি হচ্ছে এই গণ অধিকার পরিষদ যদি সারা দেশ মিলিয়ে ৫০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে গণ অধিকার পরিষদের দেড় শ এমপি থাকবে। কোনো দল যদি ১০ শতাংশ ভোট পায় ৩০ জন এমপি থাকবে। কোনো দল যদি এক শতাংশ ভোটও পায় তার ৩ জন এমপি থাকবে। এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনই একমাত্র রাজনীতিতে একটা ভারসাম্য আনতে পারে। আগামীতে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে কোনো সরকারকে ঠেকাতে থাকে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে, সে জন্য এখন থেকেই রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ব্যবস্থা কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
নুর আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাঁদের আস্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতেও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে কটূক্তি করা হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আবু সাঈদের রক্তে ভেজা রংপুরের মাটি, ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা সারা বাংলাদেশের মাটি, সেই রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে যারা চেষ্টা করবে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ইঙ্গিত করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশালিদের জায়গা নাই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা হবে না। যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে গণহত্যাকারী এবং গণহত্যাকারীর দোসরদের গ্রেপ্তার করে এই রংপুরসহ সারা বাংলাদেশে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগণ কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। কিন্তু আমরা চাই না জনগণ সেটা করুক। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত লড়াই সংগ্রাম, প্রাণ দানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের যে রাজনীতিক দল গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণজোয়ার তৈরি করতে চাই। আগামীতে গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে চাই, পিছিয়ে পড়া রংপুরকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে তিস্তা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের যে দুঃখ-ভোগান্তি সেটা নিয়ে কোনো সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে নাই। রংপুর অঞ্চলে একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে পুরো রংপুর কাভার হয় না। এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনায় জায়গা হচ্ছে রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুরকে কৃষির হাব তৈরি করার জন্য নতুন শিল্পনীতি প্রয়োজন, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা প্রয়োজন। রংপুর অঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া, হাড়িভাঙ্গা আম, আলুসহ ১০ টির বেশি কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। রংপুরের যদি কৃষিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, তাহলে শুধু রংপুরই নয় গোটা বাংলাদেশ লাভবান হবে। আমাদের কেন পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ ভারতে থেকে আনতে হবে? আমাদের দেশের কৃষকদের আমরা কেন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘রংপুরের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়, অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছে, তা ইতিহাসে বিরল, স্মরণীয় ও গৌরবের। শহীদ আবু সাঈদ এই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও কারিগর। আবু সাঈদরা আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করব। যাতে করে আবু সাঈদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়।’
রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় বেইমান পার্টি মনে করে রংপুর তাঁদের ঘাঁটি। আমরা বলতে চাই রংপুরের মানুষ জাতীয় বেইমান পার্টিকে বয়কট করেছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে সুতরাং রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না। রংপুরের সাবেক অবৈধ ডামি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একজন দুর্নীতিবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজরা আগামীতে রংপুর থেকে এমপি, মন্ত্রী, মেয়র হতে পারবে না। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক হানিফ খান সজীবের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি এরশাদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পঞ্চগড় জেলার সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, রংপুর মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ প্রমুখ। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গণ অধিকার পরিষদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। প্রায় এক ঘণ্টার সমাবেশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মাঝে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁনসহ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তাঁরা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণ অধিকার পরিষদের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে এই গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আপনারা সেই জনআকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছর ক্ষমতায় ছিল। আজকে যে ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন-নিপীড়ন, গণবিরোধী অবস্থান, সব সরকারের আমলে আমরা দেখেছি। আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে, তাঁরা ক্ষমতাকে ভোগের বিষয়বস্তু মনে করবে না। জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়েই তাঁরা রাষ্ট্রনীতি ঠিক করবে এবং জনগণ ক্ষমতায় বসাবে, কারা জনপ্রতিনিধি হবে সেটা নির্ধারণ করবে।’
আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে যুবসমাজকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আবু সাঈদ আপনাদের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের কৃতি সন্তান। আবু সাঈদের বীরত্বগাথা অবদানকে আপনারা ভুলতে দেবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধোঁকাবাজি করে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা করে, গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হওয়ার কথা বলে ভোট নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সিঙ্গাপুর চলে গেছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে, ছেলে-মেয়েদের উন্নত স্কুলে পড়িয়েছে কিন্তু অবহেলিত রংপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করে নাই, এমন প্রতারক জনপ্রতিনিধিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের এবং তারুণ্যের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দেশের প্রশ্নে আপসহীনভাবে একমাত্র কাজ করতে পারে তরুণেরাই। সেই তরুণদের নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং চার বছর মেয়াদি সংসদের সংস্কার প্রস্তাবনা দিচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়টি হচ্ছে এই গণ অধিকার পরিষদ যদি সারা দেশ মিলিয়ে ৫০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে গণ অধিকার পরিষদের দেড় শ এমপি থাকবে। কোনো দল যদি ১০ শতাংশ ভোট পায় ৩০ জন এমপি থাকবে। কোনো দল যদি এক শতাংশ ভোটও পায় তার ৩ জন এমপি থাকবে। এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনই একমাত্র রাজনীতিতে একটা ভারসাম্য আনতে পারে। আগামীতে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে কোনো সরকারকে ঠেকাতে থাকে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে, সে জন্য এখন থেকেই রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ব্যবস্থা কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
নুর আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাঁদের আস্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতেও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে কটূক্তি করা হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আবু সাঈদের রক্তে ভেজা রংপুরের মাটি, ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা সারা বাংলাদেশের মাটি, সেই রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে যারা চেষ্টা করবে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ইঙ্গিত করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশালিদের জায়গা নাই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা হবে না। যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে গণহত্যাকারী এবং গণহত্যাকারীর দোসরদের গ্রেপ্তার করে এই রংপুরসহ সারা বাংলাদেশে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগণ কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। কিন্তু আমরা চাই না জনগণ সেটা করুক। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত লড়াই সংগ্রাম, প্রাণ দানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের যে রাজনীতিক দল গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণজোয়ার তৈরি করতে চাই। আগামীতে গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে চাই, পিছিয়ে পড়া রংপুরকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে তিস্তা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের যে দুঃখ-ভোগান্তি সেটা নিয়ে কোনো সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে নাই। রংপুর অঞ্চলে একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে পুরো রংপুর কাভার হয় না। এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনায় জায়গা হচ্ছে রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুরকে কৃষির হাব তৈরি করার জন্য নতুন শিল্পনীতি প্রয়োজন, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা প্রয়োজন। রংপুর অঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া, হাড়িভাঙ্গা আম, আলুসহ ১০ টির বেশি কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। রংপুরের যদি কৃষিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, তাহলে শুধু রংপুরই নয় গোটা বাংলাদেশ লাভবান হবে। আমাদের কেন পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ ভারতে থেকে আনতে হবে? আমাদের দেশের কৃষকদের আমরা কেন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘রংপুরের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়, অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছে, তা ইতিহাসে বিরল, স্মরণীয় ও গৌরবের। শহীদ আবু সাঈদ এই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও কারিগর। আবু সাঈদরা আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করব। যাতে করে আবু সাঈদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়।’
রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় বেইমান পার্টি মনে করে রংপুর তাঁদের ঘাঁটি। আমরা বলতে চাই রংপুরের মানুষ জাতীয় বেইমান পার্টিকে বয়কট করেছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে সুতরাং রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না। রংপুরের সাবেক অবৈধ ডামি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একজন দুর্নীতিবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজরা আগামীতে রংপুর থেকে এমপি, মন্ত্রী, মেয়র হতে পারবে না। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক হানিফ খান সজীবের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি এরশাদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পঞ্চগড় জেলার সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, রংপুর মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ প্রমুখ। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গণ অধিকার পরিষদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। প্রায় এক ঘণ্টার সমাবেশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মাঝে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁনসহ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তাঁরা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৯ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় নেতাকে সর্বস্তরের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পারে, সে জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় সব দপ্তর। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের চারপাশের সড়কগুলোতেও যেন জনসাধারণ অবস্থান করতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানাজার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত রাজনীতিবিদেরা উপস্থিত থাকবেন। দাফনকাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য সেখানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ব্যতীত আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৯ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে এই হাসপাতালেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এই আপসহীন নেত্রী।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮০ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। তবে শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ পথ ভ্রমণের অনুকূলে না থাকায় সেটি আর সম্ভব হয়নি।
পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তবে মেডিকেল বোর্ডের মত ছিল, দীর্ঘ বিমানযাত্রা তাঁর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, হৃদ্যন্ত্রের দুর্বলতা ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ২৯ নভেম্বরের পর বিদেশে নেওয়ার উদ্যোগ স্থগিত হয়। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সময়ই সরকার তাঁকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করে। সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সঙ্গে সার্বক্ষণিক জড়িত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি খ্যাতনামা চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড দায়িত্বে ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই ও জন হপকিন্স হাসপাতাল, যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজ হাসপাতাল, লন্ডন ক্লিনিক ও কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চিকিৎসা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানও চিকিৎসক দলের সদস্য ছিলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার পর নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে মায়ের চিকিৎসার তদারকি করতেন। সোমবার রাতেও মাকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি। এই রাতে ছেলে তারেক ছাড়াও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান, বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, দুই নাতনি জাইমা রহমান ও জাহিয়া রহমান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। রাত দুইটা নাগাদ পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান। পরে সকাল ৬টার দিকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর পায় দেশবাসী।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৯ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
২০১০ সাল থেকেই খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন ফাতেমা বেগম। গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারপারসনের প্রতি ফাতেমার মমত্ববোধ প্রবল। সব সময় পাশে থাকা, চেয়ারপারসনকে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেওয়াসহ সব কাজই ফাতেমা করতেন।
ফাতেমা বেগমের গ্রামের বাড়ি ভোলা। ২০১০ সাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় খালেদা জিয়ার গৃহকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গৃহপরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় ফাতেমাও সেখানে যান। প্রায় ২৫ মাস স্বেচ্ছায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারেই ছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উত্তাল সময়েও ফাতেমাকে দেখা গেছে খালেদা জিয়ার নীরব ছায়াসঙ্গী হিসেবে। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে গুলশানে কার্যালয়ের সামনে আটকে দেওয়ার সময়ও পতাকা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাতেমা। ২০১৫ সালের শুরুতে টানা ৯২ দিন বিএনপির চেয়ারপারসন গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানকালেও তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক সঙ্গী।
স্বল্পভাষী ফাতেমার বয়স ৪০ বছর ছুঁই ছুই। তিনি এক সন্তানের জননী।
ফাতেমা মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন রাজধানীর শাহজাহানপুরে। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার মাধ্যমে মূলত ‘ফিরোজা’য় কাজ শুরু ফাতেমার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্ন এই সঙ্গ শুধু চাকরি নয়, এটি যেন রাজনৈতিক ইতিহাসের এক মানবিক অধ্যায়।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম, ব্যক্তিত্ব ও মানবিক দিক নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা। গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপসহীনতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের অভিভাবকসুলভ আচরণ—সবকিছু মিলিয়ে তাঁরা খালেদা জিয়াকে দেখেছেন এক সংগ্রামী রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল মানুষ হিসেবে। তাঁদের ভাষ্যে উঠে এসেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব, নির্যাতনের মুখেও অবিচল থাকা এবং শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এক অনন্য রাজনৈতিক জীবন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রামরত এক আপসহীন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন যে, নেত্রী (খালেদা জিয়া) দীর্ঘদিন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রায় সমস্ত অংশই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধগুলোকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি কাজ করেছেন। জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আর যখন বিরোধী ছিলেন, তখনো তিনি একইভাবে সেই গণতন্ত্রকেই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট এবং দলকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে যাওয়া নেতা। তিনি বলেন, ‘গৃহবধূ থেকে ম্যাডামের রাজনীতিতে আসাটা ছিল বিএনপির রাজনীতির জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। দলের নেতৃত্বে এসে তিনিই বিএনপিকে একটি জনপ্রিয় দলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা এক নেত্রী। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ওপরে জুলুম হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে; কিন্তু তিনি কোনো দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি কোনো দিন আপস করেননি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বিজয়ী প্রমাণ করতে পেরেছেন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগপর্যন্ত তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে গেছেন। তিনি সেই যুদ্ধে নিজেকে বিজয়ী বলে প্রমাণ করেছেন।
ড. আবদুল মঈন খান আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যুদ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালের পরে যখন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্যাতন, অত্যাচার ও মিথ্যা মামলা তাঁর ওপরে নেমে এসেছিল...তখন অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল—আপনি কেন এই কষ্ট সহ্য করছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি ন্যায় ও সত্যের জন্য সংগ্রাম করছি। আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমি সংগ্রাম করছি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’’’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের দৃষ্টিতে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একই সঙ্গে রাষ্ট্রনায়ক ও স্নেহশীল অভিভাবক। তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এমন একজন মানুষ ছিলেন, আমাদের যাদের উনার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ হয়েছে...আমরা দেখেছি, উনি একদিকে যেমন সত্যি সত্যি অভিভাবক, আরেক দিকে মাতৃস্নেহে উনি আমাদের দেখতেন। কোনো দিন বাসায় যাওয়ার পরে কোনো কিছু না খেয়ে বাসা থেকে কেউ যেতে পারত না।’
চিকিৎসাধীন অবস্থার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের কী খাইয়েছেন? এগুলো সব সময় উনার যাঁরা কাজের সহকর্মী ছিলেন, সহায়তা করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করতেন। উনি বলে দিতেন, আজকে এটা দিবা। কোনো দিন (চিকিৎসক) যেতে একটু দেরি হলে জিজ্ঞাসা করতেন...এত দেরি কেন হলো? আমি তো বসে আছি। অর্থাৎ চিকিৎসকেরা কখন যাবেন...উনি যখন বাসায় থাকতেন, তখন প্রতিদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর বাসায় যেতেন। উনি সবার সঙ্গে কথা বলতেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্রের লড়াই করতে করতেই বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশে দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁর নামে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে বাংলাদেশ গণতন্ত্র ফেরত পেত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি ছায়া থেকে বঞ্চিত হলো বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা জাতির জন্য কঠিন।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা বুধবার বাদ জোহর বেলা ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে এর আগেও অনেকবার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে, আবার কখনো ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বাসায়। কিন্তু এবার আর তাঁর ফেরা হলো না। টানা ৩৮ দিন হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে লড়েছেন রোগের সঙ্গে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেড় দশকের বেশি সময় সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন তিনি। বাসভবন, কার্যালয়, রাজপথ, হাসপাতাল, কারাগার, বিদেশ—সবখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে থেকেছেন তিনি। থেকে গেছেন আড়ালে। এই মানুষটি হলেন ফাতেমা বেগম।
৯ ঘণ্টা আগে