Ajker Patrika

একীভূতের চিন্তা এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের

অর্চি হক, ঢাকা তানিম আহমেদ
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ২৮
একীভূতের চিন্তা এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন দুই দলের একাধিক নেতা। তবে তাঁদের ভাষ্য, এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। একীভূত হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় আপ বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং দলও যুক্ত হতে পারে।

এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট অনেকটা একই রকম। দুটি দলেরই যাত্রা শুরু কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদে রূপ নেয়। আর ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কিছুদিন পর গড়ে তোলেন এনসিপি। আবার এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতারই আন্দোলন-কর্মসূচিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে। সেই হিসেবে নুরুল হক নুর এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও বলে থাকেন কেউ কেউ। গণঅধিকার পরিষদ গত বছর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলেও এনসিপি এখনো তা পায়নি।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসানকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা সরাসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে আখতার হোসেন মধ্যপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ফারুক হাসান ‘তারুণ্যের শক্তিগুলোর এক হওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকার’ কথা জানিয়েছেন।

আলোচনার শুরু হাসপাতালে মিছিলের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরকে হাসপাতালে দেখতে যান নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তখন দুই দলের নেতাদের মধ্যে সংগঠন এক করা নিয়ে আলোচনা হয়।

গণঅধিকার পরিষদ থেকে এনসিপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়টি এখনো অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর্যায়ে আছে। কংক্রিট (সুনির্দিষ্ট) কিছু হয়নি।

রাজনৈতিক পরিসরে এমন একটা আলাপ আছে, তরুণেরা এক হোক। তাদের সম্মিলিতভাবে কিছু করা উচিত। সেই ভাবনা থেকেই কিছু আলাপ হচ্ছে। নুরুল ভাই অসুস্থ ছিলেন; তাঁকে নাহিদ, আসিফ দেখতে গেছেন। তখন কিছু কথা হয়েছে।’

নুরুল হক এখনো অসুস্থ উল্লেখ করে এনসিপিতে যোগ দেওয়া নেতা আরও বলেন, এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে খুব বেশি এগোনোও যাচ্ছে না। দুই দলের নেতাদের আলাপের (হাসপাতালে) ওপর ভিত্তি করে বসে কথাবার্তার মতো কিছু এখনো হয়নি।

একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে মার্জ (একীভূত) হওয়ার আলোচনা চলছে। অনানুষ্ঠানিক টুকটাক আলোচনা হচ্ছে। আগ্রহ আমাদের দুই পক্ষেরই আছে। আমরা এক হওয়ার পরে আরও অনেকেই যুক্ত হবে।’

গণঅধিকার পরিষদের ওই নেতা আরও বলেন, ডাকসু-জাকসুতে বাগছাসের হারের পর ওরা (এনসিপি) একটু চাপে আছে। এখন জোট করে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। তবে তরুণদের দুটি দল যদি এক হতে পারে, তখন এই দলটাকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনী জোট হতে পারে। দেশের রাজনীতিতে এটা দরকার। ভেতরে-ভেতরে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

‘একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি’

দুই দলের একাধিক নেতা বলেছেন, একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি। তবে কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আসবে। কত দিনের মধ্যে একীভূতকরণ হতে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে এক নেতা বলেন, ‘নেতাদের মধ্যে ম্যাচআপের (মিলমিশ বা সমন্বয়) বিষয় আছে। কর্মীদের ম্যাচআপের বিষয় আছে। ফলে এটা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে নির্বাচনের তফসিলের আগেই এর সমাধান করতে চাই আমরা।’

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে বলে স্বীকার করেছেন এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। তবে এ মুহূর্তেই এ নিয়ে নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন নেতা বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিতে যোগ দিতে চায়, এমন একটা আলাপ আমাদের মধ্যে আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। নিজেদের ফোরামে কথা বলছি। তাদের (গণঅধিকার পরিষদ) সঙ্গেও কথা বলছি। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এনসিপির আরেকজন নেতা আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে আলাপে এ-ও জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চলমান আলোচনা নিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা মধ্যপন্থী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বাংলাদেশে যারা মধ্যপন্থী রাজনীতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করে, তাদের যে কারও এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি।’

অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। এমন কোনো কিছু ঘটলে জানতে পারবেন। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলো এক হওয়ার চেষ্টা করছি।’

একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করা এনসিপির একজন নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ ছাড়া আর কোনো দলের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে কি না, জবাবে ওই নেতা বলেন, আপাতত শুধু গণঅধিকার পরিষদই নিয়েই কথা হচ্ছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত আমাদের আলোচনা এগিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকগুলো ইস্যু বাকি।

আরও যারা দলে ভিড়তে পারে

এই নেতা বিশদ কিছু না বললেও রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশও এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দল দুটির বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, তাদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হলেও একীভূত হওয়ার আলোচনা হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যাঁরা আসার, তাঁরা আগেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। আর আপ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের দু-একজন একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।

এ বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার একটা প্রস্তাব আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির কনসিস্ট্যান্সি (ধারাবাহিকতা) নিয়ে আমাদের একটু সংশয় আছে। তবে একটা আলোচনা হচ্ছে।’

আপ বাংলাদেশের শীর্ষ একজন নেতা জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে তাঁদের অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দফা কথা হয়েছে। একীভূত হওয়া না হলেও জোটগতভাবে এগোনোর বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, সামনে আরও আলোচনা হবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, রাজনীতিতে এখন হয় আপনি বিএনপিপন্থী, নয়তো জামায়াতপন্থী বা ইসলামপন্থী। এই বয়ান দিয়ে তো পলিটিকস এগোয় না। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই মধ্যপন্থী। বিএনপি এই ৮০ শতাংশ মানুষকে ধারণ করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই তরুণদের সম্মিলিতভাবে রাজনীতির মাঠে হাজির হওয়াটা জরুরি। এটা দেশের জন্য ভালো, রাজনীতির জন্যও ভালো।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ববি হাজ্জাজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইটিআই ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ববি হাজ্জাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইটিআই ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ববি হাজ্জাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-১৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ববি হাজ্জাজ। আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভবনে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই আসনের রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

এ সময় ববি হাজ্জাদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশাবাদী আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে। ইসি তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।

কৌশলগত কারণে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জোটে ছিলাম, জোটে আছি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা শুরু থেকেই আমাদের সহযোগিতা করছেন। কৌশলগত কারণে আমরা এক মার্কায় নির্বাচন করব। প্রথম থেকেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা সহযোগিতা করছেন।

এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ নিজ দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচনে আর কোনো আইনি বাধা নেই মান্নার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

ঋণখেলাপির তালিকায় থাকা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। এর ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর অংশ নিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মান্নার আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২ শতাংশ ঋণের টাকা পরিশোধ করে রি-শিডিউল করতে হয়। মান্না তাঁর থেকে বেশি টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপর ব্যাংক তাঁর নোটিশ প্রত্যাহারও করেছেন। যে কারণে তাঁর নির্বাচন করতে বাধা নেই।

ইসলামী ব্যাংকের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চেম্বার আদালত ঋণ খেলাপির তালিকা ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। তাই মাহমুদুর রহমান মান্নার নির্বাচনে বাধা নেই।

এর আগে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম দিতে নির্দেশনা চেয়ে মান্নার করা রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তিনি। গতকাল রোববার আবেদনটি চেম্বার আদালতে উঠলে আজকের দিন পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ১০ ডিসেম্বর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডকে ‘কলব্যাক নোটিশ’ পাঠায়। নোটিশটি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায় পাঠানো হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না আফাকু কোল্ডস্টোরেজের ৫০ শতাংশের অংশীদার আর এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ২৫ শতাংশ এবং তাঁর স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু ২৫ শতাংশ অংশীদার। নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

পরে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গত বুধবার হাইকোর্ট মান্নার রিট খারিজ করে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জেবু এখন জাইমাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছবি: জাইমার ফেসবুক প্রোফাইল
জেবু এখন জাইমাদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ছবি: জাইমার ফেসবুক প্রোফাইল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমান সম্প্রতি তাঁর পোষা বিড়াল ‘জেবু’কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। জেবুকে ঘিরে সাধারণ মানুষের কৌতূহল দেখে জাইমা যেমন অবাক হয়েছেন, তেমনি প্রাণীর প্রতি মানুষের মমতা ও দায়িত্ববোধের বিষয়টিকেও সামনে এনেছেন।

জাইমা রহমান তাঁর লেখায় উল্লেখ করেছেন, জেবুকে যখন প্রথম বিড়ালছানা হিসেবে বাড়িতে আনা হয়েছিল, তখন কেউ ভাবেনি যে সে পরিবারের এত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠবে। জাইমার ভাষ্যমতে, তাঁর বাবা-মা (তারেক রহমান ও ডা. জুবায়দা রহমান) বাসায় ফিরে আগে জেবুর খবর নিতেন, তারপর মেয়ের খোঁজ করতেন। জাইমার মা যখন বাগানে কাজ করতেন বা হাঁটতে বের হতেন, জেবু সারাক্ষণ তাঁর চারপাশেই থাকত।

জাইমা আরও জানান, সন্ধ্যায় তারেক রহমানের অনলাইন মিটিংগুলো চলাকালীন জেবু শান্ত হয়ে তাঁর কোলে বসে থাকত এবং পরম আদরে সময় কাটাত। জাইমা মনে করেন, প্রাণীরা মানুষের মনের অবস্থা বুঝতে পারে। তাঁর মন খারাপ থাকলে জেবু তাঁর কোমল স্পর্শ দিয়ে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করত।

বর্তমানে জেবু মহাদেশ পেরিয়ে এক নতুন পরিবেশে এসেছে। জাইমা তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন, পোষা প্রাণী নিয়ে আবাসন পরিবর্তন করা কতটা কঠিন। মানুষের মতো প্রাণীদের জন্যও এই পরিবর্তনটা বেশ কষ্টের ও বড় চ্যালেঞ্জের, এটা হয়তো মানুষ সব সময় পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে না।

বিড়াল সাধারণত ‘মিউ মিউ’ করলেও জেবু একেবারেই তা করে না। জাইমা মজার ছলে জানান, জেবু আলমারিতে আটকে পড়লেও ডাকে না। তবে খুশি বা অবাক হলে পাখির মতো নরম স্বরে শব্দ করে। আবার অনুমতি ছাড়া কেউ তাকে কোলে নিলে হালকা বিরক্তি প্রকাশ করে। অন্য কোনো বিড়াল অপছন্দ হলে বেশ জোরে চিৎকার করতেও পিছপা হয় না সে।

জাইমা রহমানের মতে, কোনো প্রাণীর দায়িত্ব নেওয়া মানে আল্লাহর সৃষ্টির সেবা করা। জেবুর মাধ্যমে তাঁদের পরিবার ধৈর্য ও প্রাণীর প্রতি মমতা শিখেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, যে ব্যক্তি কোনো অবলা জীবের দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ পায়, সে নিজের সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু জানতে পারে যা আগে কখনো কল্পনাও করেনি। জাইমা মনে করেন, ভালোবাসা কোনো প্রজাতির সীমা মানে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৮
নাহিদ ইসলাম ও আতিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
নাহিদ ইসলাম ও আতিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জোট চূড়ান্ত হওয়ার পর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট করে এ কথা জানান ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি।

ফেসবুক পোস্টে আতিকুর রহমান লিখেছেন, ‘ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে জনাব নাহিদ ইসলামের জন্য শুভকামনা। দীর্ঘ ১০ মাস ২২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারী থেকে মুক্তি পেলাম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখে সংগঠনের সিদ্ধান্তের পর থেকে ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনকে ইসলামি আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করার জন্য সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালিয়েছি। ব্যক্তি, পরিবার, পেশাগত দায়িত্ব সবকিছুর ঊর্ধ্বে ময়দানে ভূমিকা এবং জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা-১১ (রামপুরা-বাড্ডা-ভাটারা-হাতিরঝিল আংশিক) সংসদীয় আসনের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা এ স্বল্প সময়ে আমাকে আপনাদের আপনজন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন এবং অভূতপূর্ব ভালোবাসায় আবদ্ধ করেছেন। মহান রাব্বুল আলামিন আপনাদের সবাইকে সামগ্রিক কল্যাণ দান করুন, ভালো ও নিরাপদে রাখুন।’

ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য এবং আস্থাশীল। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা একযোগে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত