অর্চি হক, ঢাকা

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন দুই দলের একাধিক নেতা। তবে তাঁদের ভাষ্য, এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। একীভূত হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় আপ বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং দলও যুক্ত হতে পারে।
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট অনেকটা একই রকম। দুটি দলেরই যাত্রা শুরু কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদে রূপ নেয়। আর ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কিছুদিন পর গড়ে তোলেন এনসিপি। আবার এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতারই আন্দোলন-কর্মসূচিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে। সেই হিসেবে নুরুল হক নুর এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও বলে থাকেন কেউ কেউ। গণঅধিকার পরিষদ গত বছর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলেও এনসিপি এখনো তা পায়নি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসানকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা সরাসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে আখতার হোসেন মধ্যপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ফারুক হাসান ‘তারুণ্যের শক্তিগুলোর এক হওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকার’ কথা জানিয়েছেন।
আলোচনার শুরু হাসপাতালে মিছিলের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরকে হাসপাতালে দেখতে যান নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তখন দুই দলের নেতাদের মধ্যে সংগঠন এক করা নিয়ে আলোচনা হয়।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে এনসিপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়টি এখনো অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর্যায়ে আছে। কংক্রিট (সুনির্দিষ্ট) কিছু হয়নি।
রাজনৈতিক পরিসরে এমন একটা আলাপ আছে, তরুণেরা এক হোক। তাদের সম্মিলিতভাবে কিছু করা উচিত। সেই ভাবনা থেকেই কিছু আলাপ হচ্ছে। নুরুল ভাই অসুস্থ ছিলেন; তাঁকে নাহিদ, আসিফ দেখতে গেছেন। তখন কিছু কথা হয়েছে।’
নুরুল হক এখনো অসুস্থ উল্লেখ করে এনসিপিতে যোগ দেওয়া নেতা আরও বলেন, এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে খুব বেশি এগোনোও যাচ্ছে না। দুই দলের নেতাদের আলাপের (হাসপাতালে) ওপর ভিত্তি করে বসে কথাবার্তার মতো কিছু এখনো হয়নি।
একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে মার্জ (একীভূত) হওয়ার আলোচনা চলছে। অনানুষ্ঠানিক টুকটাক আলোচনা হচ্ছে। আগ্রহ আমাদের দুই পক্ষেরই আছে। আমরা এক হওয়ার পরে আরও অনেকেই যুক্ত হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের ওই নেতা আরও বলেন, ডাকসু-জাকসুতে বাগছাসের হারের পর ওরা (এনসিপি) একটু চাপে আছে। এখন জোট করে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। তবে তরুণদের দুটি দল যদি এক হতে পারে, তখন এই দলটাকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনী জোট হতে পারে। দেশের রাজনীতিতে এটা দরকার। ভেতরে-ভেতরে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
‘একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি’
দুই দলের একাধিক নেতা বলেছেন, একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি। তবে কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আসবে। কত দিনের মধ্যে একীভূতকরণ হতে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে এক নেতা বলেন, ‘নেতাদের মধ্যে ম্যাচআপের (মিলমিশ বা সমন্বয়) বিষয় আছে। কর্মীদের ম্যাচআপের বিষয় আছে। ফলে এটা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে নির্বাচনের তফসিলের আগেই এর সমাধান করতে চাই আমরা।’
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে বলে স্বীকার করেছেন এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। তবে এ মুহূর্তেই এ নিয়ে নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন নেতা বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিতে যোগ দিতে চায়, এমন একটা আলাপ আমাদের মধ্যে আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। নিজেদের ফোরামে কথা বলছি। তাদের (গণঅধিকার পরিষদ) সঙ্গেও কথা বলছি। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এনসিপির আরেকজন নেতা আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে আলাপে এ-ও জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চলমান আলোচনা নিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা মধ্যপন্থী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বাংলাদেশে যারা মধ্যপন্থী রাজনীতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করে, তাদের যে কারও এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি।’
অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। এমন কোনো কিছু ঘটলে জানতে পারবেন। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলো এক হওয়ার চেষ্টা করছি।’
একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করা এনসিপির একজন নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ ছাড়া আর কোনো দলের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে কি না, জবাবে ওই নেতা বলেন, আপাতত শুধু গণঅধিকার পরিষদই নিয়েই কথা হচ্ছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত আমাদের আলোচনা এগিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকগুলো ইস্যু বাকি।
আরও যারা দলে ভিড়তে পারে
এই নেতা বিশদ কিছু না বললেও রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশও এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দল দুটির বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, তাদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হলেও একীভূত হওয়ার আলোচনা হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যাঁরা আসার, তাঁরা আগেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। আর আপ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের দু-একজন একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার একটা প্রস্তাব আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির কনসিস্ট্যান্সি (ধারাবাহিকতা) নিয়ে আমাদের একটু সংশয় আছে। তবে একটা আলোচনা হচ্ছে।’
আপ বাংলাদেশের শীর্ষ একজন নেতা জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে তাঁদের অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দফা কথা হয়েছে। একীভূত হওয়া না হলেও জোটগতভাবে এগোনোর বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, সামনে আরও আলোচনা হবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, রাজনীতিতে এখন হয় আপনি বিএনপিপন্থী, নয়তো জামায়াতপন্থী বা ইসলামপন্থী। এই বয়ান দিয়ে তো পলিটিকস এগোয় না। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই মধ্যপন্থী। বিএনপি এই ৮০ শতাংশ মানুষকে ধারণ করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই তরুণদের সম্মিলিতভাবে রাজনীতির মাঠে হাজির হওয়াটা জরুরি। এটা দেশের জন্য ভালো, রাজনীতির জন্যও ভালো।
আরও খবর পড়ুন:

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন দুই দলের একাধিক নেতা। তবে তাঁদের ভাষ্য, এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। একীভূত হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় আপ বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং দলও যুক্ত হতে পারে।
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট অনেকটা একই রকম। দুটি দলেরই যাত্রা শুরু কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদে রূপ নেয়। আর ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কিছুদিন পর গড়ে তোলেন এনসিপি। আবার এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতারই আন্দোলন-কর্মসূচিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে। সেই হিসেবে নুরুল হক নুর এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও বলে থাকেন কেউ কেউ। গণঅধিকার পরিষদ গত বছর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলেও এনসিপি এখনো তা পায়নি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসানকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা সরাসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে আখতার হোসেন মধ্যপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ফারুক হাসান ‘তারুণ্যের শক্তিগুলোর এক হওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকার’ কথা জানিয়েছেন।
আলোচনার শুরু হাসপাতালে মিছিলের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরকে হাসপাতালে দেখতে যান নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তখন দুই দলের নেতাদের মধ্যে সংগঠন এক করা নিয়ে আলোচনা হয়।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে এনসিপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়টি এখনো অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর্যায়ে আছে। কংক্রিট (সুনির্দিষ্ট) কিছু হয়নি।
রাজনৈতিক পরিসরে এমন একটা আলাপ আছে, তরুণেরা এক হোক। তাদের সম্মিলিতভাবে কিছু করা উচিত। সেই ভাবনা থেকেই কিছু আলাপ হচ্ছে। নুরুল ভাই অসুস্থ ছিলেন; তাঁকে নাহিদ, আসিফ দেখতে গেছেন। তখন কিছু কথা হয়েছে।’
নুরুল হক এখনো অসুস্থ উল্লেখ করে এনসিপিতে যোগ দেওয়া নেতা আরও বলেন, এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে খুব বেশি এগোনোও যাচ্ছে না। দুই দলের নেতাদের আলাপের (হাসপাতালে) ওপর ভিত্তি করে বসে কথাবার্তার মতো কিছু এখনো হয়নি।
একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে মার্জ (একীভূত) হওয়ার আলোচনা চলছে। অনানুষ্ঠানিক টুকটাক আলোচনা হচ্ছে। আগ্রহ আমাদের দুই পক্ষেরই আছে। আমরা এক হওয়ার পরে আরও অনেকেই যুক্ত হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের ওই নেতা আরও বলেন, ডাকসু-জাকসুতে বাগছাসের হারের পর ওরা (এনসিপি) একটু চাপে আছে। এখন জোট করে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। তবে তরুণদের দুটি দল যদি এক হতে পারে, তখন এই দলটাকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনী জোট হতে পারে। দেশের রাজনীতিতে এটা দরকার। ভেতরে-ভেতরে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
‘একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি’
দুই দলের একাধিক নেতা বলেছেন, একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি। তবে কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আসবে। কত দিনের মধ্যে একীভূতকরণ হতে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে এক নেতা বলেন, ‘নেতাদের মধ্যে ম্যাচআপের (মিলমিশ বা সমন্বয়) বিষয় আছে। কর্মীদের ম্যাচআপের বিষয় আছে। ফলে এটা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে নির্বাচনের তফসিলের আগেই এর সমাধান করতে চাই আমরা।’
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে বলে স্বীকার করেছেন এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। তবে এ মুহূর্তেই এ নিয়ে নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন নেতা বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিতে যোগ দিতে চায়, এমন একটা আলাপ আমাদের মধ্যে আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। নিজেদের ফোরামে কথা বলছি। তাদের (গণঅধিকার পরিষদ) সঙ্গেও কথা বলছি। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এনসিপির আরেকজন নেতা আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে আলাপে এ-ও জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চলমান আলোচনা নিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা মধ্যপন্থী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বাংলাদেশে যারা মধ্যপন্থী রাজনীতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করে, তাদের যে কারও এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি।’
অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। এমন কোনো কিছু ঘটলে জানতে পারবেন। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলো এক হওয়ার চেষ্টা করছি।’
একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করা এনসিপির একজন নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ ছাড়া আর কোনো দলের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে কি না, জবাবে ওই নেতা বলেন, আপাতত শুধু গণঅধিকার পরিষদই নিয়েই কথা হচ্ছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত আমাদের আলোচনা এগিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকগুলো ইস্যু বাকি।
আরও যারা দলে ভিড়তে পারে
এই নেতা বিশদ কিছু না বললেও রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশও এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দল দুটির বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, তাদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হলেও একীভূত হওয়ার আলোচনা হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যাঁরা আসার, তাঁরা আগেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। আর আপ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের দু-একজন একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার একটা প্রস্তাব আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির কনসিস্ট্যান্সি (ধারাবাহিকতা) নিয়ে আমাদের একটু সংশয় আছে। তবে একটা আলোচনা হচ্ছে।’
আপ বাংলাদেশের শীর্ষ একজন নেতা জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে তাঁদের অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দফা কথা হয়েছে। একীভূত হওয়া না হলেও জোটগতভাবে এগোনোর বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, সামনে আরও আলোচনা হবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, রাজনীতিতে এখন হয় আপনি বিএনপিপন্থী, নয়তো জামায়াতপন্থী বা ইসলামপন্থী। এই বয়ান দিয়ে তো পলিটিকস এগোয় না। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই মধ্যপন্থী। বিএনপি এই ৮০ শতাংশ মানুষকে ধারণ করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই তরুণদের সম্মিলিতভাবে রাজনীতির মাঠে হাজির হওয়াটা জরুরি। এটা দেশের জন্য ভালো, রাজনীতির জন্যও ভালো।
আরও খবর পড়ুন:
অর্চি হক, ঢাকা

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন দুই দলের একাধিক নেতা। তবে তাঁদের ভাষ্য, এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। একীভূত হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় আপ বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং দলও যুক্ত হতে পারে।
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট অনেকটা একই রকম। দুটি দলেরই যাত্রা শুরু কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদে রূপ নেয়। আর ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কিছুদিন পর গড়ে তোলেন এনসিপি। আবার এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতারই আন্দোলন-কর্মসূচিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে। সেই হিসেবে নুরুল হক নুর এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও বলে থাকেন কেউ কেউ। গণঅধিকার পরিষদ গত বছর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলেও এনসিপি এখনো তা পায়নি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসানকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা সরাসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে আখতার হোসেন মধ্যপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ফারুক হাসান ‘তারুণ্যের শক্তিগুলোর এক হওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকার’ কথা জানিয়েছেন।
আলোচনার শুরু হাসপাতালে মিছিলের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরকে হাসপাতালে দেখতে যান নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তখন দুই দলের নেতাদের মধ্যে সংগঠন এক করা নিয়ে আলোচনা হয়।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে এনসিপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়টি এখনো অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর্যায়ে আছে। কংক্রিট (সুনির্দিষ্ট) কিছু হয়নি।
রাজনৈতিক পরিসরে এমন একটা আলাপ আছে, তরুণেরা এক হোক। তাদের সম্মিলিতভাবে কিছু করা উচিত। সেই ভাবনা থেকেই কিছু আলাপ হচ্ছে। নুরুল ভাই অসুস্থ ছিলেন; তাঁকে নাহিদ, আসিফ দেখতে গেছেন। তখন কিছু কথা হয়েছে।’
নুরুল হক এখনো অসুস্থ উল্লেখ করে এনসিপিতে যোগ দেওয়া নেতা আরও বলেন, এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে খুব বেশি এগোনোও যাচ্ছে না। দুই দলের নেতাদের আলাপের (হাসপাতালে) ওপর ভিত্তি করে বসে কথাবার্তার মতো কিছু এখনো হয়নি।
একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে মার্জ (একীভূত) হওয়ার আলোচনা চলছে। অনানুষ্ঠানিক টুকটাক আলোচনা হচ্ছে। আগ্রহ আমাদের দুই পক্ষেরই আছে। আমরা এক হওয়ার পরে আরও অনেকেই যুক্ত হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের ওই নেতা আরও বলেন, ডাকসু-জাকসুতে বাগছাসের হারের পর ওরা (এনসিপি) একটু চাপে আছে। এখন জোট করে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। তবে তরুণদের দুটি দল যদি এক হতে পারে, তখন এই দলটাকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনী জোট হতে পারে। দেশের রাজনীতিতে এটা দরকার। ভেতরে-ভেতরে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
‘একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি’
দুই দলের একাধিক নেতা বলেছেন, একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি। তবে কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আসবে। কত দিনের মধ্যে একীভূতকরণ হতে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে এক নেতা বলেন, ‘নেতাদের মধ্যে ম্যাচআপের (মিলমিশ বা সমন্বয়) বিষয় আছে। কর্মীদের ম্যাচআপের বিষয় আছে। ফলে এটা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে নির্বাচনের তফসিলের আগেই এর সমাধান করতে চাই আমরা।’
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে বলে স্বীকার করেছেন এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। তবে এ মুহূর্তেই এ নিয়ে নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন নেতা বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিতে যোগ দিতে চায়, এমন একটা আলাপ আমাদের মধ্যে আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। নিজেদের ফোরামে কথা বলছি। তাদের (গণঅধিকার পরিষদ) সঙ্গেও কথা বলছি। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এনসিপির আরেকজন নেতা আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে আলাপে এ-ও জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চলমান আলোচনা নিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা মধ্যপন্থী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বাংলাদেশে যারা মধ্যপন্থী রাজনীতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করে, তাদের যে কারও এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি।’
অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। এমন কোনো কিছু ঘটলে জানতে পারবেন। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলো এক হওয়ার চেষ্টা করছি।’
একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করা এনসিপির একজন নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ ছাড়া আর কোনো দলের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে কি না, জবাবে ওই নেতা বলেন, আপাতত শুধু গণঅধিকার পরিষদই নিয়েই কথা হচ্ছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত আমাদের আলোচনা এগিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকগুলো ইস্যু বাকি।
আরও যারা দলে ভিড়তে পারে
এই নেতা বিশদ কিছু না বললেও রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশও এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দল দুটির বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, তাদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হলেও একীভূত হওয়ার আলোচনা হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যাঁরা আসার, তাঁরা আগেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। আর আপ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের দু-একজন একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার একটা প্রস্তাব আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির কনসিস্ট্যান্সি (ধারাবাহিকতা) নিয়ে আমাদের একটু সংশয় আছে। তবে একটা আলোচনা হচ্ছে।’
আপ বাংলাদেশের শীর্ষ একজন নেতা জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে তাঁদের অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দফা কথা হয়েছে। একীভূত হওয়া না হলেও জোটগতভাবে এগোনোর বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, সামনে আরও আলোচনা হবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, রাজনীতিতে এখন হয় আপনি বিএনপিপন্থী, নয়তো জামায়াতপন্থী বা ইসলামপন্থী। এই বয়ান দিয়ে তো পলিটিকস এগোয় না। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই মধ্যপন্থী। বিএনপি এই ৮০ শতাংশ মানুষকে ধারণ করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই তরুণদের সম্মিলিতভাবে রাজনীতির মাঠে হাজির হওয়াটা জরুরি। এটা দেশের জন্য ভালো, রাজনীতির জন্যও ভালো।
আরও খবর পড়ুন:

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন দুই দলের একাধিক নেতা। তবে তাঁদের ভাষ্য, এ নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। একীভূত হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় আপ বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এবং দলও যুক্ত হতে পারে।
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট অনেকটা একই রকম। দুটি দলেরই যাত্রা শুরু কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গঠিত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ২০২১ সালে গণঅধিকার পরিষদে রূপ নেয়। আর ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কিছুদিন পর গড়ে তোলেন এনসিপি। আবার এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতারই আন্দোলন-কর্মসূচিতে হাতেখড়ি হয়েছিল নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে। সেই হিসেবে নুরুল হক নুর এনসিপির অনেক নেতার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেও বলে থাকেন কেউ কেউ। গণঅধিকার পরিষদ গত বছর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেলেও এনসিপি এখনো তা পায়নি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসানকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা সরাসরি বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে আখতার হোসেন মধ্যপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলানোকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ফারুক হাসান ‘তারুণ্যের শক্তিগুলোর এক হওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকার’ কথা জানিয়েছেন।
আলোচনার শুরু হাসপাতালে মিছিলের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরকে হাসপাতালে দেখতে যান নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির শীর্ষ কয়েকজন নেতা। তখন দুই দলের নেতাদের মধ্যে সংগঠন এক করা নিয়ে আলোচনা হয়।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে এনসিপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়টি এখনো অনানুষ্ঠানিক আলোচনার পর্যায়ে আছে। কংক্রিট (সুনির্দিষ্ট) কিছু হয়নি।
রাজনৈতিক পরিসরে এমন একটা আলাপ আছে, তরুণেরা এক হোক। তাদের সম্মিলিতভাবে কিছু করা উচিত। সেই ভাবনা থেকেই কিছু আলাপ হচ্ছে। নুরুল ভাই অসুস্থ ছিলেন; তাঁকে নাহিদ, আসিফ দেখতে গেছেন। তখন কিছু কথা হয়েছে।’
নুরুল হক এখনো অসুস্থ উল্লেখ করে এনসিপিতে যোগ দেওয়া নেতা আরও বলেন, এ কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে খুব বেশি এগোনোও যাচ্ছে না। দুই দলের নেতাদের আলাপের (হাসপাতালে) ওপর ভিত্তি করে বসে কথাবার্তার মতো কিছু এখনো হয়নি।
একীভূত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘এনসিপির সঙ্গে মার্জ (একীভূত) হওয়ার আলোচনা চলছে। অনানুষ্ঠানিক টুকটাক আলোচনা হচ্ছে। আগ্রহ আমাদের দুই পক্ষেরই আছে। আমরা এক হওয়ার পরে আরও অনেকেই যুক্ত হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের ওই নেতা আরও বলেন, ডাকসু-জাকসুতে বাগছাসের হারের পর ওরা (এনসিপি) একটু চাপে আছে। এখন জোট করে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে না। তবে তরুণদের দুটি দল যদি এক হতে পারে, তখন এই দলটাকে কেন্দ্র করেই নির্বাচনী জোট হতে পারে। দেশের রাজনীতিতে এটা দরকার। ভেতরে-ভেতরে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
‘একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি’
দুই দলের একাধিক নেতা বলেছেন, একীভূত দলের নাম হবে এনসিপি। তবে কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আসবে। কত দিনের মধ্যে একীভূতকরণ হতে পারে, এ প্রশ্নের জবাবে এক নেতা বলেন, ‘নেতাদের মধ্যে ম্যাচআপের (মিলমিশ বা সমন্বয়) বিষয় আছে। কর্মীদের ম্যাচআপের বিষয় আছে। ফলে এটা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে নির্বাচনের তফসিলের আগেই এর সমাধান করতে চাই আমরা।’
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে বলে স্বীকার করেছেন এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা। তবে এ মুহূর্তেই এ নিয়ে নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে চাইছেন না তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন নেতা বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিতে যোগ দিতে চায়, এমন একটা আলাপ আমাদের মধ্যে আছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। নিজেদের ফোরামে কথা বলছি। তাদের (গণঅধিকার পরিষদ) সঙ্গেও কথা বলছি। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এনসিপির আরেকজন নেতা আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে আলাপে এ-ও জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চলমান আলোচনা নিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা মধ্যপন্থী রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। বাংলাদেশে যারা মধ্যপন্থী রাজনীতির সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করে, তাদের যে কারও এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি।’
অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আলোচনা তো অনেক কিছুই হচ্ছে। এমন কোনো কিছু ঘটলে জানতে পারবেন। আমরা তারুণ্যের শক্তিগুলো এক হওয়ার চেষ্টা করছি।’
একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা স্বীকার করা এনসিপির একজন নেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল গণঅধিকার পরিষদ ছাড়া আর কোনো দলের সঙ্গে এ ধরনের আলোচনা হচ্ছে কি না, জবাবে ওই নেতা বলেন, আপাতত শুধু গণঅধিকার পরিষদই নিয়েই কথা হচ্ছে। একটা পর্যায় পর্যন্ত আমাদের আলোচনা এগিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকগুলো ইস্যু বাকি।
আরও যারা দলে ভিড়তে পারে
এই নেতা বিশদ কিছু না বললেও রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশও এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। দল দুটির বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, তাদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হলেও একীভূত হওয়ার আলোচনা হয়নি। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যাঁরা আসার, তাঁরা আগেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। আর আপ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মের দু-একজন একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।
এ বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এক নেতা বলেন, ‘একীভূত হওয়ার একটা প্রস্তাব আছে। কিন্তু সেটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির কনসিস্ট্যান্সি (ধারাবাহিকতা) নিয়ে আমাদের একটু সংশয় আছে। তবে একটা আলোচনা হচ্ছে।’
আপ বাংলাদেশের শীর্ষ একজন নেতা জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে তাঁদের অনানুষ্ঠানিকভাবে দুই দফা কথা হয়েছে। একীভূত হওয়া না হলেও জোটগতভাবে এগোনোর বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, সামনে আরও আলোচনা হবে। আলোচনার মধ্য দিয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে এনসিপির একজন নেতা বলেন, রাজনীতিতে এখন হয় আপনি বিএনপিপন্থী, নয়তো জামায়াতপন্থী বা ইসলামপন্থী। এই বয়ান দিয়ে তো পলিটিকস এগোয় না। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষই মধ্যপন্থী। বিএনপি এই ৮০ শতাংশ মানুষকে ধারণ করতে পারে না। ফলে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের একটা চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই তরুণদের সম্মিলিতভাবে রাজনীতির মাঠে হাজির হওয়াটা জরুরি। এটা দেশের জন্য ভালো, রাজনীতির জন্যও ভালো।
আরও খবর পড়ুন:

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ। শুক্রবার ভোরে তাঁকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রওনা হওয়ার কথা থাকলেও এই সূচি ঠিক থাকছে না। দুপুর নাগাদ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা ছাড়তে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত নয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। আর নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরেকটি পাঠাবে কাতার। সেকারণেই এই দেরি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাতের মধ্যেই ঢাকা এসে পৌঁছাবে এবং সম্ভবত খুব ভোরেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাবে। তবে সন্ধ্যা বেলায় বিএনপি মহাসচিব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটির কথা জানান।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
এ দিকে খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমান। বৃহস্পতিবার সস্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পর (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডন ছেড়েছেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জুবাইদা রহমান এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন তিনি।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।
চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছেন। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—আজ বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে।

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় নিরাপত্তার স্বার্থে দলটিকে দুটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিআরটিএ দেওয়া রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত রিপোর্টের নথি এসেছে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে।
রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বলছে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন আইডি ২-৬২৮৪৬১৯ এবং গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ-১৬-৬৫২৮। গাড়িটি কোনো ব্যক্তির নামে নয়, বরং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধিত। মালিকের ঠিকানা হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘২৮/১ নয়াপল্টন’ উল্লেখ করা হয়েছে। গাড়িটি আমদানি করেছে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইমপোর্টস লিমিটেড।
রেজিস্ট্রেশনের দিনই (২ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সাবিকুন নাহার গাড়িটির ফিটনেস সনদ অনুমোদন করেন। ফিটনেসের মেয়াদ ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্য, যা আগামী বছরের ১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
গাড়িটির সাধারণ ওজন ২ হাজার ৭৯০ কেজি এবং সর্বোচ্চ ওজন ৩ হাজার ৮৫ কেজি। গাড়িটি জাপানের টয়োটা মোটর করপোরেশনের তৈরি।

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কাতার থেকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দেশে আসার পর একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে লন্ডন নেওয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আজ শুক্রবার ভোরের মধ্যেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টায় কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির ঢাকা আসার কথা। তবে এই সময়ের কিছু হেরফের হতে পারে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসার পর ‘ফ্লাইট ইন্সপেকশনে’ ঘণ্টাখানেক সময় লাগতে পারে। ভোরের দিকে খালেদা জিয়াকে হেলিকপ্টারে এনে বিমানবন্দরে আনা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেওয়া তা ঢাকায় পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর সঙ্গে কারা লন্ডন যাবেন, তা ঠিক করে তাদের ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেছে বিএনপি। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যেতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, জোবাইদা রহমান বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। তাঁর ফ্লাইটটি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। সেক্ষেত্রে কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হলে হয়তো তাঁর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরে যাওয়া সম্ভব হতে পারে।
আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে একটি চিকিৎসক দল যাচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অত্যন্ত আধুনিক। এর মধ্যে অপারেশন থিয়েটার থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই রয়েছে।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এয়ারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী লন্ডনের একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরই মধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন। চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদের রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাকবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ ২ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্য দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সকে (এসএসএফ) দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ২ ডিসেম্বর থেকেই এসএসএফ ও পিজিআর সদস্যরা এভারকেয়ার এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এসএসএফ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের দুটি মাঠে গতকাল দুপুরে হেলিকপ্টার মহড়া দেয়।
দলীয় সূত্র বলেছে, খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হতে পারে। তবে হেলিকপ্টারে করেই নাকি সড়কপথে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কাছে নেওয়া হবে, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনুরোধ করে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকায় কাতারের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দেয় বিএনপি। পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাতার দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্র দেয়। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কাতার দূতাবাস জানায়, কূটনৈতিক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের সরকার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।
গত মাসে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে দলের উদ্বিগ্ন নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। গতকালও হাসপাতালের সামনে মানুষের ভিড় দেখা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিন ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকজন চিকিৎসকও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এ ছাড়া চীন ও যুক্তরাজ্য থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে সশরীর বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার রাতে হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন। আগের দিন তিন বাহিনীর প্রধানদের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এভারকেয়ারে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসেন। এনসিপিসহ আরও কিছু দলের নেতাও এভারকেয়ারে গিয়েছেন।

নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কিছুদিন ধরেই নির্বাচনের আগে-পরের জোটের চুলচেরা হিসাবে ব্যস্ত। এমন আবহে একীভূত হওয়ার চিন্তা করছে তরুণ নেতৃত্বাধীন দুই দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ। রাজনীতির মাঠে তারুণ্যের শক্তিকে এক করে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়তেই এই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কারিগরি ত্রুটি ধরার পর দ্রুত তা মেরামত সম্ভব হয়নি। এরপর নতুন আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেটি ঢাকা পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
সাদা রঙের, সাত আসনের ও ২ হাজার ৮০০ সিসির একটি টয়োটা ‘হার্ড জিপ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নামে নিবন্ধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস অনুমোদন দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে