নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মধ্যেও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি।’ বিচার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সুস্পষ্ট ও দায়িত্বশীল অবস্থান নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় পাঠানো তাঁর এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাদি হত্যার দ্রুততম ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানান ভিপি সাদিক কায়েম।
সাদিক কায়েম বলেন, শহীদ ওসমান হাদিকে হারিয়ে তাঁর পরিবার আজ দিশেহারা। ছোট্ট সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁর স্ত্রী ন্যায়বিচারের আশায় অপেক্ষায় দিন গুনছেন। গভীর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ‘শহীদি শপথ’ গ্রহণ করেছেন শহীদের হাতে গড়া ইনকিলাব মঞ্চের সহযোদ্ধারা।
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, এত কিছুর পরও এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়লেও শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে তেমন কোনো কার্যকর তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। খুনি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানসহ এই হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি, এমনকি খুনির অবস্থান সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি।
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবি ও আন্দোলনকে ছাত্র-জনতার মন থেকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণমাধ্যমেও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে পর্যাপ্ত ফলোআপ সংবাদ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।
সব ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার কথা জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন, সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শপথ করছি, শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের ইনসাফভিত্তিক, সার্বভৌম ও মর্যাদাশীল একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মধ্যেও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি।’ বিচার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সুস্পষ্ট ও দায়িত্বশীল অবস্থান নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় পাঠানো তাঁর এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাদি হত্যার দ্রুততম ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানান ভিপি সাদিক কায়েম।
সাদিক কায়েম বলেন, শহীদ ওসমান হাদিকে হারিয়ে তাঁর পরিবার আজ দিশেহারা। ছোট্ট সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁর স্ত্রী ন্যায়বিচারের আশায় অপেক্ষায় দিন গুনছেন। গভীর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ‘শহীদি শপথ’ গ্রহণ করেছেন শহীদের হাতে গড়া ইনকিলাব মঞ্চের সহযোদ্ধারা।
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, এত কিছুর পরও এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়লেও শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে তেমন কোনো কার্যকর তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। খুনি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানসহ এই হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি, এমনকি খুনির অবস্থান সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি।
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবি ও আন্দোলনকে ছাত্র-জনতার মন থেকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণমাধ্যমেও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে পর্যাপ্ত ফলোআপ সংবাদ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।
সব ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার কথা জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন, সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শপথ করছি, শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের ইনসাফভিত্তিক, সার্বভৌম ও মর্যাদাশীল একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে নিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একধরনের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নিরীহ সমালোচনাকারীদের মুক্তি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন হেফাজতের এই দুই নেতা।
৭ ঘণ্টা আগে
দলীয় নেতাদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কিন্তু আমার হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে নির্বাচনে যেতে বলেন, সেটা সম্ভব হবে না। আমি মুক্ত হতে চাই।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলে রাতেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে নিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একধরনের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে শুরু হওয়া ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নাহিদ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান, পারস্পরিক আস্থাহীনতা, নির্বাচন ঘিরে উদ্বেগ, ‘নতুন বাংলাদেশ’ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিসহ নানান বিষয়ে দলের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এই ভোটগুলো নিশ্চিত করতে তারা (জামায়াত-বিএনপি) কিছু লক্ষণ দেখাচ্ছে। তারা বলছে, মামলাগুলো (আওয়ামী লীগের) প্রত্যাহার করা হবে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপি ও অন্যান্য দলে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে নাহিদ কুমিল্লার দেবিদ্বারের একটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, দেবিদ্বারে গণমাধ্যম ও পুলিশ সুপারের সামনে বড় আয়োজন করে ২০০ জন আওয়ামী লীগের লোক বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এটা শুধু একটি উদাহরণ।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ট্রুথ কমিশনের মাধ্যমে ‘আওয়ামী লীগ প্রশ্ন’ সমাধান না হওয়ায় দেশ ভুগছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী দলকে যারা সমর্থন করেছে আর যারা গণহত্যা বা সন্ত্রাসে জড়িত—এই দুই শ্রেণির মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য করতে হবে।
এর আগে এক দর্শক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না এবং তা ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?’ এর জবাবে মির্জা ফখরুল অভিযোগটিকে ‘সাধারণীকরণ’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছি। আমরা এতটা দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছাইনি যে ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ নাকচ করেন। এমন ধারণার জন্য তিনি ‘হলুদ সাংবাদিকতা’কে দায়ী করে বলেন, ‘আমাদের দলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এত রক্ত ও জীবন দেওয়ার পর ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না।’ তবে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ প্রসঙ্গে বলেন, অনুপ্রবেশ নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন, কারণ এটি বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বাস্তবতা। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি, পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে কীভাবে ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য হওয়া যেত।’ তবে তাঁর মতে, ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে হলে কেবল ব্যক্তি নয়, বরং ‘লুটপাটের অর্থনীতিকে’ উপড়ে ফেলতে হবে।
সংলাপে মির্জা ফখরুল বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনায় দেশের মানুষ আবারও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এবং নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, বিএনপি শুরু থেকে নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও বিলম্বের কারণে নির্বাচন বানচালের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ‘ভিশন-২০৩০’ ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ধাপে ধাপে দেশকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।
সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমও নির্বাচন বিলম্ব বা ভন্ডুল করার রাজনৈতিক অপচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলাগুলো ‘সুপরিকল্পিত’ বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হলেও কেবল নির্বাচনেই সব সমস্যার সমাধান হবে, এই ধারণা ভুল।
জনগণের ক্ষমতায়ন, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ এবং অর্থ ও দুর্নীতির প্রভাবমুক্ত রাজনীতির ওপর মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জোর দেন। তিনি বলেন, সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে নির্বাচনে জনগণের কাছে যাওয়ার অঙ্গীকার করছে সিপিবি।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ ও মানবিক সমাজ গড়ার ভিশন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়ন দূর করে নিরাপদ ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই তাঁদের লক্ষ্য। শিক্ষা খাতে অবৈতনিক শিক্ষা, প্রযুক্তিনির্ভর পাঠ্যক্রম এবং জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। নারী, কৃষক, শ্রমিক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুযোগ বাড়িয়ে বেকারত্ব শূন্যে নামানোর পরিকল্পনার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডেইলি স্টারের কনসাল্টিং এডিটর কামাল আহমেদ এই আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা ও নাগরিকদের চাওয়া জানতে দ্য ডেইলি স্টার আয়োজন করে ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ’। আজ বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলনে এই আয়োজন শুরু হয়।
ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনামের পক্ষে যুগ্ম সম্পাদক আশা মেহরীন আমিন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘ডেইলি স্টার একটি সৎ, জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ সরকারে বিশ্বাস করে, যারা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো সমুন্নত রাখবে। এটি শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনেই সম্ভব, যা কেবল একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব হবে। তবে আমরা এটাও জানি যে, সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, এটা সম্ভব করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতার প্রয়োজন।’
আশা মেহরীন আমিন আরও বলেন, ‘এখন থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করার এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সবকিছু করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ, নাগরিক অধিকারকর্মী মিজানুর রহমান প্রমুখ।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে নিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একধরনের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে শুরু হওয়া ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নাহিদ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান, পারস্পরিক আস্থাহীনতা, নির্বাচন ঘিরে উদ্বেগ, ‘নতুন বাংলাদেশ’ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিসহ নানান বিষয়ে দলের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এই ভোটগুলো নিশ্চিত করতে তারা (জামায়াত-বিএনপি) কিছু লক্ষণ দেখাচ্ছে। তারা বলছে, মামলাগুলো (আওয়ামী লীগের) প্রত্যাহার করা হবে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপি ও অন্যান্য দলে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে নাহিদ কুমিল্লার দেবিদ্বারের একটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, দেবিদ্বারে গণমাধ্যম ও পুলিশ সুপারের সামনে বড় আয়োজন করে ২০০ জন আওয়ামী লীগের লোক বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এটা শুধু একটি উদাহরণ।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ট্রুথ কমিশনের মাধ্যমে ‘আওয়ামী লীগ প্রশ্ন’ সমাধান না হওয়ায় দেশ ভুগছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী দলকে যারা সমর্থন করেছে আর যারা গণহত্যা বা সন্ত্রাসে জড়িত—এই দুই শ্রেণির মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য করতে হবে।
এর আগে এক দর্শক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন কি না এবং তা ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?’ এর জবাবে মির্জা ফখরুল অভিযোগটিকে ‘সাধারণীকরণ’ বলে উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছি। আমরা এতটা দেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছাইনি যে ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদও জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ নাকচ করেন। এমন ধারণার জন্য তিনি ‘হলুদ সাংবাদিকতা’কে দায়ী করে বলেন, ‘আমাদের দলে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এত রক্ত ও জীবন দেওয়ার পর ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না।’ তবে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ দেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এ প্রসঙ্গে বলেন, অনুপ্রবেশ নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন, কারণ এটি বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বাস্তবতা। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘অতীতে আমরা দেখেছি, পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে কীভাবে ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্য হওয়া যেত।’ তবে তাঁর মতে, ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে হলে কেবল ব্যক্তি নয়, বরং ‘লুটপাটের অর্থনীতিকে’ উপড়ে ফেলতে হবে।
সংলাপে মির্জা ফখরুল বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনায় দেশের মানুষ আবারও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এবং নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বলেন, বিএনপি শুরু থেকে নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও বিলম্বের কারণে নির্বাচন বানচালের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ‘ভিশন-২০৩০’ ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ধাপে ধাপে দেশকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।
সিপিবির মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমও নির্বাচন বিলম্ব বা ভন্ডুল করার রাজনৈতিক অপচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলাগুলো ‘সুপরিকল্পিত’ বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হলেও কেবল নির্বাচনেই সব সমস্যার সমাধান হবে, এই ধারণা ভুল।
জনগণের ক্ষমতায়ন, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ এবং অর্থ ও দুর্নীতির প্রভাবমুক্ত রাজনীতির ওপর মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম জোর দেন। তিনি বলেন, সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখে নির্বাচনে জনগণের কাছে যাওয়ার অঙ্গীকার করছে সিপিবি।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ‘ইনসাফের বাংলাদেশ’ ও মানবিক সমাজ গড়ার ভিশন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়ন দূর করে নিরাপদ ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই তাঁদের লক্ষ্য। শিক্ষা খাতে অবৈতনিক শিক্ষা, প্রযুক্তিনির্ভর পাঠ্যক্রম এবং জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। নারী, কৃষক, শ্রমিক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুযোগ বাড়িয়ে বেকারত্ব শূন্যে নামানোর পরিকল্পনার কথাও তিনি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ডেইলি স্টারের কনসাল্টিং এডিটর কামাল আহমেদ এই আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা ও নাগরিকদের চাওয়া জানতে দ্য ডেইলি স্টার আয়োজন করে ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ’। আজ বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলনে এই আয়োজন শুরু হয়।
ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনামের পক্ষে যুগ্ম সম্পাদক আশা মেহরীন আমিন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘ডেইলি স্টার একটি সৎ, জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ সরকারে বিশ্বাস করে, যারা আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো সমুন্নত রাখবে। এটি শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনেই সম্ভব, যা কেবল একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব হবে। তবে আমরা এটাও জানি যে, সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, এটা সম্ভব করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিক সহযোগিতার প্রয়োজন।’
আশা মেহরীন আমিন আরও বলেন, ‘এখন থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করার এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সবকিছু করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ, নাগরিক অধিকারকর্মী মিজানুর রহমান প্রমুখ।

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মধ্যেও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নিরীহ সমালোচনাকারীদের মুক্তি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন হেফাজতের এই দুই নেতা।
৭ ঘণ্টা আগে
দলীয় নেতাদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কিন্তু আমার হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে নির্বাচনে যেতে বলেন, সেটা সম্ভব হবে না। আমি মুক্ত হতে চাই।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলে রাতেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নিরীহ সমালোচনাকারীদের মুক্তি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন হেফাজতের এই দুই নেতা।
বিবৃতিতে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজেদুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে যারা নিরীহ সমালোচনাকারী, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ভারতপন্থী পত্রিকা দুটির ওপর বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার ক্ষোভ বাড়বে বই কমবে না।’
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার ‘শান্তিপূর্ণ’ প্রতিবাদ জারি থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান। তাঁরা বলেন, ‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টার নিছক গণমাধ্যম নয়, বরং এ দেশে দিল্লির সাউথ ব্লকের অ্যাজেন্ডা ও বিশেষ মতাদর্শিক রাজনীতির ফুটসোলজার হিসেবে ভাড়া খাটা প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জারি থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনের সামনে একদল লোক জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা ভবন দুটিতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।
বিবৃতিতে এই দুই নেতা আরও বলেন, ‘মার্কিন ওয়ার অন টেররের সিপাহি ও ভারতপন্থী পত্রিকা হিসেবে সমালোচিত প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার অভিযোগে কোনো নিরীহ সমালোচনাকারীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করা যাবে না।’ তবে প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা সহিংস হওয়াও হেফাজতে ইসলাম সমর্থন করে না বলে জানান তাঁরা।
হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শুধু একজনের পরিচয়ে তাঁর প্রাক্তন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা মাদ্রাসার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শয়তানির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে “জঙ্গি” ন্যারেটিভের গডফাদার প্রথম আলো। আর তার দোসর ডেইলি স্টার সেসব ন্যারেটিভ বিদেশিদের গলাধঃকরণ করিয়েছে। এভাবে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে এ দেশের অগণিত আলেম, মাদ্রাসাছাত্র ও ধর্মপ্রাণ তরুণকে “জঙ্গিবাদের” তকমা দিয়ে জেল-জুলুমের সম্মতি উৎপাদন করা হয়েছিল। এর দায় পত্রিকা দুটি কখনো এড়াতে পারে না।’
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজেদুর রহমান আরও বলেন, ‘এক-এগারোর সময় পত্রিকা দুটির গণবিরোধী ভূমিকা আজও আমাদের জন্য সতর্কতা। প্রথম আলো-ডেইলি স্টার নিছক গণমাধ্যম নয়, বরং এ দেশে দিল্লির সাউথ ব্লকের অ্যাজেন্ডা ও বিশেষ মতাদর্শিক রাজনীতির ফুটসোলজার হিসেবে ভাড়া খাটা প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জারি থাকবে।’

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নিরীহ সমালোচনাকারীদের মুক্তি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন হেফাজতের এই দুই নেতা।
বিবৃতিতে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজেদুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে যারা নিরীহ সমালোচনাকারী, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ভারতপন্থী পত্রিকা দুটির ওপর বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার ক্ষোভ বাড়বে বই কমবে না।’
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার ‘শান্তিপূর্ণ’ প্রতিবাদ জারি থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান। তাঁরা বলেন, ‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টার নিছক গণমাধ্যম নয়, বরং এ দেশে দিল্লির সাউথ ব্লকের অ্যাজেন্ডা ও বিশেষ মতাদর্শিক রাজনীতির ফুটসোলজার হিসেবে ভাড়া খাটা প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জারি থাকবে।’
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ভবনের সামনে একদল লোক জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা ভবন দুটিতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেন।
বিবৃতিতে এই দুই নেতা আরও বলেন, ‘মার্কিন ওয়ার অন টেররের সিপাহি ও ভারতপন্থী পত্রিকা হিসেবে সমালোচিত প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার অভিযোগে কোনো নিরীহ সমালোচনাকারীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করা যাবে না।’ তবে প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা সহিংস হওয়াও হেফাজতে ইসলাম সমর্থন করে না বলে জানান তাঁরা।
হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শুধু একজনের পরিচয়ে তাঁর প্রাক্তন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা মাদ্রাসার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শয়তানির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে “জঙ্গি” ন্যারেটিভের গডফাদার প্রথম আলো। আর তার দোসর ডেইলি স্টার সেসব ন্যারেটিভ বিদেশিদের গলাধঃকরণ করিয়েছে। এভাবে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে এ দেশের অগণিত আলেম, মাদ্রাসাছাত্র ও ধর্মপ্রাণ তরুণকে “জঙ্গিবাদের” তকমা দিয়ে জেল-জুলুমের সম্মতি উৎপাদন করা হয়েছিল। এর দায় পত্রিকা দুটি কখনো এড়াতে পারে না।’
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজেদুর রহমান আরও বলেন, ‘এক-এগারোর সময় পত্রিকা দুটির গণবিরোধী ভূমিকা আজও আমাদের জন্য সতর্কতা। প্রথম আলো-ডেইলি স্টার নিছক গণমাধ্যম নয়, বরং এ দেশে দিল্লির সাউথ ব্লকের অ্যাজেন্ডা ও বিশেষ মতাদর্শিক রাজনীতির ফুটসোলজার হিসেবে ভাড়া খাটা প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশপন্থী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জারি থাকবে।’

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মধ্যেও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে নিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একধরনের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
দলীয় নেতাদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কিন্তু আমার হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে নির্বাচনে যেতে বলেন, সেটা সম্ভব হবে না। আমি মুক্ত হতে চাই।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলে রাতেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দলীয় নেতাদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কিন্তু আমার হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে নির্বাচনে যেতে বলেন, সেটা সম্ভব হবে না। আমি মুক্ত হতে চাই। মুক্ত হয়ে এলাকায় যেতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এনডিএফের প্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
নির্বাচনই সরকার গঠনের একমাত্র পথ উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার গঠন বা পরিবর্তন হয়। সেটা করেছি বলে (বিগত তিন নির্বাচনে অংশ) আমরা সহযোগী, অপরাধী এবং আমাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ না জানানোর সমালোচনা করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের ডাকেন নাই। জাতীয় পার্টির অপরাধটা কী ছিল? আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাহেব বলে গেছেন, আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি নির্লজ্জের মতো। আমাদের কেউ ডাকেনি, বলেনি। তারপরও নির্বাচনে যাচ্ছি, কারণ, আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী।’
সরকারের উদ্দেশে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের মবোক্রেসি বন্ধ করুন। সরকারের অনেক পদধারী মানুষ বলছেন, মব কালচার ঠিক আছে। সে জন্য মব দিয়ে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে আক্রমণ করেছে। উসকানিদাতাদের খোঁজার দরকার নেই, কারণ আপনাদের মধ্যে যাঁরা আছেন, তাঁরাই উসকানি দিচ্ছেন। কারণ, আপনাদের কিছু লোক বলেছেন, মবোক্রেসি ঠিক আছে, মবোক্রেসির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। সুন্দর করে কথা বললে দেশ রক্ষা হবে না, ব্যবস্থা নিতে হবে।’
নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হচ্ছে জানিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করছেন না, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করছেন না। আপনারা চান আমরা অস্ত্র নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইব। কী করে এ কথা বলতে পারেন? আপনারা সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন না, যেখানে আমাকে বন্দুক নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যেতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনার (সরকার) বলার দরকার ছিল, আমি পরিবর্তন করে দেব, যাতে নিশ্চিন্তে ভোটারদের কাছে যেতে পারেন। কিন্তু সেটা না করে বলছেন—আপনারা আপনাদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করুন। পকেটে বন্দুক নিয়ে যান, রিভলবার নিয়ে যান, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যান। এ ভোট কি জুলাই আন্দোলনের ফসল? কখনোই না।’
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো পরিবেশ থাকলে, পরিবেশ সৃষ্টি করা হলে এবং ‘‘মিথ্যা মামলা’’ প্রত্যাহার করা হলে... সময়ের ব্যাপার মাত্র। যাদের যাবজ্জীবন জেল হয়েছিল, তারা এখন বড় নেতা হয়ে গেছে। মামলা যারা খায়, তারা পরবর্তীকালে দেশ ও জাতির নেতা হয়। পুনরায় ক্ষমতায় আসে, দেশবাসীকে উপদেশ দেয়।’
সামনে দেশের পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করেন মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘অবনতি হওয়ার সুনির্দিষ্ট সংকেত পাচ্ছি। কিন্তু তারপরও আমরা উদার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। নির্বাচন বয়কটের কথা চিন্তা করি না। কিন্তু সেটা চাপিয়ে দেওয়া হলে আমাদের কোনো উপায় নেই।’
জেপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘যখন কেউ ক্ষমতায় থাকে, তারা সবচেয়ে শক্তিশালী দল। কিন্তু যেদিন তারা ক্ষমতা থেকে নেমে যায়, তখন সবচেয়ে অসহায় দল তারা। এটা বাস্তব। বড় বড় দলের কথা বলছি। তাদের যন্ত্রণায় ঘুমানো যেত না, এখন তারা ঘুমায় কোথায় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এ জন্য সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না।’
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটা ভালো নির্বাচন দিতে পারবেন, তিনি যখন চলে যাবেন, তখন শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখব। আমি এ ব্যাপারে সন্দিহান। তিনি পারবেন কি না, বলা কঠিন। আমরা সকলে তাকিয়ে আছি প্রধান উপদেষ্টা কী করেন।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দেশ এখন অনিরাপদ ও অগ্নিগর্ভ। সঙ্গে চলছে ভয়াবহ সন্ত্রাস। এই অবস্থায় সরকার কীভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবে, তা আমাদের জানা নেই।’
রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, তারেক জিয়া দেশে আসলে কী পরিবেশ, তা দেখার অপেক্ষায়। সেটা কি চর দখলের মতো নির্বাচন হবে, না নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশে-বিদেশে সমাদৃত হবে এমন নির্বাচন নিয়ে অধিকাংশ মানুষের মনে সংশয় রয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী ও দাগি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হয় জানিয়ে জাতীয় পার্টির (একাংশ) নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কিন্তু এবার তফসিল ঘোষণার পরে কোনো শুদ্ধি অভিযান দেখি না। কিন্তু দেখি একটি দলের নিরীহ কর্মীদের গ্রেপ্তার করার জন্য বলা হয়েছে।’
প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, ‘এমনিতেই এত অস্ত্র। পাঁচ আগস্টের পরে যে অস্ত্র লুটপাট হয়েছে, তা এখনো উদ্ধার হয়নি। এখন যদি প্রার্থীরা অস্ত্র নেন, তাহলে তো এই অস্ত্র, ওই অস্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ হয়ে যাবে। কুরুক্ষেত্র হয়ে যাবে, কী নির্বাচন হবে এখানে! জীবনেও নির্বাচন সম্ভব না।’
দলটির নেতাদের নামে একাধিক ‘মিথ্যা মামলা’ রয়েছে বলে দাবি করেন চুন্নু। এসব মামলায় নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি সত্যিই যদি নির্বাচন করতে চান, তাহলে দয়া করে আমাদের মতো নির্বাচন পাগল মানুষদের নামে থাকা ‘‘মিথ্যা’’ মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন।’
জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘নির্বাচন এমন একটা সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। দেশে কার্যত কোন সরকার, সেটি নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্নে জেগেছে। খোদ ঢাকার বুকে এক ঘণ্টা ধরে দুটো পত্রিকায় প্রথমে ভাঙচুর, লুটপাট ও তছনছ করল এবং অবশেষে অগ্নিসংযোগ করল, একজন পুলিশকে ডেকে পাওয়া গেল না। সাংবাদিকেরা প্রধান উপদেষ্টা হতে শুরু করে প্রত্যেক উপদেষ্টাকে ফোন করেছেন, কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।’

দলীয় নেতাদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কিন্তু আমার হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে নির্বাচনে যেতে বলেন, সেটা সম্ভব হবে না। আমি মুক্ত হতে চাই। মুক্ত হয়ে এলাকায় যেতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এনডিএফের প্রার্থী ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
নির্বাচনই সরকার গঠনের একমাত্র পথ উল্লেখ করে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার গঠন বা পরিবর্তন হয়। সেটা করেছি বলে (বিগত তিন নির্বাচনে অংশ) আমরা সহযোগী, অপরাধী এবং আমাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপে জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ না জানানোর সমালোচনা করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের ডাকেন নাই। জাতীয় পার্টির অপরাধটা কী ছিল? আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাহেব বলে গেছেন, আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি নির্লজ্জের মতো। আমাদের কেউ ডাকেনি, বলেনি। তারপরও নির্বাচনে যাচ্ছি, কারণ, আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী।’
সরকারের উদ্দেশে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের মবোক্রেসি বন্ধ করুন। সরকারের অনেক পদধারী মানুষ বলছেন, মব কালচার ঠিক আছে। সে জন্য মব দিয়ে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে আক্রমণ করেছে। উসকানিদাতাদের খোঁজার দরকার নেই, কারণ আপনাদের মধ্যে যাঁরা আছেন, তাঁরাই উসকানি দিচ্ছেন। কারণ, আপনাদের কিছু লোক বলেছেন, মবোক্রেসি ঠিক আছে, মবোক্রেসির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। সুন্দর করে কথা বললে দেশ রক্ষা হবে না, ব্যবস্থা নিতে হবে।’
নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হচ্ছে জানিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করছেন না, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করছেন না। আপনারা চান আমরা অস্ত্র নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইব। কী করে এ কথা বলতে পারেন? আপনারা সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন না, যেখানে আমাকে বন্দুক নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যেতে হবে।’
সরকারের উদ্দেশে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনার (সরকার) বলার দরকার ছিল, আমি পরিবর্তন করে দেব, যাতে নিশ্চিন্তে ভোটারদের কাছে যেতে পারেন। কিন্তু সেটা না করে বলছেন—আপনারা আপনাদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করুন। পকেটে বন্দুক নিয়ে যান, রিভলবার নিয়ে যান, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যান। এ ভোট কি জুলাই আন্দোলনের ফসল? কখনোই না।’
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো পরিবেশ থাকলে, পরিবেশ সৃষ্টি করা হলে এবং ‘‘মিথ্যা মামলা’’ প্রত্যাহার করা হলে... সময়ের ব্যাপার মাত্র। যাদের যাবজ্জীবন জেল হয়েছিল, তারা এখন বড় নেতা হয়ে গেছে। মামলা যারা খায়, তারা পরবর্তীকালে দেশ ও জাতির নেতা হয়। পুনরায় ক্ষমতায় আসে, দেশবাসীকে উপদেশ দেয়।’
সামনে দেশের পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করেন মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘অবনতি হওয়ার সুনির্দিষ্ট সংকেত পাচ্ছি। কিন্তু তারপরও আমরা উদার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। নির্বাচন বয়কটের কথা চিন্তা করি না। কিন্তু সেটা চাপিয়ে দেওয়া হলে আমাদের কোনো উপায় নেই।’
জেপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘যখন কেউ ক্ষমতায় থাকে, তারা সবচেয়ে শক্তিশালী দল। কিন্তু যেদিন তারা ক্ষমতা থেকে নেমে যায়, তখন সবচেয়ে অসহায় দল তারা। এটা বাস্তব। বড় বড় দলের কথা বলছি। তাদের যন্ত্রণায় ঘুমানো যেত না, এখন তারা ঘুমায় কোথায় আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এ জন্য সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না।’
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটা ভালো নির্বাচন দিতে পারবেন, তিনি যখন চলে যাবেন, তখন শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে রাখব। আমি এ ব্যাপারে সন্দিহান। তিনি পারবেন কি না, বলা কঠিন। আমরা সকলে তাকিয়ে আছি প্রধান উপদেষ্টা কী করেন।’
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘দেশ এখন অনিরাপদ ও অগ্নিগর্ভ। সঙ্গে চলছে ভয়াবহ সন্ত্রাস। এই অবস্থায় সরকার কীভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবে, তা আমাদের জানা নেই।’
রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, তারেক জিয়া দেশে আসলে কী পরিবেশ, তা দেখার অপেক্ষায়। সেটা কি চর দখলের মতো নির্বাচন হবে, না নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং দেশে-বিদেশে সমাদৃত হবে এমন নির্বাচন নিয়ে অধিকাংশ মানুষের মনে সংশয় রয়েছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী ও দাগি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হয় জানিয়ে জাতীয় পার্টির (একাংশ) নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কিন্তু এবার তফসিল ঘোষণার পরে কোনো শুদ্ধি অভিযান দেখি না। কিন্তু দেখি একটি দলের নিরীহ কর্মীদের গ্রেপ্তার করার জন্য বলা হয়েছে।’
প্রার্থীদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, ‘এমনিতেই এত অস্ত্র। পাঁচ আগস্টের পরে যে অস্ত্র লুটপাট হয়েছে, তা এখনো উদ্ধার হয়নি। এখন যদি প্রার্থীরা অস্ত্র নেন, তাহলে তো এই অস্ত্র, ওই অস্ত্রের সঙ্গে যুদ্ধ হয়ে যাবে। কুরুক্ষেত্র হয়ে যাবে, কী নির্বাচন হবে এখানে! জীবনেও নির্বাচন সম্ভব না।’
দলটির নেতাদের নামে একাধিক ‘মিথ্যা মামলা’ রয়েছে বলে দাবি করেন চুন্নু। এসব মামলায় নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি সত্যিই যদি নির্বাচন করতে চান, তাহলে দয়া করে আমাদের মতো নির্বাচন পাগল মানুষদের নামে থাকা ‘‘মিথ্যা’’ মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন।’
জাতীয় পার্টির (একাংশ) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘নির্বাচন এমন একটা সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন দেশের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। দেশে কার্যত কোন সরকার, সেটি নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্নে জেগেছে। খোদ ঢাকার বুকে এক ঘণ্টা ধরে দুটো পত্রিকায় প্রথমে ভাঙচুর, লুটপাট ও তছনছ করল এবং অবশেষে অগ্নিসংযোগ করল, একজন পুলিশকে ডেকে পাওয়া গেল না। সাংবাদিকেরা প্রধান উপদেষ্টা হতে শুরু করে প্রত্যেক উপদেষ্টাকে ফোন করেছেন, কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।’

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মধ্যেও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে নিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একধরনের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নিরীহ সমালোচনাকারীদের মুক্তি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন হেফাজতের এই দুই নেতা।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলে রাতেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলে রাতেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’-এর নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করতে গিয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো এবং প্রোটোকল বজায় রাখা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজনকে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ইশরাক হোসেন। ঠেলাঠেলি করে শেষ পর্যন্ত তিনি সামনে রিজভীর পাশে গিয়ে দাঁড়ান।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন ইশরাক হোসেন। তিনি লেখেন—
‘নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা–কর্মীদের ব্যাপক জনসমাগম ছিল। প্রোটোকল অনুসারে অতিথিদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা আহ্বায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল। সিরিয়াল ঠিক করার সময় আমাকে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে কেউ মনঃকষ্ট পেয়ে থাকলে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক আরও বলেন, বর্তমান সময়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ সংগঠনটির ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। একদিকে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা, অন্যদিকে যারা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মনে-প্রাণে স্বীকার করেনি, তাদের আস্ফালন রুখে দেওয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, কালের পরিক্রমায় সত্য প্রকাশিত হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলে রাতেই বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’-এর নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করতে গিয়েছিলেন ইশরাক হোসেন। এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো এবং প্রোটোকল বজায় রাখা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বেশ কয়েকজনকে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ইশরাক হোসেন। ঠেলাঠেলি করে শেষ পর্যন্ত তিনি সামনে রিজভীর পাশে গিয়ে দাঁড়ান।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে ঘটনার ব্যাখ্যা দেন ইশরাক হোসেন। তিনি লেখেন—
‘নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতা–কর্মীদের ব্যাপক জনসমাগম ছিল। প্রোটোকল অনুসারে অতিথিদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা আহ্বায়ক হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল। সিরিয়াল ঠিক করার সময় আমাকে কিছুটা কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে কেউ মনঃকষ্ট পেয়ে থাকলে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক আরও বলেন, বর্তমান সময়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ সংগঠনটির ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। একদিকে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা, অন্যদিকে যারা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মনে-প্রাণে স্বীকার করেনি, তাদের আস্ফালন রুখে দেওয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, কালের পরিক্রমায় সত্য প্রকাশিত হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মধ্যেও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক দখলে নিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে একধরনের ‘প্রতিযোগিতা’ চলছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার নিরীহ সমালোচনাকারীদের মুক্তি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেন হেফাজতের এই দুই নেতা।
৭ ঘণ্টা আগে
দলীয় নেতাদের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের (এনডিএফ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। কিন্তু আমার হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে নির্বাচনে যেতে বলেন, সেটা সম্ভব হবে না। আমি মুক্ত হতে চাই।
৮ ঘণ্টা আগে