Ajker Patrika

‘মার্চ ফর ইউনিটি’

নতুন সংবিধান তৈরি করতে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি

  • ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ‘বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দিতে হবে।
  • গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দ্রুত করতে হবে।
  • সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে।
ঢাবি প্রতিনিধিআজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৫৩
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অনেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে অনেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বদলে গেছে দেশ। নতুন সেই বাংলাদেশের জন্য চাই নতুন সংবিধান। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই তৈরি করবেন নতুন সংবিধান। এজন্য আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন।

এ গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে বক্তৃতায় এমন দাবিই তুলেছেন বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল মঙ্গলবার এ কর্মসূচি পালিত হয়। ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ পাঠ উপলক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু সবাইকে নিয়ে সরকার নিজেই ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্র আন্দোলন আর ঘোষণাপত্র দিল না।

গতকাল কর্মসূচি থেকে সরকারকে তাদের কাজের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার, আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত ও সংস্কার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে দুদিন ধরে নানা আলোচনা চলছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ঘোষণাপত্রের পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্কবিতর্ক শুরু হলে সরকার ঘোষণা দেয়, অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সরকার দেবে। পরে সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।

মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গতকাল সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরাদের। এ সময় ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তাঁরা। প্রদর্শিত হয় জুলাই বিপ্লবের ডকুমেন্টারি।

বিকেল ৪টায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশ্যে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি। এ সময় আন্দোলনে শহীদ শাহরিয়ার হাসান আলভির বাবা মো. আবুল হাসান বলেন, ‘খুনি হাসিনা যে আমার ছেলেসহ দুই হাজার সন্তানকে হত্যা করেছে। খুনি হাসিনাকে দেশে এনে তার সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।’ একই সঙ্গে তিনি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুচিকিৎসার দাবি জানান।

১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘খুনি হাসিনার আর এ দেশে পুনর্বাসন হবে না। গত ১৬ বছর খুনি হাসিনা প্রতিটি রাজনৈতিক শক্তিকে নির্যাতন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমরা এই হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। সরকারকে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয় নাই, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ হয় নাই। আমরা এখনো ১৬ বছরের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি।’

দেশের মানুষ বিপ্লবের ঘোষণাপত্র চায়, নতুন সংবিধান চায়, সংস্কার চায়—এ মন্তব্য করেন গণপরিষদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, নতুন সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হবে। আগামী নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। এই গণপরিষদ নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘যদি আমাদের ন্যায্যতার ভিত্তি, আমাদের রক্তের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে আগত ঘোষণাপত্রে না পাই, তাহলে আমরা বসে থাকব না। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপে সক্রিয় হোন। যদি তা না পারেন, তাহলে জুলাইয়ের বাঘের বাচ্চারা আইন হাতে তুলে নেবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের সামনে এখনো খুনিরা উন্মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে। তাদের বিচার হতে হবে। গোপালগঞ্জে কীভাবে এখনো আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করা হয়। পুলিশের উদ্দেশে বলতে চাই, ‘আপনারা নিরাপত্তা দিতে না পারলে ওই চেয়ারে বসে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে এত মানুষ জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন সেই রক্তের সঙ্গে যদি কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করার চেষ্টা করে, তাদের সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ৫ মাস পরও জুলাই প্রক্লেমেশনের কোনো উদ্যোগ কাউকে নিতে দেখিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উদ্যোগ নেওয়ার পর সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারকে বলতে চাই, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ প্রক্লেমেশন নিয়ে আমরা কোনো কালক্ষেপণ চাই না। আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রতি ন্যায়বিচার হয় নাই।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত আল মাহমুদ, রিফাত রশীদ, মাহিন সরকার, নুসরাত তাবাসসুম, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নাঈম আবেদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কোবরা, শহীদ মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৬
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি

কাতারের আমিরের দেওয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যান্ত্রিক ত্রুটিই শুধু নয়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থাও।

আজ শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা ভালো না। এয়ারক্র্যাফটের সমস্যা আছে, একই সঙ্গে শারীরিক অবস্থাও ভালো না। এই অবস্থায় যাত্রার তারিখ বদল করা হয়েছে। এখন মেডিকেল বোর্ড বললে, ফ্লাই করার মতো থাকলে রোববার তাঁকে লন্ডনে নেওয়া হবে।’

এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ইতিমধ্যে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন।

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, জোবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন ফিরবেন।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন থাকবেন।

চিকিৎসক দলের বাইরে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, তারেক রহমানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান এবং গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার ছাড়াও এসএসএফের দুজন সদস্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন।

দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নেওয়া হয় করোনারি কেয়ার ইউনিটে। সেদিন থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের ১২ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারক করছে। চীন ও যুক্তরাজ্য থেকেও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গত কয়েক দিনে বাংলাদেশে এসে মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এই মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তেই খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫০
সকালে বিমানবন্দরে নেমেই সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে বিমানবন্দরে নেমেই সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান ডা. জুবাইদা রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখান থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে গেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন জুবাইদা রহমান। বেলা পৌনে ১১টার কিছুক্ষণ আগে তাঁকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জুবাইদা রহমান বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় পৌঁছেছেন জোবাইদা রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৬
জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি
জোবাইদা রহমান। ফাইল ছবি

ঢাকায় পৌঁছেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জোবাইদা রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি (বিজি-৩০২) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার পর তাঁকে বহনকারী বিমানের ফ্লাইট (বিজি-৩০২) হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।

এর আগে দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত ৬ মে দেশে এসেছিলেন জোবাইদা রহমান। এক মাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ব্যস্ত সময় কাটিয়ে ৫ জুন আবারো লন্ডন ফিরে যান তিনি।

এদিকে খালেদা জিয়াকে নেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি আসতে বিলম্ব হচ্ছে।

কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স গতকাল রাতে ঢাকায় পৌঁছাবে—গতকাল বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কথা বলেছিলেন। তবে সন্ধ্যার পর দলটির মিডিয়া উইং জানিয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কিছু টেকনিক্যাল (কারিগরি) সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এর যাত্রা বিলম্বিত হবে। সর্বশেষ বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় আগামী রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে।

খালেদা জিয়ার ১৪ জন সফরসঙ্গী

পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ হোসেন, এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, চিকিৎসক সাহাবুদ্দিন তালুকদার, চিকিৎসক নুরুদ্দিন আহমেদ, চিকিৎসক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, চিকিৎসক মোহাম্মদ আল মামুন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), আব্দুল হাই মল্লিক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী), মাসুদের রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি), ফাতেমা বেগম (গৃহকর্মী) ও রুপা শিকদার (গৃহকর্মী)।

জোবাইদা রহমানেরও এই তালিকায় সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই ১২ দিন ধরে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পিছিয়ে গেছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৩
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না আসায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার সময় পিছিয়ে গেছে। তাঁকে বহন করার জন্য কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে বিশেষ যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ শুক্রবার ঢাকায় আসার কথা ছিল, সেটি নির্ধারিত সময়ে আসছে না। এর ফলে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে রোববার ৭ ডিসেম্বর হতে পারে।

আজ সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে দলের মিডিয়া সেলের এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পোস্টে বলা হয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখনো না পৌঁছানোয় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত