Ajker Patrika

পঞ্চগড়ের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, ১৫: ০৩
পঞ্চগড়ের হামলা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতেই সরকার এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ রোববার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার পূর্বপরিকল্পিতভাবে পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতে ন্যক্কারজনকভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

পঞ্চগড়ের সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার পর বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে। সেই তদন্তের বিষয়বস্তু তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেকোনো সম্প্রদায়ের ওপর এ ধরনের হামলা অমানবিক, দুঃখজনক। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে সরকার ও পুলিশ দায়িত্বে অবহেলা করেছে। এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ভিন্ন দিকে নিতেই পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকার নিজেদের লোকজন দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ এখন মারাত্মকভাবে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কাজটি করেছে। পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতেই গণহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে। পঞ্চগড়ের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৮১ জন বিএনপি সমর্থক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অগ্নিসন্ত্রাস সব সময় আওয়ামী লীগই ঘটিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রহীনতা, জবাবদিহি নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে। ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারলেই সংকটের সমাধান হবে।

এ সময় বিএনপির তদন্ত কমিটির প্রধান দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সেখানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ ঘটনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। জেলার পুলিশ সুপার জেলা প্রশাসক আমাদের সময় দিয়েও পরে আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন জাবিউল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শোক ও ঐক্যের মাঝে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে: যুব বাঙালি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শোক ও ঐক্যের মাঝে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে: যুব বাঙালি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখ যোদ্ধা, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও অদলীয় রাজনৈতিক-সামাজিক চিন্তার তারুণ্যের প্রতীক ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুব বাঙালি। সংগঠনটি বলছে, ওসমান হাদির মৃত্যুতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া শোক ও ঐক্যের মাঝে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে। যা কি না জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐক্যকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রের শামিল। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিসমূহকে সতর্ক ও সংযত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয়ভাবে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল তাকে কাঠামোগত রূপ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল আগে থেকেই অভ্যুত্থানকারী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আধিপত্যবাদবিরোধী ওসমান হাদির ওপর হামলা রাজনৈতিক সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও জাতীয় ঐক্যে ফাটলের ইঙ্গিত বহন করে, তাঁর মৃত্যুতে যখন জাতি পুনরায় ঐক্যের সুযোগ পেয়েছে তখন সেই সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে সংবাদমাধ্যম, সাংস্কৃতিক সংগঠনে অগ্নিসংযোগ এবং সাংবাদিক ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালাচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ওসমান হাদি কখনোই সংবাদমাধ্যম কিংবা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াকে সমর্থন করতেন না, সুতরাং তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যারা এসব নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে—তারা কখনই ওসমান হাদিকে ধারণ করে না।’ এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-যুবসমাজ, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিসমূহকে সতর্ক, সংযত ও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিক্ষোভ মিছিল বাতিল করে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিক্ষোভ মিছিল বাতিল করে এনসিপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিক্ষোভ মিছিল বাতিল করে এনসিপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল বাতিল করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, জাতীয় ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান, জুলাই যোদ্ধা খান তালাত মাহমুদ রাফি প্রমুখ।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন এনসিপির নেতারা। তবে জুমার নামাজ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওই কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।

এরপর বিকেল ৪টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। সেই কর্মসূচিও বাতিল করে বিকেল ৫টা নাগাদ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন দলের নেতারা।

এর আগে, আজ শুক্রবার দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা হাদির মৃত্যু নিয়ে যেকোনো কর্মসূচিতে সহিংসতা না করে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান।

আজ দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকালের (বৃহস্পতিবার) মতো ভাঙচুর ও নাশকতা করার পরিকল্পনা রয়েছে জুলাইবিরোধী শক্তিগুলোর। আমরা যেকোনো প্রকার ভায়োলেন্স ও নাশকতার বিরুদ্ধে।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘জনগণের ক্ষোভকে ব্যবহার করে কোনো হঠকারী গ্রুপ কোথাও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ অথবা কোনো নাশকতামূলক কার্যক্রম যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে ভূমিকা পালন করুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৪
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করেন ডা. জাহিদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করেন ডা. জাহিদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি ঘটেনি বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) যে অবস্থায় ছিলেন, সেই অবস্থার তুলনায় আজকে অনেকটা বেশি স্থিতিশীল রয়েছে। উনার শারীরিক অবস্থা গত এক মাসের মধ্যে এখন বেশ স্থিতিশীল আছে। আজকেও তাঁর একটা ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং তিনি সেটা গ্রহণ করতে পেরেছেন।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) কেবিনে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দোয়া চেয়েছেন জাহিদ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশৃঙ্খলা ও হামলা স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি: আ স ম রব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৯
আ স ম আবদুর রব । ফাইল ছবি
আ স ম আবদুর রব । ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দেশবাসীকে চরম ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি জানিয়ে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘তবে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা গণমাধ্যমে হামলা পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ইন্ধন জোগাতে পারে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবিরকে হেনস্তা করার মতো ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করে।’ তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হয়, সে বিষয়ে দেশবাসীকে সর্বোচ্চ সজাগ থাকতে হবে। কোনো অবিবেচনাপ্রসূত কাজ যেন ছাত্র-জনতার মহান গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক অর্জনকে নস্যাৎ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। জাতীয় স্বার্থে আবেগ সংবরণ করে সবাইকে ধৈর্য ধারণ এবং রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত