নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার ও সংস্কার কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকে দৃষ্টি সবার।
বিরাজমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তিনি। এসব বৈঠক থেকে সরকারপ্রধানের কাছে নিজেদের বক্তব্য উত্থাপন করেছে দলগুলো। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলের নেতাদের বৈঠকের পর গতকাল রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখসহ রোডম্যাপ চেয়েছে দলটি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেই সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। আমরা দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি।
এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তার মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই. আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমানপ্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে।’
অন্য দিকে এনসিপির পক্ষ থেকে বরাবরের মতো নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করেই যেন তিনি যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাসদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব দলের পক্ষ থেকেও বৈঠকে সরকারকে তার কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অস্থির পরিস্থিতিকে শান্ত করতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার তাগিদ এলেও এ বিষয়ে সহসাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের জন্য কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও নিবিড় আলোচনার দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যদি ডিসেম্বরকে ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে, সেটা একটা পক্ষের দিকে যাবে। আবার সংস্কার ও বিচারে গুরুত্ব দিয়ে যদি নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কথা বলে, সে ক্ষেত্রে সরকার অন্যপক্ষের বিরাগভাজন হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সহজ করতে সরকারের সঙ্গে দলগুলোর আরও নিবিড় আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন সাব্বির আহমেদ। ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাইকে একটা জায়গায় এনে এরপর সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার ও সংস্কার কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকে দৃষ্টি সবার।
বিরাজমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তিনি। এসব বৈঠক থেকে সরকারপ্রধানের কাছে নিজেদের বক্তব্য উত্থাপন করেছে দলগুলো। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলের নেতাদের বৈঠকের পর গতকাল রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখসহ রোডম্যাপ চেয়েছে দলটি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেই সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। আমরা দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি।
এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তার মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই. আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমানপ্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে।’
অন্য দিকে এনসিপির পক্ষ থেকে বরাবরের মতো নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করেই যেন তিনি যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাসদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব দলের পক্ষ থেকেও বৈঠকে সরকারকে তার কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অস্থির পরিস্থিতিকে শান্ত করতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার তাগিদ এলেও এ বিষয়ে সহসাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের জন্য কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও নিবিড় আলোচনার দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যদি ডিসেম্বরকে ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে, সেটা একটা পক্ষের দিকে যাবে। আবার সংস্কার ও বিচারে গুরুত্ব দিয়ে যদি নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কথা বলে, সে ক্ষেত্রে সরকার অন্যপক্ষের বিরাগভাজন হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সহজ করতে সরকারের সঙ্গে দলগুলোর আরও নিবিড় আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন সাব্বির আহমেদ। ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাইকে একটা জায়গায় এনে এরপর সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার ও সংস্কার কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকে দৃষ্টি সবার।
বিরাজমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তিনি। এসব বৈঠক থেকে সরকারপ্রধানের কাছে নিজেদের বক্তব্য উত্থাপন করেছে দলগুলো। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলের নেতাদের বৈঠকের পর গতকাল রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখসহ রোডম্যাপ চেয়েছে দলটি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেই সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। আমরা দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি।
এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তার মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই. আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমানপ্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে।’
অন্য দিকে এনসিপির পক্ষ থেকে বরাবরের মতো নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করেই যেন তিনি যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাসদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব দলের পক্ষ থেকেও বৈঠকে সরকারকে তার কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অস্থির পরিস্থিতিকে শান্ত করতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার তাগিদ এলেও এ বিষয়ে সহসাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের জন্য কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও নিবিড় আলোচনার দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যদি ডিসেম্বরকে ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে, সেটা একটা পক্ষের দিকে যাবে। আবার সংস্কার ও বিচারে গুরুত্ব দিয়ে যদি নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কথা বলে, সে ক্ষেত্রে সরকার অন্যপক্ষের বিরাগভাজন হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সহজ করতে সরকারের সঙ্গে দলগুলোর আরও নিবিড় আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন সাব্বির আহমেদ। ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাইকে একটা জায়গায় এনে এরপর সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার ও সংস্কার কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট একটি রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, সে দিকে দৃষ্টি সবার।
বিরাজমান অস্থিরতার মধ্যে গত শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন তিনি। এসব বৈঠক থেকে সরকারপ্রধানের কাছে নিজেদের বক্তব্য উত্থাপন করেছে দলগুলো। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলের নেতাদের বৈঠকের পর গতকাল রোববার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখসহ রোডম্যাপ চেয়েছে দলটি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শনিবারের বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলেই সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। আমরা দুটি বিষয় স্পষ্ট করার কথা বলেছি।
এক. নির্বাচনটা কখন হবে? আর আপনি যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, তার মধ্যে জনগণের কোনো ভোগান্তি না হয়ে একটা কমফোর্টেবল টাইমে নির্বাচনটা হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। দুই. আমরা বলেছি, নির্বাচনের আগে সংস্কার এবং বিচারের দৃশ্যমানপ্রক্রিয়া যাতে জনগণ দেখতে পারে।’
অন্য দিকে এনসিপির পক্ষ থেকে বরাবরের মতো নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দিকে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টা যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই দায়িত্ব সম্পন্ন করেই যেন তিনি যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, বাসদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। এসব দলের পক্ষ থেকেও বৈঠকে সরকারকে তার কর্মপরিকল্পনা বিশেষ করে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে অস্থির পরিস্থিতিকে শান্ত করতে নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার তাগিদ এলেও এ বিষয়ে সহসাই সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকারের জন্য কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও নিবিড় আলোচনার দরকার বলে মনে করছেন তাঁরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার যদি ডিসেম্বরকে ধরে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে, সেটা একটা পক্ষের দিকে যাবে। আবার সংস্কার ও বিচারে গুরুত্ব দিয়ে যদি নির্বাচন নিয়ে বিলম্বের কথা বলে, সে ক্ষেত্রে সরকার অন্যপক্ষের বিরাগভাজন হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সহজ করতে সরকারের সঙ্গে দলগুলোর আরও নিবিড় আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করছেন সাব্বির আহমেদ। ওই আলোচনার মধ্য দিয়ে সবাইকে একটা জায়গায় এনে এরপর সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছেন তিনি।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুরাদনগর থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
২৫ মিনিট আগে
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি কবর জিয়ারত করেন।
৪০ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
৩ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুরাদনগর থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ২৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় ও প্রবাসী কল্যাণ) হাচিবুর রহমান পরাগ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনে এখন পর্যন্ত মোট ১০৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে গত বুধবার রমজানুল করিম নামের এক ব্যক্তি কুমিল্লা-৩ আসনে আসিফ মাহমুদের পক্ষে স্বতন্ত্র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তবে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী রমজানুল করিমের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে। তিনি পেশায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের একজন আইনজীবী সহকারী।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে রমজানুল করিম বলেন, বুধবার কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে আসিফ মাহমুদের ঠিকানা ও ব্যাংক ড্রাফটের অর্থ দিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধ অনুযায়ী তিনি ফরম সংগ্রহ করে দেন। সাবেক এই উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
তবে আসিফ মাহমুদের চাচাতো ভাই এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলা আহ্বায়ক উবায়দুল সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুক্রবার রাতে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন। তাঁর দাবি, মুরাদনগর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কীভাবে এবং কার মাধ্যমে এই ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে, সে সম্পর্কেও তারা অবগত নন। তাদের জানা অনুযায়ী, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং সেটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর আগের দিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পরদিন ১২ ডিসেম্বর তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিনি নিজেই ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুরাদনগর থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত ২৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় ও প্রবাসী কল্যাণ) হাচিবুর রহমান পরাগ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনে এখন পর্যন্ত মোট ১০৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে গত বুধবার রমজানুল করিম নামের এক ব্যক্তি কুমিল্লা-৩ আসনে আসিফ মাহমুদের পক্ষে স্বতন্ত্র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তবে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী রমজানুল করিমের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে। তিনি পেশায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের একজন আইনজীবী সহকারী।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে রমজানুল করিম বলেন, বুধবার কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে আসিফ মাহমুদের ঠিকানা ও ব্যাংক ড্রাফটের অর্থ দিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধ অনুযায়ী তিনি ফরম সংগ্রহ করে দেন। সাবেক এই উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
তবে আসিফ মাহমুদের চাচাতো ভাই এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলা আহ্বায়ক উবায়দুল সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুক্রবার রাতে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন। তাঁর দাবি, মুরাদনগর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কীভাবে এবং কার মাধ্যমে এই ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে, সে সম্পর্কেও তারা অবগত নন। তাদের জানা অনুযায়ী, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং সেটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর আগের দিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পরদিন ১২ ডিসেম্বর তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিনি নিজেই ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই...
২৬ মে ২০২৫
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি কবর জিয়ারত করেন।
৪০ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. একেএম শামছুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের বিশেষ কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন মৃধা ও অ্যাডভোকেট মেহেদুল ইসলাম মেহেদী এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)-এর পরিচালক ডা. শাহ্ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় শহীদ হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন বীর সেনাকে হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বনানী কবরস্থানে তাঁর ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কোকো ও শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন।

পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. একেএম শামছুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের বিশেষ কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন মৃধা ও অ্যাডভোকেট মেহেদুল ইসলাম মেহেদী এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)-এর পরিচালক ডা. শাহ্ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় শহীদ হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন বীর সেনাকে হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বনানী কবরস্থানে তাঁর ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কোকো ও শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন।

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই...
২৬ মে ২০২৫
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুরাদনগর থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
২৫ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্না এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার নামে খেলাপি ঋণ এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনিশ্চয়তার ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা খবর ছড়িয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে আজ আপনাদের ডেকেছি।’
মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে ‘আকাফু কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেড’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরী। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন এবং আমার নিয়োগকৃত কর্মচারীদেরও চাকরিচ্যুত করেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।’
মান্নার দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ডস্টোরেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। মান্না প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান, কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকায় পৌঁছায়।
মান্না বলেন, ‘কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা আমার ওপর পড়ে। আমি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক গত ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃ তফসিল অনুমোদন করে। নির্বাচনে অংশ নিতে আমাকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণখেলাপি তালিকা থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। সেই বিবেচনায় আমি উচ্চ আদালতে আমার সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্টে অর্ডারের জন্য রিট করি। ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আমার পক্ষে রায় দেন। তবে সন্ধ্যার আগেই অদৃশ্য কারণে সেই স্টে অর্ডার রিকল করা হয়।’
মান্না আরও বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আরেকটি বেঞ্চে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি এটিকে ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ানো’ বলে মন্তব্য করেন।
আগামীকাল রোববার হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আবারও আবেদন করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, রায় আমার পক্ষে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বাধা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি বগুড়া-২, সিরাজগঞ্জ-১ এবং ঢাকা-১৮ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশা আল্লাহ।’

ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্না এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার নামে খেলাপি ঋণ এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনিশ্চয়তার ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা খবর ছড়িয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে আজ আপনাদের ডেকেছি।’
মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে ‘আকাফু কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেড’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরী। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন এবং আমার নিয়োগকৃত কর্মচারীদেরও চাকরিচ্যুত করেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।’
মান্নার দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ডস্টোরেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। মান্না প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান, কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকায় পৌঁছায়।
মান্না বলেন, ‘কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা আমার ওপর পড়ে। আমি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক গত ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃ তফসিল অনুমোদন করে। নির্বাচনে অংশ নিতে আমাকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণখেলাপি তালিকা থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। সেই বিবেচনায় আমি উচ্চ আদালতে আমার সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্টে অর্ডারের জন্য রিট করি। ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আমার পক্ষে রায় দেন। তবে সন্ধ্যার আগেই অদৃশ্য কারণে সেই স্টে অর্ডার রিকল করা হয়।’
মান্না আরও বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আরেকটি বেঞ্চে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি এটিকে ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ানো’ বলে মন্তব্য করেন।
আগামীকাল রোববার হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আবারও আবেদন করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, রায় আমার পক্ষে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বাধা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি বগুড়া-২, সিরাজগঞ্জ-১ এবং ঢাকা-১৮ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশা আল্লাহ।’

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই...
২৬ মে ২০২৫
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুরাদনগর থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
২৫ মিনিট আগে
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি কবর জিয়ারত করেন।
৪০ মিনিট আগে
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তিনি।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। ওই সময়ে লন্ডনে নির্বাসিত ছিলেন তারেক রহমান।

এক দিন পরে কোকোর মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কোকোর কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান বনানীর সামরিক কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন। সূরা ফাতিহা পাঠ করে রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারেক রহমান।

ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তিনি।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। ওই সময়ে লন্ডনে নির্বাসিত ছিলেন তারেক রহমান।

এক দিন পরে কোকোর মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কোকোর কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান বনানীর সামরিক কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন। সূরা ফাতিহা পাঠ করে রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারেক রহমান।

দায়িত্ব পালনে নানা দিক থেকে বাধা আসায় বিরক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন—এমন কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ নড়াচড়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে একের পর এক রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। তাঁদের প্রায় সবাই...
২৬ মে ২০২৫
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুরাদনগর থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
২৫ মিনিট আগে
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি কবর জিয়ারত করেন।
৪০ মিনিট আগে
ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে