Ajker Patrika

চাপের মুখে বিএনপি

  • মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে সমালোচনার আগুনে ঘি।
  • বন্ধ হচ্ছে না নেতা-কর্মীদের অপকর্ম।
  • এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।
  • পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ শীর্ষ নেতৃত্বের।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে হত্যা এবং সারা দেশে চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, হামলা-হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল। গতকাল সন্ধ্যায় মিছিলটি শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে হত্যা এবং সারা দেশে চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, হামলা-হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল। গতকাল সন্ধ্যায় মিছিলটি শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা, দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা—কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, সাংগঠনিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অপকর্ম অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে জনমনে ক্ষোভ ও হতাশার কারণে প্রচণ্ড চাপে পড়েছে বিএনপি। সর্বশেষ মিটফোর্ড এলাকায় বিএনপির সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীদের হাতে ভাঙারি ব্যবসায়ীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন পরিসরে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।

অন্যদিকে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা এসব ঘটনার মধ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রেরও গন্ধ পাচ্ছেন। তাঁরা এসব ঘটনাকে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন। সরকারের বিরুদ্ধে এসব অপরাধীকে দমনে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছেন কোনো কোনো নেতা।

ব্যবসার ভাগ দিতে রাজি না হওয়ায় গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের সড়কে স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। গত শুক্রবার এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। নিহত সোহাগ যুবদলের কর্মী এবং হত্যায় জড়িত ব্যক্তিরাও বিএনপির লোক বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডটির লোমহর্ষ ভিডিও ছড়ানোর পর থেকে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড়ে টালমাটাল বিএনপি। বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও দলটির শীর্ষ নেতাদের নামেও বিষোদ্গার করে মিছিল হয়েছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল শনিবার পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে আজীবন বহিষ্কার করে তাঁদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সাড়ে ৪ হাজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশজুড়ে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠতে থাকে। দলীয় সূত্র বলছে, শুরু থেকেই এসবের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বিএনপি। সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জেরে কড়া সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়, যা অব্যাহত রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সারা দেশে দল এবং এর অঙ্গসংগঠনের সাড়ে ৪ হাজারের মতো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনায় ছাত্রদল এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৩২৯ জনকে বহিষ্কার ও ৫৪১ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের কমপক্ষে ১০০ জনকে বহিষ্কার, ১০০ জনের পদ স্থগিত এবং প্রায় ২০০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুবদলের ১৫০ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার, ৫৬ জনকে শোকজ এবং ৫ জনের পদ স্থগিত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্রের নেতারাও এই শাস্তির আওতা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। কিন্তু এরপরও দলের নেতা-কর্মীদের অপকর্মের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা বলেন, দখল, টেন্ডার, চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মূলত নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছেন নেতা-কর্মীরা। এসব দ্বন্দ্ব রূপ নিচ্ছে সশস্ত্র সংঘাতে, ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য, কমিটিতে পদ-পদবি পাওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। বিএনপিতে অন্য দলের নেতা-কর্মীর অনুপ্রবেশ এবং দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় অনেক নেতা-কর্মী আবার সক্রিয় হওয়াও এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণ বলে মনে করছেন দলের অনেকে।

মিটফোর্ডের ঘটনার রেশ না কাটতেই শুক্রবার রাতে দিনাজপুরের খানসামায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ২৫ জন। এ সময় ৫০ টির বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন বিএনপির

মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারসহ দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, ‘আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ করেছি, যাকে আমরা স্ক্রিনে দেখেছি, যে হত্যা করছে, তাকে কেন সরকার এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি? আমরা কি তবে ধরে নেব, যারা বিভিন্নভাবে মব সৃষ্টি করে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেখানে সরকারের কোনো প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে? প্রশাসনের কোনো প্রশ্রয় আছে?’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আমি ৮-৯ মাস আগেই বলেছি, অদৃশ্য শত্রু আছে। ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে সেই অদৃশ্য শত্রু। ষড়যন্ত্র আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে।’

সোহাগ হত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। গতকাল এক অনুষ্ঠানে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সরকারকে আহ্বান জানাব, দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত যারা অপরাধী তাদেরকে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না, জাতি আপনাদের দায়ী করবে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নেওয়ার সময় এসব সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য।’

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডসহ সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সোহাগ হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার না করা ও মামলার এজাহার থেকে মূল তিন আসামিকে বাদ দেওয়ার ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলে আখ্যা দেন সংগঠন তিনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে ‘বিশেষ গোষ্ঠী নির্বাচন বিলম্বে ষড়যন্ত্র করছে’ এমন অভিযোগ করে যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘বিএনপি ইতিমধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সরকার ও প্রশাসনকে অসংখ্যবার অনুরোধ করেছে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন এ ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা মনে করি, সরকার পরিকল্পনামাফিক প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছে, যাতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে এবং এই অজুহাতে জাতির দীর্ঘ প্রত্যাশিত জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা যায়।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। কোন ছিদ্রপথ দিয়ে দু-একজন দুষ্কৃতকারী ঢুকে পড়ে, সব সময় সে খোঁজ রাখা যায় না। কিন্তু দুষ্কৃতকারীদের কোনোভাবে যদি চিহ্নিত করা যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করেন না দল বা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিশ্লেষকেরা যা বলছেন

বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিএনপির কাছে আরও ‘দায়িত্বশীল ভূমিকা’ প্রত্যাশা করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নানা অপকর্ম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দলটির নেতৃত্বের দুর্বলতার কথাও তুলেছেন তাঁদের কেউ কেউ। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপিকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমার মনে হয়, অনেক সময় গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এখন দেশে আসা উচিত। দেশে এসে তাঁর শক্তভাবে দলের হাল ধরা উচিত।’

একই সঙ্গে সরকারের সমালোচনা করে অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধীর বিচার ও শাস্তির দায়িত্ব সরকারের, কোনো দলের নয়। বিএনপি দল হিসেবে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, বহিষ্কার করছে এবং তাঁদের বিচারের জন্য সরকারকে বলছে। তারা যদি ব্যবস্থা না নিত, তাহলে বলা যেত, বিএনপি ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু সরকার নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। এ বিষয়ে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা নেই।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘বিএনপির লোকজন অপকর্ম করছে না, তা নয়। তবে সে জন্য দল থেকে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারের তো দায়িত্ব আছে। তাদের তো নড়াচড়া দেখি না। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে; তাদেরও কোনো ভূমিকা নেই। এ থেকে মনে হচ্ছে, কোথাও কোনো ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা-৩ থেকে আসিফ মাহমুদের পক্ষে নেওয়া হলো মনোনয়ন ফরম

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩২
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: ফাইল ছবি
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: ফাইল ছবি

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুরাদনগর থেকে নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত ২৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় ও প্রবাসীকল্যাণ) হাচিবুর রহমান পরাগ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনে এখন পর্যন্ত মোট ১০৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের মধ্যে গত বুধবার রমজানুল করিম নামের এক ব্যক্তি কুমিল্লা-৩ আসনে আসিফ মাহমুদের পক্ষে স্বতন্ত্র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তবে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী রমজানুল করিমের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামে। তিনি পেশায় কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের একজন আইনজীবী সহকারী।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে রমজানুল করিম বলেন, বুধবার কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে আসিফ মাহমুদের ঠিকানা ও ব্যাংক ড্রাফটের অর্থ দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাঁদের অনুরোধ অনুযায়ী তিনি ফরম সংগ্রহ করে দেন। সাবেক এই উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

তবে আসিফ মাহমুদের চাচাতো ভাই এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলা আহ্বায়ক উবায়দুল সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে শুক্রবার রাতে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন। তাঁর দাবি, মুরাদনগর থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে তাঁদের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কীভাবে এবং কার মাধ্যমে এই ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে, সে সম্পর্কেও তারা অবগত নন। তাঁদের জানা অনুযায়ী, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঢাকা থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং সেটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর আগের দিন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। পরদিন ১২ ডিসেম্বর তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তিনি নিজেই ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে তিনি কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. একেএম শামছুল ইসলাম।

আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের বিশেষ কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন মৃধা ও অ্যাডভোকেট মেহেদুল ইসলাম মেহেদী এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)-এর পরিচালক ডা. শাহ্ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় শহীদ হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন বীর সেনাকে হারায় বাংলাদেশ।

এর আগে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বনানী কবরস্থানে তাঁর ছোট ভাই মরহুম আরাফাত রহমান কোকো ও শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খেলাপি ঋণ ইস্যুতে কাল চেম্বার জজে যাচ্ছেন মান্না

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১১
নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন দলটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন দলটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণসংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি জানান, এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের বাধাও কেটে যাবে।

আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মান্না এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে আমার নামে খেলাপি ঋণ এবং নির্বাচনে অংশ নিয়ে অনিশ্চয়তার ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা খবর ছড়িয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে আজ আপনাদের ডেকেছি।’

মান্না বলেন, ২০১০ সালে বগুড়ার শিবগঞ্জে ‘আকাফু কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেড’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম নাজমুল কাদির চৌধুরী। ওই বছর তাঁরা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বড়গোলা শাখা থেকে ২২ কোটি টাকা ঋণ নেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘২০১২ সাল নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়। এই সুযোগে ২০১৪ সাল নাগাদ নাজমুল কাদির ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন এবং আমার নিয়োগকৃত কর্মচারীদেরও চাকরিচ্যুত করেন। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করে ২২ মাস কারাগারে রাখে।’

মান্নার দাবি, নাজমুল কাদির ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করে ব্যবসার আয় দিয়ে আরেকটি কোল্ডস্টোরেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে শিবগঞ্জে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর নাজমুল কাদির পালিয়ে যান। মান্না প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান, কিন্তু এ সময়ের মধ্যে ঋণের পরিমাণ সুদ-বিলম্বসহ প্রায় ৩৮ কোটি টাকায় পৌঁছায়।

মান্না বলেন, ‘কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ মালিকানা থাকায় ঋণের বোঝা আমার ওপর পড়ে। আমি গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক গত ১০ ডিসেম্বর ঋণ পুনঃ তফসিল অনুমোদন করে। নির্বাচনে অংশ নিতে আমাকে ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণখেলাপি তালিকা থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। সেই বিবেচনায় আমি উচ্চ আদালতে আমার সিআইবি রিপোর্টের ওপর স্টে অর্ডারের জন্য রিট করি। ২২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ আমার পক্ষে রায় দেন। তবে সন্ধ্যার আগেই অদৃশ্য কারণে সেই স্টে অর্ডার রিকল করা হয়।’

মান্না আরও বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আরেকটি বেঞ্চে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি এটিকে ‘ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ানো’ বলে মন্তব্য করেন।

আগামীকাল রোববার হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আবারও আবেদন করতে যাওয়ার কথা জানিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, রায় আমার পক্ষে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো বাধা থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি বগুড়া-২, সিরাজগঞ্জ-১ এবং ঢাকা-১৮ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশা আল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছোট ভাই কোকো ও শ্বশুরের কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৭
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কোকোর কবরের পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর সূরা ফাতিহা ও দরুদ পাঠ করে ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তিনি।

২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। ওই সময়ে লন্ডনে নির্বাসিত ছিলেন তারেক রহমান।

শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারতে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারতে তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

এক দিন পরে কোকোর মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

কোকোর কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান বনানীর সামরিক কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন। সূরা ফাতিহা পাঠ করে রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারেক রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত