Ajker Patrika

ইউনূস-তারেক বৈঠক আজ

সমঝোতায় সংকট নিরসনের আশা

  • নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংস্কার, জুলাই হত্যার বিচারসহ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
  • বিএনপি কেন ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, তার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবেন তারেক রহমান।
  • ইতিবাচক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের।
রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, ০৮: ০৯
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের সময় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও অন্য দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট মতভিন্নতায় সংকটময় সময় পার করছে দেশ। এমন পরিস্থিতিতে আজ লন্ডনে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু লন্ডনের এই বৈঠক। রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা আলোচনা-সমঝোতায় সংকট নিরসনের দিশা মিলবে শীর্ষ এই বৈঠকে।

জানা গেছে, পূর্বনির্ধারিত সময়ে আজ শুক্রবার লন্ডনের হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠক করবেন মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি জানা না গেলেও এতে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম, জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লন্ডন বৈঠক নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। তাঁরা (প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান) সবকিছু নিয়েই আলাপ-আলোচনা করবেন। কারণ একজন হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান, আরেকজন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে সবকিছু নিয়েই আলোচনা হবে।’

বৈঠকের আলোচ্যসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত বৈঠকের কোনো অ্যাজেন্ডা দেননি। তবে আমাদের ধারণা, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে, যেখানে প্রধান ফোকাস থাকবে নির্বাচন। এর সঙ্গে সংস্কার, বিচারসহ আরও নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আমার বিশ্বাস, প্রধান উপদেষ্টা মোটাদাগে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সুরাহা করার উদ্দেশ্যেই এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন।’ এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিরাজমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে প্রত্যাশা এই বিএনপি নেতার।

বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচনের দিনক্ষণসহ নানা বিষয়ের সঙ্গে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও আলোচনা হতে পারে লন্ডনের বৈঠকে। বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনেই নির্বাচন চায়, এ বিষয়টি জোরালোভাবে তাঁর কাছে উপস্থাপন করবেন তারেক রহমান। সরকারঘোষিত এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কী কী অসুবিধা, সে বিষয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা হবে এতে। একই সঙ্গে বিএনপি কেন ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, তার পক্ষেও যথাযথ যুক্তি উপস্থাপন করা হবে। তবে ডিসেম্বরে রাজি না হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে (রমজান শুরুর আগে) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দেওয়া হবে বিএনপির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে সংস্কার প্রসঙ্গে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, ড. ইউনূসকে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলবেন তারেক রহমান। তবে ঐকমত্য হলেও যেসব সংস্কারে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন, সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে—বিএনপির এই অবস্থানও তুলে ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টিতে উদ্যোগ নিতে সরকারপ্রধানকে আহ্বান জানাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। বিচারপ্রক্রিয়া যেন দ্রুততম সময়ে দৃশ্যমান হয়, সে ব্যাপারেও তাগিদ দেবেন তারেক রহমান।

লন্ডনের বৈঠক প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই বৈঠকের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা অনেক। এই বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট কাটবে বলে আশাবাদী বিএনপি।’ দলের স্থায়ী কমিটি তারেক রহমানকে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।

এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠককে সামনে রেখে গত বুধবার লন্ডনে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সম্ভাব্য আলোচ্য এবং বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে, এ নিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের আগে আলোচনা করবেন তিনি। তবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বৈঠকে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।

বিরাজমান অচলাবস্থার মধ্যে মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচিত ওই বৈঠক নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বৈঠকে গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাবে এবং এর মধ্য দিয়ে সংকট কেটে যাবে—এমন প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও।

বৈঠক নিয়ে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই। আমরা আশাবাদী, বৈঠকের মাধ্যমে ভালো কিছু আসবে। এর মাধ্যমে আমরা সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারব। প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান উভয়ের বিচক্ষণতা এখানে আশা করছি। তাঁরা দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে ভালো সমাধানে উপনীত হবেন, যার মধ্য দিয়ে দেশের চলমান সংকটের গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক কিছুই ঘটতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। তাঁরা বলছেন, বৈঠকে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। একই সঙ্গে নানা কারণে এত দিনে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও দূর হবে।

গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছে, যে কালো মেঘ দেখা দিয়েছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে তা কেটে যাবে। এর মাধ্যমে ঘাতকের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন, পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে দেশ পুনর্গঠনে ব্যয় করার পথ খুলবে।’

এ দিন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বৈঠকটি আগামী নির্বাচন, সংস্কার এবং গণতন্ত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ কারণে বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, সমঝোতা আরও ৭ আসনে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৫
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ। এছাড়াও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন রেদোয়ান আহমেদ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হয়ে কুমিল্লা-৭ থেকে প্রার্থিতা করবেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর জানান, বিএনপি আরও ৭ আসনে সমঝোতা করেছে। সেগুলো হলো—

১. বগুড়া-২: মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্য

২. পিরোজপুর-১: মোস্তফা জামাল হায়দার

৩. বি বাড়িয়া-৬ জোনায়েদ সাকি, গণসংহতি আন্দোলন

৪. যশোর-৫ মুফতি রশিদ, ঐক্যজোট

৫. ঝিনাইদহ-৪ রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদ

৬. ঢাকা-১২ সাইফুল হক, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

৭. পটুয়াখালী-৩ নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদ

এছাড়াও নড়াইল-২ আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থিতা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখপ্রকাশ বিএনপির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৬
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনা ঘিরে জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দুঃখ প্রকাশ করেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তারেক রহমান। অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পথিমধ্যে ৩০০ ফুটের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন। তারেক রহমানের সংবর্ধনায় তিনি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকছেন না।

দেশে ফেরার পরদিন শুক্রবার বাদ জুমা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যাবেন তারেক রহমান। সেখান থেকে যাবেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এরপর শনিবার জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশেষ ট্রেনে ভোটের প্রচার করা যাবে না

তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাওয়া নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের জন্য ১০টি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাত শর্তে এসব ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর দেশের ১০টি রুটে এসব বিশেষ ট্রেন পরিচালিত হবে। ট্রেন পরিচালনায় কোন কোন শর্ত মানতে হবে, তা জানিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালককে আলাদা চিঠি দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে, কোনো অবস্থাতেই এসব ট্রেনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনী প্রচারণার মাধ্যম, বাহন বা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। ট্রেনের ভেতরে বা বাইরে নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, প্রতীক, লোগো বা সদৃশ কাঠামো, মাইক, সাউন্ড সিস্টেম বা অন্য কোনো প্রচারণামূলক উপকরণ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ট্রেনে চলাচলের সময় কোনো ধরনের স্লোগান, মিছিল বা রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া যাবে না। নির্ধারিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, ছাদে বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী আরোহণও করা যাবে না। এসব শর্ত না মানলে বা ট্রেন, রেলপথ কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করলে ট্রেনের ভাড়া গ্রহণকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিশেষ ট্রেন পরিচালনার জন্য নির্ধারিত সময়সূচি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নিয়মিত ট্রেনের চলাচল বা সময়সূচি ব্যাহত করা যাবে না। পূর্বনির্ধারিত স্টেশন ছাড়া অন্য কোনো স্টেশনে ট্রেন থামানোর অনুরোধ গ্রহণযোগ্য হবে না। কোনো কারণে নির্বাচন কমিশন, সরকার বা রেলওয়ে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা স্থগিত, সীমিত বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত দিতে পারবে, এ বিষয়ে কোনো আপত্তি গ্রহণ করা হবে না।

বিশেষ ট্রেন পরিচালনার কারণে ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিমাঞ্চলের নিয়মিত তিনটি কমিউটার ট্রেন—রোহনপুর, ঢালারচর ও রাজবাড়ী এক্সপ্রেস চলাচল করবে না।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করে ২৪ ডিসেম্বর রাতে অতিরিক্ত বগিসহ সাতটি বিশেষ ট্রেন রিজার্ভের অনুমতি চেয়ে ১৮ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বিএনপি। লন্ডন থেকে ২৫ ডিসেম্বর দেশে পৌঁছাবেন তারেক রহমান। ওই দিন পূর্বাচলে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হওয়ার কারণে বিশেষ ট্রেন ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেই আমরা এসব শর্ত দিয়েছি। কোনোভাবেই এসব বিশেষ ট্রেন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি: সাদিক কায়েম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি: সাদিক কায়েম

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তারে প্রধান উপদেষ্টার স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেছেন, ‘শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতির মধ্যেও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য শোনা যায়নি।’ বিচার নিশ্চিতের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে সুস্পষ্ট ও দায়িত্বশীল অবস্থান নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় পাঠানো তাঁর এক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাদি হত্যার দ্রুততম ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানান ভিপি সাদিক কায়েম।

সাদিক কায়েম বলেন, শহীদ ওসমান হাদিকে হারিয়ে তাঁর পরিবার আজ দিশেহারা। ছোট্ট সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁর স্ত্রী ন্যায়বিচারের আশায় অপেক্ষায় দিন গুনছেন। গভীর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ‘শহীদি শপথ’ গ্রহণ করেছেন শহীদের হাতে গড়া ইনকিলাব মঞ্চের সহযোদ্ধারা।

ডাকসু ভিপি আরও বলেন, এত কিছুর পরও এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়লেও শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে তেমন কোনো কার্যকর তৎপরতা এখনো দৃশ্যমান নয়। খুনি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানসহ এই হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা কেউই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি, এমনকি খুনির অবস্থান সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি।

ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে শহীদ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবি ও আন্দোলনকে ছাত্র-জনতার মন থেকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণমাধ্যমেও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে পর্যাপ্ত ফলোআপ সংবাদ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।

সব ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার কথা জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন, সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা শপথ করছি, শহীদ ওসমান হাদির স্বপ্নের ইনসাফভিত্তিক, সার্বভৌম ও মর্যাদাশীল একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত