সম্পাদকীয়
ইদানীং ‘মবের মুল্লুক’ শব্দ দুটির ঘন ঘন ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ায় ‘মগের মুল্লুক’ শব্দ দুটি যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল। তবে মব আর মগ—এই দুইয়ের মুল্লুকেই যে অরাজকতা আর বিশৃঙ্খলা সমাজের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ায়, সে কথা সবাই জানে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট কামার গ্রামের সরকারি কলেজ রোড এলাকায় একটি এনজিও যে স্কুল ভবনটি নির্মাণ করছে, সেটিও মগের মুল্লুকের একটি উদাহরণ।
সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি বা এসডিসি নামের এনজিওটি স্কুল ভবন নির্মাণের নামে যা করেছে, তা স্পষ্টতই আইনভঙ্গের নমুনা। আইন ভঙ্গ করার সুযোগ তারা পেয়েছে এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক এই এলাকার প্রভাবশালী বাসিন্দা বলে। সীমানাপ্রাচীরের ওপরেই অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের চেষ্টা করার সময়ই আশপাশের জমির মালিকেরা প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু ওই যে আগে বলা হলো ‘মগের মুল্লুক’, সেই মগের মুল্লুকের অনুপ্রেরণায় সীমানাপ্রাচীরের ওপরই গড়ে তোলা হচ্ছে স্কুল ভবনটি!
আজকের পত্রিকায় নির্মিতব্য স্কুল ভবনের যে আলোকচিত্রটি ছাপা হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, সীমানাপ্রাচীরের ওপরেই গড়ে উঠছে এই ভবন। অর্থাৎ এটা যে এনজিওটির কোনো ভুল নয়, বরং তারা জেনেশুনেই আইন ভঙ্গ করেছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না।
প্রত্যেকই তার জমিসংলগ্ন সীমানাপ্রাচীর থেকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে তৈরি করবে ভবন। এই নিয়ম না জানার কোনো কারণ নেই। কিন্তু সে পথে এগোয়নি এনজিওটি। এর ফলে যা হয়েছে, তাতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা। অভিযোগ জানানোর পরও যে কথা বলছেন এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক, তাতে আবারও আমাদের মনে পড়ে যাচ্ছে মগের মুল্লুকের ইতিহাস।
এনজিওটির নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি এলাকার পয়সাওয়ালা এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো আইনের তোয়াক্কা করেননি। সাদা চোখেই দেখা যাচ্ছে, তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষই তাঁকে সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়নি! পৌরসভার কাছে ঘটনাটি তুলে ধরার পরও তারা ছিল নির্বিকার। নির্বাহী পরিচালক তাঁর নিজের পক্ষে যে যুক্তি দিয়েছেন, তা ধোপে টেকে না। তিনি বলেছেন, ‘তিনতলা ভবনের দেড়তলা হয়ে গেলেও কেউ অভিযোগ করেনি। এখন তৃতীয় একটি পক্ষের ইন্ধনে ক্ষতি করার জন্য অভিযোগ করছে।’ ‘এই তৃতীয় পক্ষ’ কারা? এ তো মবের মুল্লুকের মতো ‘এর দোসর’ ‘ওর দোসর’-এর দিকে যাচ্ছে ঘটনাটা। সীমানাপ্রাচীর থেকে জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণ করতে হয়, এই সহজ সত্যটি যিনি অগ্রাহ্য করেছেন অর্থাৎ আইন ভঙ্গ করেছেন, তিনি যা খুশি তা বললেই কি জায়েজ হয়ে যাবে?
আশার কথা, ইউএনও জানিয়েছেন, নির্মাণকাজ চালিয়ে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিল্ডিং কোড না মানলে প্রয়োজন হলে ভেঙে ফেলা হবে। মগের মুল্লুকের জয় হবে নাকি স্বাভাবিক আইনের শাসন চালু থাকবে—সেটাই তো এখন মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ! দেখা যাক, আইন অনুযায়ী এই কাজটি হয় কি না।
ইদানীং ‘মবের মুল্লুক’ শব্দ দুটির ঘন ঘন ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ায় ‘মগের মুল্লুক’ শব্দ দুটি যেন হারিয়ে যেতে বসেছিল। তবে মব আর মগ—এই দুইয়ের মুল্লুকেই যে অরাজকতা আর বিশৃঙ্খলা সমাজের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হয়ে দাঁড়ায়, সে কথা সবাই জানে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট কামার গ্রামের সরকারি কলেজ রোড এলাকায় একটি এনজিও যে স্কুল ভবনটি নির্মাণ করছে, সেটিও মগের মুল্লুকের একটি উদাহরণ।
সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি বা এসডিসি নামের এনজিওটি স্কুল ভবন নির্মাণের নামে যা করেছে, তা স্পষ্টতই আইনভঙ্গের নমুনা। আইন ভঙ্গ করার সুযোগ তারা পেয়েছে এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক এই এলাকার প্রভাবশালী বাসিন্দা বলে। সীমানাপ্রাচীরের ওপরেই অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের চেষ্টা করার সময়ই আশপাশের জমির মালিকেরা প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু ওই যে আগে বলা হলো ‘মগের মুল্লুক’, সেই মগের মুল্লুকের অনুপ্রেরণায় সীমানাপ্রাচীরের ওপরই গড়ে তোলা হচ্ছে স্কুল ভবনটি!
আজকের পত্রিকায় নির্মিতব্য স্কুল ভবনের যে আলোকচিত্রটি ছাপা হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, সীমানাপ্রাচীরের ওপরেই গড়ে উঠছে এই ভবন। অর্থাৎ এটা যে এনজিওটির কোনো ভুল নয়, বরং তারা জেনেশুনেই আইন ভঙ্গ করেছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না।
প্রত্যেকই তার জমিসংলগ্ন সীমানাপ্রাচীর থেকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে তৈরি করবে ভবন। এই নিয়ম না জানার কোনো কারণ নেই। কিন্তু সে পথে এগোয়নি এনজিওটি। এর ফলে যা হয়েছে, তাতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা। অভিযোগ জানানোর পরও যে কথা বলছেন এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক, তাতে আবারও আমাদের মনে পড়ে যাচ্ছে মগের মুল্লুকের ইতিহাস।
এনজিওটির নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি এলাকার পয়সাওয়ালা এবং প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো আইনের তোয়াক্কা করেননি। সাদা চোখেই দেখা যাচ্ছে, তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষই তাঁকে সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়নি! পৌরসভার কাছে ঘটনাটি তুলে ধরার পরও তারা ছিল নির্বিকার। নির্বাহী পরিচালক তাঁর নিজের পক্ষে যে যুক্তি দিয়েছেন, তা ধোপে টেকে না। তিনি বলেছেন, ‘তিনতলা ভবনের দেড়তলা হয়ে গেলেও কেউ অভিযোগ করেনি। এখন তৃতীয় একটি পক্ষের ইন্ধনে ক্ষতি করার জন্য অভিযোগ করছে।’ ‘এই তৃতীয় পক্ষ’ কারা? এ তো মবের মুল্লুকের মতো ‘এর দোসর’ ‘ওর দোসর’-এর দিকে যাচ্ছে ঘটনাটা। সীমানাপ্রাচীর থেকে জায়গা ছেড়ে ভবন নির্মাণ করতে হয়, এই সহজ সত্যটি যিনি অগ্রাহ্য করেছেন অর্থাৎ আইন ভঙ্গ করেছেন, তিনি যা খুশি তা বললেই কি জায়েজ হয়ে যাবে?
আশার কথা, ইউএনও জানিয়েছেন, নির্মাণকাজ চালিয়ে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিল্ডিং কোড না মানলে প্রয়োজন হলে ভেঙে ফেলা হবে। মগের মুল্লুকের জয় হবে নাকি স্বাভাবিক আইনের শাসন চালু থাকবে—সেটাই তো এখন মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ! দেখা যাক, আইন অনুযায়ী এই কাজটি হয় কি না।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুলাই। এই এক বছরের হিসাবনিকাশ অনেকেই করতে শুরু করেছেন—কী চেয়ে কী পেলাম। এক বছর আগে যে গণ-অভ্যুত্থান আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, তা নিছক একটি সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং এমন একটি সামাজিক বিস্ফোরণ, যেখানে বহুদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ, বঞ্চনা, অসন্তোষ এবং অবদমন একসঙ্গে...
১৮ ঘণ্টা আগেঠিক তিন বছর আগে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের জন্য বাহু প্রসারিত করেছিল ইউরোপ। আজ তারাই ভূমধ্যসাগরের ওপারে থাকা ৪০ লাখের বেশি ক্ষুধার্ত আফ্রিকানদের দিকে দৃষ্টি অন্ধ করে রেখেছে। তাদের দেখেও দেখছে না।
১৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষিত হার অনুযায়ী, বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হতে পারে, যদিও তা আগামী ১ আগস্ট থেকে চালুর কথা বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেসরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আরেকটা মিটিং হবে। কিন্তু চিঠি তো এসে গেছে। মানে সিদ্ধান্ত তো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত পরবর্তী পর্যায়ে কতটা নেগোসিয়েশনের সুযোগ আছে, সেইটা তো ওই চিঠিতে পরিষ্কার নয়। যদিও বলছে যে, তোমরা যদি নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসো, আমরা সেটাকে বিবেচনা করব।
১ দিন আগে