আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে গত শনিবার অভিযানে নেমেছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এ সময় চাঁদাবাজদের হামলায় তাঁর বুকের একটি হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এই কর্মকর্তা। একই দিনে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ১২ মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসী।
সিলেট, নরসিংদী ও বগুড়ার এই তিন ঘটনা পুলিশের অভিযানে বাধা দেওয়ার তাজা উদাহরণ। এভাবে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগেই পুলিশের ওপর হামলা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই আট মাসে সারা দেশে ৪১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৬৪টি মামলা হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামে ৯২টি, সিলেটে ৪৩টি, রাজশাহীতে ৩৫টি, খুলনা ও বরিশালে ৩০ ও ২৬টি, ময়মনসিংহে ১৩টি এবং রংপুরে সবচেয়ে কম ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলার প্রবণতা শুরু হয় গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকেই। ওই সময় হামলায় সারা দেশে পুলিশের ৪৬০টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ১২০টি থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন ৪৬ জন পুলিশ সদস্য। এই হামলার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে তাদের মনোবল। তার মধ্যেই এখনো হামলা চলছে।
এমন চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশকে নিয়ে যে রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, তা নেওয়া হয়নি। আমাদের রাজনীতিক ও জনগণ বুঝতে চায় না, পুলিশ ছাড়া দেশ চলতে পারবে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে জননিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। রাষ্ট্র পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, কোনো হুঁশিয়ারি কেউ দিচ্ছে না। যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার পুরো সুযোগটি অপরাধীরা নিচ্ছে, তাই পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। নির্বাচনের আগে পুলিশকে ঠিকভাবে দাঁড় করাতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনে ঝুঁকি আছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয় ওই থানার পুলিশ। হামলায় তিন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত কনস্টেবল আল-আমিন এখনো চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দৈনিক গড়ে আটটি মামলা হয়। অর্থাৎ আটটি হামলার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ছিল ৩১টি, তবে গত আগস্টে তা বেড়ে ৫১টি হয়েছে। অর্থাৎ একটি মাসের হামলার চিত্র তুলনা করলে দেখা যায় তা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। প্রতি মাসেই এভাবে হামলা বাড়ছে।
গত ১১ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামের এক যুবকের অতর্কিত হামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা আহত হন। এ ছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব হামলার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে। সারা দেশে ৪৪টি হামলায় ৩৯ জন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ বিভিন্ন মাজারের হামলা ঠেকাতে গিয়েও হামলার শিকার হয়েছে, গাজীপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে পুলিশ এসব ঘটনায় একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তৌহিদি জনতার ব্যানারে উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর হামলার চালিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর মাঠপর্যায়ে অপারেশনের ধরন পরিবর্তন করেছে পুলিশ। বর্তমানে ‘আক্রমণাত্মক’ পুলিশিংয়ের পরিবর্তে আত্মসমর্পণমূলক পুলিশিং করছে, তারপরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছে।
পুলিশের ওপর ক্রমাগত হামলা ও আক্রমণের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর এ রকম হামলা ঠেকাতে সবার কথা বলতে হবে। কিন্তু সবাই চুপ করে আছে। সবাই আইজিপিকে প্রশ্ন করছেন, কিন্তু হামলার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেন না, প্রতিবাদ করছে না। পুলিশ যদি কাজ না করতে পারে, তাহলে কেউ নিরাপদ থাকবেন না।
পুলিশের এই দুরবস্থার শুরুটা পূর্বের সরকার সৃষ্টি করে গেছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন, দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও সমালোচিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের প্রধানসহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের ওপরে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতা, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর দায়ে অনেক পুলিশ সদস্য এখন কারাগারে; অনেকে আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের কথা বললেও তা এগোয়নি। এমনকি পুলিশ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও ওই কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন ঐকমত্য কমিশনে এক দিনের বেশি আলোচনা হয়নি। পুলিশের স্বাধীন কমিশন গঠনের আলোচনাও থমকে গেছে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করুক, পেশাদারি বজায় থাকুক, এটা কখনো কেউ চায়নি। তাই পুলিশের আজ এই অবস্থা। পুলিশ একসময় মারছে, এখন পুলিশ মার খাচ্ছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরতে গত শনিবার অভিযানে নেমেছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন। এ সময় চাঁদাবাজদের হামলায় তাঁর বুকের একটি হাড় ভেঙে যায়। বর্তমানে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এই কর্মকর্তা। একই দিনে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ১২ মামলার আসামি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয় গ্রামবাসী।
সিলেট, নরসিংদী ও বগুড়ার এই তিন ঘটনা পুলিশের অভিযানে বাধা দেওয়ার তাজা উদাহরণ। এভাবে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগেই পুলিশের ওপর হামলা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এই আট মাসে সারা দেশে ৪১৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৬৪টি মামলা হয়েছে। এরপর চট্টগ্রামে ৯২টি, সিলেটে ৪৩টি, রাজশাহীতে ৩৫টি, খুলনা ও বরিশালে ৩০ ও ২৬টি, ময়মনসিংহে ১৩টি এবং রংপুরে সবচেয়ে কম ১২টি হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ওপর হামলার প্রবণতা শুরু হয় গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় থেকেই। ওই সময় হামলায় সারা দেশে পুলিশের ৪৬০টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ১২০টি থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহত হন ৪৬ জন পুলিশ সদস্য। এই হামলার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুলিশ। ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে তাদের মনোবল। তার মধ্যেই এখনো হামলা চলছে।
এমন চলতে থাকলে নির্বাচনের আগে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশকে নিয়ে যে রকম উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল, তা নেওয়া হয়নি। আমাদের রাজনীতিক ও জনগণ বুঝতে চায় না, পুলিশ ছাড়া দেশ চলতে পারবে না। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে জননিরাপত্তা চরম ঝুঁকিতে পড়বে। রাষ্ট্র পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, কোনো হুঁশিয়ারি কেউ দিচ্ছে না। যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তার পুরো সুযোগটি অপরাধীরা নিচ্ছে, তাই পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে। নির্বাচনের আগে পুলিশকে ঠিকভাবে দাঁড় করাতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচনে ঝুঁকি আছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয় ওই থানার পুলিশ। হামলায় তিন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত কনস্টেবল আল-আমিন এখনো চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দৈনিক গড়ে আটটি মামলা হয়। অর্থাৎ আটটি হামলার ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ছিল ৩১টি, তবে গত আগস্টে তা বেড়ে ৫১টি হয়েছে। অর্থাৎ একটি মাসের হামলার চিত্র তুলনা করলে দেখা যায় তা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। প্রতি মাসেই এভাবে হামলা বাড়ছে।
গত ১১ মার্চ রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে আব্দুর রাজ্জাক ফাহিম নামের এক যুবকের অতর্কিত হামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের তিনজন কর্মকর্তা আহত হন। এ ছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সাভার, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
এসব হামলার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ আসছে। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরে। সারা দেশে ৪৪টি হামলায় ৩৯ জন আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
পুলিশ বিভিন্ন মাজারের হামলা ঠেকাতে গিয়েও হামলার শিকার হয়েছে, গাজীপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে পুলিশ এসব ঘটনায় একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তৌহিদি জনতার ব্যানারে উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর হামলার চালিয়েছে।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ আগস্টের পর মাঠপর্যায়ে অপারেশনের ধরন পরিবর্তন করেছে পুলিশ। বর্তমানে ‘আক্রমণাত্মক’ পুলিশিংয়ের পরিবর্তে আত্মসমর্পণমূলক পুলিশিং করছে, তারপরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হচ্ছে।
পুলিশের ওপর ক্রমাগত হামলা ও আক্রমণের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর এ রকম হামলা ঠেকাতে সবার কথা বলতে হবে। কিন্তু সবাই চুপ করে আছে। সবাই আইজিপিকে প্রশ্ন করছেন, কিন্তু হামলার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেন না, প্রতিবাদ করছে না। পুলিশ যদি কাজ না করতে পারে, তাহলে কেউ নিরাপদ থাকবেন না।
পুলিশের এই দুরবস্থার শুরুটা পূর্বের সরকার সৃষ্টি করে গেছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় থাকাকালীন, দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল পুলিশ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিকভাবেও সমালোচিত হয়েছে পুলিশ ও র্যাবের প্রধানসহ অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাদের ওপরে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহিংসতা, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর দায়ে অনেক পুলিশ সদস্য এখন কারাগারে; অনেকে আবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসে পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগের কথা বললেও তা এগোয়নি। এমনকি পুলিশ সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও ওই কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন ঐকমত্য কমিশনে এক দিনের বেশি আলোচনা হয়নি। পুলিশের স্বাধীন কমিশন গঠনের আলোচনাও থমকে গেছে।
সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করুক, পেশাদারি বজায় থাকুক, এটা কখনো কেউ চায়নি। তাই পুলিশের আজ এই অবস্থা। পুলিশ একসময় মারছে, এখন পুলিশ মার খাচ্ছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত চেকপোস্টে গতকাল রোববার সকালে গাড়ি চেক করছিল পুলিশ। এ সময় বালুবোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান ট্রাকশ্রমিকেরা। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে