সাইফুল মাসুম, ঢাকা

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অবশ্য দুজনের স্ত্রীরা জীবিত নেই বলে জানা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
যে মন্ত্রীরা হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পরিবেশমন্ত্রী সাহাব উদ্দিন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে অবশ্য আইনমন্ত্রীর স্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর স্ত্রী জীবিত নেই বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তাঁর স্ত্রী শাবানা মালেকের ৫৫ ভরি সোনা ছাড়া আর কোনো সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি। ২০১৮ সালে তিনি স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন।
এবার যে ৯ মন্ত্রী তাঁদের স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁদের মধ্যে ৩ জন ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন। হলফনামা অনুসারে, তখন কৃষিমন্ত্রীর স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাকের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৩ লাখ টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির স্ত্রী আইরীন মালবিকা মুনশির সম্পদ ছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা মূল্যের। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানুর সম্পদের মধ্যে ছিল ১২ তোলা স্বর্ণ এবং ব্যাংকে জমা প্রায় ৭ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য গোপন কিংবা অসত্য তথ্য দিলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, হলফনামা সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে মনোনয়নপত্র বাছাই কিংবা আপিলের সময় কোনো প্রার্থীর অসত্য তথ্য নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। পরে আপত্তি দিলে তখন কমিশনের তেমন কিছু করার থাকে না।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলফনামায় স্ত্রীর সম্পদের তথ্য গোপন করা অন্যায়। এটা দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের উচিত তথ্য আড়ালের বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা।’
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে ৯ মন্ত্রীর স্ত্রীদের। সেই মন্ত্রীরা হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির স্বামী তৌফিক নাওয়াজেরও সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তথ্য দেওয়া ১১ মন্ত্রীর স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর ২০১৮ সালের হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এবারের হলফনামা অনুসারে তাঁদের সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। মন্ত্রীদের মধ্যে ২০১৮ সালের হলফনামার তুলনায় ২০২৩ সালে স্ত্রীদের সম্পদ কম দেখিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২০২৩ সালে এবং ২০১৮ সালে স্ত্রীর সম্পদের একই রকম তথ্য দিয়েছেন।
হলফনামার তথ্যমতে, শিল্পমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। আগেরবার ছিল ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, এবার দেখিয়েছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণ। তাঁর স্ত্রী তাহমিনা খানের সম্পদ গত ৫ বছরে ২ কোটি থেকে বেড়ে ৯ কোটি টাকা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর স্ত্রী জুলেখা মান্নানের ২ হাজার টাকা বেড়ে ৮৮ লাখ টাকা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর স্ত্রী নাসরীন আহমদের ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা থেকে হয়েছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর স্ত্রী পারভীন রেজার সম্পদ ৪৩ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখের বেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী মেহ্লা প্রুর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার বেশি। অর্থমন্ত্রীর চেয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে তাঁর স্ত্রী কাশমেরী কামাল। তাঁর সম্পদ ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালের হলফনামায় ছিল ৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য আড়াল করা কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘তথ্য গোপনকারী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। এই অপরাধে নির্বাচনের ফলও বাতিল হতে পারে। যেসব তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোও কতটুকু সত্য, তা যাচাই করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘হলফনামার বিধান করা হয়েছে, যাতে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা কলুষমুক্ত হয়। তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া মূলত নির্বাচনী বিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা।’

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অবশ্য দুজনের স্ত্রীরা জীবিত নেই বলে জানা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
যে মন্ত্রীরা হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পরিবেশমন্ত্রী সাহাব উদ্দিন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে অবশ্য আইনমন্ত্রীর স্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর স্ত্রী জীবিত নেই বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তাঁর স্ত্রী শাবানা মালেকের ৫৫ ভরি সোনা ছাড়া আর কোনো সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি। ২০১৮ সালে তিনি স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন।
এবার যে ৯ মন্ত্রী তাঁদের স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁদের মধ্যে ৩ জন ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন। হলফনামা অনুসারে, তখন কৃষিমন্ত্রীর স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাকের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৩ লাখ টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির স্ত্রী আইরীন মালবিকা মুনশির সম্পদ ছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা মূল্যের। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানুর সম্পদের মধ্যে ছিল ১২ তোলা স্বর্ণ এবং ব্যাংকে জমা প্রায় ৭ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য গোপন কিংবা অসত্য তথ্য দিলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, হলফনামা সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে মনোনয়নপত্র বাছাই কিংবা আপিলের সময় কোনো প্রার্থীর অসত্য তথ্য নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। পরে আপত্তি দিলে তখন কমিশনের তেমন কিছু করার থাকে না।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলফনামায় স্ত্রীর সম্পদের তথ্য গোপন করা অন্যায়। এটা দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের উচিত তথ্য আড়ালের বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা।’
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে ৯ মন্ত্রীর স্ত্রীদের। সেই মন্ত্রীরা হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির স্বামী তৌফিক নাওয়াজেরও সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তথ্য দেওয়া ১১ মন্ত্রীর স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর ২০১৮ সালের হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এবারের হলফনামা অনুসারে তাঁদের সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। মন্ত্রীদের মধ্যে ২০১৮ সালের হলফনামার তুলনায় ২০২৩ সালে স্ত্রীদের সম্পদ কম দেখিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২০২৩ সালে এবং ২০১৮ সালে স্ত্রীর সম্পদের একই রকম তথ্য দিয়েছেন।
হলফনামার তথ্যমতে, শিল্পমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। আগেরবার ছিল ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, এবার দেখিয়েছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণ। তাঁর স্ত্রী তাহমিনা খানের সম্পদ গত ৫ বছরে ২ কোটি থেকে বেড়ে ৯ কোটি টাকা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর স্ত্রী জুলেখা মান্নানের ২ হাজার টাকা বেড়ে ৮৮ লাখ টাকা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর স্ত্রী নাসরীন আহমদের ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা থেকে হয়েছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর স্ত্রী পারভীন রেজার সম্পদ ৪৩ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখের বেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী মেহ্লা প্রুর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার বেশি। অর্থমন্ত্রীর চেয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে তাঁর স্ত্রী কাশমেরী কামাল। তাঁর সম্পদ ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালের হলফনামায় ছিল ৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য আড়াল করা কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘তথ্য গোপনকারী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। এই অপরাধে নির্বাচনের ফলও বাতিল হতে পারে। যেসব তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোও কতটুকু সত্য, তা যাচাই করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘হলফনামার বিধান করা হয়েছে, যাতে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা কলুষমুক্ত হয়। তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া মূলত নির্বাচনী বিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা।’
সাইফুল মাসুম, ঢাকা

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অবশ্য দুজনের স্ত্রীরা জীবিত নেই বলে জানা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
যে মন্ত্রীরা হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পরিবেশমন্ত্রী সাহাব উদ্দিন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে অবশ্য আইনমন্ত্রীর স্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর স্ত্রী জীবিত নেই বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তাঁর স্ত্রী শাবানা মালেকের ৫৫ ভরি সোনা ছাড়া আর কোনো সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি। ২০১৮ সালে তিনি স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন।
এবার যে ৯ মন্ত্রী তাঁদের স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁদের মধ্যে ৩ জন ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন। হলফনামা অনুসারে, তখন কৃষিমন্ত্রীর স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাকের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৩ লাখ টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির স্ত্রী আইরীন মালবিকা মুনশির সম্পদ ছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা মূল্যের। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানুর সম্পদের মধ্যে ছিল ১২ তোলা স্বর্ণ এবং ব্যাংকে জমা প্রায় ৭ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য গোপন কিংবা অসত্য তথ্য দিলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, হলফনামা সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে মনোনয়নপত্র বাছাই কিংবা আপিলের সময় কোনো প্রার্থীর অসত্য তথ্য নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। পরে আপত্তি দিলে তখন কমিশনের তেমন কিছু করার থাকে না।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলফনামায় স্ত্রীর সম্পদের তথ্য গোপন করা অন্যায়। এটা দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের উচিত তথ্য আড়ালের বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা।’
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে ৯ মন্ত্রীর স্ত্রীদের। সেই মন্ত্রীরা হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির স্বামী তৌফিক নাওয়াজেরও সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তথ্য দেওয়া ১১ মন্ত্রীর স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর ২০১৮ সালের হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এবারের হলফনামা অনুসারে তাঁদের সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। মন্ত্রীদের মধ্যে ২০১৮ সালের হলফনামার তুলনায় ২০২৩ সালে স্ত্রীদের সম্পদ কম দেখিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২০২৩ সালে এবং ২০১৮ সালে স্ত্রীর সম্পদের একই রকম তথ্য দিয়েছেন।
হলফনামার তথ্যমতে, শিল্পমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। আগেরবার ছিল ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, এবার দেখিয়েছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণ। তাঁর স্ত্রী তাহমিনা খানের সম্পদ গত ৫ বছরে ২ কোটি থেকে বেড়ে ৯ কোটি টাকা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর স্ত্রী জুলেখা মান্নানের ২ হাজার টাকা বেড়ে ৮৮ লাখ টাকা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর স্ত্রী নাসরীন আহমদের ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা থেকে হয়েছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর স্ত্রী পারভীন রেজার সম্পদ ৪৩ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখের বেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী মেহ্লা প্রুর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার বেশি। অর্থমন্ত্রীর চেয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে তাঁর স্ত্রী কাশমেরী কামাল। তাঁর সম্পদ ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালের হলফনামায় ছিল ৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য আড়াল করা কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘তথ্য গোপনকারী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। এই অপরাধে নির্বাচনের ফলও বাতিল হতে পারে। যেসব তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোও কতটুকু সত্য, তা যাচাই করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘হলফনামার বিধান করা হয়েছে, যাতে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা কলুষমুক্ত হয়। তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া মূলত নির্বাচনী বিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা।’

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অবশ্য দুজনের স্ত্রীরা জীবিত নেই বলে জানা গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
যে মন্ত্রীরা হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁরা হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পরিবেশমন্ত্রী সাহাব উদ্দিন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে অবশ্য আইনমন্ত্রীর স্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর স্ত্রী জীবিত নেই বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক তাঁর স্ত্রী শাবানা মালেকের ৫৫ ভরি সোনা ছাড়া আর কোনো সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি। ২০১৮ সালে তিনি স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন।
এবার যে ৯ মন্ত্রী তাঁদের স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দেননি, তাঁদের মধ্যে ৩ জন ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীদের সম্পদের তথ্য দিয়েছিলেন। হলফনামা অনুসারে, তখন কৃষিমন্ত্রীর স্ত্রী ফরিদা রাজ্জাকের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭৩ লাখ টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির স্ত্রী আইরীন মালবিকা মুনশির সম্পদ ছিল প্রায় ১১ কোটি টাকা মূল্যের। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের স্ত্রী লায়লা আরজুমান্দ বানুর সম্পদের মধ্যে ছিল ১২ তোলা স্বর্ণ এবং ব্যাংকে জমা প্রায় ৭ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য গোপন কিংবা অসত্য তথ্য দিলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, হলফনামা সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে মনোনয়নপত্র বাছাই কিংবা আপিলের সময় কোনো প্রার্থীর অসত্য তথ্য নিয়ে আপত্তি তুলতে পারেন। পরে আপত্তি দিলে তখন কমিশনের তেমন কিছু করার থাকে না।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলফনামায় স্ত্রীর সম্পদের তথ্য গোপন করা অন্যায়। এটা দুর্নীতির পর্যায়ে পড়ে। জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের উচিত তথ্য আড়ালের বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা।’
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে ৯ মন্ত্রীর স্ত্রীদের। সেই মন্ত্রীরা হচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির স্বামী তৌফিক নাওয়াজেরও সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তথ্য দেওয়া ১১ মন্ত্রীর স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর ২০১৮ সালের হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এবারের হলফনামা অনুসারে তাঁদের সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। মন্ত্রীদের মধ্যে ২০১৮ সালের হলফনামার তুলনায় ২০২৩ সালে স্ত্রীদের সম্পদ কম দেখিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২০২৩ সালে এবং ২০১৮ সালে স্ত্রীর সম্পদের একই রকম তথ্য দিয়েছেন।
হলফনামার তথ্যমতে, শিল্পমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। আগেরবার ছিল ২১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, এবার দেখিয়েছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৩৬ হাজার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ৩ গুণ। তাঁর স্ত্রী তাহমিনা খানের সম্পদ গত ৫ বছরে ২ কোটি থেকে বেড়ে ৯ কোটি টাকা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রীর স্ত্রী জুলেখা মান্নানের ২ হাজার টাকা বেড়ে ৮৮ লাখ টাকা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর স্ত্রী নাসরীন আহমদের ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা থেকে হয়েছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর স্ত্রী পারভীন রেজার সম্পদ ৪৩ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখের বেশি। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রীর স্ত্রী মেহ্লা প্রুর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার বেশি। অর্থমন্ত্রীর চেয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে তাঁর স্ত্রী কাশমেরী কামাল। তাঁর সম্পদ ৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালের হলফনামায় ছিল ৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
হলফনামায় তথ্য আড়াল করা কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘তথ্য গোপনকারী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। এই অপরাধে নির্বাচনের ফলও বাতিল হতে পারে। যেসব তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোও কতটুকু সত্য, তা যাচাই করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘হলফনামার বিধান করা হয়েছে, যাতে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা কলুষমুক্ত হয়। তথ্য গোপন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া মূলত নির্বাচনী বিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা।’

প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৪০ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অ
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অ
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৪০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অ
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৪০ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

স্বামী মন্ত্রী, তাই স্ত্রীও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গত পাঁচ বছরে বর্তমান সরকারের ২৩ মন্ত্রীর মধ্যে ১১ জনের স্ত্রীদের এবং এক মন্ত্রীর স্বামীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। কোনো কোনো মন্ত্রীর স্ত্রীদের সম্পত্তি বেড়েছে সাড়ে ৮ গুণ পর্যন্ত। ৯ জন মন্ত্রী নিজ নিজ স্ত্রীর সম্পদের তথ্য দেননি। তাঁদের মধ্যে অ
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
৪০ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে