কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০ তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্প খাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অনায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশুশ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথা বলা আছে।
আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে এবং নৌ পরিবহন খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজ করার বিধান সংযুক্ত করার কথাও বলা আছে।
প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, এর ফলে গত নয় বছরে তৈরি পোশাক খাতে গত নিবন্ধন নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ত্রিশ লক্ষ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত। তাছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ভুক্তি আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত রোড ম্যাপ (২০২১-২০২৬) এর আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
আই এলও গভর্নিং বডির সদস্যরা রোডম্যাপের দ্রুত বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সুপারভাইজরী বডিগুলোর সংশ্লিষ্টতায় সংস্থাটির কারিগরি সহায়তা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, শ্রম সচিব ছাড়াও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০ তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্প খাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অনায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশুশ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথা বলা আছে।
আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে এবং নৌ পরিবহন খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজ করার বিধান সংযুক্ত করার কথাও বলা আছে।
প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, এর ফলে গত নয় বছরে তৈরি পোশাক খাতে গত নিবন্ধন নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ত্রিশ লক্ষ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত। তাছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ভুক্তি আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত রোড ম্যাপ (২০২১-২০২৬) এর আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
আই এলও গভর্নিং বডির সদস্যরা রোডম্যাপের দ্রুত বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সুপারভাইজরী বডিগুলোর সংশ্লিষ্টতায় সংস্থাটির কারিগরি সহায়তা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, শ্রম সচিব ছাড়াও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০ তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্প খাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অনায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশুশ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথা বলা আছে।
আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে এবং নৌ পরিবহন খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজ করার বিধান সংযুক্ত করার কথাও বলা আছে।
প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, এর ফলে গত নয় বছরে তৈরি পোশাক খাতে গত নিবন্ধন নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ত্রিশ লক্ষ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত। তাছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ভুক্তি আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত রোড ম্যাপ (২০২১-২০২৬) এর আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
আই এলও গভর্নিং বডির সদস্যরা রোডম্যাপের দ্রুত বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সুপারভাইজরী বডিগুলোর সংশ্লিষ্টতায় সংস্থাটির কারিগরি সহায়তা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, শ্রম সচিব ছাড়াও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩৫০ তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত শ্রম আইন সংশোধন বিলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য শিল্প খাতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, ইউনিয়নের প্রতি অনায্য আচরণের শাস্তি দ্বিগুণ করা, বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করার শাস্তি তিনগুণ করা, শিশুশ্রমের শাস্তি চারগুণ করার বিধান রাখার কথা বলা আছে।
আনিসুল হক বলেন, প্রস্তাবিত এ সংশোধনীটিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতে এবং নৌ পরিবহন খাতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও পরিচালনা সহজীকরণ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ে আপিল আবেদন সহজ করার বিধান সংযুক্ত করার কথাও বলা আছে।
প্রচলিত আবেদন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন চালু করা, প্রাক-আবেদন সেবা চালুকরণ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গুণগত ও পরিমাণগত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, এর ফলে গত নয় বছরে তৈরি পোশাক খাতে গত নিবন্ধন নয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ত্রিশ লক্ষ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নভুক্ত। তাছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ভুক্তি আবেদনের সফলতার হার গত চার বছরে ৬০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত রোড ম্যাপ (২০২১-২০২৬) এর আলোকে আইনগত সংস্কার, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও শ্রমিকদের অন্যান্য অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
আই এলও গভর্নিং বডির সদস্যরা রোডম্যাপের দ্রুত বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে সুপারভাইজরী বডিগুলোর সংশ্লিষ্টতায় সংস্থাটির কারিগরি সহায়তা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, শ্রম সচিব ছাড়াও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
৯ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় “নিয়ন্ত্রণ” করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান–নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদ বিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় “নিয়ন্ত্রণ” করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান–নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদ বিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
১৩ মার্চ ২০২৪
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’
মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ’
সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ।
সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’
সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’
মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ’
সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ।
সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
১৩ মার্চ ২০২৪
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
৯ মিনিট আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিবৃন্দ, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।
এজলাসকক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জন্যও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই নিরাপত্তা আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশ অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, তাঁদের সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিবৃন্দ, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।
এজলাসকক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জন্যও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নতুন এই নিরাপত্তা আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশ অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, তাঁদের সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
১৩ মার্চ ২০২৪
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
৯ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজনৈতিক নেতারাসহ জুলাই যোদ্ধারা। সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন হাল। নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সবাইকে। পরিস্থিতি ঠিক করতে এখনই দৃশ্যমান ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং নাশকতার আশঙ্কার মধ্যে এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে থমথমে ভাব নেমে এসেছে। তফসিলের পর যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল, তাও কমে গেছে।
সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মাঠপর্যায় থেকেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। গত শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশের কমিশনারদের বৈঠকেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রার্থী অনিরাপদ বোধ করলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকেও চোরাগোপ্তা হামলা ও জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গে ওঠে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও কার্যকর করা যায়। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি থাকলেও ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান সব রাজনৈতিক দল আবার এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণাও এসেছে। ওই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে একজন নিহত ও প্রার্থীসহ দুজন আহত হন। অবশ্য সেখানে হত্যার লক্ষ্য ছিলেন সন্ত্রাসী সরোয়ার। এরপর ২৭ নভেম্বর পাবনা-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ভিন্ন। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কোনো কোনো দল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, কয়েক দিন ধরে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরির একটি চেষ্টা চলছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাজনীতিকদের অনেকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই একটি পক্ষ নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারও ঘটনাটিকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কোথায় কোথায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা বেশি, কোথায় শক্ত প্রার্থী রয়েছেন—এসব জায়গায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এমন ঘটনা যেকোনোভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা চ্যানেলকে সক্রিয় করতে হবে এবং অন্য কাজের চেয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শনিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে কমিটি করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট-২ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশ নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার আলোকে অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহপথ চিহ্নিত করা এবং অস্ত্রের পেছনে থাকা অর্থের জোগানদাতাদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, লুণ্ঠিত ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০টি পিস্তল রয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশের আশঙ্কার পাশাপাশি লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে এসব বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে প্রার্থীদের এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, নির্বাচনের সময় যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং নির্বাচনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র প্রহরী থাকবে এবং গোয়েন্দা সংস্থা সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সতর্ক করবে। প্রার্থীদের ঠিক কোন জায়গায় যাওয়া নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হলেও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনা দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীসহ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহের বদলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজনৈতিক নেতারাসহ জুলাই যোদ্ধারা। সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সময়মতো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন হাল। নির্বাচনের ট্রেন চলা শুরু হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে সবাইকে। পরিস্থিতি ঠিক করতে এখনই দৃশ্যমান ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা।
ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে চোরাগোপ্তা হামলা, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার এবং নাশকতার আশঙ্কার মধ্যে এ ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে থমথমে ভাব নেমে এসেছে। তফসিলের পর যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল, তাও কমে গেছে।
সূত্র বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে মাঠপর্যায় থেকেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। গত শনিবার পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেশের সব রেঞ্জের ডিআইজি ও মহানগর পুলিশের কমিশনারদের বৈঠকেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে পরামর্শ এসেছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রার্থী অনিরাপদ বোধ করলে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠকেও চোরাগোপ্তা হামলা ও জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের প্রসঙ্গে ওঠে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরও কার্যকর করা যায়। তবে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রকার শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।’
এদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্তি থাকলেও ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান সব রাজনৈতিক দল আবার এক কাতারে দাঁড়িয়েছে। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণাও এসেছে। ওই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের সময় গুলিতে একজন নিহত ও প্রার্থীসহ দুজন আহত হন। অবশ্য সেখানে হত্যার লক্ষ্য ছিলেন সন্ত্রাসী সরোয়ার। এরপর ২৭ নভেম্বর পাবনা-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডলের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। এর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ভিন্ন। তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর কোনো কোনো দল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলো বলছে, কয়েক দিন ধরে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার মাধ্যমে আতঙ্ক তৈরির একটি চেষ্টা চলছে। তবে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নির্বাচন যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
ওসমান হাদির ওপর হামলাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাজনীতিকদের অনেকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই একটি পক্ষ নির্বাচন ঠেকানোর হুমকি দিয়ে আসছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারও ঘটনাটিকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কোথায় কোথায় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা বেশি, কোথায় শক্ত প্রার্থী রয়েছেন—এসব জায়গায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এমন ঘটনা যেকোনোভাবেই প্রতিরোধ করতে হবে। করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ ও গোয়েন্দা চ্যানেলকে সক্রিয় করতে হবে এবং অন্য কাজের চেয়ে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এদিকে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে শনিবার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে কমিটি করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট-২ শুরুর ঘোষণাও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশ নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলেছে, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকগুলোতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র ছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি পেশাদার সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনার আলোকে অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহপথ চিহ্নিত করা এবং অস্ত্রের পেছনে থাকা অর্থের জোগানদাতাদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে।
এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে জোর দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, লুণ্ঠিত ১ হাজার ৩৩৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এগুলোর মধ্যে প্রায় ৪০০টি পিস্তল রয়েছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশের আশঙ্কার পাশাপাশি লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কোনো অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে এসব বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের দাবি করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ও জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের নিরাপত্তা পরিকল্পনা নতুন করে সাজানো হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে প্রার্থীদের এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, নির্বাচনের সময় যেকোনো ঝুঁকি মোকাবিলা করতে এবং নির্বাচনকে শঙ্কামুক্ত রাখতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের সঙ্গে সশস্ত্র প্রহরী থাকবে এবং গোয়েন্দা সংস্থা সম্ভাব্য ঝুঁকি ও দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সতর্ক করবে। প্রার্থীদের ঠিক কোন জায়গায় যাওয়া নিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

শ্রম আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে সরকার। যথাযথ ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শেষে দ্রুততার সঙ্গে, সম্ভব হলে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে আইনের সংশোধনীর খসড়াটি উপস্থাপন করা হতে পারে।
১৩ মার্চ ২০২৪
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
৯ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
৪ ঘণ্টা আগে