Ajker Patrika

ড. ইউনূস ইস্যুতে বিদেশিদের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য: ১৭১ বিশিষ্টজন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৩৭
ড. ইউনূস ইস্যুতে বিদেশিদের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য: ১৭১ বিশিষ্টজন

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ১০০ নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজনের খোলাচিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ১৭১ বিশিষ্টজন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিসার হোসেন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের পক্ষে থেকে আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।

নোবেল পুরস্কারজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যদের লেখা খোলাচিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে মনে করেন এই বিশিষ্টজনেরা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা চলমান মামলাগুলোর বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ অভিহিত করে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন তাঁরা।

এই খোলাচিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে হেয়প্রতিপন্ন করার শামিল বলে মনে করেন তাঁরা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদে বিবৃতি দেওয়া দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীর মধ্যে রয়েছেন: নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক অনুপম সেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, শিল্পী হাশেম খান, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী, আবুল বারক আলভী, লেখক বুলবন ওসমান, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, শিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবুল বারকাত, আব্দুল বায়েস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, তারানা হালিম, ফাল্গুনী হামিদ, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি নির্মলেন্দু গুণ, অসীম সাহা, সাবেক বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির, প্রকৌশলী অধ্যাপক শামীম বাসুনিয়া, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অভিনেত্রী লাকী ইনাম, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য্য, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডা. কামরুল হাসান খান, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মঞ্চসারথী আতাউর রহমান প্রমুখ।

এর আগে একই ধরনের বিবৃতি দেয় ১৩টি সাংস্কৃতিক সংগঠন। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে বিদেশিদের বিবৃতি অগ্রহণযোগ্য। 

যৌথ বিবৃতি দেওয়া ১৩টি জাতীয়ভিত্তিক সাংস্কৃতিক ফেডারেশনের মধ্যে রয়েছে: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ, অভিনয় শিল্পী সংঘ, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। এ ছাড়া পৃথকভাবে একই রকম বিবৃতি পাঠিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। 

গত সোমবার (২৮ আগস্ট) নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলাচিঠি পাঠিয়েছেন ১৬০ জন বিদেশি বিশিষ্টজন। ওই চিঠিতে ১০০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতি, কূটনীতিক, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যক্তিরা রয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি দেখেছি, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 

আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া এবং নির্বাচনে প্রশাসন দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনে বৈধতার অভাব ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে, তা হলো নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন যে সম্প্রতি তাঁকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে, আপনি অবিলম্বে অধ্যাপক ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘হয়রানি বন্ধের’ আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

শুক্রবার বিবৃতিদাতা ১৭১ বিশিষ্টজন:
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নয়:
১. অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, নগর-পরিকল্পনাবিদ ও সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
২. অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, সমাজবিজ্ঞানী
৩. অধ্যাপক ড. সৎ কুমার সাহা, অর্থনীতিবিদ
৪. অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
৫. শিল্পী হাশেম খান, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬. অধ্যাপক বুলবন ওসমান, সমাজবিজ্ঞানী ও লেখক
৭. শিল্পী রফিকুন নবী, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮. অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাবেক উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৯. অধ্যাপক মাহফুজা খানম, সাবেক সভাপতি, এশিয়াটিক সোসাইটি ও সভাপতি, বিশ্ব শিক্ষক পরিষদ
১০. অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ইতিহাসবিদ, বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
১১. শাহাবুদ্দিন আহমেদ, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা
১২. ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১৩. অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, সভাপতি, অর্থনীতি সমিতি
১৪. হাসান ইমাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৫. রামেন্দু মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব
১৬. কবি নির্মলেন্দু গুণ
১৭. অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, প্রেসিডেন্ট, এশিয়াটিক সোসাইটি
১৮. নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাবেক সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
১৯. অধ্যাপক আব্দুল বায়েস, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপাচার্য
২০. মমতাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক বিচারপতি
২১. অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন
২২. অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ইতিহাসবিদ
২৩. বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির
২৪. অধ্যাপক ড. এ কে এম মনোয়ার উদ্দিন আহমদ, অর্থনীতিবিদ
২৫. মামুনুর রশীদ, নাট্যব্যক্তিত্ব
২৬. আরমা দত্ত, মানবাধিকারকর্মী
২৭. রোকেয়া কবীর, নারীনেত্রী
২৮. আবেদ খান, সাংবাদিক
২৯. নূহ-উল-আলম লেনিন, কবি ও লেখক
৩০. হারুন হাবীব, সাংবাদিক
৩১. প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. শামীম বসুনিয়া
৩২. কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন
৩৩. অভিনেত্রী লাকী ইনাম
৩৪. কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য্য
৩৫. মানজারে হাসিন মুরাদ, চলচ্চিত্রকার
৩৬. লায়লা হাসান, নৃত্যশিল্পী
৩৭. ম. হামিদ, নাট্যজন
৩৮. মফিদুল হক, ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
৩৯. শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া
৪০. মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক, বিএফইউজে
৪১. নাঈমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক
৪২. মমতাজ উদ্দীন ফকির, সভাপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
৪৩. মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ
৪৪. মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার
৪৫. মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন
৪৬. অজয় দাশগুপ্ত, সাংবাদিক
৪৭. সুবর্ণা মুস্তাফা, নাট্যব্যক্তিত্ব
৪৮. শাহরিয়ার কবির, লেখক
৪৯. কবি তারিক সুজাত
৫০. কবি অসীম সাহা
৫১. পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্যজন
৫২. হারিছুল হক, কবি ও চিকিৎসক
৫৩. রোকেয়া কবির, নারী নেত্রী
৫৪. গোলাম কুদ্দুস, নাট্যব্যক্তিত্ব এবং সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
৫৫. অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন, বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার
৫৬. লুৎফর রহমান রিটন, ছড়াকার
৫৭. অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ববিদ
৫৮. অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ, প্রত্নতত্ত্ববিদ ও কলামিস্ট
৫৯. অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ইতিহাসবিদ
৬০. অধ্যাপক ড. প্রাণ গোপাল দত্ত, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৬১. অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৬২. অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবার রহমান, সাবেক উপচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৩. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান আকন্দ, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৪. অধ্যাপক ড. শরিফ এনামুল কবীর, সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৬৫. অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৬৬. অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশীদ, সাবেক উপাচার্য, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৭. অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, সাবেক উপাচার্য, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৮. অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, সাবেক উপাচার্য, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৬৯. অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৭০. অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আশকারী, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৭১. অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, সাবেক উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৭২. অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি
৭৩. অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
৭৪. অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৭৫. অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৭৬. অধ্যাপক ড. আবদুস সাত্তার, সাবেক উপাচার্য, যশোর বিশ্ববিদ্যালয়
৭৭. অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন, সাবেক উপাচার্য, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৭৮. অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক উপ-উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৭৯. অধ্যাপক এম এ মতিন, সাবেক উপ-উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮০. অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ্ সিকদার, সাবেক উপ-উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৮১. অধ্যাপক মো. নুরুল্লা, সাবেক উপ-উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৮২. অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
৮৩. অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, সাবেক উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮৪. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, সাবেক উপ-উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৮৫. অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, সাবেক উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৮৬. প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, সাবেক উপ-উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
৮৭. অধ্যাপক আমির হোসেন, অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উপ-উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৮৮. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, সাবেক উপ-উপাচার্য, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৮৯. অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস
সমিতি
৯০. শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক
৯১. মোজাম্মেল বাবু, সাংবাদিক
৯২. অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক
৯৩. প্রকৌশলী আব্দুস সবুর খান
৯৪. প্রকৌশলী নূরুল হুদা
৯৫. প্রকৌশলী মঞ্ছুরুল হক মঞ্ছুর
৯৬. অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, বিশিষ্ট পরিসংখ্যানবিদ
৯৭. অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী
৯৮. ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী, সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৯৯. ডাক্তার মামুন আল মাহতাব, সদস্যসচিব, সম্প্রীতির বাংলাদেশ
১০০. শিল্পী আবুল বারক আলভী, মুক্তিযোদ্ধা
১০১. অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
১০২. চঞ্চল চৌধুরী, নাট্য অভিনেতা
১০৩. তারানা হালিম, অভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিক কর্মী
১০৪. আতাউর রহমান, মঞ্চসারথী
১০৫. নাট্যজন মামুনুর রশীদ
১০৬. ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান
১০৭. অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১০৮. ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, সাবেক মহাসচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১০৯. ডা. জামাল উদ্দীন চৌধুরী, সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
১১০. অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, মহাসচিব, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ
১১১. অধ্যাপক ড. এম. কামীম জেড বসুনিয়া, পিইঞ্ছ
১১২. প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা
১১৩. প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর
১১৪. অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মুনাজ আহমেদ নূর, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
১১৫. প্রকৌশলী এস এম মনজুরুল হক মঞ্ছু, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়
১১৬. আসিফ মুনীর, সভাপতি, প্রজন্ম ’৭১
১১৭. কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক, প্রজন্ম ’৭১
১১৮. অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, ডিন, কলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১১৯. অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২০. অধ্যাপক ড. সীমা জামান, ডিন, আইন অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২১. অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, ডিন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২২. অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৩. অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান, ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৪. অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৫. অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ডিন, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৬. অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৭. অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৮. অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২৯. অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩০. ডা. শাহরিয়ার নবী, ডিন, চিকিৎসা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৩১. আহসান হাবিব নাসিম, সভাপতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ
১৩২. অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি ও সাবেক ডিন, বিজ্ঞান অনুষদ, শাহজালাল
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

১৩৩. অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি ও বর্তমান সভাপতি, বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৪. অধ্যাপক ড. মোশতাক আহমেদ, সাবেক ডিন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৫. অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৬. অধ্যাপক ড. আব্দুল গনি, সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৩৭. রঞ্ছন কর্মকার, সাবেক মহাসচিব, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
১৩৮. অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ
১৩৯. শিল্পী শেখ আফজাল হোসেন
১৪০. শিল্পী অধ্যাপক ফরিদা জামান
১৪১. সুভাষ সিংহ রায়, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
১৪২. অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, সাবেক সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৩. অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সভাপতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৪. অধ্যাপক শামীম কায়সার, সম্পাদক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৫. অধ্যাপক আহমেদ রেজা, সদস্য, শিক্ষক সমিতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৬. অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী, সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৭. অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৮. অধ্যাপক আবদুল হক, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৪৯. ড. আহমদ সালাউদ্দিন, সাবেক সভাপতি, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫০. অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫১. ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫২. অধ্যাপক মো. জসীম উদ্দিন, চিত্রশিল্পী ও সাবেক পরিচালক, চারুকলা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৩. অধ্যাপক মনজুর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৪. অধ্যাপক অসীম দাশ, নাট্য নির্দেশক, নাট্যকলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৫. অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, সাবেক ডিন, আইন অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
১৫৬. অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার, ভাষা গবেষক
১৫৭. সঙ্গীতা ইমাম, সংস্কৃতিকর্মী
১৫৮. মসিহউদ্দিন শাকের, চলচ্চিত্র নির্মাতা
১৫৯. ড. ইসরাফিল শাহিন, নাট্যব্যক্তিত্ব
১৬০. শিমুল ইউসুফ, নৃত্যশিল্পী
১৬১. অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
১৬২. অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
১৬৩. সংগীতশিল্পী শামা রহমান
১৬৪. বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির
১৬৫. মো. মঞ্ছুরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও প্রধান সম্পাদক, ডিবিসি টেলিভিশন
১৬৬. আবৃত্তিকার আহকাম উল্ল্যাহ
১৬৭. ফাল্গুনী হামিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৬৮. অধ্যাপক ডা. বরেন চক্রবর্তী, চিকিৎসক ও কবি
১৬৯. কবি রুবী রহমান
১৭০. আফসানা মিমি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
১৭১. শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৮
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া পোস্টে এক শোকবার্তায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দুটি ছবি যুক্ত করেছেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। সর্বশক্তিমান যেন তাঁর পরিবারকে এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দান করেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির উন্নয়ন এবং ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

মোদি বলেন, ‘২০১৫ সালে ঢাকায় তাঁর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। আমরা আশা করি, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ও উত্তরাধিকার আমাদের অংশীদারত্বকে ভবিষ্যতেও পথ দেখাবে। তাঁর আত্মা শান্তিতে বিশ্রাম নিক।’

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা অন্যতম জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে আমি শোকাহত। আমি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীদের আমার সমবেদনা জানাচ্ছি।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বার্তায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার পরিবার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বার্তায় লেখেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এবং ত্যাগ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গভীর শোক প্রকাশ করে খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের একজন ‘নিবেদিত বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সেবা এবং দেশটির অগ্রগতি ও উন্নয়নে তাঁর অবদান একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে গেছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তা ও প্রার্থনা খালেদা জিয়ার পরিবার, বন্ধুস্বজন এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে।’

ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, ‘বেগম জিয়া তাঁর দেশের আধুনিক ইতিহাস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে তাঁর নেতৃত্ব ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়, বেলা ২টায়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজা ও দাফনস্থলে কোনো ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪২
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে।

এসব গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের শক্তি, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি অভিধায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির শিরোনাম করা হয়েছে—‘বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৮০ বছর বয়সে মারা গেলেন’।

কাতারি সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে—‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন, বয়স হয়েছিল ৮০ বছর’।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের শিরোনামে বলা হয়েছে, দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গেলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে—‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন’।

যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপির শিরোনাম—‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন’।

আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের শিরোনাম—‘খালেদা জিয়া, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেলেন’।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের শিরোনাম করা হয়েছে—‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন’।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে একই শিরোনাম করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম—‘খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, ৮০ বয়সে প্রয়াণ’।

এ ছাড়া ভারতীয় ও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোতেও খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৮
খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি নির্ধারণে আয়োজিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।

ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ও কাল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’

সভায় শুরুতেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।

সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল এক দিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।

রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশের প্রতিটি মসজিদে খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়েও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবই খোলা হবে।

সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

মির্জা ফখরুল জানান, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও এর সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।

সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যাতে তিনি আমাদের সাথে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’

স্মৃতিচারণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ উনার সাথে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার, আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল। তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এ সময় তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তার চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত