নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, চার বছরেও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিধিমালা বাস্তবায়ন হয়নি। সঠিক তথ্যের অভাবে নেওয়া হয় না সঠিক পরিকল্পনা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রোড সেফটি কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত জারি ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ যে তথ্য দেয় তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পুলিশের তথ্য সরকার নেয় যার কারণে সড়ক নিরাপত্তা যেমনটা হওয়া দরকার তা হয় না। ফলে সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হয় না।
জাতিসংঘের যে তথ্যটি দিচ্ছে সেটিই সঠিক উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘পুলিশের তথ্য অনুযায়ী আমাদের রোড সেফটির দরকারই হয় না। সারা পৃথিবীর মধ্যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। জাতিসংঘের যে তথ্যটি দিচ্ছে সেটিই সঠিক তথ্য। সেই তথ্য ধরেই আমরা কাজ করছি।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই সরকারকে অনুরোধ করছি তারা যেন সঠিক একটি তথ্য দেয়। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। তথ্য একটি বড় ব্যাপার। কেনো দুর্ঘটনা হচ্ছে, কি কারণে হচ্ছে, কত লোক মারা যাচ্ছেন, কত আহত হচ্ছে তার সঠিক তথ্য না থাকলে আমরা সঠিক পরিকল্পনা করতে পারব না।’
আইন বাস্তবায়ন না হওয়ার ব্যাপারে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এটি বাস্তবায়নে একটি গোষ্ঠীর বাধা আছে তা আমরা জানি। আমরা চাচ্ছি আইনটিকে শক্তিশালী করতে আর একটি গোষ্ঠী চাচ্ছে এটিকে দুর্বল করতে।’
কোয়ালিশন সদস্য সংস্থা নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রাম (প্রজেক্ট) ম্যানেজার এম. খালিদ মামুন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। কিন্তু চার বছরেও তা বাস্তব রূপ পায়নি। ফলে সড়ককে নির্বাপণ করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও আইনের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সড়কে সুফল প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না ও মৃত্যু বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কিছু সবল দিক থাকলেও এর প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো-আইনটিতে হেলমেট পরিধানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এর মানদণ্ড ও ব্যবহারবিধি আইনে অনুপস্থিত। আইনে গতিসীমা লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান বর্ণিত থাকলেও গতিসীমা নির্ধারণ, এর বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা ও গাইডলাইন সন্নিবেশিত হয়নি-যা বাস্তবায়ন অযোগ্য। এ ছাড়া যাত্রীদের সিটবেল্ট ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা ও শিশুদের ক্ষেত্রে চাইল্ড রেস্ট্রেইন্ট বা শিশুদের জন্য নিরাপদ বা সুরক্ষিত আসন ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা আইনটিতে সংযোজন করা হয়নি।
এম. খালিদ মামুন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জাতিসংঘের উদ্যোগসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ কমানোর জন্য টেকসই উন্নয়ন ৩.৬ অর্জনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা এবং ‘গ্লোবাল প্ল্যান ফর সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০’ নিশ্চিত করতে কার্যকর কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সেগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা।

নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, চার বছরেও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বিধিমালা বাস্তবায়ন হয়নি। সঠিক তথ্যের অভাবে নেওয়া হয় না সঠিক পরিকল্পনা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রোড সেফটি কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত জারি ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ যে তথ্য দেয় তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, পুলিশের তথ্য সরকার নেয় যার কারণে সড়ক নিরাপত্তা যেমনটা হওয়া দরকার তা হয় না। ফলে সঠিক পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হয় না।
জাতিসংঘের যে তথ্যটি দিচ্ছে সেটিই সঠিক উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘পুলিশের তথ্য অনুযায়ী আমাদের রোড সেফটির দরকারই হয় না। সারা পৃথিবীর মধ্যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাই। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন। জাতিসংঘের যে তথ্যটি দিচ্ছে সেটিই সঠিক তথ্য। সেই তথ্য ধরেই আমরা কাজ করছি।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই সরকারকে অনুরোধ করছি তারা যেন সঠিক একটি তথ্য দেয়। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। তথ্য একটি বড় ব্যাপার। কেনো দুর্ঘটনা হচ্ছে, কি কারণে হচ্ছে, কত লোক মারা যাচ্ছেন, কত আহত হচ্ছে তার সঠিক তথ্য না থাকলে আমরা সঠিক পরিকল্পনা করতে পারব না।’
আইন বাস্তবায়ন না হওয়ার ব্যাপারে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এটি বাস্তবায়নে একটি গোষ্ঠীর বাধা আছে তা আমরা জানি। আমরা চাচ্ছি আইনটিকে শক্তিশালী করতে আর একটি গোষ্ঠী চাচ্ছে এটিকে দুর্বল করতে।’
কোয়ালিশন সদস্য সংস্থা নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রাম (প্রজেক্ট) ম্যানেজার এম. খালিদ মামুন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। কিন্তু চার বছরেও তা বাস্তব রূপ পায়নি। ফলে সড়ককে নির্বাপণ করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও আইনের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সড়কে সুফল প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না ও মৃত্যু বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কিছু সবল দিক থাকলেও এর প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো-আইনটিতে হেলমেট পরিধানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এর মানদণ্ড ও ব্যবহারবিধি আইনে অনুপস্থিত। আইনে গতিসীমা লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান বর্ণিত থাকলেও গতিসীমা নির্ধারণ, এর বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা ও গাইডলাইন সন্নিবেশিত হয়নি-যা বাস্তবায়ন অযোগ্য। এ ছাড়া যাত্রীদের সিটবেল্ট ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা ও শিশুদের ক্ষেত্রে চাইল্ড রেস্ট্রেইন্ট বা শিশুদের জন্য নিরাপদ বা সুরক্ষিত আসন ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা আইনটিতে সংযোজন করা হয়নি।
এম. খালিদ মামুন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জাতিসংঘের উদ্যোগসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ কমানোর জন্য টেকসই উন্নয়ন ৩.৬ অর্জনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা এবং ‘গ্লোবাল প্ল্যান ফর সেকেন্ড ডিকেড অব অ্যাকশন ফর রোড সেফটি ২০২১-২০৩০’ নিশ্চিত করতে কার্যকর কর্মপন্থা নির্ধারণ করে সেগুলো বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা।

তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
৭ ঘণ্টা আগে
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
৮ ঘণ্টা আগে
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
১০ ঘণ্টা আগে