
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলাদেশে মারা যায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। আর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সড়কে প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। সে হিসাবে, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ৩৬০ জন মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। অর্থাৎ দুই হিসাবেই দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন বা তারও বেশি মানুষের প্রাণ যায়।
সরকারি বা বেসরকারি কোনো পরিসংখ্যানই কিন্তু বলছে না যে দেশে সড়কে শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। বরং এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ইদানীং বেড়েছে।
এদিকে আজ শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, ক্ষমতাসীন দলের একটা অংশ সড়ক পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করছে। এই সুবিধাবাদী গোষ্ঠীই পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির ভাষ্য, দেশে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো বিভিন্ন কমিটি গঠন ও সুপারিশমালা তৈরির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এই যখন বাংলাদেশের অবস্থা, পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
ভিশন জিরো
১৯৯৭ সালে সুইডিশ পার্লামেন্টে সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য এবং নীতি কৌশল পাস হয়, যেটির নাম দেওয়া হয় ভিশন জিরো। লক্ষ্য হলো সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ যেন নিহত বা গুরুতর আহত না হন।
ভিশন জিরো এখন বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলন। সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে ট্রাফিক-সম্পর্কিত প্রাণহানি এবং গুরুতর জখম বন্ধ করার নৈতিক অবস্থান হলো এই ভিশন। এই নীতি কৌশলের ভিত্তি হলো সড়কে মৃত্যু ও জখম অগ্রহণযোগ্য এবং প্রতিরোধযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি শহর ভিশন জিরো লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। এতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।
ভিশন জিরো হলো একটি নীতিগত অবস্থান। এটি এমন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যেটিকে বলা যেতে পারে সড়ক নিরাপত্তার প্যারাডাইম শিফট। এই নীতির আওতায় সড়ক নিরাপত্তার দায় ও দায়িত্ব যারা চলাচলের জন্য সড়ক ব্যবহার করে (পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালক) তাদের কাছ থেকে বরং যারা সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ও নিরাপত্তার নকশা করেন তাঁদের কাছে স্থানান্তর করা।
এই নীতির আওতায় মানবিক ত্রুটি ক্ষমা করা হয়। একটি নিরাপদ গতিশীল ব্যবস্থা তৈরি করতে মূল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মক্ষেত্রগুলোকে একীভূত করা হয়।
ভিশন জিরোর নীতিগত ধারণাটি গৃহীত হয়েছে বলে তখনই ধরে নেওয়া হবে যখন, একটি শহর নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার মূল নীতিগুলো সঠিকভাবে গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি নতুন প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করবে। সুতরাং, এটি সম্পূর্ণ একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি-কৌশল বদলাতে হয়।
এই নীতির সবচেয়ে বড় কথা হলো সড়ক নিরাপত্তার চূড়ান্ত দায়িত্ব সড়ক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে, যাঁরা পরিবহনব্যবস্থা ডিজাইন করেন, যেমন—সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্থা, যানবাহন নির্মাতা, আইনপ্রণেতা, বাণিজ্যিক পরিবহন অপারেটর, পুলিশ ইত্যাদির দিকে স্থানান্তরিত হয়। সড়ক ব্যবহারকারীর দায়িত্ব হলো আইন ও প্রবিধানগুলো মেনে চলা।
মানুষ মাত্রই ভুল করে
প্রথাগত সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা এ-যাবৎ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, বেশির ভাগ দুর্ঘটনায় সড়ক ব্যবহারকারীদের দায় থাকে। তাই প্রচলিত কৌশলগুলোর লক্ষ্য থাকে, নিখুঁত নির্ভুল মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করা, যারা সর্বদা সব পরিস্থিতিতে সঠিক কাজটি করে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রায় সব সময়ই সড়ক ব্যবহারকারীর ওপর দোষ চাপানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও এমন দায় চাপানোর প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। বলা হয়েছে, রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে কীভাবে চলাচল করতে হয় সেই জ্ঞান না থাকার কারণেই তাঁরা যানবাহনের চাকার নিচে প্রাণ ‘বিসর্জন’ দিয়েছেন। দেশের ট্রাফিক পুলিশও সব সময় রাস্তায় চলাচলকারীদের সড়ক ব্যবহার ও ট্রাফিক আইন শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
‘ভিশন জিরো’ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে। পরিবর্তে এটি অনুমান করা হয় যে, পৃথিবীতে কোনো নিখুঁত মানুষ নেই। ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, কিন্তু একজন ব্যক্তির জীবন বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি তার ভুলের মাশুল হতে পারে না। এর পরিবর্তে, পরিবহনব্যবস্থার নকশাই এমনভাবে করতে হবে যাতে সড়ক দুর্ঘটনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি না হয়।
ভিশন থেকে বাস্তবায়ন
সুইডেন ‘ভিশন জিরো’ কৌশল বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সফলতা পেয়েছে। দুই দশকের কিছু বেশি সময় ধরে সুইডেনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা রাস্তায় শূন্য প্রাণহানি এবং শূন্য গুরুতর জখমের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক সড়কে একটি কেন্দ্রীয় বাধা রাখা হয়েছে যাতে দুর্ঘটনা রোধ করা যায়; পুলিশ ক্যামেরায় দেখে গাড়ির গতিনিয়ন্ত্রণ করতে পারে; অনেক চৌরাস্তার মোড়ে গোলচত্বর নির্মাণ করা হয়েছে; স্বচালিত নিরাপদ গাড়িতে বিনিয়োগ করছে; শহুরে এলাকার জন্য যখন ট্র্যাফিক ডিজাইন করা হয়, তখন দুর্বল রাস্তা-ব্যবহারকারীদের (বৃদ্ধ, শিশু, অসুস্থ ইত্যাদি) ওপর আলাদা করে নজর রাখা হয়।
সুইডেনের সফলতা
সুইডিশ পার্লামেন্ট যখন ভিশন জিরো গৃহীত হয়, তখন প্রতি এক লাখে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতেন সাতজন। ওই সময়ে, বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিসংখ্যান বেশ কমই। এটি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না এ নিয়ে সুইডেনের অনেকে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু ভিশন জিরো বাস্তবায়নের পর সুইডেনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। একই সময়ে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কিন্তু নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। তবে, ভিশন জিরো দৃষ্টিভঙ্গি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কমে গেছে, এখন নতুন কৌশলের কথা ভাবছে সুইডেন সরকার।
ভিশন জিরো বেশ কয়েকটি দেশে আগ্রহ জাগিয়েছে
সুইডেনের ভিশন জিরোর সফলতায় উৎসাহিত হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। সবার আগে নর্ডিক প্রতিবেশী দেশগুলো এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ সড়ক নরওয়ের। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে সড়কে মৃত্যু অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা শূন্যে আনতে চায় নর্ডিক দেশটি।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভিশন জিরো গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত বেশ ভালো ফল পেয়েছে তারা। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ২০টি শহর নিউইয়র্ককে অনুসরণ করেছে।
চলতি বছর ভারতের ওডিশা রাজ্য সরকার গত ১ থেকে ৭ এপ্রিল ‘সড়কে শূন্য মৃত্যু’ সপ্তাহ পালন করে। সরকার গাড়ি নির্মাতাদেরও সড়ক নিরাপত্তায় পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল রোববার (২২ অক্টোবর) দেশে পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বিশ্বে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলাদেশে মারা যায় ২৪ হাজার ৯৫৪ জন। আর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, সড়কে প্রতিদিন ৬৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। সে হিসাবে, প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩ হাজার ৩৬০ জন মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। অর্থাৎ দুই হিসাবেই দেশে প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন বা তারও বেশি মানুষের প্রাণ যায়।
সরকারি বা বেসরকারি কোনো পরিসংখ্যানই কিন্তু বলছে না যে দেশে সড়কে শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। বরং এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে বিশেষ করে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ইদানীং বেড়েছে।
এদিকে আজ শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, ক্ষমতাসীন দলের একটা অংশ সড়ক পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করছে। এই সুবিধাবাদী গোষ্ঠীই পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির ভাষ্য, দেশে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো বিভিন্ন কমিটি গঠন ও সুপারিশমালা তৈরির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
এই যখন বাংলাদেশের অবস্থা, পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
ভিশন জিরো
১৯৯৭ সালে সুইডিশ পার্লামেন্টে সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য এবং নীতি কৌশল পাস হয়, যেটির নাম দেওয়া হয় ভিশন জিরো। লক্ষ্য হলো সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ যেন নিহত বা গুরুতর আহত না হন।
ভিশন জিরো এখন বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলন। সড়ক নিরাপত্তার জন্য একটি পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে ট্রাফিক-সম্পর্কিত প্রাণহানি এবং গুরুতর জখম বন্ধ করার নৈতিক অবস্থান হলো এই ভিশন। এই নীতি কৌশলের ভিত্তি হলো সড়কে মৃত্যু ও জখম অগ্রহণযোগ্য এবং প্রতিরোধযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ২০টির বেশি শহর ভিশন জিরো লক্ষ্য গ্রহণ করেছে। এতে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ।
ভিশন জিরো হলো একটি নীতিগত অবস্থান। এটি এমন একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা, যেটিকে বলা যেতে পারে সড়ক নিরাপত্তার প্যারাডাইম শিফট। এই নীতির আওতায় সড়ক নিরাপত্তার দায় ও দায়িত্ব যারা চলাচলের জন্য সড়ক ব্যবহার করে (পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালক) তাদের কাছ থেকে বরং যারা সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ও নিরাপত্তার নকশা করেন তাঁদের কাছে স্থানান্তর করা।
এই নীতির আওতায় মানবিক ত্রুটি ক্ষমা করা হয়। একটি নিরাপদ গতিশীল ব্যবস্থা তৈরি করতে মূল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মক্ষেত্রগুলোকে একীভূত করা হয়।
ভিশন জিরোর নীতিগত ধারণাটি গৃহীত হয়েছে বলে তখনই ধরে নেওয়া হবে যখন, একটি শহর নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার মূল নীতিগুলো সঠিকভাবে গ্রহণ এবং কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি নতুন প্রেক্ষাপটে প্রয়োগ করবে। সুতরাং, এটি সম্পূর্ণ একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। প্রয়োজন অনুযায়ী নীতি-কৌশল বদলাতে হয়।
এই নীতির সবচেয়ে বড় কথা হলো সড়ক নিরাপত্তার চূড়ান্ত দায়িত্ব সড়ক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে, যাঁরা পরিবহনব্যবস্থা ডিজাইন করেন, যেমন—সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্থা, যানবাহন নির্মাতা, আইনপ্রণেতা, বাণিজ্যিক পরিবহন অপারেটর, পুলিশ ইত্যাদির দিকে স্থানান্তরিত হয়। সড়ক ব্যবহারকারীর দায়িত্ব হলো আইন ও প্রবিধানগুলো মেনে চলা।
মানুষ মাত্রই ভুল করে
প্রথাগত সড়ক নিরাপত্তাব্যবস্থা এ-যাবৎ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে কিন্তু। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, বেশির ভাগ দুর্ঘটনায় সড়ক ব্যবহারকারীদের দায় থাকে। তাই প্রচলিত কৌশলগুলোর লক্ষ্য থাকে, নিখুঁত নির্ভুল মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করা, যারা সর্বদা সব পরিস্থিতিতে সঠিক কাজটি করে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রায় সব সময়ই সড়ক ব্যবহারকারীর ওপর দোষ চাপানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও এমন দায় চাপানোর প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। বলা হয়েছে, রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে কীভাবে চলাচল করতে হয় সেই জ্ঞান না থাকার কারণেই তাঁরা যানবাহনের চাকার নিচে প্রাণ ‘বিসর্জন’ দিয়েছেন। দেশের ট্রাফিক পুলিশও সব সময় রাস্তায় চলাচলকারীদের সড়ক ব্যবহার ও ট্রাফিক আইন শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
‘ভিশন জিরো’ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে। পরিবর্তে এটি অনুমান করা হয় যে, পৃথিবীতে কোনো নিখুঁত মানুষ নেই। ভুল করা মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, কিন্তু একজন ব্যক্তির জীবন বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি তার ভুলের মাশুল হতে পারে না। এর পরিবর্তে, পরিবহনব্যবস্থার নকশাই এমনভাবে করতে হবে যাতে সড়ক দুর্ঘটনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি না হয়।
ভিশন থেকে বাস্তবায়ন
সুইডেন ‘ভিশন জিরো’ কৌশল বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সফলতা পেয়েছে। দুই দশকের কিছু বেশি সময় ধরে সুইডেনের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা রাস্তায় শূন্য প্রাণহানি এবং শূন্য গুরুতর জখমের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক সড়কে একটি কেন্দ্রীয় বাধা রাখা হয়েছে যাতে দুর্ঘটনা রোধ করা যায়; পুলিশ ক্যামেরায় দেখে গাড়ির গতিনিয়ন্ত্রণ করতে পারে; অনেক চৌরাস্তার মোড়ে গোলচত্বর নির্মাণ করা হয়েছে; স্বচালিত নিরাপদ গাড়িতে বিনিয়োগ করছে; শহুরে এলাকার জন্য যখন ট্র্যাফিক ডিজাইন করা হয়, তখন দুর্বল রাস্তা-ব্যবহারকারীদের (বৃদ্ধ, শিশু, অসুস্থ ইত্যাদি) ওপর আলাদা করে নজর রাখা হয়।
সুইডেনের সফলতা
সুইডিশ পার্লামেন্ট যখন ভিশন জিরো গৃহীত হয়, তখন প্রতি এক লাখে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতেন সাতজন। ওই সময়ে, বৈশ্বিক পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিসংখ্যান বেশ কমই। এটি আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না এ নিয়ে সুইডেনের অনেকে সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু ভিশন জিরো বাস্তবায়নের পর সুইডেনে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। একই সময়ে সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কিন্তু নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। তবে, ভিশন জিরো দৃষ্টিভঙ্গি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৃত্যুর হার কমে গেছে, এখন নতুন কৌশলের কথা ভাবছে সুইডেন সরকার।
ভিশন জিরো বেশ কয়েকটি দেশে আগ্রহ জাগিয়েছে
সুইডেনের ভিশন জিরোর সফলতায় উৎসাহিত হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। সবার আগে নর্ডিক প্রতিবেশী দেশগুলো এই উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ সড়ক নরওয়ের। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে সড়কে মৃত্যু অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আর ২০৫০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা শূন্যে আনতে চায় নর্ডিক দেশটি।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভিশন জিরো গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত বেশ ভালো ফল পেয়েছে তারা। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ২০টি শহর নিউইয়র্ককে অনুসরণ করেছে।
চলতি বছর ভারতের ওডিশা রাজ্য সরকার গত ১ থেকে ৭ এপ্রিল ‘সড়কে শূন্য মৃত্যু’ সপ্তাহ পালন করে। সরকার গাড়ি নির্মাতাদেরও সড়ক নিরাপত্তায় পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামীকাল রোববার (২২ অক্টোবর) দেশে পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
২১ অক্টোবর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
২১ অক্টোবর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
২১ অক্টোবর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু সড়কে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন করছে। বিশ্বব্যাপী এই লক্ষ্যকে বলা হয় ‘ভিশন জিরো’। বিশ্বের অনেক দেশ এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সড়কে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।
২১ অক্টোবর ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগে