Ajker Patrika

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ১৫: ৪৩
জুলাই গণ-অভুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত কর্মচারী মো. নাজমুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই গণ-অভুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত কর্মচারী মো. নাজমুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. নাজমুল হুদা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কমেন্ট করার অপরাধে ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে নাজমুল হুদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সম্প্রতি, ফেসবুকে স্যাড রিয়েক্ট দেওয়ায় সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে শোকজ করার ঘটনার পর নাজমুল হুদার বরখাস্তের তথ্য নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিশিয়াল সিদ্ধান্তে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি শুধু ডেস্ক অফিসার হিসেবে স্বাক্ষর করেছি।’

জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে সারজিস আলমের একটি পোস্টে নাজমুল হুদা কমেন্ট লেখেন, ‘আপনারা স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের সচিব বানানোর জন্য ডিও দেন, আবার বড় বড় কথা বলেন।’ কমেন্টের পরের দিনই নাজমুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ভুক্তভোগী নাজমুলকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে তাঁর বিরুদ্ধে গত ১৩ মার্চ বিভাগীয় মামলাও করা হয়।

মামলার অভিযোগনামায় বলা হয়, ‘আপনার উপরিউক্ত মন্তব্য/বক্তব্য জাতীয় ঐক্য চেতনার পরিপন্থী—যা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন, জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্যে মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়গণদের হেয় করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মচারী হিসেবে আপনার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতে এ ধরনের মন্তব্য/বক্তব্য প্রদান সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের শামিল।’

এদিকে, নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা এজাহারের কপির ছবি দিয়ে ১৭ মে রাতে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘সার্জিস আলমকেও স্যার ডাকতে হবে নাকি এখন?।’ ওই পোস্টে সারজিস আলম মন্তব্যে লেখেন, তিনি ভুক্তভোগীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। শাস্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ করবেন। তা ছাড়া চাকরি ফিরে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে ভুক্তভোগী নাজমুল হুদা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সারজিস আলম যোগাযোগ করেছে। তবে সে ভালোভাবে বললে বরখাস্তের আদেশ বাতিল হতো।’ কমেন্টের বিষয়ে তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেনের চাপে সেই কমেন্ট তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত