কামরুল হাসান

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে মানুষ যেমন হয়।
এটা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ জুন, শনিবার। সরকারি পদস্থ চাকুরেরা ছুটির দিনে সাধারণত ফোন পর্যন্ত ধরেন না, সেখানে তিনি অফিসে আছেন শুনে কিছুটা বিস্মিত হলাম। তা আরও বেড়ে গেল তাঁর কথা শোনার পর। তিনি বললেন, আজ তাঁকে ফোনে ভয় দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো ‘শেষ দেখে নেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কে হুমকি দিয়েছেন? তিনি একটি ফোন নম্বর দেখিয়ে বললেন, এটার কোনো আইডি নেই। হুমকির পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য যেখানে যেখানে জানানোর দরকার, সবই তিনি করছেন। কিন্তু তাতেও তিনি আশ্বস্ত হতে না পেরে সাংবাদিক ডেকেছেন।
আমি তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, সম্প্রতি এ রকম কোনো বিষয় আছে কি, যার কারণে হুমকি আসতে পারে? তিনি বললেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, খোরশেদ আলম রাসু ও পিচ্চি হেলালকে কাশিমপুর কারাগার থেকে যথাক্রমে যশোর কারাগার, কুমিল্লা কারাগার ও রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এটা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর কাছে খবর ছিল, রোজার ঈদ সামনে রেখে এই সন্ত্রাসীরা কারাগারে বসে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁদের অন্য কারাগারে পাঠানোর পরই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, সন্ত্রাসীদের লোকজন তাঁকে শেষ দেখে নেবে।
এখন সহজ একটি প্রশ্ন উঠতে পারে, কারাগারের আসামিদের যেখানে খুশি পাঠানো হবে, তাতে হুমকির কী আছে? উত্তর হলো, আছে। ঢাকার কারাগারে বসে মৌচাকে যে মধু জমিয়েছিলেন তাঁরা, সেই চাকে ঢিল দিয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, খোরশেদ আলম রাসুর কথা। ২০০২ সালের ২৯ মে থেকে তিনি কারাগারে। কিন্তু কারাগারে তিনি কি চুপচাপ বসে আছেন? মোটেই না, তাঁর নামে সবই হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরীর মৌচাক-আনারকলি মার্কেটের আশপাশে শত শত হকার বসানো, মার্কেটের ভেতরের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করা, নিচে হকার বসানো—সবই হয় রাসুর নামে। বেইলি রোডের দুই পাশে ফুটপাতে যে হকার বসে, তার সিংহভাগই চলে যায় রাসুর কাছে। রাসুর বাড়িও মৌচাক মার্কেটের পেছনে। তাঁর নিজের ভাই এখন আনারকলি মার্কেটের নিয়ন্ত্রক। ঈদ এলে তাঁর চাঁদার পরিমাণ যে অনেক গুণ বেড়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাঠক, ‘আষাঢ়ে নয়’-এ এর আগে সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ও পিচ্চি হেলালকে নিয়ে কথা বলেছি। রাসু নিয়ে কখনো কিছু বলা হয়নি। আজ তাই রাসুতেই থাকি।
রাসুর সঙ্গে আমার কয়েকবার দেখাও হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেন আনারকলি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আগে সন্ত্রাসী লিয়াকত ছিলেন এই মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, তাতে সুব্রত বাইনের পরেই রাসুর ক্রমিক ছিল ২। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৩টি মামলা ছিল, যেগুলোর মধ্যে ১১টি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
গোপালগঞ্জের বাসিন্দা খোরশেদ আলম রাসু ঢাকায় এসেছিলেন জহুরুল হক হলের ক্যানটিন বয় হয়ে। সেই পদে ছিলেনও কিছুকাল। হলে থেকে গোপনে পুলিশের কাছে ক্যাডারদের অস্ত্র লেনদেনের খবর পাচার করতেন। সেখানে থাকতে গিয়ে ’৯০-এর পর জাসদ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে মিশে যান। তারপর ফারুক-রশিদদের ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে মিলে অস্ত্রবাজি শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নাম হয়ে যায় ফ্রিডম রাসু। কিন্তু ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাসুর সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পর তিনি যুবদলে যোগ দেন। এর কারণও ছিল। ঠিক একই সময়ে যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন বিমানবন্দরকেন্দ্রিক শীর্ষ সন্ত্রাসী টোকাই সাগর। মূলত তাঁর হাত ধরেই যুবদলে আসেন ফ্রিডম রাসু। এ সময় পোস্তগোলার শাহাদত সিকদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়, মালিবাগের ইমাম ও গোসাইবাড়ীর মিজান ছিলেন রাসুর সঙ্গে।
যশোরে তখন চোরাচালান সিন্ডিকেটের নেতা মুশফিকুর রহমান হিরক ও আসাদুজ্জামান লিটুর নাম খুব শোনা যেত। হিরক পরে বিদেশে পালিয়ে আত্মগোপন করেন আর লিটু ক্রসফায়ারে মারা যান। এঁরা দুজনই যশোরের চারণ সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে সময় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, রাসুর সঙ্গে এই দুই সীমান্ত সন্ত্রাসীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ঢাকায় এলে তারা রাসুর আশ্রয়ে থাকতেন।
রাসু কারাগারে যাওয়ার পরও তাঁর সিন্ডিকেট থেমে থাকেনি। ২০০৩ সালে আনারকলি মার্কেটের নেতা সিদ্ধেশ্বরীর মামুনকে রাসুর লোকেরা গুলি করে পঙ্গু করে। এরপর মার্কেটের দখল নেয় রাসুর লোকেরা। এখন পর্যন্ত তারাই মার্কেটের নিয়ন্ত্রক।
শেষ করার আগে রাসুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটা বলি। ২০০২ সালের ২৮ মে ছিল মঙ্গলবার, সেদিন সন্ধ্যায় শোরগোল পড়ে গেল—রাসু গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা ছুটলাম ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। সেখানে গিয়ে শুনলাম, সেই ক্লাব থেকে রাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখনকার ডিবির এসি আখতারুজ্জামান রুনু তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় ডিবির কার্যালয়ে বসেই পুলিশের উপস্থিতিতে রাসু আমাদের বললেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর ঠিক নয়। ধরা দেওয়ার আগে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে এবং রিমান্ডে আনা যাবে না। পুলিশ সেই শর্ত মেনে নেওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণে রাজি হন। রাসুর কথাই সত্যি হয়েছিল। তাঁকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাঁকে কখনো রিমান্ডে আনা হয়নি। এমনকি রাসুর বিরুদ্ধে থাকা কোনো মামলারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।
আজ অনেক দিন পর মনে হলো, একজন সন্ত্রাসীর কাছে রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে অসহায় হতে পারে, আমাদের জামানায় রাসু এর বড় উদাহরণ। এখনো শুনি, কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে যাওয়ার সময় রাসু নাকি পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও করেন।
এ দেশে সবই সম্ভব হয়, সেটা শুধু রাসুদের জন্যই।
আরও পড়ুন:

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে মানুষ যেমন হয়।
এটা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ জুন, শনিবার। সরকারি পদস্থ চাকুরেরা ছুটির দিনে সাধারণত ফোন পর্যন্ত ধরেন না, সেখানে তিনি অফিসে আছেন শুনে কিছুটা বিস্মিত হলাম। তা আরও বেড়ে গেল তাঁর কথা শোনার পর। তিনি বললেন, আজ তাঁকে ফোনে ভয় দেখানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো ‘শেষ দেখে নেওয়া হবে’ বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কে হুমকি দিয়েছেন? তিনি একটি ফোন নম্বর দেখিয়ে বললেন, এটার কোনো আইডি নেই। হুমকির পর ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য যেখানে যেখানে জানানোর দরকার, সবই তিনি করছেন। কিন্তু তাতেও তিনি আশ্বস্ত হতে না পেরে সাংবাদিক ডেকেছেন।
আমি তাঁর কাছে জানতে চাইলাম, সম্প্রতি এ রকম কোনো বিষয় আছে কি, যার কারণে হুমকি আসতে পারে? তিনি বললেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা তিন শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস, খোরশেদ আলম রাসু ও পিচ্চি হেলালকে কাশিমপুর কারাগার থেকে যথাক্রমে যশোর কারাগার, কুমিল্লা কারাগার ও রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। এটা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। মন্ত্রীর কাছে খবর ছিল, রোজার ঈদ সামনে রেখে এই সন্ত্রাসীরা কারাগারে বসে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁদের অন্য কারাগারে পাঠানোর পরই সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি তাঁকে জানান, সন্ত্রাসীদের লোকজন তাঁকে শেষ দেখে নেবে।
এখন সহজ একটি প্রশ্ন উঠতে পারে, কারাগারের আসামিদের যেখানে খুশি পাঠানো হবে, তাতে হুমকির কী আছে? উত্তর হলো, আছে। ঢাকার কারাগারে বসে মৌচাকে যে মধু জমিয়েছিলেন তাঁরা, সেই চাকে ঢিল দিয়েছেন ইফতেখার উদ্দিন। ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করি। ধরুন, খোরশেদ আলম রাসুর কথা। ২০০২ সালের ২৯ মে থেকে তিনি কারাগারে। কিন্তু কারাগারে তিনি কি চুপচাপ বসে আছেন? মোটেই না, তাঁর নামে সবই হচ্ছে। সিদ্ধেশ্বরীর মৌচাক-আনারকলি মার্কেটের আশপাশে শত শত হকার বসানো, মার্কেটের ভেতরের জায়গা দখল করে দোকান তৈরি করা, নিচে হকার বসানো—সবই হয় রাসুর নামে। বেইলি রোডের দুই পাশে ফুটপাতে যে হকার বসে, তার সিংহভাগই চলে যায় রাসুর কাছে। রাসুর বাড়িও মৌচাক মার্কেটের পেছনে। তাঁর নিজের ভাই এখন আনারকলি মার্কেটের নিয়ন্ত্রক। ঈদ এলে তাঁর চাঁদার পরিমাণ যে অনেক গুণ বেড়ে যায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাঠক, ‘আষাঢ়ে নয়’-এ এর আগে সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ও পিচ্চি হেলালকে নিয়ে কথা বলেছি। রাসু নিয়ে কখনো কিছু বলা হয়নি। আজ তাই রাসুতেই থাকি।
রাসুর সঙ্গে আমার কয়েকবার দেখাও হয়েছিল। তখন তিনি ছিলেন আনারকলি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর আগে সন্ত্রাসী লিয়াকত ছিলেন এই মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, তাতে সুব্রত বাইনের পরেই রাসুর ক্রমিক ছিল ২। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ ১৩টি মামলা ছিল, যেগুলোর মধ্যে ১১টি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
গোপালগঞ্জের বাসিন্দা খোরশেদ আলম রাসু ঢাকায় এসেছিলেন জহুরুল হক হলের ক্যানটিন বয় হয়ে। সেই পদে ছিলেনও কিছুকাল। হলে থেকে গোপনে পুলিশের কাছে ক্যাডারদের অস্ত্র লেনদেনের খবর পাচার করতেন। সেখানে থাকতে গিয়ে ’৯০-এর পর জাসদ ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে মিশে যান। তারপর ফারুক-রশিদদের ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে মিলে অস্ত্রবাজি শুরু করেন। তখন থেকে তাঁর নাম হয়ে যায় ফ্রিডম রাসু। কিন্তু ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে রাসুর সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন পর তিনি যুবদলে যোগ দেন। এর কারণও ছিল। ঠিক একই সময়ে যুবদলে যোগ দিয়েছিলেন বিমানবন্দরকেন্দ্রিক শীর্ষ সন্ত্রাসী টোকাই সাগর। মূলত তাঁর হাত ধরেই যুবদলে আসেন ফ্রিডম রাসু। এ সময় পোস্তগোলার শাহাদত সিকদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী জয়, মালিবাগের ইমাম ও গোসাইবাড়ীর মিজান ছিলেন রাসুর সঙ্গে।
যশোরে তখন চোরাচালান সিন্ডিকেটের নেতা মুশফিকুর রহমান হিরক ও আসাদুজ্জামান লিটুর নাম খুব শোনা যেত। হিরক পরে বিদেশে পালিয়ে আত্মগোপন করেন আর লিটু ক্রসফায়ারে মারা যান। এঁরা দুজনই যশোরের চারণ সাংবাদিক শামসুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে সময় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, রাসুর সঙ্গে এই দুই সীমান্ত সন্ত্রাসীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। ঢাকায় এলে তারা রাসুর আশ্রয়ে থাকতেন।
রাসু কারাগারে যাওয়ার পরও তাঁর সিন্ডিকেট থেমে থাকেনি। ২০০৩ সালে আনারকলি মার্কেটের নেতা সিদ্ধেশ্বরীর মামুনকে রাসুর লোকেরা গুলি করে পঙ্গু করে। এরপর মার্কেটের দখল নেয় রাসুর লোকেরা। এখন পর্যন্ত তারাই মার্কেটের নিয়ন্ত্রক।
শেষ করার আগে রাসুকে গ্রেপ্তারের ঘটনাটা বলি। ২০০২ সালের ২৮ মে ছিল মঙ্গলবার, সেদিন সন্ধ্যায় শোরগোল পড়ে গেল—রাসু গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা ছুটলাম ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। সেখানে গিয়ে শুনলাম, সেই ক্লাব থেকে রাসুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তখনকার ডিবির এসি আখতারুজ্জামান রুনু তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। সেদিন সন্ধ্যায় ডিবির কার্যালয়ে বসেই পুলিশের উপস্থিতিতে রাসু আমাদের বললেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের খবর ঠিক নয়। ধরা দেওয়ার আগে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করতে হবে এবং রিমান্ডে আনা যাবে না। পুলিশ সেই শর্ত মেনে নেওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণে রাজি হন। রাসুর কথাই সত্যি হয়েছিল। তাঁকে ৫৪ ধারায় কারাগারে পাঠানো হয় এবং তাঁকে কখনো রিমান্ডে আনা হয়নি। এমনকি রাসুর বিরুদ্ধে থাকা কোনো মামলারও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।
আজ অনেক দিন পর মনে হলো, একজন সন্ত্রাসীর কাছে রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে অসহায় হতে পারে, আমাদের জামানায় রাসু এর বড় উদাহরণ। এখনো শুনি, কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে যাওয়ার সময় রাসু নাকি পরিবারের লোকদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎও করেন।
এ দেশে সবই সম্ভব হয়, সেটা শুধু রাসুদের জন্যই।
আরও পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক বা আইজি (প্রিজনস) ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। গণমাধ্যমবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকদের মধ্যে তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সেই কর্মকর্তা একদিন বিকেলে ফোন করে তক্ষুনি তাঁর দপ্তরে যেতে বললেন। গলার স্বর কিছুটা অস্বাভাবিক, ভয় পেলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে