তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৫ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিসি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এসব কোম্পানি করবে সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধন ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়া বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে বিআইডব্লিউটিসির কার্যক্রমে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্ব ও কাজের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি আন্তদেশীয় প্রটোকলের আওতায় নৌযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও আন্তদেশীয় প্রটোকল রুটে দুর্ঘটনাকবলিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বা যেকোনো বিপর্যস্ত নৌযান উদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত যেকোনো যাত্রী ও ফেরি নৌপথে নৌ যোগাযোগ ও পরিবহন সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে, সে জন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নৌপথে পলি অপসারণের কাজ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিমউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যাবিনেটের নির্দেশনায় আগের অধ্যাদেশ পুনর্লিখন করা হচ্ছে। এর আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আইনটিকে যুগোপযোগী করতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে করপোরেশন আরও কার্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৬ এবং ১৯৭৯ সালে এই অধ্যাদেশে সংশোধন আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধনের বিষয়ে পরিবর্তন এনে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার এই অর্থ দেবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূলধন আরও বাড়াতে পারবে। আগে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র ৪০ লাখ টাকা।
খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে পরিচালনা পর্ষদে মোট পাঁচজন সদস্য ছিলেন। খসড়ায় আরও দুই সদস্য যুক্ত করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা সাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন যুক্ত দুই সদস্যের একজন হবেন নৌ মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, অন্যজন হবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে মনোনীত একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের সবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের মতো আইন প্রযোজ্য হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তা দেশের নৌপরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে শুধু কাগজ-কলমে আইন ও নীতি প্রণয়নেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামোর সব কর্মপরিধি যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো যেন যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিসি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এসব কোম্পানি করবে সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধন ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়া বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে বিআইডব্লিউটিসির কার্যক্রমে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্ব ও কাজের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি আন্তদেশীয় প্রটোকলের আওতায় নৌযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও আন্তদেশীয় প্রটোকল রুটে দুর্ঘটনাকবলিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বা যেকোনো বিপর্যস্ত নৌযান উদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত যেকোনো যাত্রী ও ফেরি নৌপথে নৌ যোগাযোগ ও পরিবহন সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে, সে জন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নৌপথে পলি অপসারণের কাজ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিমউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যাবিনেটের নির্দেশনায় আগের অধ্যাদেশ পুনর্লিখন করা হচ্ছে। এর আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আইনটিকে যুগোপযোগী করতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে করপোরেশন আরও কার্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৬ এবং ১৯৭৯ সালে এই অধ্যাদেশে সংশোধন আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধনের বিষয়ে পরিবর্তন এনে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার এই অর্থ দেবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূলধন আরও বাড়াতে পারবে। আগে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র ৪০ লাখ টাকা।
খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে পরিচালনা পর্ষদে মোট পাঁচজন সদস্য ছিলেন। খসড়ায় আরও দুই সদস্য যুক্ত করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা সাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন যুক্ত দুই সদস্যের একজন হবেন নৌ মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, অন্যজন হবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে মনোনীত একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের সবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের মতো আইন প্রযোজ্য হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তা দেশের নৌপরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে শুধু কাগজ-কলমে আইন ও নীতি প্রণয়নেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামোর সব কর্মপরিধি যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো যেন যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে