Ajker Patrika

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বন্যা মোকাবিলা, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো গঠনে বাংলাদেশকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুমোদন করা হয়েছে এই ঋণ।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস জানায়, বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড এই ঋণ অনুমোদন করেছে। অর্থায়নটি ২০২৪ সালের আগস্টে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর পুনরুদ্ধার, অবকাঠামো নির্মাণ ও পুনর্বাসন, কৃষিব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানুষের জীবিকার সুরক্ষায় ব্যয় করা হবে।

এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভার, ইমারজেন্সি প্রিপারেডনেস অ্যান্ড রেসপন্স (বি-স্ট্রং)’। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের গ্রামীণ এবং বন্যা সুরক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ ও পুনর্গঠন করা হবে। এতে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পাবে।

বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ প্রস্তুতিতে অগ্রণী দেশ। তবে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশের অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে স্থিতিশীলতা গড়ে তোলা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। প্রকল্পটি বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের অধীনে ৭৯টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন করা হবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো স্বাভাবিক সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। জলবায়ুসহিষ্ণু রাস্তা ও সেতু তৈরি এবং বন্যা সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও পুনর্বাসনও এর অন্তর্ভুক্ত। বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নয়নেও সহায়তা করা হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত করতে নৌকা, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ ও মহড়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এই অর্থায়ন প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট স্বর্ণা কাজী বলেন, এই প্রকল্প পুনরুদ্ধার ও স্থিতিশীলতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পুনর্গঠন ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি অভৌত কার্যক্রমের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে পুনরুদ্ধার ও স্থিতিশীলতা তৈরির একটি সামগ্রিক পদ্ধতি নিশ্চিত করা যাবে এবং ভবিষ্যতে বন্যার ঝুঁকি কমিয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলে হামলা অব্যাহত, পারমাণবিক স্থাপনার কাছে ড্রোন ভূপাতিত করল ইরান

দুই ঘণ্টা আগে একই বিমানে ভ্রমণের দাবি এক ব্যক্তির, জানালেন ভয়াবহ তথ্য

নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে যে কথা হলো

ইরানে ইসলামি শাসনের অবসান হতে পারে—মার্কিন কর্মকর্তাদের আশঙ্কা

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত, গ্রেপ্তার ১

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত