আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছরের জুলাই–আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাটকীয় ক্ষমতাচ্যুতির পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত হন আহসান এইচ মনসুর। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হাসিনা সরকারের প্রধান সহযোগী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক এলিটদের বিদেশে পাচার করা বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের জন্য এক কঠিন অভিযানে নামেন তিনি। তাঁর অনুমান, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে পাঁচ বছরের মতো লাগতে পারে।
এক দশক ধরে দেশের বাইরে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ১১টি প্রভাবশালী পরিবারের সম্পদের অবস্থান খুঁজে বের করতে ১১টি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পাচার করা অর্থের পরিমাণ বিপুল। তদন্তাধীন ১১টি পরিবারের মধ্যে শুধু একটি পরিবারই ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে ফেলেছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। একটি ক্ষেত্রে এই পরিবার একটি মাত্র ব্যাংকের প্রায় ৯০ শতাংশ আমানত তুলে নেয়, যা ব্যাংকটিকে পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
সরকারের পতনের পর কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত হওয়া আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের উদ্বেগ, অতি দ্রুত খুঁজে না পেলে এই অর্থের বেশির ভাগই গায়েব হয়ে যেতে পারে!
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সময়ের গুরুত্ব কতটা। সম্পদের ভিত্তি ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।’
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে আহসান এইচ মনসুরের প্রথম লক্ষ্য যুক্তরাজ্য। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের সন্ধান এবং বাজেয়াপ্ত করার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিস এবং লন্ডনের আইনি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এই পরিবারগুলোর অনেকেরই সম্পদ বিশেষ করে লন্ডনে রয়েছে, তাই আমরা মনে করি, এখানে অনেক সম্পদ খুঁজে পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য অন্তত (এই) সচেতনতা তৈরি করা যে, যুক্তরাজ্য বিশ্বজুড়ে চুরি করা সম্পদের একটি পছন্দের গন্তব্য এবং বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি, যেখান থেকে এটি এসেছে।’
এই অনুসন্ধানে আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা একজন হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। আল–জাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিট (আই–ইউনিট) জানতে পেরেছে, তাঁর ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, যার বেশির ভাগই লন্ডন ও দুবাইতে।
গত বছর আই–ইউনিট প্রকাশ করেছিল, চৌধুরী পরিবার যুক্তরাজ্যে ৩৬০ টিরও বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছে, যার বেশির ভাগই লন্ডনে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর প্রায় ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে এবং তাঁর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরি ভিত্তিতে তাঁর বিদেশের সম্পত্তিও জব্দ করতে চাচ্ছে, যাতে সেগুলো গোপনে বিক্রি হওয়া থেকে আটকানো যায়।
বর্তমানে পালিয়ে থাকা সাইফুজ্জামান চৌধুরী আই–ইউনিটের কাছে দাবি করেছেন, তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘উইচ হান্টের’–এর শিকার এবং তাঁর সম্পদ বৈধভাবে অর্জিত।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোযোগ দিলেও আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সেসব আইনজীবী, ব্যাংকার ও এস্টেট এজেন্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা এই ‘অলিগার্ক’ পরিবারগুলোকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে, এজেন্ট বা অপারেটররা তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো অপরাধীদের এই বিচারব্যবস্থায় পুনর্বাসিত করতে কাজ করছে। তবে এটিই একমাত্র উদাহরণ নয়, আরও অনেক আছে। আমি মনে করি, দেশের (ব্রিটিশ) কর্তৃপক্ষের জন্য এ ধরনের জিনিসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা।’
আহসান এইচ মনসুরের অনুমান, পাচার করা তহবিলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং স্বীকার করেছেন, ব্যাপকতা ও জটিলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের এই তৎপরতার অগ্রগতি ধীর হয়ে গেছে। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য সরকার সহায়তা করছে।
এখন বিদেশে অর্থ পাচারের মূল হোতাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার বিনিময়ে সহায়তাকারীদের সঙ্গে আপস বা এমনকি পাচার অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কথাও বিবেচনা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একাধিক দেশে পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অবস্থান শনাক্ত করার জটিল কাজটি যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের পর আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। মার্কিন তদন্তকারীদের একটি দল, যাদের এ বছর বাংলাদেশে কাজ শুরু করার কথা ছিল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নতুন মেয়াদের শুরুতে ইউএসএআইডির তহবিল স্থগিত করার পর তাদের কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘তাদের পূর্ণ শক্তিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, কিন্তু তা বাতিল করতে হয়েছে...আমাদের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ...ইউএসএআইডির অর্থায়নে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন, কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক, তবে এটাই বাস্তবতা।’

গত বছরের জুলাই–আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাটকীয় ক্ষমতাচ্যুতির পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত হন আহসান এইচ মনসুর। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই হাসিনা সরকারের প্রধান সহযোগী রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক এলিটদের বিদেশে পাচার করা বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের জন্য এক কঠিন অভিযানে নামেন তিনি। তাঁর অনুমান, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে পাঁচ বছরের মতো লাগতে পারে।
এক দশক ধরে দেশের বাইরে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত ১১টি প্রভাবশালী পরিবারের সম্পদের অবস্থান খুঁজে বের করতে ১১টি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
পাচার করা অর্থের পরিমাণ বিপুল। তদন্তাধীন ১১টি পরিবারের মধ্যে শুধু একটি পরিবারই ১৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে ফেলেছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। একটি ক্ষেত্রে এই পরিবার একটি মাত্র ব্যাংকের প্রায় ৯০ শতাংশ আমানত তুলে নেয়, যা ব্যাংকটিকে পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
সরকারের পতনের পর কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিযুক্ত হওয়া আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের উদ্বেগ, অতি দ্রুত খুঁজে না পেলে এই অর্থের বেশির ভাগই গায়েব হয়ে যেতে পারে!
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি সময়ের গুরুত্ব কতটা। সম্পদের ভিত্তি ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।’
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে আহসান এইচ মনসুরের প্রথম লক্ষ্য যুক্তরাজ্য। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের সন্ধান এবং বাজেয়াপ্ত করার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিস এবং লন্ডনের আইনি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এই পরিবারগুলোর অনেকেরই সম্পদ বিশেষ করে লন্ডনে রয়েছে, তাই আমরা মনে করি, এখানে অনেক সম্পদ খুঁজে পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য অন্তত (এই) সচেতনতা তৈরি করা যে, যুক্তরাজ্য বিশ্বজুড়ে চুরি করা সম্পদের একটি পছন্দের গন্তব্য এবং বাংলাদেশ সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি, যেখান থেকে এটি এসেছে।’
এই অনুসন্ধানে আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা একজন হলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। আল–জাজিরার অনুসন্ধানী ইউনিট (আই–ইউনিট) জানতে পেরেছে, তাঁর ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, যার বেশির ভাগই লন্ডন ও দুবাইতে।
গত বছর আই–ইউনিট প্রকাশ করেছিল, চৌধুরী পরিবার যুক্তরাজ্যে ৩৬০ টিরও বেশি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছে, যার বেশির ভাগই লন্ডনে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁর প্রায় ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে এবং তাঁর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরি ভিত্তিতে তাঁর বিদেশের সম্পত্তিও জব্দ করতে চাচ্ছে, যাতে সেগুলো গোপনে বিক্রি হওয়া থেকে আটকানো যায়।
বর্তমানে পালিয়ে থাকা সাইফুজ্জামান চৌধুরী আই–ইউনিটের কাছে দাবি করেছেন, তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘উইচ হান্টের’–এর শিকার এবং তাঁর সম্পদ বৈধভাবে অর্জিত।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোযোগ দিলেও আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সেসব আইনজীবী, ব্যাংকার ও এস্টেট এজেন্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা এই ‘অলিগার্ক’ পরিবারগুলোকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আইন লঙ্ঘন করা হচ্ছে, এজেন্ট বা অপারেটররা তো বটেই, অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো অপরাধীদের এই বিচারব্যবস্থায় পুনর্বাসিত করতে কাজ করছে। তবে এটিই একমাত্র উদাহরণ নয়, আরও অনেক আছে। আমি মনে করি, দেশের (ব্রিটিশ) কর্তৃপক্ষের জন্য এ ধরনের জিনিসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা।’
আহসান এইচ মনসুরের অনুমান, পাচার করা তহবিলের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে এবং স্বীকার করেছেন, ব্যাপকতা ও জটিলতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের এই তৎপরতার অগ্রগতি ধীর হয়ে গেছে। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য সরকার সহায়তা করছে।
এখন বিদেশে অর্থ পাচারের মূল হোতাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার বিনিময়ে সহায়তাকারীদের সঙ্গে আপস বা এমনকি পাচার অর্থ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কথাও বিবেচনা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একাধিক দেশে পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অবস্থান শনাক্ত করার জটিল কাজটি যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের পর আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। মার্কিন তদন্তকারীদের একটি দল, যাদের এ বছর বাংলাদেশে কাজ শুরু করার কথা ছিল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নতুন মেয়াদের শুরুতে ইউএসএআইডির তহবিল স্থগিত করার পর তাদের কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘তাদের পূর্ণ শক্তিতে ঢাকায় আসার কথা ছিল, কিন্তু তা বাতিল করতে হয়েছে...আমাদের বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ...ইউএসএআইডির অর্থায়নে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন, কিন্তু তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক, তবে এটাই বাস্তবতা।’

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
৫ মিনিট আগে
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫ জারি করেছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের লক্ষ্যে এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা, ২০২৫ জারি করেছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগের লক্ষ্যে এই নীতিমালা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোযোগ দিলেও আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সেসব আইনজীবী, ব্যাংকার ও এস্টেট এজেন্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা এই ‘অলিগার্ক’ পরিবারগুলোকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড পরিবর্তন করতে আপিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গাজী তামিম বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ডকে মৃত্যুদণ্ডে উন্নীত করার জন্য আটটি গ্রাউন্ডে আপিল করেছি। প্রথম গ্রাউন্ড হলো—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে যে শাস্তির কথা বলা আছে, তার প্রথমেই ডেথ পেনাল্টি দিয়ে বর্ণনা করা আছে। তারপরে গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্সের কথা বলা আছে। যেহেতু আইনে একটি শাস্তি প্রেসক্রাইব করা আছে, এ জন্য ডেথ পেনাল্টি তারা সকল চার্জেই পাওয়ার যোগ্য। এটা আমাদের প্রথম গ্রাউন্ড ছিল। দ্বিতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেটা হলো ভায়োলেশন অব সিরিয়াস হিউম্যান রাইটস। সেখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। যার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত। তৃতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—স্কেল অব অ্যাটাক যেটা অ্যাগেইনস্ট সিভিলিয়ান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের ওপরে হয়েছে তার ব্যাপকতা ছিল মারাত্মক। এর কারণে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করা আইনত সঠিক হয়নি। চতুর্থ গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্স। গ্রাভিটি অব অফেন্স অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত এই ধরনের অপরাধীদের।’
তামিম বলেন, ‘পঞ্চম গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—শুধুমাত্র আসামির অধিকার দেখলেই হবে না। এখানে রাইটস অব দ্য ভিকটিমস এবং সোসাইটির রিজনেবল এক্সপেক্টেশনটাও দেখতে হবে। একটা সমাজ এই ধরনের অপরাধের কী ধরনের শাস্তি প্রত্যাশা করে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করার জন্য আদালত কর্তৃক কী ধরনের শাস্তি প্রাপ্ত হলে বা প্রদত্ত হলে সমাজ এই ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। ষষ্ঠ গ্রাউন্ডে বলেছি—এই আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে পলাতক আছেন। তাঁরা জানছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে, সাজা হচ্ছে, আপিলের মেয়াদ শেষ। এগুলো জেনেই তাঁরা নিজেদের পলাতক রেখেছেন এবং পলাতক থেকে বিভিন্ন ট্রায়ালে বাধা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি প্রদান করে যাচ্ছেন।’
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। আমরা অবকাশের পর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করব। তারপর আপিল বিভাগে আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।’
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন যেহেতু বলেছেন তিনি ফুল অ্যান্ড ট্রুথ ডিসক্লোজ করেছেন। তাই আমরা আসলে আর করতে পারি না। তবে পক্ষদের আপিল করার সুযোগ আছে। তাঁরা চাইলে আপিল করতে পারতেন। আমার জানামতে এখনো কোনো আপিল হয়নি।’
এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেওয়ার সময় পাঁচটি পৃথক অভিযোগ ছিল। তবে গত ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো দুটি ভাগে ভাগ করেন। এর মধ্যে গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালকে ফোন করে আন্দোলনকারীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলে উসকানি, আদেশ এবং অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা তাপস এবং পরবর্তীকালে হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথোপকথনে ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার এবং লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ, অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই মামলায় চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড পরিবর্তন করতে আপিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
গাজী তামিম বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ডকে মৃত্যুদণ্ডে উন্নীত করার জন্য আটটি গ্রাউন্ডে আপিল করেছি। প্রথম গ্রাউন্ড হলো—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে যে শাস্তির কথা বলা আছে, তার প্রথমেই ডেথ পেনাল্টি দিয়ে বর্ণনা করা আছে। তারপরে গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্সের কথা বলা আছে। যেহেতু আইনে একটি শাস্তি প্রেসক্রাইব করা আছে, এ জন্য ডেথ পেনাল্টি তারা সকল চার্জেই পাওয়ার যোগ্য। এটা আমাদের প্রথম গ্রাউন্ড ছিল। দ্বিতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেটা হলো ভায়োলেশন অব সিরিয়াস হিউম্যান রাইটস। সেখানে জঘন্য অপরাধ হয়েছে। যার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত। তৃতীয় গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—স্কেল অব অ্যাটাক যেটা অ্যাগেইনস্ট সিভিলিয়ান, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষের ওপরে হয়েছে তার ব্যাপকতা ছিল মারাত্মক। এর কারণে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি প্রদান করা আইনত সঠিক হয়নি। চতুর্থ গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—গ্রাভিটি অব দ্য অফেন্স। গ্রাভিটি অব অফেন্স অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত এই ধরনের অপরাধীদের।’
তামিম বলেন, ‘পঞ্চম গ্রাউন্ডে আমরা বলেছি—শুধুমাত্র আসামির অধিকার দেখলেই হবে না। এখানে রাইটস অব দ্য ভিকটিমস এবং সোসাইটির রিজনেবল এক্সপেক্টেশনটাও দেখতে হবে। একটা সমাজ এই ধরনের অপরাধের কী ধরনের শাস্তি প্রত্যাশা করে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধপ্রবণতা বন্ধ করার জন্য আদালত কর্তৃক কী ধরনের শাস্তি প্রাপ্ত হলে বা প্রদত্ত হলে সমাজ এই ধরনের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। ষষ্ঠ গ্রাউন্ডে বলেছি—এই আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে পলাতক আছেন। তাঁরা জানছেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে, সাজা হচ্ছে, আপিলের মেয়াদ শেষ। এগুলো জেনেই তাঁরা নিজেদের পলাতক রেখেছেন এবং পলাতক থেকে বিভিন্ন ট্রায়ালে বাধা প্রদান করার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি প্রদান করে যাচ্ছেন।’
আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘আইনে পরিষ্কার করে বলা আছে ৬০ দিনের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। আমরা অবকাশের পর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করব। তারপর আপিল বিভাগে আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।’
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন যেহেতু বলেছেন তিনি ফুল অ্যান্ড ট্রুথ ডিসক্লোজ করেছেন। তাই আমরা আসলে আর করতে পারি না। তবে পক্ষদের আপিল করার সুযোগ আছে। তাঁরা চাইলে আপিল করতে পারতেন। আমার জানামতে এখনো কোনো আপিল হয়নি।’
এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেওয়ার সময় পাঁচটি পৃথক অভিযোগ ছিল। তবে গত ১৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো দুটি ভাগে ভাগ করেন। এর মধ্যে গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালকে ফোন করে আন্দোলনকারীদের রাজাকার আখ্যা দিয়ে তাঁদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলে উসকানি, আদেশ এবং অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, রংপুরে আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা তাপস এবং পরবর্তীকালে হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথোপকথনে ড্রোন ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হেলিকপ্টার এবং লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যার নির্দেশ, অপরাধ সংঘটনে অধীনস্থদের বাধা প্রদান না করা, ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল ছয়জনকে গুলি করে হত্যা, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। আর মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই মামলায় চৌধুরী মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোযোগ দিলেও আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সেসব আইনজীবী, ব্যাংকার ও এস্টেট এজেন্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা এই ‘অলিগার্ক’ পরিবারগুলোকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
৫ মিনিট আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএলএম। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।
অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া দুটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএলএম। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।
অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া দুটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোযোগ দিলেও আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সেসব আইনজীবী, ব্যাংকার ও এস্টেট এজেন্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা এই ‘অলিগার্ক’ পরিবারগুলোকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
৫ মিনিট আগে
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’
পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’
তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।
কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’
‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’
সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’
রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’
নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদ জব্দ করার দিকে মনোযোগ দিলেও আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সেসব আইনজীবী, ব্যাংকার ও এস্টেট এজেন্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা এই ‘অলিগার্ক’ পরিবারগুলোকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সরিয়ে নিতে সাহায্য করেছে।
২৯ মার্চ ২০২৫
গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ও রিটেইনার নিয়োগ নীতিমালা,
৫ মিনিট আগে
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে এই আপিল করা হয়। আপিল দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’
২ ঘণ্টা আগে