Ajker Patrika

পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা

  • ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়াকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলছেন বিশ্লেষকেরা।
  • সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে: প্রেস সচিব
  • ইউনূস-তারেক বৈঠককে রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা 
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ০৮: ২৭
ছবি: পিআইডি
ছবি: পিআইডি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি কিছু বিষয়ে কূটনৈতিক ব্যর্থতাও দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি সফরে ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডন ছিলেন। এই চার দিনে তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও পার্লামেন্টের স্পিকার ডেভিড হোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এবং চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা করেন। এর বাইরে তাঁকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৫টি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ছিল। তবে তাঁর এই সফরে রাজনৈতিক কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক। দুজনের এই বৈঠককে দেশের রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে গত রোববার বলেন, বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানসহ বড় ধরনের যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ডটি তার একটি স্বীকৃতি। ব্রিটিশ রাজা চার্লস ও স্পিকারের সঙ্গে সরকারপ্রধানের মতবিনিময় হয়েছে। একান্ত বৈঠক হওয়ায় এই দুই বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর বাইরে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরানোর বিষয়ে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রীর (সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ) ব্রিটেনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা এসেছে। আর প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকটি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভালো বার্তা দেবে। সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে।

প্রেস সচিব অর্জনগুলো তুলে ধরলেও প্রধান উপদেষ্টার এই লন্ডন সফরে কিছু কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছিল বলে মনে করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই মূল্যায়নটি এসেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক না হওয়াকে ঘিরে।

১০ মাস আগে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে যাওয়া ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের ১১তম সফর। এসব সফরের প্রায় সবগুলোই ছিল বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে যোগদান। এমন কর্মসূচিতে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে ইউনূসের। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বেকায়দা পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত না করে এ নিয়ে ‘আওয়াজ’ তুলে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর।

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়ার স্টারমারের অস্বীকৃতি জানানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন অতিথি সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানানো সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। অন্যদিকে, দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি ও নিজের নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন [সাবেক] মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে তা ফেরত চাওয়া হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখলে যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে রাজি হবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাঁর কার্যালয় নিশ্চিত করার আগেই বৈঠক হওয়ার কথা বলে বেড়ানো ছিল কূটনৈতিক বিচারে বড় রকম ভুল।

সরকারি কয়েকটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সাক্ষাৎ হওয়ার’ বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করা ছিল। লন্ডনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সাক্ষাতের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন ব্রিটিশরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সরকারপ্রধানের জন্য শোভন নয়, এটা ব্রিটিশদের জানানো হয়। অন্যদিকে ল্যামি হোটেলে এসে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি হননি। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরা তৃতীয় একটি স্থানে ইউনূসের সঙ্গে ল্যামির সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর সাক্ষাৎ হয়নি। ল্যামি অবশ্য পরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাতের জন্য পাঠান।

কেন এ দুটি বৈঠক হলো না, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষ প্রশ্ন তুললে ব্রিটিশরা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানান, সফরটি মূলত কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের জন্য। তারপরও বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ব্রিটিশ রাজা ও পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সুযোগ চাওয়ায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ অন্য কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর বাইরে যেহেতু সফরটি দ্বিপক্ষীয় নয়, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বৈঠক করবেন না। একই কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে গিয়ে সফরকারী অতিথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।

যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও লেবার পার্টিতে টিউলিপ, স্টারমার ও ল্যামির অবস্থান একই ঘরানায়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কারণে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেননি; একই কারণে ডেভিড ল্যামিও সাক্ষাৎ করেননি। প্রধানমন্ত্রী যা করেননি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন তা করে রাজনৈতিক ঝুঁকি নেবেন?

এদিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক তাঁর নিজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করাকে একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে দেখছেন। গত রোববার এক এক্স পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত সপ্তাহে লন্ডনে অবস্থান করাকে বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এই সফরে গণতান্ত্রিক সংস্কার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, জলবায়ু, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক আগ্রহের অনেক বিষয় আলোচনায় এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচন সফল করার সক্ষমতা আছে, আস্থা রাখতে পারেন–ইসিকে আইজিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার আয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: বাসস
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার আয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: বাসস

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বলেছেন, ‘নির্বাচন সফল ও সুন্দর করতে পারব। সম্পূর্ণ সক্ষমতা আমাদের আছে। এ ব্যাপারে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ মঙ্গলবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে ডিসি-এসপিসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।

বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনে নির্বাচনে আমরা আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট অর্জন করতে পেরেছি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা চাই।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ, মহাসড়ক অবরোধ, অস্থিরতা সৃষ্টি–এসব বন্ধ করার সময় এসেছে। আমরা যদি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, নির্বাচনে কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়।’

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রশংসা করে বাহারুল আলম বলেন, ‘তারা শুধু পুলিশ নয়, যেকোনো বাহিনীর কাছে সহায়তা চাইতে পারবেন। এই প্রতিশ্রুতি সব নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিতে চাই আমরা। সর্বশক্তি দিয়ে এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবারের নির্বাচন সফল ও সুন্দর করতে পারব আমরা। সম্পূর্ণ সক্ষমতা আমাদের আছে। এ ব্যাপারে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কূটনৈতিক মিশনে হামলা-ভাঙচুর: ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানাল ঢাকা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৬
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ইস্যুতে এ নিয়ে অন্তত ছয়বার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশটির দূতকে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয়বারের মতো প্রণয় ভার্মাকে তলবের ঘটনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের বাইরে আয়োজিত সহিংস বিক্ষোভের বিষয়েও বাংলাদেশ সরকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ এ ধরনের পরিকল্পিত সহিংসতা বা কূটনৈতিক স্থাপনার প্রতি হুমকিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। এসব কর্মকাণ্ড কেবল কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তাই বিপন্ন করে না, বরং দুই দেশের পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার মূল্যবোধকেও ক্ষুণ্ন করে।

বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনাগুলোর বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক কর্মী ও স্থাপনার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার তার আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা (ভিয়েনা কনভেনশন) অনুযায়ী দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাশা করছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আগরতলা, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ এবং কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ ফের হাইকমিশনারকে তলব করে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিল বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গুম করে নির্যাতনের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে র‍্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন।

পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আজ অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা হলেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশ্যা করেন।

এই মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

গুম করে র‍্যাবের টিএফআই সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

একনেকে সাড়ে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪২
একনেকের সভায় প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত
একনেকের সভায় প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প ৫টি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প ৩টি।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো—সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন প্রকল্প’; দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে ‘রিজিডপেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’ এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর ‘প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)।’

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮টি ১৫ তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন—Climate Resilient and Livelihood Enhancement Project (CRALEP)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনঃ নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER)’ প্রকল্প। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলকনদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision)’ প্রকল্প।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (২য় পর্যায়) ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত