Ajker Patrika

পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাচ্ছেন বিশ্লেষকেরা

  • ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়াকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলছেন বিশ্লেষকেরা।
  • সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে: প্রেস সচিব
  • ইউনূস-তারেক বৈঠককে রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা 
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ০৮: ২৭
ছবি: পিআইডি
ছবি: পিআইডি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চলতি মাসে চার দিনের সরকারি সফরে লন্ডন ঘুরে এসেছেন। মূল উপলক্ষ ‘কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ হলেও পাশাপাশি অন্যান্য কয়েকটি কর্মসূচির কারণে বেশ আলোচনায় এসেছে তাঁর এই সফর। প্রধান উপদেষ্টার আলোচিত এই লন্ডন সফরের অর্জন নিয়ে যেমন কথা হচ্ছে, তেমনি কিছু বিষয়ে কূটনৈতিক ব্যর্থতাও দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি সফরে ১০ থেকে ১৩ জুন লন্ডন ছিলেন। এই চার দিনে তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও পার্লামেন্টের স্পিকার ডেভিড হোয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এবং চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা করেন। এর বাইরে তাঁকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১৫টি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ছিল। তবে তাঁর এই সফরে রাজনৈতিক কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক। দুজনের এই বৈঠককে দেশের রাজনীতির জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে গত রোববার বলেন, বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থানসহ বড় ধরনের যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ডটি তার একটি স্বীকৃতি। ব্রিটিশ রাজা চার্লস ও স্পিকারের সঙ্গে সরকারপ্রধানের মতবিনিময় হয়েছে। একান্ত বৈঠক হওয়ায় এই দুই বৈঠকের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। এর বাইরে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরানোর বিষয়ে অনেকগুলো বৈঠক হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের একজন সাবেক মন্ত্রীর (সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ) ব্রিটেনের সম্পদ জব্দের ঘোষণা এসেছে। আর প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকটি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভালো বার্তা দেবে। সব মিলিয়ে একটি ভালো সফর হয়েছে।

প্রেস সচিব অর্জনগুলো তুলে ধরলেও প্রধান উপদেষ্টার এই লন্ডন সফরে কিছু কূটনৈতিক ব্যর্থতা ছিল বলে মনে করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই মূল্যায়নটি এসেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক না হওয়াকে ঘিরে।

১০ মাস আগে গত আগস্টে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে যাওয়া ছিল মুহাম্মদ ইউনূসের ১১তম সফর। এসব সফরের প্রায় সবগুলোই ছিল বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে যোগদান। এমন কর্মসূচিতে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক এবং জাপানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে ইউনূসের। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বেকায়দা পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত না করে এ নিয়ে ‘আওয়াজ’ তুলে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর।

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়ার স্টারমারের অস্বীকৃতি জানানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন অতিথি সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানানো সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। অন্যদিকে, দেশটির ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি ও নিজের নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন [সাবেক] মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে তা ফেরত চাওয়া হতে পারে—এমন আশঙ্কা দেখলে যুক্তরাজ্যের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে রাজি হবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কাজেই তাঁর কার্যালয় নিশ্চিত করার আগেই বৈঠক হওয়ার কথা বলে বেড়ানো ছিল কূটনৈতিক বিচারে বড় রকম ভুল।

সরকারি কয়েকটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘সাক্ষাৎ হওয়ার’ বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করা ছিল। লন্ডনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ সাক্ষাতের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন ব্রিটিশরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা সরকারপ্রধানের জন্য শোভন নয়, এটা ব্রিটিশদের জানানো হয়। অন্যদিকে ল্যামি হোটেলে এসে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি হননি। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশরা তৃতীয় একটি স্থানে ইউনূসের সঙ্গে ল্যামির সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁদের আর সাক্ষাৎ হয়নি। ল্যামি অবশ্য পরে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্টকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে হোটেলে সাক্ষাতের জন্য পাঠান।

কেন এ দুটি বৈঠক হলো না, এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষ প্রশ্ন তুললে ব্রিটিশরা কূটনৈতিক চ্যানেলে জানান, সফরটি মূলত কিং চার্লস থ্রি হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের জন্য। তারপরও বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য ব্রিটিশ রাজা ও পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সুযোগ চাওয়ায় সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ অন্য কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হোটেলে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর বাইরে যেহেতু সফরটি দ্বিপক্ষীয় নয়, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বৈঠক করবেন না। একই কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে গিয়ে সফরকারী অতিথির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না।

যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও লেবার পার্টিতে টিউলিপ, স্টারমার ও ল্যামির অবস্থান একই ঘরানায়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে কারণে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেননি; একই কারণে ডেভিড ল্যামিও সাক্ষাৎ করেননি। প্রধানমন্ত্রী যা করেননি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন তা করে রাজনৈতিক ঝুঁকি নেবেন?

এদিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক তাঁর নিজের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থান করাকে একটি বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে দেখছেন। গত রোববার এক এক্স পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গত সপ্তাহে লন্ডনে অবস্থান করাকে বিস্ময়কর ব্যাপার হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এই সফরে গণতান্ত্রিক সংস্কার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, জলবায়ু, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক আগ্রহের অনেক বিষয় আলোচনায় এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

  • যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা
  • বিপিসির নথি বলছে, আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি আছে
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩১
বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।

বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।

বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।

নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।

তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত