অন্তর্বর্তী সরকার
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদাহরণ, প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সামনে রেখে টোকিওতে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্তে বদল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় কদিন পরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বদলানোর আওয়াজ ওঠে। মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক দেখভাল করতে উচ্চপর্যায়ে নতুন নতুন মুখ যুক্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়েছেন। এর মধ্যেও কিছু ঝামেলা তৈরি হওয়ায় অবশেষে সরকার পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
পররাষ্ট্রসচিব বদলানো হচ্ছে কি না—প্রশ্নটি গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমকে করা হলে তিনি নিরুত্তর থাকেন। সেদিনই একই প্রশ্ন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অন্য এক কর্মকর্তাকে করা হলে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর কথা অনেক দিন থেকেই হচ্ছে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত বছরের ৫ আগস্ট। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক মো. তৌহিদ হোসেনকে। তৌহিদ হোসেন ২০০৬ সালের শেষ দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ছিলেন। পরে তাঁকে পররাষ্ট্রসচিব করা হয়। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কূটনৈতিক পরিসরে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ফরেন সেক্রেটারি’ হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, তৌহিদ হোসেনের পছন্দেই পররাষ্ট্রসচিব করে চীন থেকে উড়িয়ে আনা হয় মো. জসীম উদ্দিনকে। তিনি তখন দেশটিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু নোবেল বিজয়ী ইউনূসের কাজের ধরন ও গতির সঙ্গে তাল মেলানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে। দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের নানা ঝামেলা সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ইউনূসের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক কাজে লাগানো হয়ে উঠছে না।
এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস নিজের আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে গত সেপ্টেম্বরের নিয়োগ দেন লুৎফে সিদ্দিকীকে। উপদেষ্টা পদমর্যাদায় নিয়োগ পাওয়া লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা পেশাদারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএফএ ইনস্টিটিউটের অন্যতম সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই ধারাবাহিকতায় গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৭৭ ব্যাচের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এর আগে কয়েক বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি লিয়েনে চলে যান জাতিসংঘের চাকরিতে। লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমান উভয়েই বসেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। এর বাইরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও মাহফুজ আলমকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
কূটনৈতিক কয়েকটি সূত্র জানায়, এত সব নিয়োগ সত্ত্বেও বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক ঠিকঠাক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা অসংগতি দেখতে পান প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কার্যালয়। গত মার্চের মাঝামাঝি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর, একই মাসের শেষ দিকে ইউনূসের চীন সফর ও এপ্রিলের শুরুতে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের পাশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় অনেক অসংগতি বেশি করে চোখে পড়ে।
খলিলুর রহমানের অভিযোগ, রোহিঙ্গা বিষয়ে ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সফরের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি তিনি। অনেক ক্ষেত্রে পুরোনো তথ্য দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
বিমসটেক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কূটনীতিক বলেন, হাসিনার পতনের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংকক সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। কিন্তু এই সাক্ষাৎটাই হবে কি হবে না, এমন একটা অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে গত ৩ এপ্রিল সেখানে নামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। একই দিন ব্যাংককে নামা ভারতীয় প্রতিনিধিদলের গঠন থেকে বুঝতে পারার কথা ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ হচ্ছে। অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগেও বিষয়টি হয়তো জানা যেত। ইউনূস এ বৈঠকের বিষয়ে বারবার জানতে চান। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় সরাসরি নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত মোদি-ইউনূসের সাক্ষাতের বিষয়ে অন্ধকারে ছিল বাংলাদেশ।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্যাংককে নৈশভোজের সময় বাংলাদেশ ও মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে খলিলুর রহমানের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন। অন্যদিকে, ইউনূসের দলে উপযুক্ত লোক না পেয়ে পরদিন দুপুরে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নোট নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় এমন একজন কূটনীতিককে, যিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্ত নন। আবার কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত সুনামের ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে।
ব্যাংকক থেকে ইউনূস ঢাকা ফিরে খলিলুর রহমানের পদবি বদলে দেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে উপদেষ্টাকে সহায়তা করার জন্য গত ২০ এপ্রিল বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক কূটনীতিক সুফিউর রহমানকে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার পাশাপাশি তাঁকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়। সুফিউর জেনেভায় জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি, সুইজারল্যান্ড ও মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কায় হাইকমিশনার ছিলেন।
খলিলুর রহমান ও তৌহিদ হোসেন উভয়েই চেয়েছেন সুফিউর রহমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বসবেন, দেখবেন রোহিঙ্গাসংক্রান্ত বিষয়াবলি। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চেয়েছে, করিতকর্মা ও দক্ষ হিসেবে পরিচিত এই কূটনীতিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনতে মন্ত্রণালয়েই বসবেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমানের নিয়োগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টাকে দেওয়ার বিষয়টি তৌহিদ হোসেন শুরু থেকেই ভালোভাবে নেননি। রোহিঙ্গা বিষয় দেখতে সুফিউরকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি একমত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের আদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার উল্লেখ থাকায় বিগড়ে যান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর জন্য একটি কক্ষ আছে। সুফিউরের নিয়োগের আদেশ জারি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাঁর বসার জন্য কক্ষটি প্রস্তুত করতে শুরু করেন। কিন্তু তৌহিদ হোসেনের ইঙ্গিতে জসীম উদ্দিনের নির্দেশে কক্ষ প্রস্তুত করার কাজ থেমে যায় বলে জানা যায়। সুফিউর গতকাল বুধবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে যোগ দেননি।
নতুন সরকারের সময়কার কাজের ধরন, প্রয়োজনীয়তা ও মুহাম্মদ ইউনূসের গতির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল মেলাতে পারছে না, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে গত সপ্তাহে তাঁর কার্যালয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়। সেটাই করে যাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণভাবে গতিশীল মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত। অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়ে কাজে ভালো। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এসে এর কাজের গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার বড় কারণ তৌহিদ হোসেন ও জসীম উদ্দিন উভয়েরই ধীরে চলার নীতি। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ফাইল পড়ে থাকছে। অনেক সভায় পররাষ্ট্রসচিবেরই যোগ দেওয়া প্রয়োজন থাকলেও তিনি সভাগুলো এড়িয়ে চলছেন, অন্য কাউকে পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সরকারের কাজকর্মে বেশ ঝামেলা হচ্ছে। ঢাকায় বিদেশি মিশন ও বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর কাজেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষ হিসেবে সুনাম নেই, এমন অনেকে পদপদবি বাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় পররাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনেক দিন ধরে বিবেচনায় রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এ মাসের শেষ দিকে জাপান সফরে যাবেন। ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে। এর আগে আজ ১৫ মে টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বনির্ধারিত পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার সফরের প্রস্তুতি নিয়েও আলাপ হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় পররাষ্ট্রসচিবের পরিবর্তে সচিব পর্যায়ের অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দলনেতা করার ইঙ্গিত দেওয়া হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিব জাপানের সঙ্গে পরামর্শমূলক সভাটিই স্থগিত করে দেন। সভা স্থগিতের বিষয়টি ঢাকায় দেশটির দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে গত সোমবার জানিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দিনই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে লুৎফে সিদ্দিকীকেই টোকিওতে পাঠানো হবে। এ অবস্থায় এফওসি ঠিক রাখতে তৎপর হন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত শিন-ইচি সাইদা। অবশেষে মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলামকে দলনেতা করে টোকিওতে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। এফওসি স্থগিত না করে এ সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া যেত, এমনটা মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
এফওসি বাতিলের বিশেষ কোনো কারণ আছে কি না, আজকের পত্রিকা থেকে সোমবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রসচিব নিরুত্তর থাকেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে বিদায় নিতে হবে, সরকারের এ নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জেনে জসীম উদ্দিন তাঁর সম্মানজনক প্রস্থান নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। নিয়মিত চাকরি শেষে আগামী বছর (২০২৬) ডিসেম্বরে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা কানাডায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু অসুবিধা হলো এই দুই দেশেই নতুন মিশনপ্রধান হিসেবে মাত্র কয়েক মাস আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে আসাদ আলম সিয়াম ও নাহিদা সোবহানকে। এমন অবস্থায় বিদায়ী পররাষ্ট্রসচিবের জন্য আর কী বিকল্প হতে পারে, তা দেখা হচ্ছে। তৌহিদ হোসেন জার্মানি সফরে আছেন, তিনি ফেরার পর পররাষ্ট্রসচিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদাহরণ, প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সামনে রেখে টোকিওতে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্তে বদল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় কদিন পরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বদলানোর আওয়াজ ওঠে। মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক দেখভাল করতে উচ্চপর্যায়ে নতুন নতুন মুখ যুক্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়েছেন। এর মধ্যেও কিছু ঝামেলা তৈরি হওয়ায় অবশেষে সরকার পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
পররাষ্ট্রসচিব বদলানো হচ্ছে কি না—প্রশ্নটি গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমকে করা হলে তিনি নিরুত্তর থাকেন। সেদিনই একই প্রশ্ন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অন্য এক কর্মকর্তাকে করা হলে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর কথা অনেক দিন থেকেই হচ্ছে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত বছরের ৫ আগস্ট। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক মো. তৌহিদ হোসেনকে। তৌহিদ হোসেন ২০০৬ সালের শেষ দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ছিলেন। পরে তাঁকে পররাষ্ট্রসচিব করা হয়। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কূটনৈতিক পরিসরে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ফরেন সেক্রেটারি’ হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, তৌহিদ হোসেনের পছন্দেই পররাষ্ট্রসচিব করে চীন থেকে উড়িয়ে আনা হয় মো. জসীম উদ্দিনকে। তিনি তখন দেশটিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু নোবেল বিজয়ী ইউনূসের কাজের ধরন ও গতির সঙ্গে তাল মেলানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে। দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের নানা ঝামেলা সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ইউনূসের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক কাজে লাগানো হয়ে উঠছে না।
এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস নিজের আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে গত সেপ্টেম্বরের নিয়োগ দেন লুৎফে সিদ্দিকীকে। উপদেষ্টা পদমর্যাদায় নিয়োগ পাওয়া লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা পেশাদারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএফএ ইনস্টিটিউটের অন্যতম সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই ধারাবাহিকতায় গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৭৭ ব্যাচের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এর আগে কয়েক বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি লিয়েনে চলে যান জাতিসংঘের চাকরিতে। লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমান উভয়েই বসেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। এর বাইরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও মাহফুজ আলমকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
কূটনৈতিক কয়েকটি সূত্র জানায়, এত সব নিয়োগ সত্ত্বেও বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক ঠিকঠাক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা অসংগতি দেখতে পান প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কার্যালয়। গত মার্চের মাঝামাঝি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর, একই মাসের শেষ দিকে ইউনূসের চীন সফর ও এপ্রিলের শুরুতে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের পাশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় অনেক অসংগতি বেশি করে চোখে পড়ে।
খলিলুর রহমানের অভিযোগ, রোহিঙ্গা বিষয়ে ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সফরের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি তিনি। অনেক ক্ষেত্রে পুরোনো তথ্য দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
বিমসটেক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কূটনীতিক বলেন, হাসিনার পতনের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংকক সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। কিন্তু এই সাক্ষাৎটাই হবে কি হবে না, এমন একটা অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে গত ৩ এপ্রিল সেখানে নামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। একই দিন ব্যাংককে নামা ভারতীয় প্রতিনিধিদলের গঠন থেকে বুঝতে পারার কথা ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ হচ্ছে। অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগেও বিষয়টি হয়তো জানা যেত। ইউনূস এ বৈঠকের বিষয়ে বারবার জানতে চান। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় সরাসরি নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত মোদি-ইউনূসের সাক্ষাতের বিষয়ে অন্ধকারে ছিল বাংলাদেশ।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্যাংককে নৈশভোজের সময় বাংলাদেশ ও মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে খলিলুর রহমানের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন। অন্যদিকে, ইউনূসের দলে উপযুক্ত লোক না পেয়ে পরদিন দুপুরে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নোট নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় এমন একজন কূটনীতিককে, যিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্ত নন। আবার কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত সুনামের ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে।
ব্যাংকক থেকে ইউনূস ঢাকা ফিরে খলিলুর রহমানের পদবি বদলে দেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে উপদেষ্টাকে সহায়তা করার জন্য গত ২০ এপ্রিল বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক কূটনীতিক সুফিউর রহমানকে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার পাশাপাশি তাঁকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়। সুফিউর জেনেভায় জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি, সুইজারল্যান্ড ও মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কায় হাইকমিশনার ছিলেন।
খলিলুর রহমান ও তৌহিদ হোসেন উভয়েই চেয়েছেন সুফিউর রহমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বসবেন, দেখবেন রোহিঙ্গাসংক্রান্ত বিষয়াবলি। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চেয়েছে, করিতকর্মা ও দক্ষ হিসেবে পরিচিত এই কূটনীতিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনতে মন্ত্রণালয়েই বসবেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমানের নিয়োগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টাকে দেওয়ার বিষয়টি তৌহিদ হোসেন শুরু থেকেই ভালোভাবে নেননি। রোহিঙ্গা বিষয় দেখতে সুফিউরকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি একমত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের আদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার উল্লেখ থাকায় বিগড়ে যান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর জন্য একটি কক্ষ আছে। সুফিউরের নিয়োগের আদেশ জারি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাঁর বসার জন্য কক্ষটি প্রস্তুত করতে শুরু করেন। কিন্তু তৌহিদ হোসেনের ইঙ্গিতে জসীম উদ্দিনের নির্দেশে কক্ষ প্রস্তুত করার কাজ থেমে যায় বলে জানা যায়। সুফিউর গতকাল বুধবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে যোগ দেননি।
নতুন সরকারের সময়কার কাজের ধরন, প্রয়োজনীয়তা ও মুহাম্মদ ইউনূসের গতির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল মেলাতে পারছে না, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে গত সপ্তাহে তাঁর কার্যালয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়। সেটাই করে যাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণভাবে গতিশীল মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত। অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়ে কাজে ভালো। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এসে এর কাজের গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার বড় কারণ তৌহিদ হোসেন ও জসীম উদ্দিন উভয়েরই ধীরে চলার নীতি। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ফাইল পড়ে থাকছে। অনেক সভায় পররাষ্ট্রসচিবেরই যোগ দেওয়া প্রয়োজন থাকলেও তিনি সভাগুলো এড়িয়ে চলছেন, অন্য কাউকে পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সরকারের কাজকর্মে বেশ ঝামেলা হচ্ছে। ঢাকায় বিদেশি মিশন ও বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর কাজেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষ হিসেবে সুনাম নেই, এমন অনেকে পদপদবি বাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় পররাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনেক দিন ধরে বিবেচনায় রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এ মাসের শেষ দিকে জাপান সফরে যাবেন। ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে। এর আগে আজ ১৫ মে টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বনির্ধারিত পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার সফরের প্রস্তুতি নিয়েও আলাপ হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় পররাষ্ট্রসচিবের পরিবর্তে সচিব পর্যায়ের অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দলনেতা করার ইঙ্গিত দেওয়া হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিব জাপানের সঙ্গে পরামর্শমূলক সভাটিই স্থগিত করে দেন। সভা স্থগিতের বিষয়টি ঢাকায় দেশটির দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে গত সোমবার জানিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দিনই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে লুৎফে সিদ্দিকীকেই টোকিওতে পাঠানো হবে। এ অবস্থায় এফওসি ঠিক রাখতে তৎপর হন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত শিন-ইচি সাইদা। অবশেষে মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলামকে দলনেতা করে টোকিওতে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। এফওসি স্থগিত না করে এ সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া যেত, এমনটা মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
এফওসি বাতিলের বিশেষ কোনো কারণ আছে কি না, আজকের পত্রিকা থেকে সোমবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রসচিব নিরুত্তর থাকেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে বিদায় নিতে হবে, সরকারের এ নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জেনে জসীম উদ্দিন তাঁর সম্মানজনক প্রস্থান নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। নিয়মিত চাকরি শেষে আগামী বছর (২০২৬) ডিসেম্বরে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা কানাডায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু অসুবিধা হলো এই দুই দেশেই নতুন মিশনপ্রধান হিসেবে মাত্র কয়েক মাস আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে আসাদ আলম সিয়াম ও নাহিদা সোবহানকে। এমন অবস্থায় বিদায়ী পররাষ্ট্রসচিবের জন্য আর কী বিকল্প হতে পারে, তা দেখা হচ্ছে। তৌহিদ হোসেন জার্মানি সফরে আছেন, তিনি ফেরার পর পররাষ্ট্রসচিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩৪ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩৪ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩৪ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৩ ঘণ্টা আগে