অন্তর্বর্তী সরকার
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদাহরণ, প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সামনে রেখে টোকিওতে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্তে বদল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় কদিন পরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বদলানোর আওয়াজ ওঠে। মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক দেখভাল করতে উচ্চপর্যায়ে নতুন নতুন মুখ যুক্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়েছেন। এর মধ্যেও কিছু ঝামেলা তৈরি হওয়ায় অবশেষে সরকার পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
পররাষ্ট্রসচিব বদলানো হচ্ছে কি না—প্রশ্নটি গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমকে করা হলে তিনি নিরুত্তর থাকেন। সেদিনই একই প্রশ্ন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অন্য এক কর্মকর্তাকে করা হলে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর কথা অনেক দিন থেকেই হচ্ছে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত বছরের ৫ আগস্ট। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক মো. তৌহিদ হোসেনকে। তৌহিদ হোসেন ২০০৬ সালের শেষ দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ছিলেন। পরে তাঁকে পররাষ্ট্রসচিব করা হয়। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কূটনৈতিক পরিসরে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ফরেন সেক্রেটারি’ হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, তৌহিদ হোসেনের পছন্দেই পররাষ্ট্রসচিব করে চীন থেকে উড়িয়ে আনা হয় মো. জসীম উদ্দিনকে। তিনি তখন দেশটিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু নোবেল বিজয়ী ইউনূসের কাজের ধরন ও গতির সঙ্গে তাল মেলানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে। দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের নানা ঝামেলা সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ইউনূসের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক কাজে লাগানো হয়ে উঠছে না।
এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস নিজের আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে গত সেপ্টেম্বরের নিয়োগ দেন লুৎফে সিদ্দিকীকে। উপদেষ্টা পদমর্যাদায় নিয়োগ পাওয়া লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা পেশাদারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএফএ ইনস্টিটিউটের অন্যতম সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই ধারাবাহিকতায় গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৭৭ ব্যাচের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এর আগে কয়েক বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি লিয়েনে চলে যান জাতিসংঘের চাকরিতে। লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমান উভয়েই বসেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। এর বাইরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও মাহফুজ আলমকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
কূটনৈতিক কয়েকটি সূত্র জানায়, এত সব নিয়োগ সত্ত্বেও বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক ঠিকঠাক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা অসংগতি দেখতে পান প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কার্যালয়। গত মার্চের মাঝামাঝি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর, একই মাসের শেষ দিকে ইউনূসের চীন সফর ও এপ্রিলের শুরুতে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের পাশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় অনেক অসংগতি বেশি করে চোখে পড়ে।
খলিলুর রহমানের অভিযোগ, রোহিঙ্গা বিষয়ে ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সফরের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি তিনি। অনেক ক্ষেত্রে পুরোনো তথ্য দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
বিমসটেক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কূটনীতিক বলেন, হাসিনার পতনের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংকক সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। কিন্তু এই সাক্ষাৎটাই হবে কি হবে না, এমন একটা অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে গত ৩ এপ্রিল সেখানে নামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। একই দিন ব্যাংককে নামা ভারতীয় প্রতিনিধিদলের গঠন থেকে বুঝতে পারার কথা ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ হচ্ছে। অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগেও বিষয়টি হয়তো জানা যেত। ইউনূস এ বৈঠকের বিষয়ে বারবার জানতে চান। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় সরাসরি নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত মোদি-ইউনূসের সাক্ষাতের বিষয়ে অন্ধকারে ছিল বাংলাদেশ।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্যাংককে নৈশভোজের সময় বাংলাদেশ ও মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে খলিলুর রহমানের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন। অন্যদিকে, ইউনূসের দলে উপযুক্ত লোক না পেয়ে পরদিন দুপুরে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নোট নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় এমন একজন কূটনীতিককে, যিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্ত নন। আবার কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত সুনামের ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে।
ব্যাংকক থেকে ইউনূস ঢাকা ফিরে খলিলুর রহমানের পদবি বদলে দেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে উপদেষ্টাকে সহায়তা করার জন্য গত ২০ এপ্রিল বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক কূটনীতিক সুফিউর রহমানকে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার পাশাপাশি তাঁকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়। সুফিউর জেনেভায় জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি, সুইজারল্যান্ড ও মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কায় হাইকমিশনার ছিলেন।
খলিলুর রহমান ও তৌহিদ হোসেন উভয়েই চেয়েছেন সুফিউর রহমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বসবেন, দেখবেন রোহিঙ্গাসংক্রান্ত বিষয়াবলি। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চেয়েছে, করিতকর্মা ও দক্ষ হিসেবে পরিচিত এই কূটনীতিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনতে মন্ত্রণালয়েই বসবেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমানের নিয়োগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টাকে দেওয়ার বিষয়টি তৌহিদ হোসেন শুরু থেকেই ভালোভাবে নেননি। রোহিঙ্গা বিষয় দেখতে সুফিউরকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি একমত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের আদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার উল্লেখ থাকায় বিগড়ে যান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর জন্য একটি কক্ষ আছে। সুফিউরের নিয়োগের আদেশ জারি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাঁর বসার জন্য কক্ষটি প্রস্তুত করতে শুরু করেন। কিন্তু তৌহিদ হোসেনের ইঙ্গিতে জসীম উদ্দিনের নির্দেশে কক্ষ প্রস্তুত করার কাজ থেমে যায় বলে জানা যায়। সুফিউর গতকাল বুধবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে যোগ দেননি।
নতুন সরকারের সময়কার কাজের ধরন, প্রয়োজনীয়তা ও মুহাম্মদ ইউনূসের গতির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল মেলাতে পারছে না, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে গত সপ্তাহে তাঁর কার্যালয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়। সেটাই করে যাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণভাবে গতিশীল মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত। অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়ে কাজে ভালো। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এসে এর কাজের গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার বড় কারণ তৌহিদ হোসেন ও জসীম উদ্দিন উভয়েরই ধীরে চলার নীতি। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ফাইল পড়ে থাকছে। অনেক সভায় পররাষ্ট্রসচিবেরই যোগ দেওয়া প্রয়োজন থাকলেও তিনি সভাগুলো এড়িয়ে চলছেন, অন্য কাউকে পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সরকারের কাজকর্মে বেশ ঝামেলা হচ্ছে। ঢাকায় বিদেশি মিশন ও বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর কাজেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষ হিসেবে সুনাম নেই, এমন অনেকে পদপদবি বাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় পররাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনেক দিন ধরে বিবেচনায় রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এ মাসের শেষ দিকে জাপান সফরে যাবেন। ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে। এর আগে আজ ১৫ মে টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বনির্ধারিত পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার সফরের প্রস্তুতি নিয়েও আলাপ হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় পররাষ্ট্রসচিবের পরিবর্তে সচিব পর্যায়ের অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দলনেতা করার ইঙ্গিত দেওয়া হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিব জাপানের সঙ্গে পরামর্শমূলক সভাটিই স্থগিত করে দেন। সভা স্থগিতের বিষয়টি ঢাকায় দেশটির দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে গত সোমবার জানিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দিনই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে লুৎফে সিদ্দিকীকেই টোকিওতে পাঠানো হবে। এ অবস্থায় এফওসি ঠিক রাখতে তৎপর হন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত শিন-ইচি সাইদা। অবশেষে মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলামকে দলনেতা করে টোকিওতে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। এফওসি স্থগিত না করে এ সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া যেত, এমনটা মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
এফওসি বাতিলের বিশেষ কোনো কারণ আছে কি না, আজকের পত্রিকা থেকে সোমবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রসচিব নিরুত্তর থাকেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে বিদায় নিতে হবে, সরকারের এ নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জেনে জসীম উদ্দিন তাঁর সম্মানজনক প্রস্থান নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। নিয়মিত চাকরি শেষে আগামী বছর (২০২৬) ডিসেম্বরে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা কানাডায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু অসুবিধা হলো এই দুই দেশেই নতুন মিশনপ্রধান হিসেবে মাত্র কয়েক মাস আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে আসাদ আলম সিয়াম ও নাহিদা সোবহানকে। এমন অবস্থায় বিদায়ী পররাষ্ট্রসচিবের জন্য আর কী বিকল্প হতে পারে, তা দেখা হচ্ছে। তৌহিদ হোসেন জার্মানি সফরে আছেন, তিনি ফেরার পর পররাষ্ট্রসচিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদাহরণ, প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সামনে রেখে টোকিওতে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্তে বদল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় কদিন পরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বদলানোর আওয়াজ ওঠে। মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক দেখভাল করতে উচ্চপর্যায়ে নতুন নতুন মুখ যুক্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়েছেন। এর মধ্যেও কিছু ঝামেলা তৈরি হওয়ায় অবশেষে সরকার পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
পররাষ্ট্রসচিব বদলানো হচ্ছে কি না—প্রশ্নটি গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকা থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলমকে করা হলে তিনি নিরুত্তর থাকেন। সেদিনই একই প্রশ্ন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অন্য এক কর্মকর্তাকে করা হলে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব বদলানোর কথা অনেক দিন থেকেই হচ্ছে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে গত বছরের ৫ আগস্ট। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক মো. তৌহিদ হোসেনকে। তৌহিদ হোসেন ২০০৬ সালের শেষ দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ছিলেন। পরে তাঁকে পররাষ্ট্রসচিব করা হয়। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা কূটনৈতিক পরিসরে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ফরেন সেক্রেটারি’ হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, তৌহিদ হোসেনের পছন্দেই পররাষ্ট্রসচিব করে চীন থেকে উড়িয়ে আনা হয় মো. জসীম উদ্দিনকে। তিনি তখন দেশটিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু নোবেল বিজয়ী ইউনূসের কাজের ধরন ও গতির সঙ্গে তাল মেলানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই পিছিয়ে পড়ে। দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের নানা ঝামেলা সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ইউনূসের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক কাজে লাগানো হয়ে উঠছে না।
এমন পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস নিজের আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে গত সেপ্টেম্বরের নিয়োগ দেন লুৎফে সিদ্দিকীকে। উপদেষ্টা পদমর্যাদায় নিয়োগ পাওয়া লুৎফে সিদ্দিকী বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা পেশাদারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা সিএফএ ইনস্টিটিউটের অন্যতম সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একই ধারাবাহিকতায় গত নভেম্বরে রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলিসংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে ড. খলিলুর রহমানকে নিয়োগ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৭৭ ব্যাচের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এর আগে কয়েক বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি লিয়েনে চলে যান জাতিসংঘের চাকরিতে। লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমান উভয়েই বসেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। এর বাইরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও মাহফুজ আলমকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
কূটনৈতিক কয়েকটি সূত্র জানায়, এত সব নিয়োগ সত্ত্বেও বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক ঠিকঠাক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা অসংগতি দেখতে পান প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর কার্যালয়। গত মার্চের মাঝামাঝি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর, একই মাসের শেষ দিকে ইউনূসের চীন সফর ও এপ্রিলের শুরুতে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের পাশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় অনেক অসংগতি বেশি করে চোখে পড়ে।
খলিলুর রহমানের অভিযোগ, রোহিঙ্গা বিষয়ে ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সফরের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাননি তিনি। অনেক ক্ষেত্রে পুরোনো তথ্য দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
বিমসটেক সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কূটনীতিক বলেন, হাসিনার পতনের পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাংকক সফরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। কিন্তু এই সাক্ষাৎটাই হবে কি হবে না, এমন একটা অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে গত ৩ এপ্রিল সেখানে নামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। একই দিন ব্যাংককে নামা ভারতীয় প্রতিনিধিদলের গঠন থেকে বুঝতে পারার কথা ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ হচ্ছে। অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগেও বিষয়টি হয়তো জানা যেত। ইউনূস এ বৈঠকের বিষয়ে বারবার জানতে চান। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় সরাসরি নিশ্চিত করার আগপর্যন্ত মোদি-ইউনূসের সাক্ষাতের বিষয়ে অন্ধকারে ছিল বাংলাদেশ।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্যাংককে নৈশভোজের সময় বাংলাদেশ ও মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে খলিলুর রহমানের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন। অন্যদিকে, ইউনূসের দলে উপযুক্ত লোক না পেয়ে পরদিন দুপুরে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নোট নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় এমন একজন কূটনীতিককে, যিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্ত নন। আবার কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত সুনামের ক্ষেত্রেও ঘাটতি আছে।
ব্যাংকক থেকে ইউনূস ঢাকা ফিরে খলিলুর রহমানের পদবি বদলে দেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে উপদেষ্টাকে সহায়তা করার জন্য গত ২০ এপ্রিল বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক কূটনীতিক সুফিউর রহমানকে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার পাশাপাশি তাঁকে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়। সুফিউর জেনেভায় জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি, সুইজারল্যান্ড ও মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কায় হাইকমিশনার ছিলেন।
খলিলুর রহমান ও তৌহিদ হোসেন উভয়েই চেয়েছেন সুফিউর রহমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বসবেন, দেখবেন রোহিঙ্গাসংক্রান্ত বিষয়াবলি। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চেয়েছে, করিতকর্মা ও দক্ষ হিসেবে পরিচিত এই কূটনীতিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনতে মন্ত্রণালয়েই বসবেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, লুৎফে সিদ্দিকী ও খলিলুর রহমানের নিয়োগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের নিয়োগ ও বদলি তদারকির দায়িত্ব অন্য দুই উপদেষ্টাকে দেওয়ার বিষয়টি তৌহিদ হোসেন শুরু থেকেই ভালোভাবে নেননি। রোহিঙ্গা বিষয় দেখতে সুফিউরকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি একমত ছিলেন। কিন্তু নিয়োগের আদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়ার উল্লেখ থাকায় বিগড়ে যান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর জন্য একটি কক্ষ আছে। সুফিউরের নিয়োগের আদেশ জারি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাঁর বসার জন্য কক্ষটি প্রস্তুত করতে শুরু করেন। কিন্তু তৌহিদ হোসেনের ইঙ্গিতে জসীম উদ্দিনের নির্দেশে কক্ষ প্রস্তুত করার কাজ থেমে যায় বলে জানা যায়। সুফিউর গতকাল বুধবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে যোগ দেননি।
নতুন সরকারের সময়কার কাজের ধরন, প্রয়োজনীয়তা ও মুহাম্মদ ইউনূসের গতির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল মেলাতে পারছে না, এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে গত সপ্তাহে তাঁর কার্যালয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়। সেটাই করে যাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাধারণভাবে গতিশীল মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত। অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়ে কাজে ভালো। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এসে এর কাজের গতি শ্লথ হয়ে যাওয়ার বড় কারণ তৌহিদ হোসেন ও জসীম উদ্দিন উভয়েরই ধীরে চলার নীতি। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ফাইল পড়ে থাকছে। অনেক সভায় পররাষ্ট্রসচিবেরই যোগ দেওয়া প্রয়োজন থাকলেও তিনি সভাগুলো এড়িয়ে চলছেন, অন্য কাউকে পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সরকারের কাজকর্মে বেশ ঝামেলা হচ্ছে। ঢাকায় বিদেশি মিশন ও বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোর কাজেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্যে দক্ষ হিসেবে সুনাম নেই, এমন অনেকে পদপদবি বাগিয়ে নেওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় পররাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অনেক দিন ধরে বিবেচনায় রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এ মাসের শেষ দিকে জাপান সফরে যাবেন। ৩০ মে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক আছে। এর আগে আজ ১৫ মে টোকিওতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্বনির্ধারিত পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) হওয়ার কথা রয়েছে। সভায় প্রধান উপদেষ্টার সফরের প্রস্তুতি নিয়েও আলাপ হওয়ার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব এ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় পররাষ্ট্রসচিবের পরিবর্তে সচিব পর্যায়ের অন্য কোনো কর্মকর্তাকে দলনেতা করার ইঙ্গিত দেওয়া হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিব জাপানের সঙ্গে পরামর্শমূলক সভাটিই স্থগিত করে দেন। সভা স্থগিতের বিষয়টি ঢাকায় দেশটির দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে গত সোমবার জানিয়ে দেয় মন্ত্রণালয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দিনই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যে লুৎফে সিদ্দিকীকেই টোকিওতে পাঠানো হবে। এ অবস্থায় এফওসি ঠিক রাখতে তৎপর হন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত শিন-ইচি সাইদা। অবশেষে মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) ড. নজরুল ইসলামকে দলনেতা করে টোকিওতে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। এফওসি স্থগিত না করে এ সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া যেত, এমনটা মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
এফওসি বাতিলের বিশেষ কোনো কারণ আছে কি না, আজকের পত্রিকা থেকে সোমবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রসচিব নিরুত্তর থাকেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে বিদায় নিতে হবে, সরকারের এ নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জেনে জসীম উদ্দিন তাঁর সম্মানজনক প্রস্থান নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেন। নিয়মিত চাকরি শেষে আগামী বছর (২০২৬) ডিসেম্বরে তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জসীম উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা কানাডায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু অসুবিধা হলো এই দুই দেশেই নতুন মিশনপ্রধান হিসেবে মাত্র কয়েক মাস আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে আসাদ আলম সিয়াম ও নাহিদা সোবহানকে। এমন অবস্থায় বিদায়ী পররাষ্ট্রসচিবের জন্য আর কী বিকল্প হতে পারে, তা দেখা হচ্ছে। তৌহিদ হোসেন জার্মানি সফরে আছেন, তিনি ফেরার পর পররাষ্ট্রসচিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪৩ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪৩ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪৩ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২৩ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
১৫ মে ২০২৫
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪৩ মিনিট আগে