Ajker Patrika

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ভাবনা

  • উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন পেলেও তা আর জারি হচ্ছে না।
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রিভিউ আবেদনের রায়ের অপেক্ষায় সরকার।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১: ৫৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

উচ্চ আদালতের রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরার পথ খুলেছে সম্প্রতি। এই অবস্থায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে, কীভাবে আয়োজন করা যায়, তা নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। বর্তমান সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর করে নির্বাচন করা যায় কি না, এ নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের রায়ের অপেক্ষা করছে তারা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ভোট আয়োজন নিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ দিলে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর করা যাবে। সে ক্ষেত্রে যেদিন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যাত্রা শুরু হবে, সেদিন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বিশেষ পরিস্থিতিতে আপিল বিভাগের রেফারেন্সের আলোকে গত ৮ আগস্ট গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে ২০১১ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হওয়ায় সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টার পদ বলে কিছু নেই। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি ভিত্তি দিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

আইন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন আর অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ জারির পথে নেই সরকার। কারণ, গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ বাতিল ঘোষণা করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসার পথ তৈরি হয়েছে, সেটিকেই কাজে লাগাতে চায় সরকার। সংসদ না থাকার পরও কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর করা যায়, সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর খসড়ার খুঁটিনাটি যাচাইয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। তবে এ বিষয়ে সরকারের আর কোনো নির্দেশনা নেই। ফলে খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পড়ে আছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে আসার পর কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করা যায়, সেই পথ খুঁজছে সরকার। ওই কর্মকর্তার দাবি, আদালতের নির্দেশনার আলোকে বর্তমান সরকার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর হয়, তবে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে তার ৯০ দিন আগে এই রূপান্তর ঘটানো হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন এবং এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতের রায়ের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল হলেও সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের সুযোগ নেই। সংসদের মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে হবে। তবে সংসদ না থাকায় আদালত এ বিষয়ে আলাদা কোনো পর্যবেক্ষণ দিলে সেটি ভিন্ন বিষয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইনজীবী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন করার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ দিলে অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর হতে কোনো বাধা থাকবে না। তবে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে কি না, এখনই তা স্পষ্ট করে বলা যাবে না। কারণ, আগে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরার পথ তৈরি হওয়ার পর গত ১৭ ডিসেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিকভাবেই বৈধ সরকার। এর সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংঘর্ষিক অবস্থান নেই। কার অধীনে নির্বাচন হবে, ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে রিভিউর সিদ্ধান্তের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এ ক্ষেত্রে ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ের আগে আপিল বিভাগ পরপর দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন নয়, ভোট ডাকাতি হয়েছে; যে কারণে আপিল বিভাগের আগের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে বাধা নেই।

উপদেষ্টারা কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা হবে। ওই দলের হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের সামনে দুটি পথ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে উপদেষ্টারা পদত্যাগ না করেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার আগে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অঙ্গীকার করতে হতো। অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থায় সেই নিয়ম নেই। অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়ায় এমন কোনো বিধান রাখা হয়নি। ফলে কোনো কারণে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, ওই নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বর্তমান উপদেষ্টাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যাত্রা শুরুর আগেই পদত্যাগ করতে হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে মোট ১১ জন উপদেষ্টা সেই সরকারে থাকবেন। সমন্বয়ক থেকে উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা করে নেওয়া তিনজন উপদেষ্টা তাঁদের দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যাত্রা শুরুর আগেই তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে বর্তমান সরকারের আরও ৯ জন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা পদে মুহাম্মদ ইউনূস এবং ২২ জন উপদেষ্টা এখন সরকারে রয়েছেন।

ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলে সরকার থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর প্রতিক্রিয়ায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপান্তর হলে কোনো আইনি জটিলতা থাকবে না। কারণ, সরকার পতনের পর দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সের আলোকে রাষ্ট্রপতি এই সরকার গঠন করেছেন। ওটাই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি ভিত্তি।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনে করেন, কোনো দৈবদুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়, তবে নির্বাচন কমিশন আরও ৯০ দিন সময় বাড়াতে পারে। বিশেষ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ায় এই বিধান আমলে নেওয়া হচ্ছে না। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও এই বিধান মানা হয়নি।

স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে নামেই হোক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের মতামতের আলোকে গঠিত বর্তমান সরকারকে আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করায় অসুবিধা নেই।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে নির্বাচন করতে হলে ওই সরকারের কাঠামো অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের আকার ছোট করতে হবে কি না, সে বিষয়ে আইনবিদেরা ভালো বলতে পারবেন বলে মত দেন তিনি। নিজাম উদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার—যে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন, দল গঠনের পর সমন্বয়ক থেকে উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়া তিনজনের আইনগতভাবে সরকারে থাকার কথা না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যত বড় অপরাধীই হোক, পিটিয়ে মারা গ্রহণযোগ্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

রংপুর প্রতিনিধি
সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।

ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’

দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’

রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’

তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

আজ ‎সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‎

এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুয়াশায় গাড়ি চালানো নিরাপদ করতে বিআরটিএর নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।

বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—

১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।

২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।

৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসীরা যেন পালাতে না পারে, সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

‎সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ‎

আজ ‎সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ‎

বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ‎স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’

বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

‎স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’

একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

‎‎চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি। ‎

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।

‎‎অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত