Ajker Patrika

ভারতের সঙ্গে বিগত সরকারের সমঝোতা চুক্তিগুলো বাতিল হতে পারে 

আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ১২
ভারতের সঙ্গে বিগত সরকারের সমঝোতা চুক্তিগুলো বাতিল হতে পারে 

ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকগুলো পুনর্বিবেচনা, এমনকি বাতিল করতে পারে বাংলাদেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নয় এমন সমঝোতা স্মারকগুলো পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করতে পারে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেনের একটি মন্তব্য থেকে এমনটাই বিবেচনা করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। 

যদিও সমঝোতা স্মারকগুলো পর্যালোচনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারত সরকার মনে করে, সমঝোতা স্মারকগুলো পর্যালোচনা বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের প্রাথমিক কাজগুলোর একটি। পরিণতিতে সমঝোতা স্মারকগুলো নিয়ে বর্তমান অবস্থানের চেয়ে ভিন্ন অবস্থান তৈরি হতে পারে বাংলাদেশ সরকারে। 

গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) চূড়ান্ত চুক্তি নয়। কাজেই এখানে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে কি না, সেটি আমরা দেখতেই পারি। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যা করা দরকার, আমরা তা-ই করব।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি নির্ধারণ করে, এই সমঝোতা স্মারকগুলো দেশের স্বার্থ রক্ষা করে না, তবে অবশ্যই সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

ভারতের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধারণা থাকতে পারে যে শেখ হাসিনা প্রশাসনের ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তাই সেসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় মাত্রাতিরিক্তভাবে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য প্রত্যর্পণের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, দেশের লিগ্যাল সিস্টেম থেকে নির্দেশনা পেলে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, ‘যদি দেশের আইন-আদালত আমাকে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত আনার ব্যবস্থা নিতে বলে, তাহলে সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’ যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভারতের ওপর নির্ভর করে, যা অনুসরণ করার নিজস্ব আইনি প্রটোকল আছে। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকা সত্ত্বেও প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে। 

চলতি বছরের জুনে শেখ হাসিনা সরকার ভারতের সঙ্গে মোট ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এগুলোর মধ্যে ৭টি নতুন এবং ৩টি বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকের নবায়ন। শেখ হাসিনার দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় ভারতের হায়দরাবাদ হাউসে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার সময় এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এদিকে বাংলাদেশে ভারতীয় ঋণের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) বা ঋণের অর্থায়িত চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা করছে। এই পর্যালোচনায় তিনটি ভারতীয় এলওসির অধীনে বর্তমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত।

প্রকল্পের অংশীদারেরা বিশ্বাস করেন, এই ঋণ সহায়তার অধীনে অর্থায়ন করা অনেক প্রকল্পই প্রাথমিকভাবে ভারতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য। উদাহরণস্বরূপ, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চার লেনের রাস্তাটি ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে করা হচ্ছে বলে মনে করেন তাঁরা। 

ভারত ২০১০, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে মোট ৭ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার লাইন অব ক্রেডিট বা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারত খুব সামান্য পরিমাণ অর্থই ছাড় করেছে। এখন পর্যন্ত ভারত মোট ১৮০ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় করেছে। এই তিন দফার লাইন অব ক্রেডিটের বিপরীতে সড়ক ও রেল সংযোগ, জ্বালানি এবং অবকাঠামো খাতে মোট ৩৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৫টি সম্পন্ন হয়েছে, ৮টি চলমান রয়েছে এবং বাকি প্রকল্পগুলো পরামর্শক বা ঠিকাদার নিয়োগ বা প্রস্তাব তৈরির পর্যায়ে আছে। 

ভারত ও শেখ হাসিনা সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারক অনুসারে, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) দিয়েছে। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেনের সড়ক প্রকল্পটি ছিল দ্বিতীয় এলওসির মাধ্যমে অর্থায়ন করা এমনই একটি প্রকল্প। ভারতীয় ব্যাংকের অর্থায়ন করা এসব ঋণের শর্ত ছিল, এগুলোতে ভারতীয় ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে এবং প্রকল্পের পণ্য ও পরিষেবার ৬৫ শতাংশ ভারত থেকে সংগ্রহ করতে হবে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়নের জন্য একটি ভারতীয় ঋণ অর্থায়নে চলমান প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। কারণ, ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা প্রকল্পটি পরিত্যাগ করে ভারতে ফিরে গেছেন। এই সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প ২০১৭ সালে শুরু হয়েছিল। 

এই প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ভারতের দেওয়ার কথা ছিল ২ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের দেওয়ার কথা। ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছরের জুন নাগাদ কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ। 

এদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, তিস্তা নদীর পানিবণ্টন ইস্যুতে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তবে এই ইস্যুতে চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব না হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও আইনের দ্বারস্থ হতে পারে। 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়টি নিয়ে (বাংলাদেশে) সংশ্লিষ্ট সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা আলোচনা করেছি যে তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রক্রিয়া ও সংলাপ পুনরায় শুরু করতে হবে। আমাদের গঙ্গা চুক্তিতেও কাজ করতে হবে, যা আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হতে হবে।’ 

পানিবণ্টনের আন্তর্জাতিক নীতিমালার দিকে ইঙ্গিত করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। যেহেতু এটি একটি আন্তর্জাতিক পানি সমস্যা, এটি অন্যান্য দেশের আইনগত অধিকারের বিবেচনাকেও আমলে নেয়। সুতরাং, কতটা পানি পাওয়া যায় এবং তা পর্যাপ্ত কি না, তা আমাদের কাছে অস্পষ্ট। খুব ন্যূনতম পানি পাওয়া গেলেও আন্তর্জাতিক পানিবণ্টনের নিয়মের কারণে বাংলাদেশে প্রবাহ অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশ পানিবণ্টন-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও নথির অনুমোদনের বিষয়টিও আমলে নিতে পারে।’ 

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘সে সময় উভয় পক্ষই সম্মত হয় এবং তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির একটি খসড়াও প্রস্তুত করা হয়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতার কারণে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি। বাস্তবতা হলো, আমরা চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে পারিনি। সুতরাং, আমরা সেই জায়গা থেকে চুক্তির খসড়া দিয়েই শুরু করব এবং ভারতকে এগিয়ে আসার ও সংলাপ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত