Ajker Patrika

মালয়েশিয়ায় সাবেক হাইকমিশনারকে ফেরাতে জাতিসংঘ পর্যন্ত যাবে ঢাকা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
মালয়েশিয়ায় সাবেক হাইকমিশনারকে ফেরাতে জাতিসংঘ পর্যন্ত যাবে ঢাকা

মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে থাকছেন দেশটিতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান। সাবেক এ হাইকমিশনার জেল হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া থেকে এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে প্রয়োজনে জাতিসংঘ পর্যন্ত যাবে বাংলাদেশ। আজ সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

এম খায়রুজ্জামানকে ফেরত আনার জটিলতাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর একটি আইনি দিক রয়েছে। এ মুহূর্তে সবকিছু বলা সম্ভব না হলেও মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে আমাদের যে সম্পর্ক, তার ওপর ভিত্তি করে দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এম খায়রুজ্জামানকে ফেরত পাব।’ 

 ১৯৫২ সালের শরণার্থী আইনে বাংলাদেশ সই না করলেও মালয়েশিয়া সই করেছে। সে হিসেবে শরণার্থী হিসেবে থাকা একজনকে ফেরত আনার বিষয়ে প্রশ্ন করলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যে দেশে রয়েছেন, সেই দেশের সরকার এম খায়রুজ্জামানের শরণার্থী হিসেবে থাকা বাতিল করতে পারে। তিনি যে আবেদনের প্রথম পর্যায়ে থেকে গিয়েছিলেন, সেখানে অবশ্যই প্রথম দেওয়া তথ্যগুলোতে অনেক কিছু গোপন বা ভুল থেকে থাকবে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে চিঠি দিয়ে দেশে ফেরত আসতে বলেছিল। তখন তিনি আসেননি। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক নিরীক্ষা আপত্তি রয়েছে, সেগুলোরও সমাধান করেননি। এ বিষয়গুলো রয়েছে, যা যথেষ্ট তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করার জন্য।’ 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি মালয়েশিয়ার সরকারের বিষয়। তাঁরা যাদের থাকতে দিচ্ছেন, তাঁরা যদি আরেকটি দেশের আসামি হন, তবে সেই অপরাধীকে একটি দেশে শরণার্থী হিসেবে রেখে দেওয়ার যুক্তি নেই। আমরা প্রয়োজন হলে জাতিসংঘকে জানাব। তাঁর শরণার্থী হিসেবে থাকার দরকার নেই। একজন সবল ও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল মানুষ কখনো শরণার্থী হতে পারে না। তাহলে সব অপরাধী যেকোনো দেশে গিয়ে শরণার্থী হতে চাইবে। এটি যুক্তিসংগত নয়। বিষয়টি প্রয়োজনে জাতিসংঘকে ব্যাখ্যা করা হবে।’ 

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে জেলহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে তাঁকে এই অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি জেলেই ছিলেন। সে সময়ে তাঁকে অবসরে পাঠানো হয়েছিল। গ্রেপ্তারের আগে তিনি ফিলিপাইনে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পরে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার গঠনের পর সরকার এম খায়রুজ্জামানকে জামিনে মুক্তি দেয়। ২০০৩ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালক হিসেবে আবারও নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁকে। এর পর ২০০৪ সালে জেলহত্যা মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পান। 

শুধু তাই নয়, এম খায়রুজ্জামানকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয় সে সময়। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৭ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ায় প্রথম শ্রেণির হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ২০০৯ সালে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এম খায়রুজ্জামানকে হাইকমিশনার পদ থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে ডেকে পাঠানো হয়। জীবনের ঝুঁকি দেখিয়ে মালয়েশিয়াতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে শরণার্থী হিসেবে মালয়েশিয়াতেই থেকে যান খায়রুজ্জামান। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ায় অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের কারণে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১০ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এম খায়রুজ্জামানকে ফেরাতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ রয়েছে। 

জামায়াত ও বিএনপি লবি এম খায়রুজ্জামানের পক্ষে কাজ করছে জানিয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তারা ও এম খায়রুজ্জামানের স্ত্রী আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। যা-ই হোক না কেন এম খায়রুজ্জামানকে ফেরত আনা হচ্ছে। 

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ আইনজীবী নিয়োগ করবে কি-না—এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনজীবী নিয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই। এখানে বিষয়টি দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে। তাঁকে ফেরত দিতে মালয়েশিয়া সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তারপরও যদি তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় যদি প্রয়োজন হয়, তবে বাংলাদেশ চিন্তা করবে। এখানে মামলাটি করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র নিলেন ৩১৪৪ জন, আগামীকালই দাখিলের শেষ সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।

এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।

এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী মঙ্গলবার অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৩
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।

পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজ রাতে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত