আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
ঢাকার অনেক এলাকায় এখন সন্ধ্যার পর মানুষ বাসার বাইরে বের হতে ভয় পায়। এই অবস্থায় কোনো কোনো এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে অতিষ্ঠ মানুষ নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, পুলিশ তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য বলছে, ঢাকায় গত আগস্ট থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। আগস্টে রাজধানীর ৫০টি থানায় ৪টি ছিনতাইয়ের মামলা করা হলেও তা বেড়ে ডিসেম্বরে ৩৮টি হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারির ১৫ দিনেই ছিনতাইয়ের মামলা করা হয় ৩১টি।
প্রকৃত ছিনতাই আরও বেশি। কারণ ছিনতাইয়ের শিকার বেশির ভাগ পথচারী মামলা করে না। আইনিপ্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় ও হয়রানির আশঙ্কায় তারা মামলা করতে চায় না।
গত আগস্টে ঢাকায় চুরির মামলা করা হয়েছিল ৪৩টি। মাসে মাসে বেড়ে ডিসেম্বরে তা ১২৬টি হয়। এভাবে ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর আদাবরে সুমন শেখ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় সন্ত্রাসীরা। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার সুমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি শ্রমিক, আমাকে কাজের কথা বলে ডেকে নেয় কয়েকজন। পরে অন্ধকারে নিয়ে আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যেতে চায়। আমি বাধা দিলে আমার হাতে কোপ দিয়ে মানিব্যাগ নিয়ে যায়।’
সুমনের জীবন রক্ষা পেলেও তিনি এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। হাত হারানোয় বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা তাঁর। কীভাবে পরিবার চালাবেন, সে চিন্তায় ডুবে থাকেন তিনি; আর কাঁদেন। এ ঘটনায় আদাবরের ছিনতাই চক্রের সদস্য টুন্ডা বাবু, রাজু, জনিসহ আরও কয়েকজন জড়িত। যাদের নামে মামলা করেছেন সুমন। তারা সবাই এখন পলাতক।
গত ডিসেম্বরে নবীনগর হাউজিংয়ের বাসিন্দা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছিনতাইয়ের ভয়ে এখন দামী মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ সঙ্গে রাখেন না তিনি। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দারোয়ানের কাছে ওগুলো রেখে যান।
পুলিশের দাবি, রাজধানীর সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, দারুসসালাম, কামরাঙ্গীরচর, রূপনগর, শাহআলী, পল্লবী, ডেমরা, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী ও তুরাগ এলাকায় বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ জানিয়েছে, এসব এলাকায় বস্তি থাকায় সেখানে মাদক ও চোরাচালানকেন্দ্রিক অপরাধীরা থাকে, তারা অপরাধ করে ডিএমপি এলাকা থেকে বের হয়ে গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ চলে যায়। তাই তাদের সহজে ধরা যায় না।
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, নবীনগর হাউজিং ও তুরাগ হাউজিং এলাকায় রাতে চরমোনাই পীরের অনুসারীরা পাহারা দেন। তাঁরা বাঁশ হাতে পাহারা বসান।
রাজধানীর এসব এলাকার অপরাধ দমনে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকায় পদায়ন পাওয়া নতুন পুলিশ। তারা অভিযানে গিয়ে প্রায়ই হামলার শিকার হচ্ছে।
এক সপ্তাহে দেশের পাঁচটি জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উত্তরার দুটি থানায় ভাঙচুর করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে এই হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ও টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া কাশিমপুর কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, প্রতিটি ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
৫ ফেব্রুয়ারি মাদক চোরাকারবারি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন বোটঘাট বস্তিতে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা চালায় অপরাধীরা। এতে চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে ওই এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী ২৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এ চক্রটি বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাই করত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান।
ওই ঘটনায় আহত মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ আফজালুল হক দুদিন একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি দল হাসান নামের এক ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে বোটঘাট মসজিদসংলগ্ন বস্তিতে গেলে ৫০-৬০ জনের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হাসানকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘(পুলিশের ওপর হামলার) প্রতিটি ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখব। যারা এর জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের ওপর হামলা রোধে মন্ত্রণালয় থেকে কী নির্দেশনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আইজি সাহেবের নির্দেশনা একেবারে স্পষ্ট। গত ১৫ বছর যে পুলিশ ছিল, ওই আচরণ তো আপনারা আবার চাচ্ছেন না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
ঢাকার অনেক এলাকায় এখন সন্ধ্যার পর মানুষ বাসার বাইরে বের হতে ভয় পায়। এই অবস্থায় কোনো কোনো এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে অতিষ্ঠ মানুষ নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, পুলিশ তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য বলছে, ঢাকায় গত আগস্ট থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। আগস্টে রাজধানীর ৫০টি থানায় ৪টি ছিনতাইয়ের মামলা করা হলেও তা বেড়ে ডিসেম্বরে ৩৮টি হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারির ১৫ দিনেই ছিনতাইয়ের মামলা করা হয় ৩১টি।
প্রকৃত ছিনতাই আরও বেশি। কারণ ছিনতাইয়ের শিকার বেশির ভাগ পথচারী মামলা করে না। আইনিপ্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় ও হয়রানির আশঙ্কায় তারা মামলা করতে চায় না।
গত আগস্টে ঢাকায় চুরির মামলা করা হয়েছিল ৪৩টি। মাসে মাসে বেড়ে ডিসেম্বরে তা ১২৬টি হয়। এভাবে ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর আদাবরে সুমন শেখ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় সন্ত্রাসীরা। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার সুমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি শ্রমিক, আমাকে কাজের কথা বলে ডেকে নেয় কয়েকজন। পরে অন্ধকারে নিয়ে আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যেতে চায়। আমি বাধা দিলে আমার হাতে কোপ দিয়ে মানিব্যাগ নিয়ে যায়।’
সুমনের জীবন রক্ষা পেলেও তিনি এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। হাত হারানোয় বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা তাঁর। কীভাবে পরিবার চালাবেন, সে চিন্তায় ডুবে থাকেন তিনি; আর কাঁদেন। এ ঘটনায় আদাবরের ছিনতাই চক্রের সদস্য টুন্ডা বাবু, রাজু, জনিসহ আরও কয়েকজন জড়িত। যাদের নামে মামলা করেছেন সুমন। তারা সবাই এখন পলাতক।
গত ডিসেম্বরে নবীনগর হাউজিংয়ের বাসিন্দা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছিনতাইয়ের ভয়ে এখন দামী মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ সঙ্গে রাখেন না তিনি। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দারোয়ানের কাছে ওগুলো রেখে যান।
পুলিশের দাবি, রাজধানীর সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, দারুসসালাম, কামরাঙ্গীরচর, রূপনগর, শাহআলী, পল্লবী, ডেমরা, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী ও তুরাগ এলাকায় বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ জানিয়েছে, এসব এলাকায় বস্তি থাকায় সেখানে মাদক ও চোরাচালানকেন্দ্রিক অপরাধীরা থাকে, তারা অপরাধ করে ডিএমপি এলাকা থেকে বের হয়ে গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ চলে যায়। তাই তাদের সহজে ধরা যায় না।
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, নবীনগর হাউজিং ও তুরাগ হাউজিং এলাকায় রাতে চরমোনাই পীরের অনুসারীরা পাহারা দেন। তাঁরা বাঁশ হাতে পাহারা বসান।
রাজধানীর এসব এলাকার অপরাধ দমনে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকায় পদায়ন পাওয়া নতুন পুলিশ। তারা অভিযানে গিয়ে প্রায়ই হামলার শিকার হচ্ছে।
এক সপ্তাহে দেশের পাঁচটি জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উত্তরার দুটি থানায় ভাঙচুর করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে এই হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ও টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া কাশিমপুর কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, প্রতিটি ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
৫ ফেব্রুয়ারি মাদক চোরাকারবারি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন বোটঘাট বস্তিতে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা চালায় অপরাধীরা। এতে চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে ওই এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী ২৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এ চক্রটি বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাই করত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান।
ওই ঘটনায় আহত মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ আফজালুল হক দুদিন একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি দল হাসান নামের এক ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে বোটঘাট মসজিদসংলগ্ন বস্তিতে গেলে ৫০-৬০ জনের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হাসানকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘(পুলিশের ওপর হামলার) প্রতিটি ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখব। যারা এর জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের ওপর হামলা রোধে মন্ত্রণালয় থেকে কী নির্দেশনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আইজি সাহেবের নির্দেশনা একেবারে স্পষ্ট। গত ১৫ বছর যে পুলিশ ছিল, ওই আচরণ তো আপনারা আবার চাচ্ছেন না।’
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
ঢাকার অনেক এলাকায় এখন সন্ধ্যার পর মানুষ বাসার বাইরে বের হতে ভয় পায়। এই অবস্থায় কোনো কোনো এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে অতিষ্ঠ মানুষ নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, পুলিশ তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য বলছে, ঢাকায় গত আগস্ট থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। আগস্টে রাজধানীর ৫০টি থানায় ৪টি ছিনতাইয়ের মামলা করা হলেও তা বেড়ে ডিসেম্বরে ৩৮টি হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারির ১৫ দিনেই ছিনতাইয়ের মামলা করা হয় ৩১টি।
প্রকৃত ছিনতাই আরও বেশি। কারণ ছিনতাইয়ের শিকার বেশির ভাগ পথচারী মামলা করে না। আইনিপ্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় ও হয়রানির আশঙ্কায় তারা মামলা করতে চায় না।
গত আগস্টে ঢাকায় চুরির মামলা করা হয়েছিল ৪৩টি। মাসে মাসে বেড়ে ডিসেম্বরে তা ১২৬টি হয়। এভাবে ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর আদাবরে সুমন শেখ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় সন্ত্রাসীরা। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার সুমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি শ্রমিক, আমাকে কাজের কথা বলে ডেকে নেয় কয়েকজন। পরে অন্ধকারে নিয়ে আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যেতে চায়। আমি বাধা দিলে আমার হাতে কোপ দিয়ে মানিব্যাগ নিয়ে যায়।’
সুমনের জীবন রক্ষা পেলেও তিনি এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। হাত হারানোয় বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা তাঁর। কীভাবে পরিবার চালাবেন, সে চিন্তায় ডুবে থাকেন তিনি; আর কাঁদেন। এ ঘটনায় আদাবরের ছিনতাই চক্রের সদস্য টুন্ডা বাবু, রাজু, জনিসহ আরও কয়েকজন জড়িত। যাদের নামে মামলা করেছেন সুমন। তারা সবাই এখন পলাতক।
গত ডিসেম্বরে নবীনগর হাউজিংয়ের বাসিন্দা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছিনতাইয়ের ভয়ে এখন দামী মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ সঙ্গে রাখেন না তিনি। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দারোয়ানের কাছে ওগুলো রেখে যান।
পুলিশের দাবি, রাজধানীর সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, দারুসসালাম, কামরাঙ্গীরচর, রূপনগর, শাহআলী, পল্লবী, ডেমরা, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী ও তুরাগ এলাকায় বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ জানিয়েছে, এসব এলাকায় বস্তি থাকায় সেখানে মাদক ও চোরাচালানকেন্দ্রিক অপরাধীরা থাকে, তারা অপরাধ করে ডিএমপি এলাকা থেকে বের হয়ে গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ চলে যায়। তাই তাদের সহজে ধরা যায় না।
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, নবীনগর হাউজিং ও তুরাগ হাউজিং এলাকায় রাতে চরমোনাই পীরের অনুসারীরা পাহারা দেন। তাঁরা বাঁশ হাতে পাহারা বসান।
রাজধানীর এসব এলাকার অপরাধ দমনে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকায় পদায়ন পাওয়া নতুন পুলিশ। তারা অভিযানে গিয়ে প্রায়ই হামলার শিকার হচ্ছে।
এক সপ্তাহে দেশের পাঁচটি জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উত্তরার দুটি থানায় ভাঙচুর করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে এই হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ও টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া কাশিমপুর কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, প্রতিটি ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
৫ ফেব্রুয়ারি মাদক চোরাকারবারি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন বোটঘাট বস্তিতে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা চালায় অপরাধীরা। এতে চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে ওই এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী ২৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এ চক্রটি বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাই করত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান।
ওই ঘটনায় আহত মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ আফজালুল হক দুদিন একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি দল হাসান নামের এক ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে বোটঘাট মসজিদসংলগ্ন বস্তিতে গেলে ৫০-৬০ জনের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হাসানকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘(পুলিশের ওপর হামলার) প্রতিটি ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখব। যারা এর জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের ওপর হামলা রোধে মন্ত্রণালয় থেকে কী নির্দেশনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আইজি সাহেবের নির্দেশনা একেবারে স্পষ্ট। গত ১৫ বছর যে পুলিশ ছিল, ওই আচরণ তো আপনারা আবার চাচ্ছেন না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
ঢাকার অনেক এলাকায় এখন সন্ধ্যার পর মানুষ বাসার বাইরে বের হতে ভয় পায়। এই অবস্থায় কোনো কোনো এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে অতিষ্ঠ মানুষ নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, পুলিশ তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশের আইনি দায়িত্ব পালনে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বদ্ধপরিকর।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য বলছে, ঢাকায় গত আগস্ট থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। আগস্টে রাজধানীর ৫০টি থানায় ৪টি ছিনতাইয়ের মামলা করা হলেও তা বেড়ে ডিসেম্বরে ৩৮টি হয়। ২০২৫ সালের জানুয়ারির ১৫ দিনেই ছিনতাইয়ের মামলা করা হয় ৩১টি।
প্রকৃত ছিনতাই আরও বেশি। কারণ ছিনতাইয়ের শিকার বেশির ভাগ পথচারী মামলা করে না। আইনিপ্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় ও হয়রানির আশঙ্কায় তারা মামলা করতে চায় না।
গত আগস্টে ঢাকায় চুরির মামলা করা হয়েছিল ৪৩টি। মাসে মাসে বেড়ে ডিসেম্বরে তা ১২৬টি হয়। এভাবে ডাকাতি ও নারী নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর আদাবরে সুমন শেখ নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয় সন্ত্রাসীরা। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার সুমন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি শ্রমিক, আমাকে কাজের কথা বলে ডেকে নেয় কয়েকজন। পরে অন্ধকারে নিয়ে আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যেতে চায়। আমি বাধা দিলে আমার হাতে কোপ দিয়ে মানিব্যাগ নিয়ে যায়।’
সুমনের জীবন রক্ষা পেলেও তিনি এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। হাত হারানোয় বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা তাঁর। কীভাবে পরিবার চালাবেন, সে চিন্তায় ডুবে থাকেন তিনি; আর কাঁদেন। এ ঘটনায় আদাবরের ছিনতাই চক্রের সদস্য টুন্ডা বাবু, রাজু, জনিসহ আরও কয়েকজন জড়িত। যাদের নামে মামলা করেছেন সুমন। তারা সবাই এখন পলাতক।
গত ডিসেম্বরে নবীনগর হাউজিংয়ের বাসিন্দা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা মসজিদ এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছিনতাইয়ের ভয়ে এখন দামী মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ সঙ্গে রাখেন না তিনি। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দারোয়ানের কাছে ওগুলো রেখে যান।
পুলিশের দাবি, রাজধানীর সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর, আদাবর, হাজারীবাগ, দারুসসালাম, কামরাঙ্গীরচর, রূপনগর, শাহআলী, পল্লবী, ডেমরা, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী ও তুরাগ এলাকায় বেশি অপরাধের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ জানিয়েছে, এসব এলাকায় বস্তি থাকায় সেখানে মাদক ও চোরাচালানকেন্দ্রিক অপরাধীরা থাকে, তারা অপরাধ করে ডিএমপি এলাকা থেকে বের হয়ে গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ চলে যায়। তাই তাদের সহজে ধরা যায় না।
মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, নবীনগর হাউজিং ও তুরাগ হাউজিং এলাকায় রাতে চরমোনাই পীরের অনুসারীরা পাহারা দেন। তাঁরা বাঁশ হাতে পাহারা বসান।
রাজধানীর এসব এলাকার অপরাধ দমনে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকায় পদায়ন পাওয়া নতুন পুলিশ। তারা অভিযানে গিয়ে প্রায়ই হামলার শিকার হচ্ছে।
এক সপ্তাহে দেশের পাঁচটি জায়গায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উত্তরার দুটি থানায় ভাঙচুর করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে এই হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ও টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া কাশিমপুর কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, প্রতিটি ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
৫ ফেব্রুয়ারি মাদক চোরাকারবারি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন বোটঘাট বস্তিতে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা চালায় অপরাধীরা। এতে চার পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে ওই এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী ২৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে। তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এ চক্রটি বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাই করত বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান।
ওই ঘটনায় আহত মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ আফজালুল হক দুদিন একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোহাম্মদপুর থানার ৯ জনের একটি দল হাসান নামের এক ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করতে বোটঘাট মসজিদসংলগ্ন বস্তিতে গেলে ৫০-৬০ জনের একটি দল তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হাসানকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘(পুলিশের ওপর হামলার) প্রতিটি ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখব। যারা এর জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের ওপর হামলা রোধে মন্ত্রণালয় থেকে কী নির্দেশনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে আইজি সাহেবের নির্দেশনা একেবারে স্পষ্ট। গত ১৫ বছর যে পুলিশ ছিল, ওই আচরণ তো আপনারা আবার চাচ্ছেন না।’

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশবাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির আশা করলেও ঘটেছে তার উল্টো। রাজধানীতে গত ৬ মাসে প্রায় সব সূচকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে এক সপ্তাহে পাঁচবার পুলিশের ওপর হামলা ও দুটি থানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় একাধিক আসামি।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে