আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অধ্যাদেশে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যথা—১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, যেখানে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২. সাইবার নিরাপত্তা, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো তথ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিধান করে প্রণীত হবে এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষায় আইন, যা অনলাইনে বা সাইবার জগতে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো দ্বিমত বা সমালোচনা হয় না বিধায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো প্রথমে করে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো কিছুটা জটিল এবং সংবেদনশীল বলে ওই বিষয়ক আইন করার আগে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে তারপর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’
সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।
ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’
অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অধ্যাদেশে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যথা—১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, যেখানে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২. সাইবার নিরাপত্তা, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো তথ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিধান করে প্রণীত হবে এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষায় আইন, যা অনলাইনে বা সাইবার জগতে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো দ্বিমত বা সমালোচনা হয় না বিধায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো প্রথমে করে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো কিছুটা জটিল এবং সংবেদনশীল বলে ওই বিষয়ক আইন করার আগে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে তারপর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’
সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।
ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’
অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অধ্যাদেশে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যথা—১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, যেখানে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২. সাইবার নিরাপত্তা, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো তথ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিধান করে প্রণীত হবে এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষায় আইন, যা অনলাইনে বা সাইবার জগতে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো দ্বিমত বা সমালোচনা হয় না বিধায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো প্রথমে করে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো কিছুটা জটিল এবং সংবেদনশীল বলে ওই বিষয়ক আইন করার আগে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে তারপর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’
সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।
ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’
অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অধ্যাদেশে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যথা—১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, যেখানে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২. সাইবার নিরাপত্তা, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো তথ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিধান করে প্রণীত হবে এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষায় আইন, যা অনলাইনে বা সাইবার জগতে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো দ্বিমত বা সমালোচনা হয় না বিধায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো প্রথমে করে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো কিছুটা জটিল এবং সংবেদনশীল বলে ওই বিষয়ক আইন করার আগে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে তারপর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’
সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।
ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’
অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি করছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজ যেন না ঘটে, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর...
২৮ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১ ঘণ্টা আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার।
এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রবেশপথ, অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন-কেপিআই) ও সংবেদনশীল স্থানে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি করছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজ যেন না ঘটে, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলছে।
শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দলটির সমর্থকেরা ছড়াচ্ছে গুজব, উসকানি ও সংঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা।
তাঁদের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশপাশে আগামীকাল কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় বসানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এরই মধ্যে কেপিআইসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ পোশাকধারী ও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আগাম তথ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়কে ঘিরে এরই মধ্যে দেশের কয়েক জেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুরসহ অন্তত চার জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। এসব জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ, কিশোরগঞ্জে জিয়া পরিষদ ও ফরিদপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর হাতিরঝিল, মিরপুর, আগারগাঁও ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
গত ছয় দিনে এই ধরনের ঘটনায় পুড়েছে প্রায় ৩০টি যানবাহন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল সোমবার।
এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়, প্রবেশপথ, অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন-কেপিআই) ও সংবেদনশীল স্থানে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি করছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজ যেন না ঘটে, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলছে।
শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজধানীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে দলটির সমর্থকেরা ছড়াচ্ছে গুজব, উসকানি ও সংঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা।
তাঁদের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশপাশে আগামীকাল কয়েক স্তরের নিরাপত্তাবলয় বসানো হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এরই মধ্যে কেপিআইসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ পোশাকধারী ও সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আগাম তথ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়কে ঘিরে এরই মধ্যে দেশের কয়েক জেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুরসহ অন্তত চার জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। এসব জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ, কিশোরগঞ্জে জিয়া পরিষদ ও ফরিদপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর হাতিরঝিল, মিরপুর, আগারগাঁও ও বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
গত ছয় দিনে এই ধরনের ঘটনায় পুড়েছে প্রায় ৩০টি যানবাহন।

এরশাদুল করিম বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি যে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল...
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১ ঘণ্টা আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
অন্য যাঁদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা আজ সাতটি পৃথক আবেদন করে এই সাতজনের আয়কর নথি জব্দে আদালতের নির্দেশ চান।
দুদকের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার জাহান রুমি আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে প্রত্যেকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, টিপু মুনশির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার অবৈধ সম্পদ, তাঁর স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ, এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৪ টাকার অবৈধ সম্পদ ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।
এ ছাড়া শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শুরু থেকে শেষ করবর্ষের আয়কর নথি পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নথি জব্দ করা প্রয়োজন। আয়কর আইন অনুযায়ী নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশনা দরকার।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
অন্য যাঁদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা আজ সাতটি পৃথক আবেদন করে এই সাতজনের আয়কর নথি জব্দে আদালতের নির্দেশ চান।
দুদকের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার জাহান রুমি আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে প্রত্যেকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, টিপু মুনশির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার অবৈধ সম্পদ, তাঁর স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ, এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৪ টাকার অবৈধ সম্পদ ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।
এ ছাড়া শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শুরু থেকে শেষ করবর্ষের আয়কর নথি পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নথি জব্দ করা প্রয়োজন। আয়কর আইন অনুযায়ী নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশনা দরকার।

এরশাদুল করিম বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি যে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল...
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি করছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজ যেন না ঘটে, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর...
২৮ মিনিট আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন, বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাই নিরাপত্তা জোরদারের মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন, আগারগাঁও, বিমানবন্দর, হাতিরঝিল, মিরপুর ও হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে চার জেলায় বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়।
এর আগে গত বুধবার ১২ নভেম্বর সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন, বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাই নিরাপত্তা জোরদারের মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন, আগারগাঁও, বিমানবন্দর, হাতিরঝিল, মিরপুর ও হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে চার জেলায় বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়।
এর আগে গত বুধবার ১২ নভেম্বর সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এরশাদুল করিম বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি যে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল...
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি করছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজ যেন না ঘটে, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর...
২৮ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আজ রোববার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী, শহীদ এবং আহতদের পরিবার বরাবর হস্তান্তরের জন্য প্রার্থনা করেছি।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে, সেগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে যে কয়েকটি অভিযোগ আমরা এই ট্রাইব্যুনালে এনেছি—এই একই অভিযোগে যদি এই তিনজন আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্য কোনো আদালতে কোনো মামলা চলে থাকে, সেগুলো আর চলবে না। কারণ, এটা আমাদের কনস্টিটিউশনাল রাইটস। একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি বা দুবার বিচার করা যাবে না। অতএব এর বাইরে যদি অন্য কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেটি চলতে পারে। কিন্তু এখানে যে পাঁচটি অভিযোগ ডিসপোজাল করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করাও যাবে না, আর যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না।’
এর আগে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার আসামিরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটিতে আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চলতি বছরের ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আজ রোববার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী, শহীদ এবং আহতদের পরিবার বরাবর হস্তান্তরের জন্য প্রার্থনা করেছি।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে, সেগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে যে কয়েকটি অভিযোগ আমরা এই ট্রাইব্যুনালে এনেছি—এই একই অভিযোগে যদি এই তিনজন আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্য কোনো আদালতে কোনো মামলা চলে থাকে, সেগুলো আর চলবে না। কারণ, এটা আমাদের কনস্টিটিউশনাল রাইটস। একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি বা দুবার বিচার করা যাবে না। অতএব এর বাইরে যদি অন্য কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেটি চলতে পারে। কিন্তু এখানে যে পাঁচটি অভিযোগ ডিসপোজাল করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করাও যাবে না, আর যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না।’
এর আগে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার আসামিরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটিতে আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চলতি বছরের ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

এরশাদুল করিম বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি যে, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল...
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সাইবার ইউনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি করছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক কাজ যেন না ঘটে, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর...
২৮ মিনিট আগে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১ ঘণ্টা আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে