Ajker Patrika

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর অপচেষ্টা: টিআইবি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪: ১৭
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪-এ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে ‘প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ সম্পর্কে পর্যালোচনা ও সুপারিশ উপস্থাপন করেন মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম। তিনি বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর মতো কালো আইন বাতিল করে এ-বিষয়ক অধ্যাদেশ প্রণয়ন এবং এর জন্য বর্তমান সরকার গত কয়েক মাসে কয়েকটি খসড়া প্রকাশ করে, সেখানে জনসাধারণকে মতামত দেওয়ার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেই প্রচেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র মারফত আমরা জেনেছি, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ ইতিমধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন লাভ করেছে। আমরা গভীর হতাশা এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, জনসাধারণের মতামত দেওয়ার জন্য আলোচ্য অধ্যাদেশের যে খসড়া প্রচার করা হয়েছিল, তার বাইরে অনুমোদন পাওয়া অধ্যাদেশে এমন নতুন অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আইন প্রণয়নের সাধারণ চর্চার পরিপন্থী। ব্যাপারটিকে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়া ও বোকা বানানোর একটি অপচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’

এরশাদুল করিম আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশের সাধারণ পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আমরা মনে করি, এই অধ্যাদেশে সাইবার নিরাপত্তা, সাইবার অপরাধ, সাইবার সুরক্ষা এবং মানুষের মত প্রকাশের অধিকার সম্পর্কিত বিধানগুলো একত্র করে ফেলেছে এবং অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কেবল কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে “জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি” গঠন প্রস্তাব করে ভবিষ্যতে এর প্রকৃত ও যথাযথ প্রয়োগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অধ্যাদেশে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো যথাযথভাবে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিবেচনা করার জন্য কমপক্ষে তিনটি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যথা—১. কম্পিউটার বা সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপব্যবহার আইন, যেখানে কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের অপরাধ-সম্পর্কিত বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২. সাইবার নিরাপত্তা, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলো তথ্যব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে বিধান করে প্রণীত হবে এবং ৩. অনলাইন সুরক্ষায় আইন, যা অনলাইনে বা সাইবার জগতে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিধান অন্তর্ভুক্ত করবে।’

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে প্রথম দুটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে কোনো দ্বিমত বা সমালোচনা হয় না বিধায় আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এই আইনগুলো প্রথমে করে ফেলা যেতে পারে। কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতা-সম্পর্কিত বিষয়গুলো কিছুটা জটিল এবং সংবেদনশীল বলে ওই বিষয়ক আইন করার আগে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত করে তাদের মতামত নিয়ে তারপর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।’

সরকারি তথ্য, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক তথ্য ও জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আইনি কাঠামো ঠিক করা না হলে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টি কোনোভাবেই সম্পূর্ণ হবে না উল্লেখ করে এরশাদুল করিম বলেন, ‘এ কারণে আমরা মনে করি যে, এই অধ্যাদেশকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ হিসেবে বিবেচনা করা ঠিক হবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরা হয়। ধারা-৪৬ সম্পর্কে বলা হয়, এই ধারার অধীনে ধারা ১৯-কে আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য করা হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, ধারা ১৯ (১)-এর দফা (ঙ) ও (চ) পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই বিধান গুলোতে অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, কিন্তু এগুলো সাধারণত কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইবার জগতের ভৌত অবকাঠামোর ক্ষতি সাধন করে না বলে, এগুলোকে ভিন্ন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে এগুলোও অ-আমলযোগ্য এবং জামিনযোগ্য করা যুক্তিযুক্ত।

ধারা ৪৭ সম্পর্কে বলা হয়, তাত্ত্বিকভাবে সাইবার জগৎ বলতে আমরা সাধারণত একটি কাল্পনিক জগৎকে বুঝে থাকি, সে কারণে এই ধারায় ব্যবহৃত ‘সাইবার উপকরণ’ বলতে যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে, তা না বলে শুধু ‘উপকরণ’ বলা যেতে পারে এবং তা বলা হলে এই ধারার মূল বক্তব্যে কোনো হেরফের হয় না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ বাতিল করে এর পরিবর্তে নতুন একটি অধ্যাদেশ করার উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটা আমরা সমর্থন করি না।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমাদের আপত্তি আছে। এ ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা এমনটা আশা করি না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আইন কমিশনকে কেন এখানে সম্পৃক্ত করা হলো না?’

অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটা একটা জগাখিচুড়ি আইন হয়েছে, যার ফলে সাইবার সুরক্ষার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাই। অধিকারভিত্তিক কিছু আমরা এই অধ্যাদেশে দেখতে পাই না। বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এটা জনস্বার্থের প্রতিফলন করবে না, বরং বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে বলে আমরা মনে করি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।

উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’

দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫২
পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত