Ajker Patrika

কোটা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে যেভাবে প্রাণ বাঁচালেন ঢাকার রিকশাচালকেরা

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ১৪: ০১
কোটা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে যেভাবে প্রাণ বাঁচালেন ঢাকার রিকশাচালকেরা

সেদিন ১৯ জুলাই, শুক্রবার। রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মৌচাকে সকাল থেকেই কোটা আন্দোলনের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রাস্তায় নেমে আসে হাজারো আন্দোলনকারী। যোগ দেয় সাধারণ মানুষও। আগের দিনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও নির্মম ঘটনাগুলো বিক্ষোভকারীদের উত্তেজনার পারদ আরও উসকে দেয়। আন্দোলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী প্রাণ হারায়। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর বাইরেও। 

শুক্রবার জুম্মার নামাজের তখনো কয়েক ঘণ্টা বাকি। চারদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকলেও হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আগুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া হয়ে ওঠে পুলিশ। আন্দোলনের একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের দমনে পুলিশ দিশেহারা হয়ে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। 

এ সময় একদল রিকশাচালক আটকে যান সংঘর্ষের ঠিক কেন্দ্রে। পুলিশ তাঁদের উদ্দেশ্য করে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করলে তাঁরা মালিবাগ মোড়ের দিকে যেতে থাকেন। এ সময় সবাই সমস্বরে বলতে থাকেন, ‘আমাদের কিছু হলে, আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেব।’ 

সেই রিকশাচালকদের একজন হলেন কুমিল্লার বাসিন্দা শাহিন। একটু আগে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর দৃশ্যের কথা বলতে গিয়ে বারবার শিউরে উঠছিলেন তিনি। বলছিলেন, যা ঘটেছে সেই স্মৃতি এখনো জীবন্ত। তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছিল আর ইট-পাটকেল ছুড়ে তারা (আন্দোলনকারীরা) পাল্টা জবাব দিচ্ছিল। আমি জীবন বাঁচাতে দ্রুত রিকশা চালিয়ে পালিয়ে আসি।’ 

তবে ঘটনাস্থল থেকে পালালেও শাহিনের মতো রিকশাচালকেরা সেদিন অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে নিজেদের নিয়োজিত করেছিলেন। কারণ এই আন্দোলন বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছিল সেদিন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রথমে এটি ছাত্র আন্দোলন থাকলেও আস্তে আস্তে তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যায়। সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের হতাশা থাকায় সহিংসতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ১৬-২০ জুলাই, মাত্র পাঁচ দিনে দেশজুড়ে ব্যাপক অরাজকতা হয়। বিক্ষোভ রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর দমন-পীড়নের ফলে অন্তত ১৯৭ জন নিহত হন। 

 ১৮ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রায় অর্ধশত বিক্ষোভকারীর মৃত্যুতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ফলে সরকারও কঠোর পদক্ষেপের দিকে পা বাড়ায়। ডেটা সেন্টার ও আইএসপি কেব্‌লগুলোকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ এনে সরকার দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। জারি করা হয় কারফিউ। অবশ্য ২৪ জুলাইয়ের পর কারফিউ শিথিল হতে শুরু করেছে। ১৯ জুলাইয়ের সংঘর্ষে অন্তত আরও ৫৬ জন নিহত হন। এত কিছুর পরও ঢাকার রিকশাচালকেরা ঘরে বসে থাকেননি, নেমে এসেছিলেন রাস্তায়। 

আনুমানিক ৪ থেকে ৬ লাখ রিকশা চলাচল করে ঢাকার রাস্তায়। আন্দোলনে ব্যবসা-বাণিজ্য এমনিতেই বন্ধ তার ওপর কারফিউ তাঁদের দৈনন্দিন উপার্জনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শাহিনের দৈনিক আয় কমে ১৫০ টাকায় নেমে আসে, যা স্বাভাবিক আয়ের (৮০০-১০০০) তুলনায় অনেক কম। প্রতিদিন রিকশার ভাড়া বাবদ ১২০ টাকা মালিককে দেওয়ার পর এক বেলা খাবারের টাকাও জুটছিল না তাঁদের। 
 
শাহিনের মতোই আরেক রিকশাচালক শাহাবুদ্দিন। তিনি বাবার মৃত্যুর পর মা ও ভাইবোনের পাশে দাঁড়ানোর দায়ে রিকশার প্যাডেল আপন করতে বাধ্য হয়েছেন। এই তরুণ রিকশাচালক বলেন, ‘আমরা যদি ক্ষুধায় মরে যাই তাহলে ভয় করে কী লাভ? সংঘর্ষের মধ্যে বের না হয়ে বাঁচার উপায় ছিল না। তাই সংঘর্ষের মধ্যেও আমরা সাহসী, কারণ আমরা ক্ষুধার্ত।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধার কারণে যদি মায়ের চোখে পানি দেখতে হয়, তবে বেঁচে থেকেই বা কী লাভ?’ 

তবে নিজের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি অন্যের জীবন বাঁচানোর তাড়নাও ছিল ঢাকার রিকশাচালকদের মধ্যে। ১৯ জুলাই অনেক রিকশাচালকই আন্দোলনে হতাহতদের চিকিৎসার জন্য ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে গিয়েছেন হাসপাতালে। নেননি কোনো ভাড়া। তাঁদেরই একজন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থেকে আসা স্বপন। সেদিন দক্ষিণ ঢাকার বনশ্রী এলাকায় গুলির আঘাতে রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে তিনি বহন করেন। 

সেদিনের স্মৃতিচারণা করে স্বপন বলেন, ‘আমি তাঁকে গোড়ান টেম্পো স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলাম, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রিকশা ধীরগতির হওয়ায় আমি তাঁর সঙ্গীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশা নিয়ে যেতে বলি। আমি এর জন্য কোনো ভাড়া নিইনি।’ 

মোহাম্মদপুরের রিকশাচালক কাশেম বলেন, ‘১৯ তারিখ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য আহত ব্যক্তিদের নিয়ে আশপাশের হাসপাতালে অন্তত পাঁচবার গিয়েছিলাম। আন্দোলনকারীরা লাঠি ও ইট ছুড়লেও পুলিশ গুলি চালায়, যার ফলে অসংখ্য মানুষ আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমি নিজেও নিয়েছিলাম।’ শাহাবুদ্দিনের মতো কাশেমও বলেন, সহিংসতায় জীবন হারানোর ঝুঁকি থাকলেও তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেননি। কারণ পুরো পরিবার তাঁর ওপর নির্ভরশীল। 

সোমবার অর্থাৎ ২২ জুলাই দুপুরেও ঢাকা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করায় শাহাবুদ্দিন মাত্র ৭০ টাকা আয় করতে সক্ষম হন। সেদিন বনশ্রীতে ঘটে যাওয়া তাঁর জীবনের এক ভয়াবহ অভিজ্ঞার কথা শোনালেন তিনি। সহকর্মী রিকশাচালকদের সহায়তায় জীবন ফিরে পাওয়ার সেই স্মৃতি মনে করে শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এক পাশ থেকে গুলি চালাচ্ছিল আর অন্য পাশ থেকে আন্দোলনকারীরা ইট ছুড়েছিল। আমি দুই পক্ষের মাঝখানে পড়ে যাই। আমি আমার রিকশা ছেড়ে পালাতে পারিনি। কারণ মালিককে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হতো। এমন সময় কয়েকজন রিকশাচালক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে নিরাপদে নিয়ে যান।’ 

কিন্তু ঘটনাপ্রবাহের ভয় ও ক্লান্তির কারণে অনেকেই আহত হয়েছেন। তাঁদেরই একজন জাহাঙ্গীর। তিনি উত্তাল এই সময়েও টানা তিন দিন রাস্তায় থেকে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রিকশা চালানো, কাঁদানে গ্যাসের প্রভাব ও সংঘর্ষ এড়িয়ে চলতে গিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়াসহ নানা কারণ তাঁকেও ক্লান্ত ও হতাশ করে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল আমার মুখে যেন আগুন জ্বলছিল। চোখ থেকে অনবরত পানি গড়িয়ে পড়ছিল।’ 

রিকশাচালক শাহিন বলেন, ‘এই অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। এটা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জীবন অচল হয়ে পড়েছে। আমরা শান্তি চাই।’ 

আল জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আসিফ মাহমুদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হামলা ও মব সহিংসতা: পুলিশের শীর্ষ পদগুলোয় রদবদল হতে পারে

  • প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা।
  • না ঠেকিয়ে পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগ উঠেছে।
  • সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পুলিশের শীর্ষ পদগুলোয় পরিবর্তনের প্রস্তাব।
  • পুলিশ সদর দপ্তরে নতুন দায়িত্বে ৬ ডিআইজি।
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ; ময়মনসিংহে দীপু হত্যাসহ সম্প্রতি কিছু ঘটনা ঠেকাতে ব্যর্থতায় পুলিশের সমালোচনা চলছে। কোনো কোনো ঘটনায় পুলিশের নির্লিপ্ততার অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনারদের পরিবর্তনসহ পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কিছু পদে রদবদল হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগেই শিগগির এই রদবদল হতে পারে বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

অবশ্য পুলিশ বলছে, দেশের বেশির ভাগ মানুষ আইন মানছে না। দেশের সংকটকালে মানুষ সহযোগিতা না করায় পুলিশ কাজ করতে পারছে না। আইন না মানা মানুষের সংখ্যা বেশি, পুলিশ সেখানে আইন প্রয়োগ করতে গেলে আরও সহিংসতার সৃষ্টি হয়।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গতকাল সোমবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইন মানার সংস্কৃতি তৈরি না হলে শুধু বলপ্রয়োগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে না। পুলিশের দিকে যারা তেড়ে আসছে, তারা কাদের প্রটেকশন পায়, সেটাও দেখতে হবে।

সূত্র জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যাওয়ার পর ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়। এর মধ্যে রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো এবং কিছু দূরে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে এবং কারওয়ান বাজারে বিক্ষোভের পর এই হামলা করা হলেও পুলিশ তা ঠেকাতে পারেনি। এ দুটি কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগ চললেও এসব ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ মব বা দাঙ্গা প্রতিরোধে যে ধরনের ব্যবস্থা নেয়, সেদিন তেমন কিছু অনুসরণ করেনি। কারওয়ান বাজারে মিছিল নিয়ে দুটি ভবনে হামলা চালালেও পুলিশ মিছিল ঠেকাতে কোনো ব্যারিকেড দেয়নি, লাঠিপেটা করেনি, কোনো কাঁদানে গ্যাসের শেল বা সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েনি।

একই অবস্থা দেখা গেছে ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবন ও তোপখানা রোডে উদীচীর কার্যালয়ে হামলার সময়েও।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ অ্যাকশনে গেলে গুলি হতো, দুই-চারজন মারা যেত। এরপর পুলিশের ওপর পাল্টা আক্রমণ হতো। এ কারণে সেদিন পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি।

সরকারের একটি সূত্র জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার আগে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভের সময় সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নির্দেশনা মাঠের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কাছে পৌঁছায়নি।

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

১৮ ডিসেম্বর রাতেই ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়ায় পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড নামের কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে উত্তেজনা শুরু হলেও পুলিশ তা ঠেকাতে পারেনি। র‍্যাব বলেছে, দীপুকে তাঁর কর্মস্থলের কর্মকর্তাই উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন।

এসব ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা শুরু হয়। সূত্র জানায়, এসব ঘটনার পর ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে পুলিশের কার্যক্রম ও ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। বৈঠকে ডিএমপি ও সিএমপির কমিশনারকে নির্বাচনের আগেই পরিবর্তনের প্রস্তাব ওঠে। পুলিশের শীর্ষ কমান্ডিং পদে আরও অভিজ্ঞ ও বাহিনীর কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের পদায়ন নিয়েও আলোচনা হয়।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এসব সহিংসতা সংঘবদ্ধভাবে ঘটানো হয়েছে। এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টুলসগুলো কাজ করেনি। যা হয়েছে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, এমন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে। তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মূল বাহিনী। যদি এ রকম পরিস্থিতি থাকে, তাহলে নির্বাচন শঙ্কায় পড়বে।

অবশ্য নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি গতকাল বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে ইসি, রাজনৈতিক দল ও ভোটাররা এক কেন্দ্রবিন্দুতে।

পুলিশ সদর দপ্তরে নতুন দায়িত্বে ৬ ডিআইজি

পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ডিআইজির ছয়টি পদে রদবদল হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত এবং সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গতকাল সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এই রদবদল করা হয়। তাঁদের মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরের লজিস্টিকস বিভাগের ডিআইজি খোন্দকার নজমুল হাসানকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে, তাপতুন নাসরীনকে ডিআইজি হেডকোয়ার্টার্সে, আশিক সাঈদকে ডিআইজি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টে, সারোয়ার মুর্শেদ শামীমকে লজিস্টিকসে, আতিকুর রহমানকে ফিন্যান্সে এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেভেলপমেন্টের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে: মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টা

বাসস, ঢাকা  
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, যা স্বৈরাচারী শাসনামলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’

আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়।

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকারী সার্জিও গোর সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। আলোচনার ফলে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

আলাপকালে মার্কিন বিশেষ দূত শহীদ ওসমান হাদির বৃহৎ জানাজার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে এবং তাদের পলাতক নেতা সহিংসতা উসকে দিচ্ছেন। তবে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আর প্রায় ৫০ দিন বাকি। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। এটি যেন স্মরণীয় হয়, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।’

ফোনালাপের সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভের মুখে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র বন্ধ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ২৪
আজ সোমবার দুপুরে হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে যান। ছবি: শিলিগুড়ি টাইমস
আজ সোমবার দুপুরে হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে যান। ছবি: শিলিগুড়ি টাইমস

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের সদস্যরা আজ সোমবার শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি ও কলকাতার কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্র বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘ডিইউডিজিটাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে কয়েক বছর ধরে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়ির বাঘা যতীন পার্কে জমায়েত হন ভিএইচপি, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের শ তিনেক সদস্য। এরপর তাঁরা বিক্ষোভ-মিছিল নিয়ে বাংলাদেশের ভিসা অফিস ঘেরাও করেন। বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ, দীপু দাসের হত্যার বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।

পরে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধিদল ভিসা অফিসে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং প্রতিবাদস্বরূপ ভিসা অফিস বন্ধ রাখতে বলে।

এ সময় প্রতিনিধিদলের এক সদস্য ডিইউডিজিটালের কর্মকর্তাকে ফোন করে বলেন, ‘আপনাকে একটাই অনুরোধ, এই অফিসের তালা খুলবেন না। আপনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিন, এই অফিসের তালা খুলবে না। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হবে, আপনি এখানে ব্যবসা করবেন, সেটা হবে না। বাংলাদেশের ভিসাসংক্রান্ত ব্যানার অথবা বোর্ড আজকের মধ্যে সরিয়ে নিন।’

প্রতিনিধিদলের ওই সদস্য পরে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তাঁরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে জানাবেন। বাংলাদেশে তাঁদের হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। এখান থেকে যেন কোনো ভারতীয়, কোনো হিন্দু বাংলাদেশে না যায়, ব্যবসা না করে, সেটা তাঁরা চান।

কলকাতা থেকে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা ভেবে ডিইউডিজিটাল আজ বেলা ৩টার আগেই ভিসা কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর পুনরায় ভিসা কেন্দ্র চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে শিলিগুড়িতে ওই ভিসা কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কলকাতা দপ্তরে কূটনৈতিকপত্র পাঠিয়েছে কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশন।

এদিকে আজ ভারতের দিল্লি ও আগরতলা মিশন থেকেও ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের সামনে এ-সংক্রান্ত নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎পুলিশ সদর দপ্তরে ৬ ডিআইজিকে রদবদল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৫
পুলিশ সদর দপ্তর। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশ সদর দপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

‎পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ ছয়টি ডিআইজি পদে রদবদল করা হয়েছে। বর্তমানে কর্মরত ও সদ্য যোগদান করা ছয়জন ডিআইজিকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়।‎

‎আজ সোমবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা এক অফিস আদেশে এ রদবদল করা হয়েছে।‎

‎ছয়জনের মধ্যে— পুলিশ সদরদপ্তরের লজিস্টিকস বিভাগের ডিআইজি খোন্দকার নজমুল হাসানকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে, তাপতুন নাসরীনকে ডিআইজি হেডকোয়ার্টার্সে, আশিক সাঈদকে ডিআইজি ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টে, সারোয়ার মুর্শেদ শামীমকে লজিস্টিকসে, আতিকুর রহমানকে ফিন্যান্সে এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেভেলপমেন্টের ডিআইজি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ফ্ল্যাটের ভেতর অন্তঃকোন্দলে এনসিপির মোতালেবকে গুলি, মাদক ও গুলির খোসা উদ্ধার: পুলিশ

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে

খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় তরুণী আটক

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত