রেজা করিম ও তানিম আহমেদ, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে বা যাবে, তা সহ্য করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। এই মধুর যন্ত্রণা তাই বারবার ফুটে উঠছে দলগুলোর নেতাদের কথায়।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগে নীতিগত সমর্থন রয়েছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। একথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে ভোটের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটি। কিন্তু সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণে নির্বাচন বিলম্বিত হবে, তাই স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কায় কৌশলগত কারণে এ নিয়ে গলা চড়াতেও পারছে না দলটি।
বিএনপির মতো অতটা আকুল-ব্যাকুল অবস্থা না হলেও জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে এই মধুর বিপাকে। তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দিতে চায়। আবার সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের কথাও বলে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে এরই মধ্যে ১০টি কমিশন করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকগুলো কমিশন কাজও শুরু করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে থাকা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
তাঁর বক্তব্য, শুধু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করবে।
বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঘুরেফিরে বিএনপির সুরেই কথা বলছে। তাদেরও চাওয়া দ্রুততম সময়ে নির্বাচন। কিন্তু কৌশলগত কারণে এ নিয়ে সরকারকে বড় ধরনের চাপ দিতে চাচ্ছে না তারা। যে কারণে নির্বাচনের দাবিতে আপাতত কোনো কর্মসূচি পালনের চিন্তা তারা করছে না।
বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানা গেছে। তাঁরা মনে করছেন, আন্দোলন-সংক্রান্ত উত্তেজনা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তৃতীয় কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিতে পারে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হোক এমন কিছু না করে ধৈর্য ধরে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্যেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার লালমনিরহাটে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহূর্তে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে, আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতাও করতে হবে।’
সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান একটু ভিন্ন। তারা নির্বাচন চাইলেও তাড়াহুড়োর সংস্কার চায় না।
সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। জামায়াত মনে করে, জাতির প্রয়োজনে যখন যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করতে হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এমনকি সব সংস্কার হতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিরাজমান সংকট নিরসনে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষেই মত দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। একইভাবে প্রশাসন ও পুলিশেও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
একই সঙ্গে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। এতে করে দলগুলো আশ্বস্ত হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগের চলমান আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখাও উঠে আসছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাও লক্ষ করা গেছে।
গত বছরের ১৩ জুলাই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। গত ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১টি সুপারিশ করে জামায়াতে ইসলামী। ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে দলটি। ১৯ নভেম্বর থেকে এ কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছ। এদিকে ৩১ দফা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে ৩১ দফা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি মতভিন্নতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তব্যেও।
ঘোষিত ৩১ দফার সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘পরিবেশ, পরিস্থিতি, দেশের প্রয়োজন এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৩১ দফাকে সংযোজন, বিয়োজন, পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনও করা যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে এই ৩১ দফাই একদিন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তথা সুখী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছে বা যাবে, তা সহ্য করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। এই মধুর যন্ত্রণা তাই বারবার ফুটে উঠছে দলগুলোর নেতাদের কথায়।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগে নীতিগত সমর্থন রয়েছে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির। একথা প্রকাশ্যে জানিয়েছে ভোটের জন্য মুখিয়ে থাকা দলটি। কিন্তু সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণে নির্বাচন বিলম্বিত হবে, তাই স্বল্পমেয়াদে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে তারা। যদিও হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কায় কৌশলগত কারণে এ নিয়ে গলা চড়াতেও পারছে না দলটি।
বিএনপির মতো অতটা আকুল-ব্যাকুল অবস্থা না হলেও জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে এই মধুর বিপাকে। তারা সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দিতে চায়। আবার সরকারকে চাপে রাখতে নির্বাচনের কথাও বলে যাচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে এরই মধ্যে ১০টি কমিশন করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অনেকগুলো কমিশন কাজও শুরু করেছে। সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে থাকা বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে অবিলম্বে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এরই মধ্যে এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
তাঁর বক্তব্য, শুধু নির্বাচনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করবে।
বিএনপির সমমনা দলগুলোও ঘুরেফিরে বিএনপির সুরেই কথা বলছে। তাদেরও চাওয়া দ্রুততম সময়ে নির্বাচন। কিন্তু কৌশলগত কারণে এ নিয়ে সরকারকে বড় ধরনের চাপ দিতে চাচ্ছে না তারা। যে কারণে নির্বাচনের দাবিতে আপাতত কোনো কর্মসূচি পালনের চিন্তা তারা করছে না।
বিএনপিসহ দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানা গেছে। তাঁরা মনে করছেন, আন্দোলন-সংক্রান্ত উত্তেজনা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তৃতীয় কোনো শক্তি ক্ষমতায় আসার সুযোগ নিতে পারে। এ অবস্থায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হোক এমন কিছু না করে ধৈর্য ধরে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্যেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত বুধবার লালমনিরহাটে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার এসেছে একটি সংকটময় মুহূর্তে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে সময় দিতে হবে, আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সরকারকে সহযোগিতাও করতে হবে।’
সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান একটু ভিন্ন। তারা নির্বাচন চাইলেও তাড়াহুড়োর সংস্কার চায় না।
সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগ প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। জামায়াত মনে করে, জাতির প্রয়োজনে যখন যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করতে হবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে। এমনকি সব সংস্কার হতে হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেশি গুরুত্বারোপ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে। বিরাজমান সংকট নিরসনে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণ না করে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের পক্ষেই মত দিয়েছেন তাঁরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। একইভাবে প্রশাসন ও পুলিশেও প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
একই সঙ্গে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার তাগিদ দিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, সরকারকে দলগুলোর কাছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা তাদের উদ্দেশ্য নয়। এতে করে দলগুলো আশ্বস্ত হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে সরকারের উদ্যোগের চলমান আলোচনায় বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখাও উঠে আসছে। এসব সংস্কার প্রস্তাব ও রূপরেখা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতাও লক্ষ করা গেছে।
গত বছরের ১৩ জুলাই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা করে বিএনপি। গত ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের ৪১টি সুপারিশ করে জামায়াতে ইসলামী। ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালার আয়োজন করেছে দলটি। ১৯ নভেম্বর থেকে এ কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছ। এদিকে ৩১ দফা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে ৩১ দফা নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি মতভিন্নতা লক্ষ করা যায় বিভিন্ন দলের নেতাদের বক্তব্যেও।
ঘোষিত ৩১ দফার সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্য বলেছেন, ‘পরিবেশ, পরিস্থিতি, দেশের প্রয়োজন এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৩১ দফাকে সংযোজন, বিয়োজন, পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনও করা যেতে পারে। সময়ের সঙ্গে এই ৩১ দফাই একদিন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তথা সুখী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে।’

এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
১ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি শোকবার্তায় বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বরকে হারাল।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
১ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি শোকবার্তায় বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বরকে হারাল।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি শোকবার্তায় বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বরকে হারাল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি শোকবার্তায় বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বরকে হারাল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি শোকবার্তায় বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বরকে হারাল।
প্রধান বিচারপতি হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি শোকবার্তায় বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বরকে হারাল।
প্রধান বিচারপতি হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার একগুচ্ছ সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত রাষ্ট্রে সংস্কার এখন সময়ের দাবি, সমাজের দাবি। রাজনৈতিক দলগুলোও তাই সংস্কারের এ দাবি ছুড়ে ফেলতে পারছে না। আবার সংস্কার করতে গিয়ে ভোট যে পিছিয়ে যাচ্ছ
১৬ নভেম্বর ২০২৪
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
১ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে