Ajker Patrika

প্রশ্নগুলো সহজ, উত্তরও জানা

কামরুল হাসান
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ০৫
প্রশ্নগুলো সহজ, উত্তরও জানা

‘বিচারের বাণী কাঁদে’, শুনতে একটু ক্লিশে লাগে না? এই সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হতেই পারে, এভাবে বলা কিছুটা গতানুগতিক। তবু এই শিরোনামে আমার একটি সিরিজ রিপোর্ট পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেই প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছিল বিচারবঞ্চিত মানুষের হাহাকার।

তার আগে একটু বলি, যেকোনো প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে আমি সব সময় সেই ঘটনাকে নিরাপদ দূরত্ব থেকে দেখার চেষ্টা করেছি। এটা অনেকটা দুটি বিদ্যুৎ সুপরিবাহী তার যতটা নিরাপদ দূরত্বে থাকে, ততটুকু। এতে সুবিধা আছে, ঘটনার সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে যে তা-ই হবে, তেমন কোনো কথা নেই। অনেক ঘটনা টেনে নিয়ে যেতে হয় অনেক দূর অবধি। আজ সে রকম একটা ঘটনা বলি।

২০০৫ সালের ২৪ জুন, শুক্রবার। সকালের দিকে তেমন কোনো কাজ ছিল না। বিকেলে একটু দেরি করে অফিসে যাওয়ার ইচ্ছে। কিন্তু জুমার নামাজ শেষ হতে না হতেই একের পর এক ফোন। শুনলাম, ঢাকা মহানগর যুবদল দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ছগির আহমেদ ছগির (৪২) খুন হয়েছেন। কিসের আরাম-বিরাম! বাইক নিয়ে দিলাম ছুট।

ঢাকা জজকোর্টের উল্টো দিকের গলি ধরে কয়েক পা গেলেই রঘুনাথ দাস লেনের সোনা মিয়া আল ফালাহ জামে মসজিদ। সেই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে এসেছিলেন সে সময়ের নামকরা সন্ত্রাসী ও যুবদল নেতা ছগির। মসজিদের অদূরে নাসির উদ্দিন সরকার লেনের গলির ভেতরে তাঁর পাঁচতলা বাড়ি। এদিন তাঁর মায়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। নামাজ পড়ে খাবার বিতরণের কথা বলে তিনি মসজিদে আসেন। সঙ্গে শিশুসন্তান তৌসিফ এবং তারই সমবয়সী গৃহকর্মী জালাল।

জালাল আমাকে বলেছিল, মসজিদ থেকে বের হয়ে ছগিরের ছেলে তৌসিফ ও সে একসঙ্গে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। তৌসিফ ছিল তার পেছনে। রায়সাহেব বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গলিতে তিন যুবক দাঁড়িয়ে। ছগিরকে দেখেই তারা এগিয়ে আসে। এরপর কোনো কথা না বলে সোজা গুলি করে। গুলির শব্দে দুজনেই দেখতে পায়, ছগির রাস্তায় পড়ে যাচ্ছেন। তারা দৌড়ে গিয়ে বাসায় খবর দেয়। ছুটে আসেন ছগিরের স্ত্রী নাসিমা আক্তার রুবী। এ ঘটনার পর সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়। তারা সন্ত্রাসীদের পালাতে দেখে ধাওয়া করে। সে সময় টহল পুলিশের হাবিলদার রফিক একজনকে জাপটে ধরেন। ছেলেটার নাম শাওন। পরে সে র‍্যাবের হাতে প্রাণ হারায়। তখন শোনা যায়, এই শাওন বিএনপির তৎকালীন এমপি প্রয়াত নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুর ছোট ভাই মনিরের ঘনিষ্ঠ। শাওনের মৃত্যু নিয়েও নানা আলোচনা হয়।

দুপুরের পর ছগিরের লাশ নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। সেখানে গিয়ে দেখি, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান, গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাস, সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালু, সংসদ সদস্য নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টুসহ শত শত নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন।

অপরাধ রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে নিহত ব্যক্তির বায়োগ্রাফিটা সব সময় খুব জরুরি। এতে পাঠক সেই ব্যক্তি সম্পর্কে একটি ধারণা করতে পারেন। খোঁজ করতে গিয়ে দেখি, ছগিরের পিতার নাম হাজি আফতাব উদ্দিন। তাঁরা সূত্রাপুরের নাসির উদ্দিন সরদার লেনের স্থায়ী বাসিন্দা। চার ভাই, এক বোনের মধ্যে ছগির দ্বিতীয়। তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা ছিল। ১০ বছর আগে তিনি বিয়ে করেন নাসিমা আক্তারকে। ছগিরের দুই সন্তান—তৌসিফ ও রামিশা। এদের একজনের বয়স পাঁচ বছর, আরেকজনের তিন।

ছগির নিহত হন বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে। সে সময় জগন্নাথ কলেজের ছাত্রদলের কমিটি এবং একটি ভবন দখল নিয়ে বিরোধ চলছিল। ছগিরের মত উপেক্ষা করে কমিটি করা হয়। এ নিয়ে সেদিন সকালে তিনি ঢাকার মেয়রের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সেই বৈঠক শেষ করে বাসায় ফিরে আসার পর খুন হন ছগির। ছগিরের বিরুদ্ধে সে সময় সার্জেন্ট ফরহাদ হত্যাসহ ১২টি মামলা চলছিল। পুরান ঢাকায় ছগিরের পরিচিতি ছিল ত্রাস হিসেবে।

২৫ জুন বেলা ১১টার দিকে ছগিরের লাশ নেওয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে তাঁর কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে মোড়ানো হয়। এ সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বিএনপির প্রায় সব মন্ত্রী ও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছগিরের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

ছগিরের মতো সন্ত্রাসীর মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর ফুল দেওয়া দেখে জনকণ্ঠে প্রকাশিত আমার সেই ‘বিচারের বাণী কাঁদে’ সিরিজের কথা মনে পড়ে যায়। সেই সিরিজের ১৯৯৯ সালের ৩১ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ছিল সার্জেন্ট ফরহাদ হত্যা নিয়ে। ফরহাদ খুনের মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ছগির আহমেদ। ফরহাদ ছিলেন কোতোয়ালি থানার এসআই। তখন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রদলে ছগির ও কাজলের দুটি গ্রুপ ছিল, যাদের মধ্যে প্রায়ই গোলাগুলি হতো। কাজলের বাসা ছিল কলেজের দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার তীরে, আর ছগিরের বাসা আদালত ভবনের কাছে। ১৯৯৪ সালের ১৫ মার্চের সকালে দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় সেখানে পুলিশ নিয়ে যান এসআই ফরহাদ। তিনি ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করেন ছগির।

এ ঘটনা নিয়ে কোতোয়ালির ওসি মুজিবুল হক ছগির, কাজলসহ ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তাঁদের মধ্যে ছগির ও কাজল ভারতে পালিয়ে যান। কিছুদিন পর ফিরে এসে জামিন নেন। জামিন পেয়ে আবার বিদেশে পালিয়ে যান কাজল। সেই থেকে তিনি বিদেশেই আছেন। ছগির মূল দলে মিশে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। অবশ্য বিএনপি ক্ষমতায় থাকতেই ডিবির এসি আখতারুজ্জামান রুনু এ মামলার অভিযোগপত্র দেন। যথারীতি জজ আদালতে মামলা শুরু হয়। মামলার ৩০ সাক্ষীর ২১ জনই ছিলেন পুলিশ সদস্য। বাকি ৯ জন জব্দ তালিকার। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের কেউই তাঁদের সহকর্মী খুনের বিচারের জন্য আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি। সাক্ষ্য না দেওয়ায় অতলে তলিয়ে যায় মামলাটি। 
আমার মনে আছে, এই মামলার ফলোআপ করার সময় ফরহাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার যোগাযোগ করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে রাজারবাগ স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তিনি রাজারবাগ কোয়ার্টারেই থাকতেন।

ছগির খুনের পরের দিন রাজারবাগ স্কুলে গেলাম শারমিনকে খুঁজতে। শুনি তাঁর চাকরি নেই। তাঁকে কোয়ার্টার থেকেও বের করে দেওয়া হয়। এক সহকর্মী আমাকে শারমিনের বাসার ঠিকানা দিলেন। ২০০৫ সালের ২৭ জুন সকালে গেলাম শারমিনের চামেলীবাগের বাসায়।

ফরহাদ যেদিন খুন হন, পরের দিন তাঁর ছোট ছেলে সিয়ামের জন্ম হয়েছিল। আমি যখন তাদের বাসায় গেলাম, তখন সিয়াম মতিঝিল আইডিয়ালে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। শারমিনের বড় ছেলে সানি পড়ত ঢাকা সিটি কলেজে। শারমিন বললেন, ‘ফরহাদ মারা যাওয়ার চার বছর পর নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি বিয়ে করি। বিয়ে করার অপরাধে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মতিউর রহমান আমাকে চাকরিচ্যুত করেন। চাকরির অব্যাহতিপত্রে লেখেন, দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হলো। চাকরির সঙ্গে বাসাও ছাড়তে হলো। এমনকি পুলিশ কল্যাণ তহবিলের টাকাও বন্ধ হয়ে গেল।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছগিরের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর ফুল দেওয়ার দৃশ্য সেদিন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হয়েছিল। শারমিনের পরিবারের সবাই তা দেখেছেন। বললেন, টিভির খবরে ছগিরের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর ফুল দেওয়ার দৃশ্য দেখেছে সানি। এরপর সারা দিন কারও সঙ্গে কথা বলেনি, কিছু মুখেও দেয়নি। বাবার খুনিকে সরকারের বড় বড় নেতার সম্মান দেখানোর দৃশ্য কোনো সন্তান কি মেনে নিতে পারে ভাই? যে সন্ত্রাসী আমার জীবন তছনছ করেছে, দুই সন্তানসহ আমাকে পথে বসিয়েছে, সে কী করে এত মর্যাদা পায়! তার জন্য দেশের মন্ত্রীদের এত মায়া কেন?’

সানি এতক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে কথা শুনছিল। হঠাৎ বলে উঠল, সন্ত্রাসীর হাতে বাবার মৃত্যুর কথা শুনে আমার মা খুব কেঁদেছিলেন, কাল আবার কাঁদলেন তাঁর স্বামীর খুনির মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর ফুল দেওয়ার দৃশ্য দেখে। শুধু মা নন, আমরাও কেঁদেছি। ছেলের কথা শুনে আমি শারমিনের দিকে তাকাই, তিনিও কাঁদছেন। মায়ের কান্না দেখে পাশে থাকা ছোট ছেলেটাও কেঁদে ওঠে।

এ মুহূর্তে শারমিন যেন আমার স্বজন হয়ে যান। মা আর সন্তানদের ভেজা চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি, আমারও গলা ধরে আসে। কিছুই বলতে পারি না। যে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রের, রাষ্ট্রের কর্তাদের, তা আমার মতো নিতান্ত ছাপোষা সংবাদকর্মী দেবে কীভাবে? 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সৌদি আরবে অপহরণ, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি দেশে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।

গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ২৫
ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

অরাজকতা প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক অরাজকতা প্রতিরোধের সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশ যখন অরাজকতা প্রতিহত করার চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। আমার অফিসারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না; আমরা সেবা দিতে চাই। আপনারা যেটি করতে চাচ্ছিলেন, সেটি করলে সমাজে, ঢাকায় এবং পুরো দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।’

কমিশনার জানান, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এখন যদি একই ধরনের কার্যকলাপ দেখা যায়, তাহলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে। এ জন্যই পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন আচরণ কোনো শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।

পল্লবী থানার সামনে ককটেল বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ অফিসারকে যেভাবে ককটেল মেরে আহত করা হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এতে সদস্যদের মনোবল নষ্ট হয় এবং এর ক্ষতি সমাজকেই ভোগ করতে হয়। যদি পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, তবে ৫ আগস্টের পর যেভাবে ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি হাতে নিয়ে মহল্লা পাহারা দিয়েছেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হতে পারে।’

যারা ককটেল ছোড়া বা এ ধরনের দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন—‘এই কাজটি করবেন না।’

গুলির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনা নয়, এটি দেশের আইন। আইন পুলিশ বানায় না, পার্লামেন্ট বানায়। আইন যা বলেছে, আমরা শুধু সেটাই অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি।’

ডিএমপি কমিশনার জানান, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ই-মেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বলিংসহ নানা অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে।

নারী ও কিশোরদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানির অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সহায়তা নিশ্চিত করাই তাদের অন্যতম অঙ্গীকার।

সাইবার নিরাপত্তা শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সমাজের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ গড়ে তুলতে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট: ৬০০ কোটি টাকা হারালেন নওগাঁর ৮০০ জন!

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৪
বুধবার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনু। ছবি: সিআইডি
বুধবার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনু। ছবি: সিআইডি

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’— প্রচলিত প্রবাদ যে হুবহু বাস্তবে ঘটতে পারে, তার প্রমাণ মিলল উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয়। এই জেলার ৮০০ জনের বেশি মানুষকে অতি মুনাফার ফাঁদে ফেলে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অন্যতম হোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ—সিআইডি। গতকাল বুধবার সকালে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিআইডির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার মো. নাজিম উদ্দিন তনুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার জগৎসিংহপুরে। প্রায় এক বছর আগে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নওগাঁ সদর থানায় নাজিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে।

মামলার তদন্তে জানা যায়, প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা নেয় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও। এনজিওটির কার্যালয় নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায়। পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু।

প্রথম দিকে পরিচালকদের মনোনীত কিছু গ্রাহককে এই হারে লভ্যাংশ দেয় বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকেরা সুকৌশলে প্রচার করা শুরু করেন। তাঁদের এই ফাঁদে পড়ে বহু সাধারণ মানুষ বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে গ্রাহক হিসেবে বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মামলার বাদী নিজেই ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা সে সময় থেকে তাঁদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক তনু।

কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে আও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে গিয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রাহকদের অর্থ দেওয়া হবে না মর্মে জানিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার পর বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা (মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১২-১১-২০২৪, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০) করেন। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল।

তবে সিআইডি জানায়, এ পর্যন্ত আট শতাধিক ভুক্তভোগী ৬০০ কোটির বেশি টাকা বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে নতুন ত্রাস ‘সন্ত্রাসী রনি’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৪
সন্ত্রাসী মামুন হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন সন্ত্রাসী রনি। ছবি: সংগৃহীত
সন্ত্রাসী মামুন হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন সন্ত্রাসী রনি। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।

ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।

ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।

ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।

পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঁচজন রিমান্ডে

মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত