শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য এবং এসব মামলার অভিযোগপত্র যথাসময়ে দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে গত সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ডিএমপির ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শকদের সতর্কবার্তা দেন। সর্বশেষ গত রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভাতেও ঝটিকা মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ইতিমধ্যে শেরেবাংলা নগর থানার দুই পরিদর্শক, মোহাম্মদপুরে সহকারী কমিশনারসহ (এসি) তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে সেদিন ভারতে চলে যান। গ্রেপ্তার হন সাবেক অনেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী। অনেকে দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে আছেন। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী হঠাৎ জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিল করছেন। পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারও করছে। তবে সম্প্রতি এই মিছিলের সংখ্যা বেড়েছে।
ডিএমপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০টি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। এসব মিছিল থেকে ১৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির ৩২১ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মিছিলের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে।
পুলিশ বলছে, মিছিলের অভিযোগে গ্রেপ্তার অনেকে সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁরা আবার মিছিল করছেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার ঝটিকা মিছিলের সময় গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে দুজন কিছুদিন আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, ঝটিকা মিছিলকারীরা যেন কোনোভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারেন, সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তি দেওয়া হবে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সর্বশেষ সভায়ও বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির মিছিল বন্ধ করতে চায় সরকার। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আইনের মধ্যে দীর্ঘ সময় কারাগারে রাখতে চায়।
ঝটিকা মিছিল নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ডিবি পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে, যাতে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা যায়; যাতে তাঁরা জামিনে বের হয়ে আবার মিছিল করার সুযোগ না পান।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ঝটিকা মিছিল বাড়ায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার ও গ্রেপ্তারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজধানীতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পরে জামিন পেয়েছেন। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলছে, মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে আসাদের সংখ্যাই ৭০ শতাংশ। দিনে দিনে তা বাড়ছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, কাকরাইল, মতিঝিল, ধানমন্ডি ও উত্তরায় ঝটিকা মিছিল করেছে।
রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারের পর মামলার মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রোববার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় পুলিশ ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীও রয়েছেন। চট্টগ্রামে একটি মিছিল থেকে কয়েক দফায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি কমিশনারের বার্তা অনুযায়ী, রাজধানীর যে থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল হবে, সেই থানার ওসি ও পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। পরিদর্শকদের থানা থেকে প্রত্যাহারও করা হবে। পুলিশের সূত্র বলেছে, একই বার্তা দেওয়া হয়েছে সারা দেশের থানায়। গত শুক্রবার ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য মোহাম্মদপুরের এক এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে শেরেবাংলা নগর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় দুই পরিদর্শককে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুর হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠ নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতার সুযোগে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য এবং এসব মামলার অভিযোগপত্র যথাসময়ে দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে গত সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ডিএমপির ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শকদের সতর্কবার্তা দেন। সর্বশেষ গত রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভাতেও ঝটিকা মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ইতিমধ্যে শেরেবাংলা নগর থানার দুই পরিদর্শক, মোহাম্মদপুরে সহকারী কমিশনারসহ (এসি) তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে সেদিন ভারতে চলে যান। গ্রেপ্তার হন সাবেক অনেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী। অনেকে দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে আছেন। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী হঠাৎ জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিল করছেন। পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারও করছে। তবে সম্প্রতি এই মিছিলের সংখ্যা বেড়েছে।
ডিএমপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০টি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। এসব মিছিল থেকে ১৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির ৩২১ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মিছিলের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে।
পুলিশ বলছে, মিছিলের অভিযোগে গ্রেপ্তার অনেকে সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁরা আবার মিছিল করছেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার ঝটিকা মিছিলের সময় গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে দুজন কিছুদিন আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, ঝটিকা মিছিলকারীরা যেন কোনোভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারেন, সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তি দেওয়া হবে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সর্বশেষ সভায়ও বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির মিছিল বন্ধ করতে চায় সরকার। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আইনের মধ্যে দীর্ঘ সময় কারাগারে রাখতে চায়।
ঝটিকা মিছিল নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ডিবি পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে, যাতে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা যায়; যাতে তাঁরা জামিনে বের হয়ে আবার মিছিল করার সুযোগ না পান।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ঝটিকা মিছিল বাড়ায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার ও গ্রেপ্তারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজধানীতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পরে জামিন পেয়েছেন। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলছে, মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে আসাদের সংখ্যাই ৭০ শতাংশ। দিনে দিনে তা বাড়ছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, কাকরাইল, মতিঝিল, ধানমন্ডি ও উত্তরায় ঝটিকা মিছিল করেছে।
রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারের পর মামলার মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রোববার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় পুলিশ ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীও রয়েছেন। চট্টগ্রামে একটি মিছিল থেকে কয়েক দফায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি কমিশনারের বার্তা অনুযায়ী, রাজধানীর যে থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল হবে, সেই থানার ওসি ও পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। পরিদর্শকদের থানা থেকে প্রত্যাহারও করা হবে। পুলিশের সূত্র বলেছে, একই বার্তা দেওয়া হয়েছে সারা দেশের থানায়। গত শুক্রবার ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য মোহাম্মদপুরের এক এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে শেরেবাংলা নগর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় দুই পরিদর্শককে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুর হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠ নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতার সুযোগে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য এবং এসব মামলার অভিযোগপত্র যথাসময়ে দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে গত সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ডিএমপির ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শকদের সতর্কবার্তা দেন। সর্বশেষ গত রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভাতেও ঝটিকা মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ইতিমধ্যে শেরেবাংলা নগর থানার দুই পরিদর্শক, মোহাম্মদপুরে সহকারী কমিশনারসহ (এসি) তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে সেদিন ভারতে চলে যান। গ্রেপ্তার হন সাবেক অনেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী। অনেকে দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে আছেন। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী হঠাৎ জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিল করছেন। পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারও করছে। তবে সম্প্রতি এই মিছিলের সংখ্যা বেড়েছে।
ডিএমপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০টি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। এসব মিছিল থেকে ১৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির ৩২১ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মিছিলের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে।
পুলিশ বলছে, মিছিলের অভিযোগে গ্রেপ্তার অনেকে সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁরা আবার মিছিল করছেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার ঝটিকা মিছিলের সময় গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে দুজন কিছুদিন আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, ঝটিকা মিছিলকারীরা যেন কোনোভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারেন, সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তি দেওয়া হবে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সর্বশেষ সভায়ও বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির মিছিল বন্ধ করতে চায় সরকার। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আইনের মধ্যে দীর্ঘ সময় কারাগারে রাখতে চায়।
ঝটিকা মিছিল নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ডিবি পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে, যাতে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা যায়; যাতে তাঁরা জামিনে বের হয়ে আবার মিছিল করার সুযোগ না পান।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ঝটিকা মিছিল বাড়ায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার ও গ্রেপ্তারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজধানীতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পরে জামিন পেয়েছেন। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলছে, মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে আসাদের সংখ্যাই ৭০ শতাংশ। দিনে দিনে তা বাড়ছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, কাকরাইল, মতিঝিল, ধানমন্ডি ও উত্তরায় ঝটিকা মিছিল করেছে।
রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারের পর মামলার মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রোববার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় পুলিশ ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীও রয়েছেন। চট্টগ্রামে একটি মিছিল থেকে কয়েক দফায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি কমিশনারের বার্তা অনুযায়ী, রাজধানীর যে থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল হবে, সেই থানার ওসি ও পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। পরিদর্শকদের থানা থেকে প্রত্যাহারও করা হবে। পুলিশের সূত্র বলেছে, একই বার্তা দেওয়া হয়েছে সারা দেশের থানায়। গত শুক্রবার ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য মোহাম্মদপুরের এক এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে শেরেবাংলা নগর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় দুই পরিদর্শককে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুর হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠ নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতার সুযোগে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য এবং এসব মামলার অভিযোগপত্র যথাসময়ে দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে গত সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই বৈঠকের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ডিএমপির ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শকদের সতর্কবার্তা দেন। সর্বশেষ গত রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভাতেও ঝটিকা মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য ইতিমধ্যে শেরেবাংলা নগর থানার দুই পরিদর্শক, মোহাম্মদপুরে সহকারী কমিশনারসহ (এসি) তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে সেদিন ভারতে চলে যান। গ্রেপ্তার হন সাবেক অনেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মী। অনেকে দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে আছেন। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী হঠাৎ জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিল করছেন। পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারও করছে। তবে সম্প্রতি এই মিছিলের সংখ্যা বেড়েছে।
ডিএমপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০টি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। এসব মিছিল থেকে ১৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত দুই মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলটির ৩২১ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মিছিলের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে।
পুলিশ বলছে, মিছিলের অভিযোগে গ্রেপ্তার অনেকে সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়েছেন। জামিনে মুক্তি পেয়ে তাঁরা আবার মিছিল করছেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার ঝটিকা মিছিলের সময় গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে দুজন কিছুদিন আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, ঝটিকা মিছিলকারীরা যেন কোনোভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারেন, সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তি দেওয়া হবে। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সর্বশেষ সভায়ও বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলটির মিছিল বন্ধ করতে চায় সরকার। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আইনের মধ্যে দীর্ঘ সময় কারাগারে রাখতে চায়।
ঝটিকা মিছিল নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ডিবি পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযোগপত্র দেওয়া হবে, যাতে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা যায়; যাতে তাঁরা জামিনে বের হয়ে আবার মিছিল করার সুযোগ না পান।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ঝটিকা মিছিল বাড়ায় গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার ও গ্রেপ্তারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজধানীতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পরে জামিন পেয়েছেন। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলছে, মিছিলে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে আসাদের সংখ্যাই ৭০ শতাংশ। দিনে দিনে তা বাড়ছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, কাকরাইল, মতিঝিল, ধানমন্ডি ও উত্তরায় ঝটিকা মিছিল করেছে।
রোববার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারের পর মামলার মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণে রোববার কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় পুলিশ ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীও রয়েছেন। চট্টগ্রামে একটি মিছিল থেকে কয়েক দফায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি কমিশনারের বার্তা অনুযায়ী, রাজধানীর যে থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল হবে, সেই থানার ওসি ও পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। পরিদর্শকদের থানা থেকে প্রত্যাহারও করা হবে। পুলিশের সূত্র বলেছে, একই বার্তা দেওয়া হয়েছে সারা দেশের থানায়। গত শুক্রবার ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য মোহাম্মদপুরের এক এসিসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে শেরেবাংলা নগর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় দুই পরিদর্শককে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুর হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঠ নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধতার সুযোগে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’
এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব মিছিলের ঘটনায় করা মামলার অভিযোগপত্র ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে; যাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা দ্রুত জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সংগঠিত হয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করতে না পারেন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া
১৪ মিনিট আগে
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩ ঘণ্টা আগে