Ajker Patrika

বাঘ দেখবেন যেসব জঙ্গলে

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৩, ১৬: ৫১
বাঘ দেখবেন যেসব জঙ্গলে

চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো, এই জঙ্গলগুলোর বেশির ভাগই ভারতে। অবশ্য পৃথিবীর মোট বুনো বাঘের একটি বড় অংশেরই বাস দেশটিতে। 

রন্থাম্বর জাতীয় উদ্যান, ভারত
৩ লাখ ৩০ হাজার একরের রন্থাম্বর ন্যাশনাল পার্ক উত্তর ভারতের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যানগুলোর একটি। ২০২১ সালের হিসাবে অরণ্যটিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ৮১টি। জায়গাটি একসময় ছিল জয়পুরের মহারাজাদের প্রিয় শিকারের জায়গা। আশ্চর্যজনক হলেও এর সীমানার ভেতরেই আছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির, মসজিদ এমনকি ১০ শতকের একটি দুর্গও।

জঙ্গলটিতে গাড়িতে চাপিয়ে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়। সাধারণত ছয় আসনের জিপ কিংবা ২০ আসনের এক গাড়িতে। অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত তিন ঘণ্টার এই ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়। মোটামুটি ৯০ দিন আগে বুকিং দিয়ে রাখলে আশা করা যায় ভ্রমণের সুযোগ পেতে কোনো ঝামেলা হবে না।

এই জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে বাঘের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ ছাড়া প্রাচীন সব ধ্বংসাবশেষ তো দেখবেনই। ভাগ্য ভালো থাকলে চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক, কুমির, হায়েনার মতো প্রাণীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে।

এখানে ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে সবচেয়ে চমৎকার আবহাওয়া পাবেন। তবে এপ্রিল কিংবা মের উষ্ণ দিনগুলোতে বাঘরা জলের উৎসগুলোতে যেতে প্রলুব্ধ হয় বেশি। কাজেই ওই সময় আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখার ভালো সুযোগ আছে। 

জিম করবেট জাতীয় উদ্যান
১৯৩৬ সালে হেইলি ন্যাশনাল পার্ক নামে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে বিখ্যাত শিকারি ও প্রকৃতিবিদ জিম করবেটের নামে নামকরণ হয়। ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যান এটি। ২০২০ সালের হিসাবে এখানকার শাল, জলাভূমির জঙ্গল ও ঘাসবহুল অঞ্চলে ২৩১টি বাঘের বাস। এটি ভারতের সেই অল্প কয়েকটি টাইগার রিজার্ভের একটি, যেখানে রাতে থাকার অনুমতি আছে আপনার। এতে ভয়ংকর সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখার সুযোগ বেড়েছে।

পাঁচটি আলাদা জায়গায় জিপ ও মিনি বাসে করে সাফারির সুযোগ আছে। আছে হাতির পিঠে চড়ে বন ভ্রমণের সুযোগও। ভারতের বন বিভাগ এই সাফারি বা ভ্রমণের আয়োজন করে। মোটামুটি পাঁচটি এলাকায়ই বাঘ দেখার সম্ভাবনা একই ধরনের। সকালে ও সন্ধ্যায় ট্যুরের আয়োজন করা হয়।

জঙ্গলটিতে ভ্রমণের সময় চোখ-কান খোলা রাখুন। বিশেষ করে গ্রীষ্মে বুনো হাতির দলের দেখা পেয়ে যেতে পারেন। চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক কিংবা বিভিন্ন প্রজাতির হরিণদের দেখাও মিলতে পারে রাতে থাকতে পারেন ঢিকালা ফরেস্ট লজে। 

এপ্রিল থেকে জুনে বাঘ দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গ্রীষ্মের মাস গুলাতে ঝোপ-জঙ্গলের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে খোলামেলা জায়গায় অবস্থিত জলাশয়গুলোতে যায় পানি খেতে কিংবা শরীরটাকে একটু শীতল করতে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই এদের দেখার ভালো সুযোগ থাকে।

জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে এলিফ্যান্ট সাফারিসুন্দরবন, বাংলাদেশ ও ভারত
বাংলাদেশ ও ভারতে অবস্থিত সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য। বাঘের জন্য বিখ্যাত এ বনটিতে বাঘ দেখা অবশ্য খুব সহজ নয়। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা নদী-খাল আর ছোট ছোট দ্বীপে ভরা অরণ্যটির বাংলাদেশ অংশকে বাঘ দেখার জন্য বেশি উপযোগী বলেছে লোনলি প্লেনেট।

২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাস করা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ১১৪। 

খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা কিংবা সাতক্ষীরা থেকে লঞ্চে করে ভ্রমণ করে আসতে পারবেন সুন্দরবন। লঞ্চ থেকেই ছোট ছোট নৌকায় চেপে ঘুরতে পারবেন জঙ্গলের অন্দি-সন্ধিতে। বনপ্রহরীদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলের ভেতরেও হেঁটে বেড়াতে পারবেন। তবে শ্বাসমূলের কারণে এই বনে হাঁটাটা একটু কষ্টকর। 

বনে বাঘ ছাড়াও দেখা পেতে পারেন চিত্রা ও মায়া হরিণ, বুনো শূকরদের। 

ভাগ্য ভালো থাকলে বছরের যেকোনো সময়ই বনটিতে বাঘের দেখা পেতে পারেন। তবে কম পর্যটক যখন থাকে তখন অর্থাৎ বর্ষাকাল বাঘ দেখার জন্য ভালো সময় হতে পারে। তখন এমনকি দিনের বেলাও বাঘ খোলামেলা জায়গায় চলে আসে। অপর দিকে পর্যটক বেশি থাকলে তাদের বিচরণটা হয় মূলত রাতেই।

রয়েল মানস জাতীয় উদ্যান, ভুটান
উত্তর হিমালয়ে অবস্থিত জঙ্গলটিতে ভুটানের প্রথম জাতীয় উদ্যান। নানা ধরনের গাছপালা ও বন্য প্রাণীর জন্য এটি বিখ্যাত। অরণ্যটি ইউনেসকো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে বাস গন্ডার, বুনো হাতি, বুনো মহিষ এবং অবশ্যই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো প্রাণীদের। পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত অরণ্যটিতে বাঘের ঘনবসতির দিক থেকে পৃথিবীর বিখ্যাত জঙ্গলগুলোর একটি। ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এখানে বাঘের সংখ্যা।

মজার ঘটনা, এই জঙ্গলটিকে ঘিরে আছে ভারত ও ভুটানের বেশ কিছু বিখ্যাত অরণ্য। এদের মধ্যে আছে মানস টাইগার রিজার্ভ, ফিপসু বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, খালিং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, থ্রামশিংলা জাতীয় উদ্যান প্রভৃতি। আর এই সবগুলো জঙ্গল মিলিয়ে বড় এলাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে বাঘেরা।

এখানে ভারতের জঙ্গলগুলোর তুলনায় বাঘ দেখানোর সাফারির পরিমাণ কম। আবার পাহাড়ি বনটিতে বাঘ দেখার সম্ভাবনাও একটু কম। তবে এখানকার প্রকৃতি, বন্য প্রাণী আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মিলিয়ে ভ্রমণের জন্য অসাধারণ এক জায়গা।

অভয়ারণ্যটিতে অসাধারণ কিছু প্রাণীর বাস। এগুলোর মধ্যে বাঘ ছাড়াও আছে মেঘলা চিতা, বামন শূকর, এক শিংয়ের গন্ডার, বুনো হাতি, বুনো মোষ প্রভৃতি।

রয়েল মানসের সেরা আবহাওয়া থাকে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে গ্রীষ্মে বাঘ দেখার সম্ভাবনা থাকে বেশি। বর্ষার সময়, মে থেকে সেপ্টেম্বর যখন কাছের ভারতের মানস জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকে তখন এই বনে ঘুরতে গেলে বৃষ্টি থেকে বাঁচার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখবেন।

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক, নেপাল
নেপাল-ভারত সীমান্তে অবস্থান নেপালের চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানের। একশৃঙ্গ গন্ডার, বাঘ ও ঘড়িয়ালের জন্য বিখ্যাত জঙ্গলটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। এই অরণ্যে ৫০ জাতের বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। ২০১৮ সালের হিসাবে চিতওয়ানের জঙ্গলে বাস করা বাঘের সংখ্যা ৯৩টি। এখানে ঘুরে বেড়ানোর সময় অনায়াসে গন্ডারদের দেখা মিললেও বাঘের দেখা পাওয়া সহজ নয়। 

জঙ্গলটিতে গাড়িতে চড়ে ভ্রমণের যেমন সুযোগ আছে, তেমনি আছে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা। এখানে আরও দেখা মেলে বুনো হাতি, চিতা বাঘ, ডোরাকাটা হায়েনা, অ্যান্টিলোপ প্রভৃতির।

চিতওয়ান জাতীয় উদ্যানের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো থাকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। তবে এপ্রিল-মে মাসে বাঘ এবং গন্ডার দেখার সম্ভাবনা থাকে বেশি।

থাইল্যান্ডের হোয়াই খা খায়েনং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যে বাঘ ছাড়াও আছে নানা বন্য প্রাণী। এই বান্টেংগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার থেকেতাবোদা জাতীয় উদ্যান, ভারত
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবস্থিত তাবোদা জাতীয় উদ্যানে অন্তত ৮০টি বাঘের উপস্থিতির পরও তুলনামূলকভাবে পর্যটকদের পা পড়ে কম। এর আশপাশের এলাকাগুলোতেও আরও শ দুয়েক বাঘ আছে। তাই বাঘ দেখার সুযোগও জঙ্গলটিতে বেশ বেশি থাকে।

পার্কটির তিনটি এলাকায় শীত ও গ্রীষ্মে জিপ সাফারির ব্যবস্থা থাকে। জুলাই-আগস্ট ছাড়া বাকি ১০ মাসই জঙ্গলটিতে ঘুরতে পারবেন। সাধারত সকালে ও সন্ধ্যায় সাফারির ব্যবস্থা থাকে।

চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক, কুমির, অজগরের জন্যও বিখ্যাত বনটি। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এখানে বাঘ দেখার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ সময় জঙ্গলটিতে গেলে প্রচণ্ড গরমের বিষয়টি মাথায় রেখেই যেতে হবে।

বারদিয়া জাতীয় উদ্যান, নেপাল
উত্তর-পশ্চিম নেপালের দুর্গম এলাকায় জঙ্গলটির অবস্থান। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের জঙ্গলগুলোয় বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। পাঁচটি জাতীয় উদ্যানে ২৩৫টির বেশি বাঘের বিচরণ। এর মধ্যে বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে বসবাস ৮০টির মতো বাঘের। 

গাড়ির পাশাপাশি গাইড নিয়ে হেঁটেও জঙ্গলটি দেখতে পারেন। গাইডের হাতে আত্মরক্ষার জন্য থাকা কেবল একটি বাঁশের লাঠি রোমাঞ্চ আরও বাড়াবে। এ ছাড়া কপাল ভালো থাকলে দেখা পেতে পারেন বুনো হাতি, একশৃঙ্গ গন্ডার কিংবা কুমিরের। 

গোটা বছরজুড়েই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে জঙ্গলটি। তবে স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মে বাঘ আর গন্ডার দেখার সম্ভাবনা বেশি। তখন বাঘদের প্রায়ই দেখা যায় গিরওয়া নদীতে।

হোয়াই খা খায়েনং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সমাবেশ ঘটেছে যেসব অরণ্যে তার একটি হোয়াই খা খায়েনং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য। ২ হাজার ৭৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের অরণ্যটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। ২০২১ সালের হিসাবে জঙ্গলটিতে বাস ৮৯টি বাঘের। এক দশক আগেও সংখ্যাটি ছিল ৪২। এই বনের বাঘগুলো কিন্তু বেঙ্গল টাইগার নয় বরং ইন্দো চাইনিজ বাঘ।

বনে দেখা মেলে চিতাবাঘ, মেঘলা চিতা, সোনালি চিতা, মালায়ান তাপির, বুনো হাতি, বান্টেং, বুনো মোষসহ আরও নানা ধরনের প্রাণীর। 

তবে বনটিকে সংরক্ষণের জন্য বেশ কঠোর নিয়ম-নীতি থাকায় সাধারণত পর্যটকেরা তুলনামূলক কম যান। তবে বিশেষ করে স্তন্যপায়ী বন্য প্রাণী নিয়ে যাদের আগ্রহ তাঁদের অনেকেই হাজির হোন সেখানে। বাঘ দেখাটাও বেশ সৌভাগ্যের ব্যাপার এখানে।

কানহা জাতীয় উদ্যান, ভারত
ভারতের মধ্যপ্রদেশের অবস্থান কানহা জাতীয় উদ্যানের। এখানকার চারটি এলাকা পরিচিত মুক্কি, কানহা, কিসলি ও সারহি নামে। মুক্কি আর কানহা বন্য প্রাণী দেখার জন্য আদর্শ। তবে গোটা জঙ্গলের পরিবেশই অসাধারণ। এই অরণ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ১০৮। 

বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান, ভারত
পার্কটির বেশির ভাগ অংশই পাথুরে। তবে পাথুরে এই এলাকায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রাণীগুলোর একটি বাঘের বাস। বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে বেশি ভেতরে ঢুকতে হবে না। তবে বাঘ দেখাটা ভাগ্যের ব্যাপার। এ জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা ১২৪। 

সূত্র: লোনলি প্লেনেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, থাই ন্যাশনাল পার্কস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ির পাইপলাইন মেরামতের টাকা বাঁচাতে চান? তাহলে দেখে নিন

ফিচার ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির সঙ্গে ড্রেনে ফেলেন, সেগুলো সহজে পাইপ বন্ধ করে দিতে পারে আপনার অজান্তে।

বাড়তি রান্নার তেল

বড় ভুল হলো ব্যবহার শেষে গরম অবস্থায় অতিরিক্ত তেল সিংকে ঢেলে দেওয়া। গরম অবস্থায় তরল থাকলেও পাইপের ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে তেল দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে এই স্তর মোটা হয় এবং এর সঙ্গে অন্য খাবারের কণা আটকে পাইপ পুরোপুরি জ্যাম হয়ে যায়। ব্যবহার শেষে তেল একটি বোতলে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তা বোতলসহ ময়লার ঝুরিতে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।

কফির গুঁড়া

অনেকেই ভাবেন কফির গুঁড়া এত সূক্ষ্ম যে সিংকে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পানি লাগলে এটি দলা পাকিয়ে ঘন পুরু স্তর তৈরি করে, যা পাইপের বাঁক বা জোড়ায় গিয়ে আটকে যায়। ধীরে ধীরে এই স্তর শক্ত হয়ে ব্লক সৃষ্টি করে। কফির গুঁড়া ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো অথবা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

রাসায়নিক ড্রেন ক্লিনার

শোনা যায়, ব্লক খুলতে এগুলো খুব কার্যকর। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো পাইপের শত্রুও বটে। বেশির ভাগ ক্লিনারে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ব্লক খুললেও প্লাস্টিক বা ধাতব পাইপের আবরণের ক্ষতি করে। দীর্ঘ মেয়াদে লিক বা পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরিবেশের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। প্রয়োজন হলে পাইপের ব্লক খুলতে বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মতো প্রাকৃতিক মিশ্রণ নিরাপদ।

বিড়ালের লিটার

প্যাকেটে ‘ফ্লাশেবল’ লেখা থাকলেও এগুলো কখনোই টয়লেটে ফেলা উচিত নয়। বিড়ালের লিটার সাধারণত ক্লে, সিলিকা বা জেল জাতীয় উপাদানে তৈরি, যা পানি পেলেই ফুলে ওঠে এবং শক্ত দলা তৈরি করে। পাইপে ঢোকার পর এগুলো দ্রুত ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী পানির উৎসও দূষিত করতে পারে।

বাড়তি ওষুধ

পুরোনো বা বাড়তি ওষুধ টয়লেটে ফেললে সেগুলো ব্লক সৃষ্টি করে না বটে; কিন্তু সেটা না করলেও এগুলো পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানি শোধনাগারগুলো এ ধরনের রাসায়নিক ফিল্টার করতে পারে না। ফলে ওষুধের উপাদান নদী, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া ভালো।

আঁশযুক্ত খাবার

ভাত, নুডলস, পাস্তা বা পাউরুটির মতো খাবার পানিতে ফুলে আঠালো মণ্ড তৈরি করে এবং পাইপে আটকে যায়। ভুট্টার খোসার মতো আঁশযুক্ত খাবার সহজে পচে না এবং পাইপের বাঁকে জট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি করে।

ডিমের খোসা

ডিমের ভাঙা খোসা ভঙ্গুর হলেও পাইপে গিয়ে এগুলো বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। খোসার ভাঙা অংশ অনেকটা বালুর মতো এবং তেল বা খাবারের কণার সঙ্গে মিশে শক্ত সিমেন্টের মতো স্তর তৈরি করে।

রং

বাড়ির রঙে থাকা রাসায়নিক পাইপের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি ড্রেনে গেলে এসব রাসায়নিক পানি দূষিত করে। তাই ব্যবহার শেষে রং কখনোই সিংক বা টয়লেটে ঢালবেন না। লেবেলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো ফেলা উচিত।

ফলের স্টিকার

ফলের গায়ে থাকা ছোট স্টিকারগুলো খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। ড্রেনে গেলে এগুলো পানি শোধনাগারের ফিল্টারে আটকে থাকে ও পাইপে বাধা তৈরি করে। স্টিকারগুলো আলাদা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।

ফল বা খাবারের শক্ত বিচি

পাইপ কোনোভাবেই ফলের শক্ত বিচি বা হাড়ের মতো শক্ত জিনিস সামলানোর মতো করে তৈরি নয়। এগুলো গারবেজ ডিস্পোজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পাইপের ভেতর মারাত্মক জ্যাম তৈরি করে।

বাড়ির পাইপলাইন সচল রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার ও সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য সচেতনতা হাজার টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।

সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উৎসবের এ মাসে লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেমন হবে সাজ

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৯
লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। ছবি: পেক্সেলস
লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। ছবি: পেক্সেলস

ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন হওয়া জরুরি, যাতে পুরো লুকটা বিগড়ে না যায়।

লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেভাবে মেকআপ করা যেতে পারে–

লাল পোশাকে ত্বকের খুঁত খুব সহজেই চোখে পড়ে, তাই নিখুঁত বেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের রং ফরসা হলে ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারই যথেষ্ট। তা না হলে ভালো ব্র্যান্ডের কালার কারেক্টর ও মানসম্মত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য খুঁত ঢেকে ফেলুন। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, স্বত্বাধিকারী, শোভন মেকওভার

ন্যুড গ্লো লুক

লাল পোশাক যেহেতু নিজেই উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, তাই এর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ লুকের জন্য খুব হালকা মেকআপই ভালো মানায়। ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সতেজ ও প্রাকৃতিক আভা বজায় থাকে। গালে হালকা ব্রোঞ্জিং পাউডার ও চোখে ন্যাচারাল আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করুন। লুকটি সম্পূর্ণ করতে ঠোঁটে দিন শিয়ার লিপজেল বা ন্যুড শেডের লিপস্টিক।

ক্ল্যাসিক রেড-অন-রেড

লাল পোশাকের সঙ্গে একই শেডের লাল লিপস্টিক একটি ক্ল্যাসিক কম্বিনেশন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ, ব্রাউন পেনসিল লাইনার ও রোজি রেড ব্লাসন ব্যবহার করুন। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন বেস, উইংড আইলাইনার ও ফলস ল্যাশ ব্যবহার করে লুকে আনুন আভিজাত্য।

ওল্ড-স্কুল-গ্ল্যামার লুক

এই লুকের জন্য কন্সিলার ও ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের মেকআপে ন্যাচারাল টোনের আইশ্যাডো দিন, উইং-টিপড লাইনার তৈরি করে মাসকারা ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন বোল্ড লাল লিপস্টিক বা শিয়ার রেড লিপ গ্লস।

স্মোকি আই

রাতের মেকআপে চোখকে প্রাধান্য দিতে মুখ ও ঠোঁটের সাজে ব্যবহার করুন ন্যুড শেড। বিবি ক্রিম বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের সাজে কন্সিলার, পেনসিল ও জেল লাইনারের পরে পাউডার শ্যাডো দিয়ে মেটালিক-স্মোকি একটা লুক তৈরি করুন।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ফান অ্যান্ড ফ্লার্টি লুক

ক্যাজুয়াল ও ফান লুক পেতে বেস হিসেবে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চোখে ন্যুড শ্যাডো ও পেনসিল লাইনার দিন। চোখের মেকআপ ন্যূনতম রেখে ভল্যুমিনাস আইল্যাশ ব্যবহার করুন। গালে হালকা ব্লাসন দিন, তবে হাইলাইট করবেন না। ঠোঁটের জন্য টিন্টেড লিপ গ্লস বা শিয়ার পিংক লিপস্টিকই যথেষ্ট।

ঠোঁট ও নখ

খুব গ্ল্যামারাস লুক না চাইলে বা লুকে ভারসাম্য রাখতে ঠোঁটে সব সময় ন্যুড শেডের লিপস্টিক বা টিন্টেড লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। সাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নখের সাজে লাল রঙের নেইল পলিশ এড়িয়ে ন্যুড শেড বা ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর বেছে নিতে পারেন, যা একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক দেবে।

চুল

লাল পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজ একেবারেই সাধারণ রাখুন। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ খোঁপা বা টাইট কার্ল না করে হালকা কার্ল করা চুল বা খোলা চুল বেছে নিতে পারেন, যা আপনার মুখকে সুন্দরভাবে ফ্রেম করবে। খেয়াল রাখবেন, চুলের সাজ যেন আপনার সাজের মূল আকর্ষণ না হয় বা আপনার মুখমণ্ডল থেকে মনোযোগ সরিয়ে না দেয়। সাধারণ চুলের স্টাইলই আপনার পুরো সাজকে মার্জিত করে মেকআপকে হাইলাইট করবে।

চোখ বা ঠোঁট; যেকোনো একটিকে ফোকাল পয়েন্টে রাখুন

আকর্ষণীয় দেখাতে খুব ভারী মেকআপ বা গাঢ় রং ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে মুখের সব ফোকাল পয়েন্ট না বেছে, শুধু একটি অংশ হাইলাইট করার কৌশল বেছে নিন। এই একটি ফোকাল পয়েন্ট হতে পারে আপনার চোখ অথবা ঠোঁট; কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। এভাবে মেকআপ করলে সহজেই একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রজনন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পুরুষদের যে ৭টি অভ্যাস বদলানো উচিত

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৯
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে। জীবন থেকে এ অভ্যাসগুল বাদ দিতে পারলে প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত হবে। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে। জীবন থেকে এ অভ্যাসগুল বাদ দিতে পারলে প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত হবে। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।

ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।

প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র‍্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।

অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম

শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য

ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।

স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা

ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব

কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো

আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।

সূত্র: হেলথশট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: বহু যত্নে লালিত স্বপ্ন সত্যি হবে, সাবধানে মুখ খুলুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৯
আজকের রাশিফল: বহু যত্নে লালিত স্বপ্ন সত্যি হবে, সাবধানে মুখ খুলুন

মেষ

আজ আপনার শরীরে এত বেশি এনার্জি থাকবে যে ভুলবশত বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চার্জ করার চেষ্টা করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত উৎসাহে আজ এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না, যাতে প্রতিবেশী আপনাকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেলবেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে আজ অন্তত একটা পুরোনো বাক্স গুছিয়ে ফেলুন। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে!

বৃষ

আপনার জীবনের ‘স্বযত্নলালিত স্বপ্ন’ আজ সত্যি হতে পারে! আর সেই স্বপ্নটি হলো, সারা দিন সোফায় শুয়ে থাকা এবং প্রিয় খাবার ডেলিভারি নেওয়া। আজ এমন এক গভীর আলস্যের জালে জড়িয়ে পড়বেন যে, রিমোট কন্ট্রোলটা হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা তোলার জন্য কাউকে ফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি হবে কচ্ছপের থেকেও ধীর। সহকর্মীরা ভাববে, আপনি হয়তো ধ্যানের নতুন কোনো উচ্চস্তরে পৌঁছে গেছেন। অর্থের দিক থেকে আজ এমন কিছু ডিসকাউন্ট খুঁজতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, যা আসলে অস্তিত্বহীন। আজ যদি কেউ আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বলে, মনে মনে বলুন: ‘আমি বৃষ, তাড়াহুড়ো আমার ডিকশনারিতে নেই। ওটা অন্য কোনো রাশির জন্য।’

মিথুন

আপনার ভেতরের দুটি মানুষ আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড তর্কে লিপ্ত থাকবে। একজন বলবে, ‘আজ আমি পৃথিবীকে জয় করব!’ অন্যজন বলবে, ‘আরে বাবা, আগে ঠিক করো কোন রঙের মোজাটা পরবে!’ আপনি কোনো একটি বিষয়ে স্থির হতে পারবেন না। কফি না চা? লাল শার্ট না নীল? এই দ্বিধায় পুরো দিন কেটে যাবে। এমন কারও অভাব অনুভব করবেন, যে আপনার সব দ্বিমুখী সিদ্ধান্তকে একমুখী করে দিতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ চূড়ান্ত জনপ্রিয়। এত বেশি মেসেজ আসবে যে ফোন চার্জে দিয়েই আপনি হয়তো চার্জার খুঁজে পাবেন না। আজ একটি মাত্র কাজ করুন: স্থির থাকুন। যদি না পারেন, তাহলে একটি কয়েন টস করুন এবং টস হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিন।

কর্কট

আজ আপনার মন অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাতেই চোখে পানি চলে আসতে পারে। হয়তো দেখবেন, ফ্রিজে শেষ রুটিটা দেখে অতীতের সব দুঃখ মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান হলো ঘর। তাই আজ ঘর থেকে বের হতে চাইবেন না। যদি বের হতে হয়, তাহলে একটা বালিশ আর কম্বল সঙ্গে নিয়ে নিন—কে জানে কখন কোথায় একটু আবেগ নিয়ে বসা দরকার হয়! পরিবারকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিশেষত, বাড়ির পোষা প্রাণীটি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে আজ গবেষণা করতে পারেন। আজ অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। তবে পুরোনো বিল বা ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখলে চোখ মুছতে টিস্যু পেপার হাতের কাছে রাখুন।

সিংহ

আজ যা কিছু করবেন, তাতেই আপনার লাইমলাইট চাই। ধরুন, অফিসে এক গ্লাস পানি খেলেন, আপনার মনে হবে সেটা একটা প্রেস কনফারেন্সের যোগ্য ইভেন্ট। যদি কেউ আপনার দিকে না তাকায়, তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের প্রশংসা শুরু করে দেবেন। আপনার মনে হবে, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপই বুঝি ইতিহাস তৈরি করছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনার আপনার প্রশংসা না করলে আপনি হয়তো সাময়িক ধর্মঘট শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলে বিল দেওয়ার সময় এমন নাটকীয় ভঙ্গিতে মানিব্যাগ বের করবেন, যাতে মনে হয় আপনি পুরো গ্যালাক্সির দেনা মেটাচ্ছেন। সবার মনোযোগ পেতে আজ আপনি যা-ই করুন না কেন, শেষমেশ দেখবেন বাড়ির কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি করতালি পাচ্ছে। সেটা মেনে নিন।

কন্যা

আজ আপনার মস্তিষ্ক একটি হাইপার-অ্যাকটিভ স্প্রেডশিটের মতো চলবে। আপনার প্রধান চিন্তা হবে, বালিশের কভারটি আর টেবিলের কোণটা একই সমান্তরালে আছে কি না। কাজের জায়গায় সহকর্মীর কফির মগে কতটুকু চিনি বেশি আছে, সেটা বের করে ফেলবেন। আর সেই খুঁত নিয়েই আপনি আজ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলবেন। যদি দেখেন কোনো কিছু নিখুঁত নয়, তাহলে মেজাজ সপ্তমে উঠবে। দুশ্চিন্তা করবেন না, আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়তো আপনিই করবেন, সঠিকটা করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলবেন! আজ দয়া করে নিজের চুল গুনতে শুরু করবেন না। আজ অন্তত একবার একটা ভুল করুন। স্বাধীনতা উপভোগ করুন!

তুলা

ন্যায়, ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের পূজারি আপনি আজ একটি কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন। আপনাকে হয়তো ঠিক করতে হবে, দুপুরে ভাত খাবেন নাকি রুটি! এই নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা ভাববেন এবং শেষমেশ দুটোই খেয়ে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতের সঙ্গে সহমত হবেন, আর এতে সহকর্মীরা আপনাকে ‘ডাবল এজেন্ট’ ভাবতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্যতম অভিযোগ শুনেই এত বেশি ভারসাম্য আনতে চাইবেন যে সম্পর্কটা দড়ির ওপর হাঁটা সার্কাসের মতো মনে হবে। কোনো জটিল সিদ্ধান্ত এলে আজ শুধু একটা জিনিস ভাবুন: যেটাতে আপনার সবচেয়ে কম কষ্ট হবে। ব্যস! ব্যালেন্স নিজের থেকেই চলে আসবে।

বৃশ্চিক

আজ মন গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকবে। হয়তো ভাববেন, পাশের ডেস্কের সহকর্মী কেন আজ আপনার দিকে একটু বেশি হেসেছেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর রহস্য আছে! সারা দিন ধরে সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করবেন, যা আসলে সামান্য দাঁত ব্রাশ করার পরের হাসি। তীব্র মনোযোগ আজ আপনাকে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে, কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার নীরবতা আজ একটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। লোকে ভাববে আপনি ধ্যান করছেন, কিন্তু আসলে ভাবছেন, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চায়ে লবণ মিশিয়ে দেবেন। কাউকে কিছু বলবেন না। নীরবতা আজ স্বর্ণময়। সেটা জমিয়ে রাখুন।

ধনু

আজ মন চঞ্চল, আজ বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। হয়তো অফিস থেকে সোজা হিমালয় বা চাঁদে চলে যাওয়ার টিকিট খুঁজতে থাকবেন। আপনার ফিলোসফিক্যাল রগ আজ এত বেশি চড়ে থাকবে যে, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে মহাজাগতিক সত্য আবিষ্কার করতে পারেন। আপনার অতি-সৎ কথাগুলো আজ কারও না কারও মন খারাপ করবে। হয়তো বলবেন, ‘তোমাকে এই শাড়িতে এত মোটা লাগছে না, যতটা গত সপ্তাহে লাগছিল।’ এই রাশিফল পড়ার সময়ও আপনি ভাবছেন, এটার কোথাও কোনো বানান ভুল আছে কি না। আজ মুখটা সাবধানে ব্যবহার করুন। বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকে, তাহলে কথা বলার আগে তিনবার কফি খান।

মকর

আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে সফল এবং গম্ভীর মানুষ। মনে করবেন, পৃথিবীর সব দায়িত্ব আপনার কাঁধেই। আপনার প্রধান শখ হবে অন্যদের হাসতে দেখে বিরক্ত হওয়া। ভাববেন, ‘এরা এত হাসছে কেন? কাজের ডেডলাইন তো এখনো বাকি!’ আপনার মনে হবে, আপনি যদি এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনারকে ইমপ্রেস করতে কোনো রোমান্টিক ডিনার বা উপহার না দিয়ে, বরং একটি সুন্দর এক্সেল শিট তৈরি করে দেবেন, যেখানে আপনাদের সম্পর্কের আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য লেখা থাকবে। আজকের দিনটি একটু আরাম করুন। না করলে মস্তিষ্ক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার দাঁত ব্রাশ করা বাকি এবং এই ভুলটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

কুম্ভ

আজ এমন একটি অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, যা পৃথিবীর বাকি ১১টা রাশি কখনোই বুঝবে না। হয়তো ঠিক করবেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কীভাবে বিশ্বশান্তি আনা যায়, অথবা কেন সব শার্টে তিনটি করে কলার থাকা উচিত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আজ খুবই বৈপ্লবিক হবে, কিন্তু বন্ধুরা হয়তো ভাববে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেউ আপনার কথা বুঝতে না পারলে আরও খুশি হবেন—কারণ জানেন আপনি কতটা এগিয়ে! প্রেম নিয়ে ভাবনা হবে, কেন এই ‘সামাজিক বন্ধন’-এর প্রয়োজন, যেখানে দুজন মানুষ শুধু নিজেদের মধ্যে একটি ইমোজি বিনিময় করেও দিব্যি থাকতে পারে। পরামর্শ: আপনার আইডিয়াগুলো খুব ভালো। কিন্তু আজ দয়া করে আপনার আইডিয়াগুলো দিয়ে পোষা প্রাণীটির ওপর কোনো পরীক্ষা করবেন না।

মীন

আজ বাস্তবের ধারেকাছেও থাকবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় এমন এক কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াবেন, যেখানে আপনার সব বিল পরিশোধ হয়ে গেছে এবং পোষা মাছটা কথা বলতে পারে। কাজের জায়গায় ভুলবশত সহকর্মীকে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমার/রাজকুমারী’ বলে ডাকতে পারেন। মনে হবে, জীবন একটি হিন্দি সিনেমা, আর আপনি তার হিরো/হিরোইন। যদি কিছু ভুলে যান, যেমন চাবি বা মানিব্যাগ, তার জন্য গ্রহদের দোষ দেবেন। সন্ধ্যায়, হয়তো এত বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন যে টিভির সিরিয়ালের ভিলেনের দুঃখেও চোখে পানি চলে আসবে। আজ চোখ খুলে হাঁটুন। আর যদি চারপাশের মানুষ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু ‘হুম’ বলে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত