
চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো, এই জঙ্গলগুলোর বেশির ভাগই ভারতে। অবশ্য পৃথিবীর মোট বুনো বাঘের একটি বড় অংশেরই বাস দেশটিতে।
রন্থাম্বর জাতীয় উদ্যান, ভারত
৩ লাখ ৩০ হাজার একরের রন্থাম্বর ন্যাশনাল পার্ক উত্তর ভারতের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যানগুলোর একটি। ২০২১ সালের হিসাবে অরণ্যটিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ৮১টি। জায়গাটি একসময় ছিল জয়পুরের মহারাজাদের প্রিয় শিকারের জায়গা। আশ্চর্যজনক হলেও এর সীমানার ভেতরেই আছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির, মসজিদ এমনকি ১০ শতকের একটি দুর্গও।
জঙ্গলটিতে গাড়িতে চাপিয়ে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়। সাধারণত ছয় আসনের জিপ কিংবা ২০ আসনের এক গাড়িতে। অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত তিন ঘণ্টার এই ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়। মোটামুটি ৯০ দিন আগে বুকিং দিয়ে রাখলে আশা করা যায় ভ্রমণের সুযোগ পেতে কোনো ঝামেলা হবে না।
এই জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে বাঘের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ ছাড়া প্রাচীন সব ধ্বংসাবশেষ তো দেখবেনই। ভাগ্য ভালো থাকলে চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক, কুমির, হায়েনার মতো প্রাণীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে।
এখানে ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে সবচেয়ে চমৎকার আবহাওয়া পাবেন। তবে এপ্রিল কিংবা মের উষ্ণ দিনগুলোতে বাঘরা জলের উৎসগুলোতে যেতে প্রলুব্ধ হয় বেশি। কাজেই ওই সময় আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখার ভালো সুযোগ আছে।
জিম করবেট জাতীয় উদ্যান
১৯৩৬ সালে হেইলি ন্যাশনাল পার্ক নামে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে বিখ্যাত শিকারি ও প্রকৃতিবিদ জিম করবেটের নামে নামকরণ হয়। ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যান এটি। ২০২০ সালের হিসাবে এখানকার শাল, জলাভূমির জঙ্গল ও ঘাসবহুল অঞ্চলে ২৩১টি বাঘের বাস। এটি ভারতের সেই অল্প কয়েকটি টাইগার রিজার্ভের একটি, যেখানে রাতে থাকার অনুমতি আছে আপনার। এতে ভয়ংকর সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখার সুযোগ বেড়েছে।
পাঁচটি আলাদা জায়গায় জিপ ও মিনি বাসে করে সাফারির সুযোগ আছে। আছে হাতির পিঠে চড়ে বন ভ্রমণের সুযোগও। ভারতের বন বিভাগ এই সাফারি বা ভ্রমণের আয়োজন করে। মোটামুটি পাঁচটি এলাকায়ই বাঘ দেখার সম্ভাবনা একই ধরনের। সকালে ও সন্ধ্যায় ট্যুরের আয়োজন করা হয়।
জঙ্গলটিতে ভ্রমণের সময় চোখ-কান খোলা রাখুন। বিশেষ করে গ্রীষ্মে বুনো হাতির দলের দেখা পেয়ে যেতে পারেন। চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক কিংবা বিভিন্ন প্রজাতির হরিণদের দেখাও মিলতে পারে রাতে থাকতে পারেন ঢিকালা ফরেস্ট লজে।
এপ্রিল থেকে জুনে বাঘ দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গ্রীষ্মের মাস গুলাতে ঝোপ-জঙ্গলের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে খোলামেলা জায়গায় অবস্থিত জলাশয়গুলোতে যায় পানি খেতে কিংবা শরীরটাকে একটু শীতল করতে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই এদের দেখার ভালো সুযোগ থাকে।
সুন্দরবন, বাংলাদেশ ও ভারত
বাংলাদেশ ও ভারতে অবস্থিত সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য। বাঘের জন্য বিখ্যাত এ বনটিতে বাঘ দেখা অবশ্য খুব সহজ নয়। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা নদী-খাল আর ছোট ছোট দ্বীপে ভরা অরণ্যটির বাংলাদেশ অংশকে বাঘ দেখার জন্য বেশি উপযোগী বলেছে লোনলি প্লেনেট।
২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাস করা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ১১৪।
খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা কিংবা সাতক্ষীরা থেকে লঞ্চে করে ভ্রমণ করে আসতে পারবেন সুন্দরবন। লঞ্চ থেকেই ছোট ছোট নৌকায় চেপে ঘুরতে পারবেন জঙ্গলের অন্দি-সন্ধিতে। বনপ্রহরীদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলের ভেতরেও হেঁটে বেড়াতে পারবেন। তবে শ্বাসমূলের কারণে এই বনে হাঁটাটা একটু কষ্টকর।
বনে বাঘ ছাড়াও দেখা পেতে পারেন চিত্রা ও মায়া হরিণ, বুনো শূকরদের।
ভাগ্য ভালো থাকলে বছরের যেকোনো সময়ই বনটিতে বাঘের দেখা পেতে পারেন। তবে কম পর্যটক যখন থাকে তখন অর্থাৎ বর্ষাকাল বাঘ দেখার জন্য ভালো সময় হতে পারে। তখন এমনকি দিনের বেলাও বাঘ খোলামেলা জায়গায় চলে আসে। অপর দিকে পর্যটক বেশি থাকলে তাদের বিচরণটা হয় মূলত রাতেই।
রয়েল মানস জাতীয় উদ্যান, ভুটান
উত্তর হিমালয়ে অবস্থিত জঙ্গলটিতে ভুটানের প্রথম জাতীয় উদ্যান। নানা ধরনের গাছপালা ও বন্য প্রাণীর জন্য এটি বিখ্যাত। অরণ্যটি ইউনেসকো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে বাস গন্ডার, বুনো হাতি, বুনো মহিষ এবং অবশ্যই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো প্রাণীদের। পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত অরণ্যটিতে বাঘের ঘনবসতির দিক থেকে পৃথিবীর বিখ্যাত জঙ্গলগুলোর একটি। ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এখানে বাঘের সংখ্যা।
মজার ঘটনা, এই জঙ্গলটিকে ঘিরে আছে ভারত ও ভুটানের বেশ কিছু বিখ্যাত অরণ্য। এদের মধ্যে আছে মানস টাইগার রিজার্ভ, ফিপসু বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, খালিং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, থ্রামশিংলা জাতীয় উদ্যান প্রভৃতি। আর এই সবগুলো জঙ্গল মিলিয়ে বড় এলাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে বাঘেরা।
এখানে ভারতের জঙ্গলগুলোর তুলনায় বাঘ দেখানোর সাফারির পরিমাণ কম। আবার পাহাড়ি বনটিতে বাঘ দেখার সম্ভাবনাও একটু কম। তবে এখানকার প্রকৃতি, বন্য প্রাণী আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মিলিয়ে ভ্রমণের জন্য অসাধারণ এক জায়গা।
অভয়ারণ্যটিতে অসাধারণ কিছু প্রাণীর বাস। এগুলোর মধ্যে বাঘ ছাড়াও আছে মেঘলা চিতা, বামন শূকর, এক শিংয়ের গন্ডার, বুনো হাতি, বুনো মোষ প্রভৃতি।
রয়েল মানসের সেরা আবহাওয়া থাকে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে গ্রীষ্মে বাঘ দেখার সম্ভাবনা থাকে বেশি। বর্ষার সময়, মে থেকে সেপ্টেম্বর যখন কাছের ভারতের মানস জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকে তখন এই বনে ঘুরতে গেলে বৃষ্টি থেকে বাঁচার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখবেন।
চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক, নেপাল
নেপাল-ভারত সীমান্তে অবস্থান নেপালের চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানের। একশৃঙ্গ গন্ডার, বাঘ ও ঘড়িয়ালের জন্য বিখ্যাত জঙ্গলটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। এই অরণ্যে ৫০ জাতের বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। ২০১৮ সালের হিসাবে চিতওয়ানের জঙ্গলে বাস করা বাঘের সংখ্যা ৯৩টি। এখানে ঘুরে বেড়ানোর সময় অনায়াসে গন্ডারদের দেখা মিললেও বাঘের দেখা পাওয়া সহজ নয়।
জঙ্গলটিতে গাড়িতে চড়ে ভ্রমণের যেমন সুযোগ আছে, তেমনি আছে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা। এখানে আরও দেখা মেলে বুনো হাতি, চিতা বাঘ, ডোরাকাটা হায়েনা, অ্যান্টিলোপ প্রভৃতির।
চিতওয়ান জাতীয় উদ্যানের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো থাকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। তবে এপ্রিল-মে মাসে বাঘ এবং গন্ডার দেখার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
তাবোদা জাতীয় উদ্যান, ভারত
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবস্থিত তাবোদা জাতীয় উদ্যানে অন্তত ৮০টি বাঘের উপস্থিতির পরও তুলনামূলকভাবে পর্যটকদের পা পড়ে কম। এর আশপাশের এলাকাগুলোতেও আরও শ দুয়েক বাঘ আছে। তাই বাঘ দেখার সুযোগও জঙ্গলটিতে বেশ বেশি থাকে।
পার্কটির তিনটি এলাকায় শীত ও গ্রীষ্মে জিপ সাফারির ব্যবস্থা থাকে। জুলাই-আগস্ট ছাড়া বাকি ১০ মাসই জঙ্গলটিতে ঘুরতে পারবেন। সাধারত সকালে ও সন্ধ্যায় সাফারির ব্যবস্থা থাকে।
চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক, কুমির, অজগরের জন্যও বিখ্যাত বনটি। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এখানে বাঘ দেখার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ সময় জঙ্গলটিতে গেলে প্রচণ্ড গরমের বিষয়টি মাথায় রেখেই যেতে হবে।
বারদিয়া জাতীয় উদ্যান, নেপাল
উত্তর-পশ্চিম নেপালের দুর্গম এলাকায় জঙ্গলটির অবস্থান। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের জঙ্গলগুলোয় বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। পাঁচটি জাতীয় উদ্যানে ২৩৫টির বেশি বাঘের বিচরণ। এর মধ্যে বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে বসবাস ৮০টির মতো বাঘের।
গাড়ির পাশাপাশি গাইড নিয়ে হেঁটেও জঙ্গলটি দেখতে পারেন। গাইডের হাতে আত্মরক্ষার জন্য থাকা কেবল একটি বাঁশের লাঠি রোমাঞ্চ আরও বাড়াবে। এ ছাড়া কপাল ভালো থাকলে দেখা পেতে পারেন বুনো হাতি, একশৃঙ্গ গন্ডার কিংবা কুমিরের।
গোটা বছরজুড়েই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে জঙ্গলটি। তবে স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মে বাঘ আর গন্ডার দেখার সম্ভাবনা বেশি। তখন বাঘদের প্রায়ই দেখা যায় গিরওয়া নদীতে।
হোয়াই খা খায়েনং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সমাবেশ ঘটেছে যেসব অরণ্যে তার একটি হোয়াই খা খায়েনং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য। ২ হাজার ৭৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের অরণ্যটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। ২০২১ সালের হিসাবে জঙ্গলটিতে বাস ৮৯টি বাঘের। এক দশক আগেও সংখ্যাটি ছিল ৪২। এই বনের বাঘগুলো কিন্তু বেঙ্গল টাইগার নয় বরং ইন্দো চাইনিজ বাঘ।
বনে দেখা মেলে চিতাবাঘ, মেঘলা চিতা, সোনালি চিতা, মালায়ান তাপির, বুনো হাতি, বান্টেং, বুনো মোষসহ আরও নানা ধরনের প্রাণীর।
তবে বনটিকে সংরক্ষণের জন্য বেশ কঠোর নিয়ম-নীতি থাকায় সাধারণত পর্যটকেরা তুলনামূলক কম যান। তবে বিশেষ করে স্তন্যপায়ী বন্য প্রাণী নিয়ে যাদের আগ্রহ তাঁদের অনেকেই হাজির হোন সেখানে। বাঘ দেখাটাও বেশ সৌভাগ্যের ব্যাপার এখানে।
কানহা জাতীয় উদ্যান, ভারত
ভারতের মধ্যপ্রদেশের অবস্থান কানহা জাতীয় উদ্যানের। এখানকার চারটি এলাকা পরিচিত মুক্কি, কানহা, কিসলি ও সারহি নামে। মুক্কি আর কানহা বন্য প্রাণী দেখার জন্য আদর্শ। তবে গোটা জঙ্গলের পরিবেশই অসাধারণ। এই অরণ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ১০৮।
বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান, ভারত
পার্কটির বেশির ভাগ অংশই পাথুরে। তবে পাথুরে এই এলাকায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রাণীগুলোর একটি বাঘের বাস। বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে বেশি ভেতরে ঢুকতে হবে না। তবে বাঘ দেখাটা ভাগ্যের ব্যাপার। এ জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা ১২৪।
সূত্র: লোনলি প্লেনেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, থাই ন্যাশনাল পার্কস

চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো, এই জঙ্গলগুলোর বেশির ভাগই ভারতে। অবশ্য পৃথিবীর মোট বুনো বাঘের একটি বড় অংশেরই বাস দেশটিতে।
রন্থাম্বর জাতীয় উদ্যান, ভারত
৩ লাখ ৩০ হাজার একরের রন্থাম্বর ন্যাশনাল পার্ক উত্তর ভারতের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যানগুলোর একটি। ২০২১ সালের হিসাবে অরণ্যটিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার আছে ৮১টি। জায়গাটি একসময় ছিল জয়পুরের মহারাজাদের প্রিয় শিকারের জায়গা। আশ্চর্যজনক হলেও এর সীমানার ভেতরেই আছে বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির, মসজিদ এমনকি ১০ শতকের একটি দুর্গও।
জঙ্গলটিতে গাড়িতে চাপিয়ে পর্যটকদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়। সাধারণত ছয় আসনের জিপ কিংবা ২০ আসনের এক গাড়িতে। অক্টোবর থেকে জুন পর্যন্ত তিন ঘণ্টার এই ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়। মোটামুটি ৯০ দিন আগে বুকিং দিয়ে রাখলে আশা করা যায় ভ্রমণের সুযোগ পেতে কোনো ঝামেলা হবে না।
এই জঙ্গলে ঘুরতে গিয়ে বাঘের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ ছাড়া প্রাচীন সব ধ্বংসাবশেষ তো দেখবেনই। ভাগ্য ভালো থাকলে চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক, কুমির, হায়েনার মতো প্রাণীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়ে যেতে পারে।
এখানে ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে সবচেয়ে চমৎকার আবহাওয়া পাবেন। তবে এপ্রিল কিংবা মের উষ্ণ দিনগুলোতে বাঘরা জলের উৎসগুলোতে যেতে প্রলুব্ধ হয় বেশি। কাজেই ওই সময় আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখার ভালো সুযোগ আছে।
জিম করবেট জাতীয় উদ্যান
১৯৩৬ সালে হেইলি ন্যাশনাল পার্ক নামে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরে বিখ্যাত শিকারি ও প্রকৃতিবিদ জিম করবেটের নামে নামকরণ হয়। ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যান এটি। ২০২০ সালের হিসাবে এখানকার শাল, জলাভূমির জঙ্গল ও ঘাসবহুল অঞ্চলে ২৩১টি বাঘের বাস। এটি ভারতের সেই অল্প কয়েকটি টাইগার রিজার্ভের একটি, যেখানে রাতে থাকার অনুমতি আছে আপনার। এতে ভয়ংকর সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখার সুযোগ বেড়েছে।
পাঁচটি আলাদা জায়গায় জিপ ও মিনি বাসে করে সাফারির সুযোগ আছে। আছে হাতির পিঠে চড়ে বন ভ্রমণের সুযোগও। ভারতের বন বিভাগ এই সাফারি বা ভ্রমণের আয়োজন করে। মোটামুটি পাঁচটি এলাকায়ই বাঘ দেখার সম্ভাবনা একই ধরনের। সকালে ও সন্ধ্যায় ট্যুরের আয়োজন করা হয়।
জঙ্গলটিতে ভ্রমণের সময় চোখ-কান খোলা রাখুন। বিশেষ করে গ্রীষ্মে বুনো হাতির দলের দেখা পেয়ে যেতে পারেন। চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক কিংবা বিভিন্ন প্রজাতির হরিণদের দেখাও মিলতে পারে রাতে থাকতে পারেন ঢিকালা ফরেস্ট লজে।
এপ্রিল থেকে জুনে বাঘ দেখার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। গ্রীষ্মের মাস গুলাতে ঝোপ-জঙ্গলের আশ্রয় ছেড়ে বেরিয়ে খোলামেলা জায়গায় অবস্থিত জলাশয়গুলোতে যায় পানি খেতে কিংবা শরীরটাকে একটু শীতল করতে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই এদের দেখার ভালো সুযোগ থাকে।
সুন্দরবন, বাংলাদেশ ও ভারত
বাংলাদেশ ও ভারতে অবস্থিত সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য। বাঘের জন্য বিখ্যাত এ বনটিতে বাঘ দেখা অবশ্য খুব সহজ নয়। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা নদী-খাল আর ছোট ছোট দ্বীপে ভরা অরণ্যটির বাংলাদেশ অংশকে বাঘ দেখার জন্য বেশি উপযোগী বলেছে লোনলি প্লেনেট।
২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাস করা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ১১৪।
খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা কিংবা সাতক্ষীরা থেকে লঞ্চে করে ভ্রমণ করে আসতে পারবেন সুন্দরবন। লঞ্চ থেকেই ছোট ছোট নৌকায় চেপে ঘুরতে পারবেন জঙ্গলের অন্দি-সন্ধিতে। বনপ্রহরীদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলের ভেতরেও হেঁটে বেড়াতে পারবেন। তবে শ্বাসমূলের কারণে এই বনে হাঁটাটা একটু কষ্টকর।
বনে বাঘ ছাড়াও দেখা পেতে পারেন চিত্রা ও মায়া হরিণ, বুনো শূকরদের।
ভাগ্য ভালো থাকলে বছরের যেকোনো সময়ই বনটিতে বাঘের দেখা পেতে পারেন। তবে কম পর্যটক যখন থাকে তখন অর্থাৎ বর্ষাকাল বাঘ দেখার জন্য ভালো সময় হতে পারে। তখন এমনকি দিনের বেলাও বাঘ খোলামেলা জায়গায় চলে আসে। অপর দিকে পর্যটক বেশি থাকলে তাদের বিচরণটা হয় মূলত রাতেই।
রয়েল মানস জাতীয় উদ্যান, ভুটান
উত্তর হিমালয়ে অবস্থিত জঙ্গলটিতে ভুটানের প্রথম জাতীয় উদ্যান। নানা ধরনের গাছপালা ও বন্য প্রাণীর জন্য এটি বিখ্যাত। অরণ্যটি ইউনেসকো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে বাস গন্ডার, বুনো হাতি, বুনো মহিষ এবং অবশ্যই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো প্রাণীদের। পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত অরণ্যটিতে বাঘের ঘনবসতির দিক থেকে পৃথিবীর বিখ্যাত জঙ্গলগুলোর একটি। ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এখানে বাঘের সংখ্যা।
মজার ঘটনা, এই জঙ্গলটিকে ঘিরে আছে ভারত ও ভুটানের বেশ কিছু বিখ্যাত অরণ্য। এদের মধ্যে আছে মানস টাইগার রিজার্ভ, ফিপসু বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, খালিং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, থ্রামশিংলা জাতীয় উদ্যান প্রভৃতি। আর এই সবগুলো জঙ্গল মিলিয়ে বড় এলাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে বাঘেরা।
এখানে ভারতের জঙ্গলগুলোর তুলনায় বাঘ দেখানোর সাফারির পরিমাণ কম। আবার পাহাড়ি বনটিতে বাঘ দেখার সম্ভাবনাও একটু কম। তবে এখানকার প্রকৃতি, বন্য প্রাণী আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মিলিয়ে ভ্রমণের জন্য অসাধারণ এক জায়গা।
অভয়ারণ্যটিতে অসাধারণ কিছু প্রাণীর বাস। এগুলোর মধ্যে বাঘ ছাড়াও আছে মেঘলা চিতা, বামন শূকর, এক শিংয়ের গন্ডার, বুনো হাতি, বুনো মোষ প্রভৃতি।
রয়েল মানসের সেরা আবহাওয়া থাকে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে গ্রীষ্মে বাঘ দেখার সম্ভাবনা থাকে বেশি। বর্ষার সময়, মে থেকে সেপ্টেম্বর যখন কাছের ভারতের মানস জাতীয় উদ্যান বন্ধ থাকে তখন এই বনে ঘুরতে গেলে বৃষ্টি থেকে বাঁচার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখবেন।
চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক, নেপাল
নেপাল-ভারত সীমান্তে অবস্থান নেপালের চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যানের। একশৃঙ্গ গন্ডার, বাঘ ও ঘড়িয়ালের জন্য বিখ্যাত জঙ্গলটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। এই অরণ্যে ৫০ জাতের বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। ২০১৮ সালের হিসাবে চিতওয়ানের জঙ্গলে বাস করা বাঘের সংখ্যা ৯৩টি। এখানে ঘুরে বেড়ানোর সময় অনায়াসে গন্ডারদের দেখা মিললেও বাঘের দেখা পাওয়া সহজ নয়।
জঙ্গলটিতে গাড়িতে চড়ে ভ্রমণের যেমন সুযোগ আছে, তেমনি আছে হাতির পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা। এখানে আরও দেখা মেলে বুনো হাতি, চিতা বাঘ, ডোরাকাটা হায়েনা, অ্যান্টিলোপ প্রভৃতির।
চিতওয়ান জাতীয় উদ্যানের আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো থাকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। তবে এপ্রিল-মে মাসে বাঘ এবং গন্ডার দেখার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
তাবোদা জাতীয় উদ্যান, ভারত
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে অবস্থিত তাবোদা জাতীয় উদ্যানে অন্তত ৮০টি বাঘের উপস্থিতির পরও তুলনামূলকভাবে পর্যটকদের পা পড়ে কম। এর আশপাশের এলাকাগুলোতেও আরও শ দুয়েক বাঘ আছে। তাই বাঘ দেখার সুযোগও জঙ্গলটিতে বেশ বেশি থাকে।
পার্কটির তিনটি এলাকায় শীত ও গ্রীষ্মে জিপ সাফারির ব্যবস্থা থাকে। জুলাই-আগস্ট ছাড়া বাকি ১০ মাসই জঙ্গলটিতে ঘুরতে পারবেন। সাধারত সকালে ও সন্ধ্যায় সাফারির ব্যবস্থা থাকে।
চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক, কুমির, অজগরের জন্যও বিখ্যাত বনটি। মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে এখানে বাঘ দেখার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ সময় জঙ্গলটিতে গেলে প্রচণ্ড গরমের বিষয়টি মাথায় রেখেই যেতে হবে।
বারদিয়া জাতীয় উদ্যান, নেপাল
উত্তর-পশ্চিম নেপালের দুর্গম এলাকায় জঙ্গলটির অবস্থান। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের জঙ্গলগুলোয় বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। পাঁচটি জাতীয় উদ্যানে ২৩৫টির বেশি বাঘের বিচরণ। এর মধ্যে বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে বসবাস ৮০টির মতো বাঘের।
গাড়ির পাশাপাশি গাইড নিয়ে হেঁটেও জঙ্গলটি দেখতে পারেন। গাইডের হাতে আত্মরক্ষার জন্য থাকা কেবল একটি বাঁশের লাঠি রোমাঞ্চ আরও বাড়াবে। এ ছাড়া কপাল ভালো থাকলে দেখা পেতে পারেন বুনো হাতি, একশৃঙ্গ গন্ডার কিংবা কুমিরের।
গোটা বছরজুড়েই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে জঙ্গলটি। তবে স্বাভাবিকভাবেই গ্রীষ্মে বাঘ আর গন্ডার দেখার সম্ভাবনা বেশি। তখন বাঘদের প্রায়ই দেখা যায় গিরওয়া নদীতে।
হোয়াই খা খায়েনং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য, থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সমাবেশ ঘটেছে যেসব অরণ্যে তার একটি হোয়াই খা খায়েনং বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য। ২ হাজার ৭৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের অরণ্যটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। ২০২১ সালের হিসাবে জঙ্গলটিতে বাস ৮৯টি বাঘের। এক দশক আগেও সংখ্যাটি ছিল ৪২। এই বনের বাঘগুলো কিন্তু বেঙ্গল টাইগার নয় বরং ইন্দো চাইনিজ বাঘ।
বনে দেখা মেলে চিতাবাঘ, মেঘলা চিতা, সোনালি চিতা, মালায়ান তাপির, বুনো হাতি, বান্টেং, বুনো মোষসহ আরও নানা ধরনের প্রাণীর।
তবে বনটিকে সংরক্ষণের জন্য বেশ কঠোর নিয়ম-নীতি থাকায় সাধারণত পর্যটকেরা তুলনামূলক কম যান। তবে বিশেষ করে স্তন্যপায়ী বন্য প্রাণী নিয়ে যাদের আগ্রহ তাঁদের অনেকেই হাজির হোন সেখানে। বাঘ দেখাটাও বেশ সৌভাগ্যের ব্যাপার এখানে।
কানহা জাতীয় উদ্যান, ভারত
ভারতের মধ্যপ্রদেশের অবস্থান কানহা জাতীয় উদ্যানের। এখানকার চারটি এলাকা পরিচিত মুক্কি, কানহা, কিসলি ও সারহি নামে। মুক্কি আর কানহা বন্য প্রাণী দেখার জন্য আদর্শ। তবে গোটা জঙ্গলের পরিবেশই অসাধারণ। এই অরণ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ১০৮।
বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান, ভারত
পার্কটির বেশির ভাগ অংশই পাথুরে। তবে পাথুরে এই এলাকায় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রাণীগুলোর একটি বাঘের বাস। বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে বেশি ভেতরে ঢুকতে হবে না। তবে বাঘ দেখাটা ভাগ্যের ব্যাপার। এ জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা ১২৪।
সূত্র: লোনলি প্লেনেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া, থাই ন্যাশনাল পার্কস

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
২ ঘণ্টা আগে
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৪ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম এই সিদ্ধান্তে আসছে।
‘আমি মেয়ের বোঝা হতে চাই না’
ক্যালিফোর্নিয়ার প্লেজেন্টনের বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী জসলিন কম্বস ইতিমধ্যে নিজের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলেছেন। উইল, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন পাসওয়ার্ড—সবকিছুর একটি তালিকা তৈরি করে রেখেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের জমিতেই একটি ছোট আলাদা ঘর তৈরি করেছেন। ভবিষ্যতে সেখানে কেয়ারগিভার থাকবেন, অথবা প্রয়োজনে সেটি ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করবেন। এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা। কম্বসের বাবা-মা দুজনে ৯০ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিলেন। দীর্ঘদিন তাঁদের দেখভাল করতে গিয়ে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এই অভিজ্ঞতা আমাকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। তাই আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যেন আমার মেয়েকে কখনো এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়।’
প্রবীণদের নতুন বাস্তবতা
আর্থিক পরামর্শক ও আইনজীবীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে বেবি বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) এবং জেন এক্স (১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) প্রজন্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন আগাম প্রস্তুতির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। তাঁরা শুধু আর্থিক পরিকল্পনা নয়, ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা এবং চিকিৎসাসংক্রান্ত সিদ্ধান্তও আগেভাগে নিয়ে রাখছেন। ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ফ্যামিলি কেয়ার এবং এএআরপির চলতি বছরের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪৭ শতাংশ পারিবারিক কেয়ারগিভার এই ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এক দশক আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ কম। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় অর্ধেক মানুষ জানিয়েছেন, বাবা-মায়ের দেখভাল করতে গিয়ে তাঁরা আয় হারিয়েছেন, সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে কিংবা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছেন।
ফ্যালকন ওয়েলথ প্ল্যানিংয়ের সিইও গ্যাব্রিয়েল শাহিন বলেন, ‘আগে বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার পরই মানুষ এসব নিয়ে ভাবত। এখন অনেকে আগে থেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।’
বাড়ছে বয়স, বাড়ছে চাপ
যুক্তরাষ্ট্রে গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর চাপও বাড়ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটিতে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশের বেশি বাড়বে। তখন মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশই হবে প্রবীণ। অন্যদিকে, পেশাদার নার্স ও কেয়ারগিভারের সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ব্যয়ও ভয়াবহ রকমের বেশি। বিমা কোম্পানি জেনওয়ার্থের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নার্সিং হোমে ব্যক্তিগত কক্ষের গড় খরচ ছিল মাসে ১০ হাজার ৬৫০ ডলার। তুলনামূলক সাধারণ সিনিয়র কেয়ার সেন্টারেও মাসে গড়ে প্রায় ৫ হাজার ৯০০ ডলার খরচ হয়।
শুধু টাকা নয়, মানসিক চাপও
অর্থনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপও এই প্রজন্মকে নাড়া দিচ্ছে। বাস্তবে দেখা যায়, পরিবারের প্রবীণ সদস্যের দেখভালের দায়িত্ব প্রায়ই একজনের ওপর পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তান বা যিনি কাছাকাছি থাকেন। এতে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, অভিমান ও দূরত্ব তৈরি হয়। বোস্টনের বাসিন্দা জোয়ান স্যাভিট ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বোস্টন ও ক্লিভল্যান্ডের মধ্যে যাতায়াত করেছেন তাঁর ১০১ বছর বয়সী মায়ের বাড়ি গোছাতে। ৫৫ বছরের জমানো জিনিসপত্রে ভরা সেই বাড়ি পরিষ্কার করা, ব্যাংক ও ক্রেডিট কার্ড বাতিল, চিকিৎসকের কাছে নেওয়া—সবকিছু সামলাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে তাঁর। উচ্চ রক্তচাপ, চোখের ক্ষতি, এমনকি ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি—সবই এ কারণে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, স্বামী মারা গেলে নিজের বাড়ি নিলামে তুলে ছোট বাসায় চলে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। শহীদের মতো আত্মত্যাগও করতে চাই না।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা
আমেরিকান একাডেমি অব এজিং লর সভাপতি এরিক আইনহার্ট এই প্রবণতাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ‘ওয়েক-আপ কল’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা কলিন গ্লিসন বাবা-মা মারা যাওয়ার পরপরই একজন আইনজীবীর সঙ্গে বসে নিজের লিভিং উইল তৈরি করেন। ছেলেকে জানিয়ে দেন, তিনি দাহ চান। সম্পত্তি ও নথিপত্রও এমনভাবে গুছিয়ে রাখেন, যেন ছেলেকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবণতা শুধু একটি দেশের গল্প নয়; এটি আধুনিক সমাজে বার্ধক্য, পরিবার ও দায়িত্ববোধের নতুন বাস্তবতার প্রতিফলন। প্রবীণেরা এখন আর শুধু নিজের ভবিষ্যৎ নয়, সন্তানদের ভবিষ্যৎ স্বস্তির কথাও ভাবছেন। জীবনের শেষ অধ্যায়কে গুছিয়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা হয়তো আগামী দিনে আরও বিস্তৃত হবে শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো,
২৯ জুলাই ২০২৩
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৪ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।
অতিরিক্ত তাপে গরম করা
স্টেইনলেস স্টিল খুব দ্রুত এবং সমানভাবে গরম হয়। তাই শুরুতে বেশি আঁচে পাত্র বসালে তলার অংশ পুড়ে যেতে পারে বা কালচে দাগ পড়তে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যবহার করলে ধাতুর গঠন দুর্বল হয়ে পাত্র বাঁকা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এতে চুলার ওপর পাত্র ঠিকভাবে বসে না এবং রান্নার সময় তাপ সমানভাবে ছড়ায় না।
সমাধান: রান্না শুরু করুন কম বা মাঝারি আঁচে। পাত্র হালকা গরম হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে আঁচ বাড়ান। খালি পাত্র বেশি সময় চুলায় রাখবেন না।
গরম পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালা
রান্না শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম হাঁড়িতে ঠান্ডা পানি ঢাললে পাত্রে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এতে স্টেইনলেস স্টিলের ধাতব গঠনে চাপ পড়ে এবং পাত্র বেঁকে যেতে পারে বা তলার অংশ বিকৃত হয়ে যায়। এর ফলে পরে পাত্রে তাপ সমানভাবে ছড়ায় না এবং রান্নার মানও ব্যাহত হয়।
সমাধান: রান্না শেষ হলে পাত্র কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পরেই ধোয়া শুরু করলে পাত্রের গঠন ও কার্যকারিতা দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
ডিশওয়াশারে নিয়মিত ধোয়া
স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র পরিষ্কারে সাধারণত ডিশওয়াশার নিরাপদ হলেও নিয়মিত এটি দিয়ে পাত্রগুলো ধোয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ডিশওয়াশারে ব্যবহৃত শক্ত রাসায়নিক ডিটারজেন্ট এবং উচ্চ তাপমাত্রার পানির প্রভাবে পাত্রের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এর ফলে পাত্রে দাগ পড়তে শুরু করে, যা দেখতে অস্বস্তিকর এবং পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে ওঠে।
সমাধান: মাঝে মাঝে এ ধরনের পাত্র শুধু পানি দিয়ে অথবা সাধারণ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
ঠান্ডা পানিতে লবণ দেওয়া
অনেকে রান্নার শুরুতে ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে দেন। এটি স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের জন্য ক্ষতিকর। ঠান্ডা পানিতে দেওয়া লবণের ক্লোরাইড, স্টিলের ক্রোমিয়াম এবং পানির অক্সিজেন একসঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাত্রের গায়ে ছোট ছোট গর্তের মতো স্থায়ী দাগ তৈরি হয়, যাকে সহজে পরিষ্কার বা ঠিক করা যায় না এবং পাত্রের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব—দুটোই কমে যায়।
সমাধান: সব সময় পানি ফুটে ওঠার পরেই তাতে লবণ যোগ করুন।
ধোয়ার পর পাত্র না শুকানো
ধোয়ার পর স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে পানি জমে থাকলে খুব দ্রুত চুনের দাগ বা সাদা আস্তরণ পড়ে। পানির সঙ্গে থাকা খনিজ উপাদান শুকানোর সময় পাত্রের গায়ে লেগে যায় এবং ধীরে ধীরে দাগ স্থায়ী হয়ে ওঠে, যা পরে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় দিয়ে ভেতর ও বাইরে জমে থাকা পানি মুছে ফেলুন। এতে দাগ পড়া অনেক দেরি হবে এবং পাত্র দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকবে।
রোদে শুকাতে দেওয়া
অনেকে পাত্র ধুয়ে রোদে রেখে দেন, এটি ক্ষতিকর অভ্যাস। রোদে শুকানোর সময় পানির খনিজ উপাদান দ্রুত জমে গিয়ে স্টেইনলেস স্টিলের গায়ে দাগ তৈরি করতে পারে। এসব দাগ সহজে ওঠে না এবং পাত্রের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন এবং ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।
দাগ পড়লে করণীয়
বেকিং সোডা ও ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে দাগ উঠে যাবে এবং পাত্র আবার ঝকঝকে হবে।
সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও নিয়মিত যত্ন নিলে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকে। এতে পাত্রের সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকে, তেমনি তাপ পরিবহনের ক্ষমতাও নষ্ট হয় না। ফলে রান্না হয় সমান ও স্বাস্থ্যসম্মত এবং বারবার নতুন পাত্র কেনার প্রয়োজনও পড়ে না। একটু সচেতন ব্যবহারেই এই পাত্রগুলো বহু বছর ব্যবহার করা সম্ভব।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।
অতিরিক্ত তাপে গরম করা
স্টেইনলেস স্টিল খুব দ্রুত এবং সমানভাবে গরম হয়। তাই শুরুতে বেশি আঁচে পাত্র বসালে তলার অংশ পুড়ে যেতে পারে বা কালচে দাগ পড়তে পারে। দীর্ঘদিন এভাবে ব্যবহার করলে ধাতুর গঠন দুর্বল হয়ে পাত্র বাঁকা হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এতে চুলার ওপর পাত্র ঠিকভাবে বসে না এবং রান্নার সময় তাপ সমানভাবে ছড়ায় না।
সমাধান: রান্না শুরু করুন কম বা মাঝারি আঁচে। পাত্র হালকা গরম হওয়ার পর প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে আঁচ বাড়ান। খালি পাত্র বেশি সময় চুলায় রাখবেন না।
গরম পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালা
রান্না শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম হাঁড়িতে ঠান্ডা পানি ঢাললে পাত্রে হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এতে স্টেইনলেস স্টিলের ধাতব গঠনে চাপ পড়ে এবং পাত্র বেঁকে যেতে পারে বা তলার অংশ বিকৃত হয়ে যায়। এর ফলে পরে পাত্রে তাপ সমানভাবে ছড়ায় না এবং রান্নার মানও ব্যাহত হয়।
সমাধান: রান্না শেষ হলে পাত্র কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হওয়ার পরেই ধোয়া শুরু করলে পাত্রের গঠন ও কার্যকারিতা দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
ডিশওয়াশারে নিয়মিত ধোয়া
স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র পরিষ্কারে সাধারণত ডিশওয়াশার নিরাপদ হলেও নিয়মিত এটি দিয়ে পাত্রগুলো ধোয়া ক্ষতিকর হতে পারে। ডিশওয়াশারে ব্যবহৃত শক্ত রাসায়নিক ডিটারজেন্ট এবং উচ্চ তাপমাত্রার পানির প্রভাবে পাত্রের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এর ফলে পাত্রে দাগ পড়তে শুরু করে, যা দেখতে অস্বস্তিকর এবং পরিষ্কার করাও কঠিন হয়ে ওঠে।
সমাধান: মাঝে মাঝে এ ধরনের পাত্র শুধু পানি দিয়ে অথবা সাধারণ সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
ঠান্ডা পানিতে লবণ দেওয়া
অনেকে রান্নার শুরুতে ঠান্ডা পানিতে লবণ দিয়ে দেন। এটি স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রের জন্য ক্ষতিকর। ঠান্ডা পানিতে দেওয়া লবণের ক্লোরাইড, স্টিলের ক্রোমিয়াম এবং পানির অক্সিজেন একসঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাত্রের গায়ে ছোট ছোট গর্তের মতো স্থায়ী দাগ তৈরি হয়, যাকে সহজে পরিষ্কার বা ঠিক করা যায় না এবং পাত্রের সৌন্দর্য ও স্থায়িত্ব—দুটোই কমে যায়।
সমাধান: সব সময় পানি ফুটে ওঠার পরেই তাতে লবণ যোগ করুন।
ধোয়ার পর পাত্র না শুকানো
ধোয়ার পর স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে পানি জমে থাকলে খুব দ্রুত চুনের দাগ বা সাদা আস্তরণ পড়ে। পানির সঙ্গে থাকা খনিজ উপাদান শুকানোর সময় পাত্রের গায়ে লেগে যায় এবং ধীরে ধীরে দাগ স্থায়ী হয়ে ওঠে, যা পরে পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় দিয়ে ভেতর ও বাইরে জমে থাকা পানি মুছে ফেলুন। এতে দাগ পড়া অনেক দেরি হবে এবং পাত্র দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকবে।
রোদে শুকাতে দেওয়া
অনেকে পাত্র ধুয়ে রোদে রেখে দেন, এটি ক্ষতিকর অভ্যাস। রোদে শুকানোর সময় পানির খনিজ উপাদান দ্রুত জমে গিয়ে স্টেইনলেস স্টিলের গায়ে দাগ তৈরি করতে পারে। এসব দাগ সহজে ওঠে না এবং পাত্রের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।
সমাধান: পাত্র ধোয়ার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন এবং ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে রাখুন।
দাগ পড়লে করণীয়
বেকিং সোডা ও ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে হালকা করে ঘষে পরিষ্কার করুন। এতে দাগ উঠে যাবে এবং পাত্র আবার ঝকঝকে হবে।
সঠিক নিয়মে ব্যবহার ও নিয়মিত যত্ন নিলে স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকে। এতে পাত্রের সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকে, তেমনি তাপ পরিবহনের ক্ষমতাও নষ্ট হয় না। ফলে রান্না হয় সমান ও স্বাস্থ্যসম্মত এবং বারবার নতুন পাত্র কেনার প্রয়োজনও পড়ে না। একটু সচেতন ব্যবহারেই এই পাত্রগুলো বহু বছর ব্যবহার করা সম্ভব।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো,
২৯ জুলাই ২০২৩
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
২ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

একবার ভাবুন, কেনাকাটার জন্য রাষ্ট্র আপনার অ্যাকাউন্টে নিয়ম করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে! কেমন হবে বিষয়টি? না, এটি কোনো কল্পনা নয়। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে তিন মাস পরপর প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হচ্ছে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে।
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) কর্মসূচির অর্থ বিতরণ।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মার্শাল আইল্যান্ডসে বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিক তিন মাস পর প্রায় ২০০ ডলার পাবেন। আর বছরে পাবেন প্রায় ৮০০ ডলার। প্রায় ৪২ হাজার জনসংখ্যার এই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনের চাপ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশটির অর্থমন্ত্রী ডেভিড পল এই ভাতাকে ‘মানসিক শক্তি জোগানোর উপায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।’
ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা পাওয়ার সুযোগ

এই কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নাগরিকেরা শুধু প্রচলিত ব্যাংক ট্রান্সফার বা চেকের ওপর নির্ভরশীল নন; চাইলে তাঁরা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও সরাসরি অর্থ গ্রহণ করতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করে। এটি মার্শাল আইল্যান্ডসকে বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণে পরিণত করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দ্বীপে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকর ও আধুনিক সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রকল্পের অর্থ ব্যবস্থাপক আনেলি সারানা জানান, প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণের পর রাজধানী এবং আশপাশের এলাকায় একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘রাস্তাঘাটে এমন ভিড় আগে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল, যেন বড় কোনো উৎসব চলছে।’ তিনি আরও জানান, কর্মসূচির আওতায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে তাঁর দলকে অনেক দুর্গম দ্বীপে নৌকায় করে যেতে হয়েছে। সেখানে গিয়ে নাগরিকদের নিবন্ধন, পরিচয় যাচাই এবং অর্থ গ্রহণের পদ্ধতি বোঝানোর কাজ করতে হয়েছে, যা পুরো উদ্যোগকে আরও মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলেছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ড. ফাম হুই মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে ব্লক চেইন ব্যবহার করে ইউবিআই বিতরণ করা একটি অভিনব পদক্ষেপ। তাঁর মতে, মার্কিন ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত স্টেবল কয়েন ব্যবহারের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা শত শত ছোট দ্বীপে নগদ অর্থ পরিবহনের ব্যয় ও ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলা সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাকিরা চেক পছন্দ করছেন। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে মাত্র ১২ জন নাগরিক ই-ওয়ালেট ব্যবহারে নিবন্ধন করেছিলেন।
ড. হুইর মতে, এ পদ্ধতির বড় বাধা হলো অবকাঠামো—স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্টফোন। এই দুটি সুবিধা এখনো মার্শাল আইল্যান্ডসের অনেক অঞ্চলে বিলাসিতার পর্যায়ে রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান না হলে ডিজিটাল অর্থ প্রদান পুরোপুরি কার্যকর হবে না।
আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ
যদিও দেশের ভেতরে এই উদ্যোগ ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এটি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) কর্মসূচিটির আর্থিক ঝুঁকি এবং তদারকি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এই ইউবিআই কর্মসূচির অর্থ আসছে ১৩০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্র অতীতে মার্শাল আইল্যান্ডসে পরিচালিত পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছিল।
ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার চাপ কমাতে মার্শাল আইল্যান্ডসের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তার এমন সমন্বয় ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

একবার ভাবুন, কেনাকাটার জন্য রাষ্ট্র আপনার অ্যাকাউন্টে নিয়ম করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছে! কেমন হবে বিষয়টি? না, এটি কোনো কল্পনা নয়। জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় সামাল দিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মার্শাল আইল্যান্ডসের নাগরিকেরা এখন নিয়মিত নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে তিন মাস পরপর প্রায় ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হচ্ছে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে।
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) কর্মসূচির অর্থ বিতরণ।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, মার্শাল আইল্যান্ডসে বসবাসরত প্রত্যেক নাগরিক তিন মাস পর প্রায় ২০০ ডলার পাবেন। আর বছরে পাবেন প্রায় ৮০০ ডলার। প্রায় ৪২ হাজার জনসংখ্যার এই দেশে মুদ্রাস্ফীতি ও অভিবাসনের চাপ বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশটির অর্থমন্ত্রী ডেভিড পল এই ভাতাকে ‘মানসিক শক্তি জোগানোর উপায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে।’
ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা পাওয়ার সুযোগ

এই কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নাগরিকেরা শুধু প্রচলিত ব্যাংক ট্রান্সফার বা চেকের ওপর নির্ভরশীল নন; চাইলে তাঁরা ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমেও সরাসরি অর্থ গ্রহণ করতে পারছেন। এই পদ্ধতিতে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিত করে। এটি মার্শাল আইল্যান্ডসকে বিশ্বে একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণে পরিণত করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দ্বীপে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকর ও আধুনিক সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রকল্পের অর্থ ব্যবস্থাপক আনেলি সারানা জানান, প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণের পর রাজধানী এবং আশপাশের এলাকায় একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাঁর ভাষায়, ‘রাস্তাঘাটে এমন ভিড় আগে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছিল, যেন বড় কোনো উৎসব চলছে।’ তিনি আরও জানান, কর্মসূচির আওতায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে তাঁর দলকে অনেক দুর্গম দ্বীপে নৌকায় করে যেতে হয়েছে। সেখানে গিয়ে নাগরিকদের নিবন্ধন, পরিচয় যাচাই এবং অর্থ গ্রহণের পদ্ধতি বোঝানোর কাজ করতে হয়েছে, যা পুরো উদ্যোগকে আরও মানবিক ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলেছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জ
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ড. ফাম হুই মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে ব্লক চেইন ব্যবহার করে ইউবিআই বিতরণ করা একটি অভিনব পদক্ষেপ। তাঁর মতে, মার্কিন ডলারের সঙ্গে সংযুক্ত স্টেবল কয়েন ব্যবহারের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরে ছড়িয়ে থাকা শত শত ছোট দ্বীপে নগদ অর্থ পরিবহনের ব্যয় ও ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে তোলা সহজ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনো প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাকিরা চেক পছন্দ করছেন। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে মাত্র ১২ জন নাগরিক ই-ওয়ালেট ব্যবহারে নিবন্ধন করেছিলেন।
ড. হুইর মতে, এ পদ্ধতির বড় বাধা হলো অবকাঠামো—স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্টফোন। এই দুটি সুবিধা এখনো মার্শাল আইল্যান্ডসের অনেক অঞ্চলে বিলাসিতার পর্যায়ে রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান না হলে ডিজিটাল অর্থ প্রদান পুরোপুরি কার্যকর হবে না।
আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ
যদিও দেশের ভেতরে এই উদ্যোগ ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এটি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) কর্মসূচিটির আর্থিক ঝুঁকি এবং তদারকি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে এই ইউবিআই কর্মসূচির অর্থ আসছে ১৩০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের একটি ট্রাস্ট ফান্ড থেকে। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্র অতীতে মার্শাল আইল্যান্ডসে পরিচালিত পারমাণবিক পরীক্ষার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিয়েছিল।
ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার চাপ কমাতে মার্শাল আইল্যান্ডসের এই উদ্যোগ বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তার এমন সমন্বয় ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো,
২৯ জুলাই ২০২৩
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
২ ঘণ্টা আগে
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৪ ঘণ্টা আগে
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না;
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, বসের কাছে আপনার পণ্ডিতি আসলে ‘উলুবনে মুক্তা ছড়ানো’। আজ রাস্তায় কোনো পরিচিত পুরোনো শত্রু বা পাওনাদার দেখলে সরাসরি উল্টো দিকে স্প্রিন্ট দিন। টাকা ধার চাইলে ‘ভুলে গেছি’ বলার চেয়ে ‘আমি তো ফকির’ বলা বেশি কার্যকর।
বৃষ
আপনার অলসতা আজ হিমালয় পর্বতের উচ্চতাকে হেলায় হারিয়ে দেবে। বিছানা থেকে এক ইঞ্চি নড়তে গেলেই মনে হবে পৃথিবীটা গোল নয়, বরং চৌকো এবং আরামদায়ক একটা গদি। ফ্রিজ খোলার সময় চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। গত সপ্তাহের পচা তরকারি আজ ‘জম্বি’ হয়ে আপনাকে আক্রমণ করতে পারে। কেউ যদি বলে ‘একটু কাজ আছে’, তবে দেরি না করে তড়িৎ গতিতে কানে হেডফোন গুঁজে দিন এবং ধ্যান করার ভান করুন।
মিথুন
মনের ভেতর আজ একটা অদ্ভুত দুরু দুরু ভাব কাজ করবে। তবে ভুল করবেন না, ওটা প্রেমের হাওয়া নয়; ওটা হলো মাসের শেষের দিকে আপনার মানিব্যাগের অতল গহ্বর বা বিশাল ব্ল্যাকহোল দেখে তৈরি হওয়া আতঙ্ক। শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় কোনো উপহার বা সাহায্যের আশা করছেন? সাবধান! তারা হয়তো আপনার কাছেই আজ এক লম্বা ফিরিস্তি বা সাহায্যের আবেদন পাঠিয়ে বসবে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলোসফিক্যাল বা জ্ঞানী কথা কম পোস্ট করুন। ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই জানে যে আপনি আসলে কপি-পেস্টের দোকান!
কর্কট
আপনি আজ কোনো কারণ ছাড়াই অতি আবেগপ্রবণ। ইউটিউবে বিড়ালের কান্নার ভিডিও দেখে বা রাস্তার কুকুরের লেজ নাড়া দেখেও দুই চোখ প্লাবিত হতে পারে। পুরোনো প্রেমিকের ‘হাই’ লেখা মেসেজ সিন করবেন না। ওটা আসলে মহাজাগতিক কোনো ফান বা ভুতুড়ে ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ বেশি হাসাহাসি করবেন না, বিশেষ করে একা একা। আশপাশের লোক আপনাকে এমনিতেই পাগল ভাবে, সেটা আবার প্রমাণ করে দেওয়ার দরকার নেই।
সিংহ
আপনার রাজকীয় গর্জন আজ কেবল বাথরুমের শাওয়ারের নিচে গান গাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরে বেরোলে আপনাকে পাড়ার নেড়ি কুকুরের চেয়েও বেশি নিরীহ দেখাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রূপচর্চা করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করবেন না। আপনার রূপ কমেনি ঠিকই, কিন্তু মেকআপের খরচ বাজেটে আগুন লাগিয়ে দেবে। শেয়ারবাজারে বড় ইনভেস্টমেন্টের কথা ভাবছেন? ওটা স্বপ্নের মধ্যেই রাখুন, বাস্তবে আপনার পকেটে এখন শুধু বাস ভাড়ার টাকাই অবশিষ্ট আছে।
কন্যা
আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে। ঘরের কোণে এক কণা ধুলা দেখলে বা চাদরে একটা ভাঁজ থাকলে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। রান্নাঘরে বেশি কারসাজি করতে যাবেন না। লবণের বদলে চিনি ঢেলে দিলে বাড়ির লোক আপনাকে আজ ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে দেবে। পৃথিবীটা আপনার পারফেকশন অনুযায়ী চলে না—এই তিতা সত্যটা আজ অন্তত মেনে নিন এবং একটু অগোছালো হয়ে বাঁচুন।
তুলা
আপনি আজ লাইফ ব্যালেন্স করতে গিয়ে সারা দিন শুধু ডিগবাজি খাবেন। শপিং মলে ঢুকলে আপনার মাসের বাজেটের দফারফা হওয়া নিশ্চিত। অজানা কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে ১০ টাকা নিয়ে মারপিট করতে গেলে মানসম্মান প্লাস্টিকের মতো গলে যাবে। পকেটে টাকা না থাকলে আইফোন ১৬-এর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে ছবি তোলা প্র্যাকটিস করুন।
বৃশ্চিক
আপনার ভেতর আজ একটা ‘শার্লক হোমস’ সত্তা জেগে উঠবে। অকারণে বাড়ির লোকের ফোন চেক করা বা অন্যের গোপন কথা শোনার তীব্র ইচ্ছা হবে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে খামখেয়ালি আচরণ করবেন না। ওনার মেজাজ আজ হাইড্রোজেনের বেলুন, একটু চিমটি কাটলেই প্রচণ্ড শব্দে ফেটে যাবে। অন্যের গোপন রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে ভুলেও নিজের পাসওয়ার্ড বা ব্রাউজার হিস্ট্রি প্রকাশ করে দেবেন না।
ধনু
আপনি আজ বিশ্বভ্রমণে যেতে চাইবেন, ব্যাকপ্যাক গুছিয়েও ফেলবেন, কিন্তু শেষমেশ রেলওয়ের অ্যাপে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ দেখে সোফায় এসে বসে পড়বেন। বাড়িতে স্ত্রীর সব কথা বিনা বাক্যে মেনে চলুন। ‘ওয়াইফ ইজ অলওয়েজ রাইট’ থিওরি আজ আপনার জন্য আইনত বাধ্যতামূলক। নতুন সাদা শার্ট পরে বাইরে বেরোবেন না। কারণ, পাশ দিয়ে যাওয়া বাইকের কাদা আজ আপনার শার্টেই ঠিকানার খোঁজ করবে।
মকর
আজ এতই গম্ভীর আর কাঠখোট্টা হয়ে থাকবেন যে পাড়ার ছোট শিশুরা আপনাকে ভুল করে পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ভাবতে পারে। কাজের চাপে মাথা এত বেশি চুলকাবেন না যে দিনের শেষে আয়নায় শুধু টাক দেখা যায়। একটু রিলাক্স করুন। মাঝেমধ্যে ৩২ পাটি দাঁত বের করে হাসুন। হাসিটা ভুতুড়ে হলেও লোকে অন্তত আপনাকে মানুষ বলে বিশ্বাস করবে।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ সরাসরি মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেবে। ইলন মাস্কের সঙ্গে মনে মনে কফি খেলেও বাস্তব দুনিয়ার ট্যাক্স ফাইল আপনাকে মাটিতে টেনে নামাবে। ছোট ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। সেই ঝগড়ায় জেতার জন্য পুরোনো কাসুন্দি না ঘাঁটাই ভালো। মন বড় করে আজ কাউকে কিছু দান করুন। অন্তত ওয়ার্ডরোবের সেই ছিদ্র হওয়া মোজাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে বিশ্বকে রক্ষা করুন।
মীন
আজ কল্পনার রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ডিনার করছেন। বাস্তবে মেনুতে মাছে-ভাতে দিন কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও স্রেফ আলুভাত জুটলে সেটাকেই ভাগ্য মেনে নিন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোন টিপবেন না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আজ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নাক চ্যাপ্টা হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা! কারও মিষ্টি কথায় গলে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের পিন বা ওটিপি দিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, গ্রহের ফেরের চেয়ে হ্যাকারের ফের বেশি বিপজ্জনক।

মেষ
আপনি আজ নিজেকে মার্ভেল সিনেমার ‘সুপারম্যান’ মনে করবেন এবং কোনো অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আপনার ল্যান্ডিংটা হবে পাড়ার মোড়ের খোলা ড্রেনে। অফিসের মিটিংয়ে বসের সামনে খুব বেশি ‘আইনস্টাইন’ সাজার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, বসের কাছে আপনার পণ্ডিতি আসলে ‘উলুবনে মুক্তা ছড়ানো’। আজ রাস্তায় কোনো পরিচিত পুরোনো শত্রু বা পাওনাদার দেখলে সরাসরি উল্টো দিকে স্প্রিন্ট দিন। টাকা ধার চাইলে ‘ভুলে গেছি’ বলার চেয়ে ‘আমি তো ফকির’ বলা বেশি কার্যকর।
বৃষ
আপনার অলসতা আজ হিমালয় পর্বতের উচ্চতাকে হেলায় হারিয়ে দেবে। বিছানা থেকে এক ইঞ্চি নড়তে গেলেই মনে হবে পৃথিবীটা গোল নয়, বরং চৌকো এবং আরামদায়ক একটা গদি। ফ্রিজ খোলার সময় চরম সাবধানতা অবলম্বন করুন। গত সপ্তাহের পচা তরকারি আজ ‘জম্বি’ হয়ে আপনাকে আক্রমণ করতে পারে। কেউ যদি বলে ‘একটু কাজ আছে’, তবে দেরি না করে তড়িৎ গতিতে কানে হেডফোন গুঁজে দিন এবং ধ্যান করার ভান করুন।
মিথুন
মনের ভেতর আজ একটা অদ্ভুত দুরু দুরু ভাব কাজ করবে। তবে ভুল করবেন না, ওটা প্রেমের হাওয়া নয়; ওটা হলো মাসের শেষের দিকে আপনার মানিব্যাগের অতল গহ্বর বা বিশাল ব্ল্যাকহোল দেখে তৈরি হওয়া আতঙ্ক। শ্বশুরবাড়ি থেকে বড় কোনো উপহার বা সাহায্যের আশা করছেন? সাবধান! তারা হয়তো আপনার কাছেই আজ এক লম্বা ফিরিস্তি বা সাহায্যের আবেদন পাঠিয়ে বসবে। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলোসফিক্যাল বা জ্ঞানী কথা কম পোস্ট করুন। ফ্রেন্ডলিস্টের সবাই জানে যে আপনি আসলে কপি-পেস্টের দোকান!
কর্কট
আপনি আজ কোনো কারণ ছাড়াই অতি আবেগপ্রবণ। ইউটিউবে বিড়ালের কান্নার ভিডিও দেখে বা রাস্তার কুকুরের লেজ নাড়া দেখেও দুই চোখ প্লাবিত হতে পারে। পুরোনো প্রেমিকের ‘হাই’ লেখা মেসেজ সিন করবেন না। ওটা আসলে মহাজাগতিক কোনো ফান বা ভুতুড়ে ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ বেশি হাসাহাসি করবেন না, বিশেষ করে একা একা। আশপাশের লোক আপনাকে এমনিতেই পাগল ভাবে, সেটা আবার প্রমাণ করে দেওয়ার দরকার নেই।
সিংহ
আপনার রাজকীয় গর্জন আজ কেবল বাথরুমের শাওয়ারের নিচে গান গাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরে বেরোলে আপনাকে পাড়ার নেড়ি কুকুরের চেয়েও বেশি নিরীহ দেখাবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রূপচর্চা করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট করবেন না। আপনার রূপ কমেনি ঠিকই, কিন্তু মেকআপের খরচ বাজেটে আগুন লাগিয়ে দেবে। শেয়ারবাজারে বড় ইনভেস্টমেন্টের কথা ভাবছেন? ওটা স্বপ্নের মধ্যেই রাখুন, বাস্তবে আপনার পকেটে এখন শুধু বাস ভাড়ার টাকাই অবশিষ্ট আছে।
কন্যা
আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে। ঘরের কোণে এক কণা ধুলা দেখলে বা চাদরে একটা ভাঁজ থাকলে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা। রান্নাঘরে বেশি কারসাজি করতে যাবেন না। লবণের বদলে চিনি ঢেলে দিলে বাড়ির লোক আপনাকে আজ ‘উন্মাদ’ ঘোষণা করে দেবে। পৃথিবীটা আপনার পারফেকশন অনুযায়ী চলে না—এই তিতা সত্যটা আজ অন্তত মেনে নিন এবং একটু অগোছালো হয়ে বাঁচুন।
তুলা
আপনি আজ লাইফ ব্যালেন্স করতে গিয়ে সারা দিন শুধু ডিগবাজি খাবেন। শপিং মলে ঢুকলে আপনার মাসের বাজেটের দফারফা হওয়া নিশ্চিত। অজানা কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে ১০ টাকা নিয়ে মারপিট করতে গেলে মানসম্মান প্লাস্টিকের মতো গলে যাবে। পকেটে টাকা না থাকলে আইফোন ১৬-এর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড দিয়ে ছবি তোলা প্র্যাকটিস করুন।
বৃশ্চিক
আপনার ভেতর আজ একটা ‘শার্লক হোমস’ সত্তা জেগে উঠবে। অকারণে বাড়ির লোকের ফোন চেক করা বা অন্যের গোপন কথা শোনার তীব্র ইচ্ছা হবে। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে খামখেয়ালি আচরণ করবেন না। ওনার মেজাজ আজ হাইড্রোজেনের বেলুন, একটু চিমটি কাটলেই প্রচণ্ড শব্দে ফেটে যাবে। অন্যের গোপন রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে ভুলেও নিজের পাসওয়ার্ড বা ব্রাউজার হিস্ট্রি প্রকাশ করে দেবেন না।
ধনু
আপনি আজ বিশ্বভ্রমণে যেতে চাইবেন, ব্যাকপ্যাক গুছিয়েও ফেলবেন, কিন্তু শেষমেশ রেলওয়ের অ্যাপে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ দেখে সোফায় এসে বসে পড়বেন। বাড়িতে স্ত্রীর সব কথা বিনা বাক্যে মেনে চলুন। ‘ওয়াইফ ইজ অলওয়েজ রাইট’ থিওরি আজ আপনার জন্য আইনত বাধ্যতামূলক। নতুন সাদা শার্ট পরে বাইরে বেরোবেন না। কারণ, পাশ দিয়ে যাওয়া বাইকের কাদা আজ আপনার শার্টেই ঠিকানার খোঁজ করবে।
মকর
আজ এতই গম্ভীর আর কাঠখোট্টা হয়ে থাকবেন যে পাড়ার ছোট শিশুরা আপনাকে ভুল করে পুলিশ বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসার ভাবতে পারে। কাজের চাপে মাথা এত বেশি চুলকাবেন না যে দিনের শেষে আয়নায় শুধু টাক দেখা যায়। একটু রিলাক্স করুন। মাঝেমধ্যে ৩২ পাটি দাঁত বের করে হাসুন। হাসিটা ভুতুড়ে হলেও লোকে অন্তত আপনাকে মানুষ বলে বিশ্বাস করবে।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ সরাসরি মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দেবে। ইলন মাস্কের সঙ্গে মনে মনে কফি খেলেও বাস্তব দুনিয়ার ট্যাক্স ফাইল আপনাকে মাটিতে টেনে নামাবে। ছোট ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। সেই ঝগড়ায় জেতার জন্য পুরোনো কাসুন্দি না ঘাঁটাই ভালো। মন বড় করে আজ কাউকে কিছু দান করুন। অন্তত ওয়ার্ডরোবের সেই ছিদ্র হওয়া মোজাগুলো ডাস্টবিনে ফেলে বিশ্বকে রক্ষা করুন।
মীন
আজ কল্পনার রাজপ্রাসাদে রাজকীয় ডিনার করছেন। বাস্তবে মেনুতে মাছে-ভাতে দিন কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও স্রেফ আলুভাত জুটলে সেটাকেই ভাগ্য মেনে নিন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোন টিপবেন না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আজ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, নাক চ্যাপ্টা হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা! কারও মিষ্টি কথায় গলে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের পিন বা ওটিপি দিয়ে দেবেন না। মনে রাখবেন, গ্রহের ফেরের চেয়ে হ্যাকারের ফের বেশি বিপজ্জনক।

চিড়িয়াখানা বা সাফারি পার্কে বাঘ দেখা যায় অনায়াসেই। তবে জঙ্গলে বাঘকে তার নিজের পরিবেশে দেখার যে আনন্দ কিংবা রোমাঞ্চ, তার কোনো তুলনা নেই। বাঘ দিবসে পৃথিবীর এমন কিছু জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যেখানে ভাগ্য ভালো থাকলে বুনো পরিবেশে রাজকীয় এই প্রাণীটির দেখা পেয়ে যেতে পারেন। অবশ্য এখানে বলে রাখা ভালো,
২৯ জুলাই ২০২৩
নিজের শেষকৃত্য, উইল, চিকিৎসা ব্যয় এমনকি ভবিষ্যৎ পরিচর্যার ব্যবস্থাও আগেভাগে গুছিয়ে রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রবীণ নাগরিক। উদ্দেশ্য একটাই—বার্ধক্যে বা মৃত্যুর পর যেন সন্তানদের আর্থিক ও মানসিক চাপে না ফেলতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের দেখভালের অভিজ্ঞতা থেকে আজকের বেবি বুমার ও জেন এক্স প্রজন্ম
২ ঘণ্টা আগে
স্টেইনলেস স্টিলের হাঁড়িপাতিল দ্রুত তাপ সরবরাহ করে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় রান্নাঘরে খুবই জনপ্রিয়। তবে ভুলভাবে ব্যবহার করলে এগুলো হলদেটে হয়ে যেতে পারে, দাগ পড়ে এবং এগুলোর আয়ু কমে যায়। তাই স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহারে কিছু ভুল এড়ানো জরুরি। এতে এসব তৈজসপত্র আরও টেকসই হয়।...
৪ ঘণ্টা আগে
গত নভেম্বরের শেষ দিক থেকে দেশটির রাজধানী মাজুরোর চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের ভিড়, দোকানপাটে জমেছে কেনাকাটার ধুম। খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি মানুষ উদ্যাপন করছে গসপেল ডে। এই আনন্দের মূল কারণ হলো, দেশজুড়ে চালু হওয়া প্রথম ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম...
৬ ঘণ্টা আগে