অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
আমি বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। পরিবার, এমনকি বন্ধুবান্ধবের কাছেও। এসব আমি নিতে পারছি না। এমনকি সুইসাইড করার চেষ্টাও করেছি দুবার। একবার হাসপাতালে নিতে হয়েছে। তখন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে মা-বাবা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আমি সবার কথার কারণেই ডিপ্রেশনে চলে গেছি। কিন্তু তাঁরা বুঝতে নারাজ। তাঁরা আমাকে আবারও বুলিং করা শুরু করে কয়েক মাস পর। এখন বাসা থেকে বের হই না। সে জন্যও অনেকে অনেক কথা শোনায়। জানি না, কী করব। অন্য ভাইবোনেরাও আমার কারণে লোকের কাছে কথা শোনে। এটাও নিতে পারি না। জানি না, ঠিক কী করলে পরিত্রাণ পাব। একজন মানসিক চিকিৎসকের কাছে বেশ কিছুদিন কাউন্সেলিং করেছি। কেন এখান থেকে বের হতে পারছি না?
অপালা, চট্টগ্রাম
উত্তর: আপনি যে সাহস করে বুলিং প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করেছেন, সেটা জরুরি ছিল। কারণ, ইদানীং এটা প্রচণ্ডভাবে বেড়ে গেছে। কোনো ধরনের বুলিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন, সেটা জানালে ভালো হতো। এটি শারীরিক, মৌখিক, মানসিক, আবেগীয়, সাইবার, জাতিগত, যৌন হয়রানিমূলক ইত্যাদি নানা ধরনের হয়ে থাকে।
সংবাদমাধ্যমে আমরা জানি, ২০১৯ সালে ইউনিসেফের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি চারজন শিক্ষার্থীর একজন সমবয়সীদের বুলিংয়ের শিকার হয়। এখন প্রশ্ন হলো, এর মুখোমুখি হলে করণীয় কী? চুপ করে থাকা সঠিক সমাধান নয় সব সময়। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করার সাহস অর্জন করা জরুরি। ক্ষেত্রবিশেষে অথরিটির কাউকে বা বড়দের জানানো প্রয়োজন। আপনাকে যে বুলিং করা হচ্ছে, সেই ডকুমেন্ট প্রয়োজনে জমা রাখুন।
মনে রাখবেন, যারা অন্যকে বুলিং করে, তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। ইদানীং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পরিমাণ ট্রল দেখা যায়, সেটাও একধরনের বুলিং।
যেকোনো মূল্যে এটিকে না বলতে হবে। একা না পারলে আপনাকে সহায়তা করতে পারেন—এমন বড় মানুষকে সঙ্গে নিন। কম বয়স এবং জীবনের কম অভিজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো আপনি নিজে সামাল দিতে পারবেন না। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব প্রতিবাদ করাটা স্বাস্থ্যসম্মত।
বুলিংয়ের কারণে আত্মহত্যা করতে যাওয়া বোকামি। অন্যের মানসিক অসুস্থতার দায়ভার আপনি কেন নেবেন? আমরা কখনোই অন্যকে বদলাতে পারি না। আমরা শুধু নিজেকে বদলাতে পারি। কাজেই ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, আপনার কোন আচরণগুলো বদলালে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং চমৎকার কাজ করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
আমি বিভিন্নভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। পরিবার, এমনকি বন্ধুবান্ধবের কাছেও। এসব আমি নিতে পারছি না। এমনকি সুইসাইড করার চেষ্টাও করেছি দুবার। একবার হাসপাতালে নিতে হয়েছে। তখন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবকে মা-বাবা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে আমি সবার কথার কারণেই ডিপ্রেশনে চলে গেছি। কিন্তু তাঁরা বুঝতে নারাজ। তাঁরা আমাকে আবারও বুলিং করা শুরু করে কয়েক মাস পর। এখন বাসা থেকে বের হই না। সে জন্যও অনেকে অনেক কথা শোনায়। জানি না, কী করব। অন্য ভাইবোনেরাও আমার কারণে লোকের কাছে কথা শোনে। এটাও নিতে পারি না। জানি না, ঠিক কী করলে পরিত্রাণ পাব। একজন মানসিক চিকিৎসকের কাছে বেশ কিছুদিন কাউন্সেলিং করেছি। কেন এখান থেকে বের হতে পারছি না?
অপালা, চট্টগ্রাম
উত্তর: আপনি যে সাহস করে বুলিং প্রসঙ্গটি উপস্থাপন করেছেন, সেটা জরুরি ছিল। কারণ, ইদানীং এটা প্রচণ্ডভাবে বেড়ে গেছে। কোনো ধরনের বুলিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছেন, সেটা জানালে ভালো হতো। এটি শারীরিক, মৌখিক, মানসিক, আবেগীয়, সাইবার, জাতিগত, যৌন হয়রানিমূলক ইত্যাদি নানা ধরনের হয়ে থাকে।
সংবাদমাধ্যমে আমরা জানি, ২০১৯ সালে ইউনিসেফের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি চারজন শিক্ষার্থীর একজন সমবয়সীদের বুলিংয়ের শিকার হয়। এখন প্রশ্ন হলো, এর মুখোমুখি হলে করণীয় কী? চুপ করে থাকা সঠিক সমাধান নয় সব সময়। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করার সাহস অর্জন করা জরুরি। ক্ষেত্রবিশেষে অথরিটির কাউকে বা বড়দের জানানো প্রয়োজন। আপনাকে যে বুলিং করা হচ্ছে, সেই ডকুমেন্ট প্রয়োজনে জমা রাখুন।
মনে রাখবেন, যারা অন্যকে বুলিং করে, তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। ইদানীং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পরিমাণ ট্রল দেখা যায়, সেটাও একধরনের বুলিং।
যেকোনো মূল্যে এটিকে না বলতে হবে। একা না পারলে আপনাকে সহায়তা করতে পারেন—এমন বড় মানুষকে সঙ্গে নিন। কম বয়স এবং জীবনের কম অভিজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে হয়তো আপনি নিজে সামাল দিতে পারবেন না। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব প্রতিবাদ করাটা স্বাস্থ্যসম্মত।
বুলিংয়ের কারণে আত্মহত্যা করতে যাওয়া বোকামি। অন্যের মানসিক অসুস্থতার দায়ভার আপনি কেন নেবেন? আমরা কখনোই অন্যকে বদলাতে পারি না। আমরা শুধু নিজেকে বদলাতে পারি। কাজেই ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, আপনার কোন আচরণগুলো বদলালে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং চমৎকার কাজ করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
নারীরা সৌন্দর্যচর্চায় যতটা সিদ্ধহস্ত, পুরুষেরা ততটা নন। আবার যেসব সচেতন পুরুষ সপ্তাহে মনে করে এক দিন প্যাক ব্যবহার করেন, নিয়মিত স্যালনে গিয়ে ত্বক পরিচর্যা করান, তাঁরা হাসিঠাট্টার পাত্র হয়ে ওঠেন। প্রশ্ন হলো, সৌন্দর্যচর্চা কি কেবল নারীর জন্য? পত্রপত্রিকায় ছাপানো ছবি, সৌন্দর্যবিষয়ক পণ্যের...
১০ ঘণ্টা আগেসাজতে ভালোবাসেন যাঁরা, গরমকালকে তাঁরা তোয়াক্কাই করেন না! তেতে ওঠা গ্রীষ্মও তাঁদের কাছে দারুণ সময় রংচঙে পোশাক পরার জন্য। ট্রেন্ড সেটাররা শীতকালকে ফ্যাশনেবল মানেন যেমন, তেমনি গরমকালও তাঁদের জন্য ধরাবাঁধা স্টাইল থেকে বেরোনোর মোক্ষম সময়। নান্দনিকতা, স্বাচ্ছন্দ্য ও পরিমিতিবোধ রেখেই ছক থেকে বেরিয়ে...
১০ ঘণ্টা আগেআমিষের চাহিদা সহজে মেটাতে মাছের বিকল্প নেই। কিন্তু রান্না করা খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করছে কি না, ঋতুকালীন অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে সক্ষম কি না, সেসবও দেখার বিষয়। সপ্তাহের কোনো কোনো দিন এমন উপকরণ মিশিয়ে রান্না করুন, যা শরীরের রোগবালাই সারাতে সহায়তা করে।
১১ ঘণ্টা আগেবারান্দায় বসার জন্য চেয়ার কিনেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবহার আর ঘষে পরিষ্কার করতে করতে চেয়ারের রঙের বারোটা বেজে গেছে। যেহেতু ভেঙে যায়নি, তাই ফেলতেও মায়া হচ্ছে, তাই তো? চাইলে পুরোনো এই চেয়ারকে নতুন কোনো কাজে লাগাতে পারেন। কীভাবে?
১১ ঘণ্টা আগে