জীবনধারা ডেস্ক

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্রসৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও জায়গাগুলো বেশ জনপ্রিয়। গত বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান দেখতে, সেগুলোর কথা জেনে নেওয়া যাক।
ব্লু রিজ পার্কওয়ে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের এই পার্কে ২০২৩ সালে ঘুরতে গিয়েছিলেন ১৬.৭৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী। রাস্তাজুড়ে পাহাড়ের দৃশ্য, কিছুদূর পরপর পিকনিক স্পট, সহজ থেকে কঠিন শ্বাসরুদ্ধকর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে এখানে। পার্কওয়েটি ভার্জিনিয়ার শেনানডোহ ন্যাশনাল পার্কের স্কাইলাইন ড্রাইভের দক্ষিণ টার্মিনাস থেকে উত্তর ক্যারোলিনার স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ওকোনালুফটি পর্যন্ত বিস্তৃত। আশপাশের এলাকার তুলনায় এই এলাকা ঠান্ডা ও আর্দ্র। পার্কওয়েটি ‘আমেরিকা’স ফেবারিট ড্রাইভ’ নামেও পরিচিত। ৪৬৯ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি ইউএস ন্যাশনাল পার্ক সিস্টেমের অংশ এবং ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস পরিচালিত। এর অনেক অংশ প্রতি শীতকালে বরফের কারণে বন্ধ থাকে।
গোল্ডেন গেট ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার ৮২ হাজার ১১৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই রিক্রিয়েশন এরিয়া। এই আয়তন সান ফ্রান্সিসকোর শহর ও কাউন্টি থেকে আড়াই গুণ বেশি! জায়গাটি ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ। কিন্তু বিশাল এই পার্কের বেশির ভাগ অংশ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ মিলিয়ন দর্শক পার্কটিতে ঘুরতে গিয়েছিল।
এটি দক্ষিণ সান মাতেও কাউন্টি থেকে উত্তর মেরিন কাউন্টি পর্যন্ত প্রসারিত এবং সান ফ্রান্সিসকোর বেশ কয়েকটি এলাকা এই পার্কের অন্তর্ভুক্ত। মেরিন কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত ভ্রমণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ফোর্ট বেকার, হেডল্যান্ডস সেন্টার ফর দ্য আর্টস, ওলেমা উপত্যকা, স্টিনসন বিচসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গা। এখানের ক্যাম্পেইন সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে হক ক্যাম্প, হাইপ্রেস ক্যাম্প, কিরবি কোভ ক্যাম্প ইত্যাদি। সানফ্রান্সিসকোর ভ্রমণ জায়গাগুলো হলো আলকাট্রাজ দ্বীপ, চায়না বিচ, ফোর্ট ফানস্টন, ফোর্ট মেসনসহ আরও অনেক জায়গা। এর ক্যাম্পিং সাইট হলো রব হিল গ্রুপ ক্যাম্প। সান মাতেও কাউন্টিতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে মিলাগ্রা রিজ, সুইনি রিজ, মরই পয়েন্টসহ আরও বেশ কিছু জায়গা।
গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
এটি দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যান। এর কিছু অংশ উত্তর ক্যারোলিনা ও টেনেসিতে পড়েছে। ২০২৩ সালে এই পার্কটিতে ভ্রমণকারী দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩.২৯ মিলিয়ন। পার্কটি ব্লু রিজ পর্বতমালার অংশ গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনের রিজলাইনকে ঘিরে রেখেছে। এটি বৃহত্তর অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের একটি অংশ। পার্কটিতে পূর্ব-উত্তর আমেরিকার ক্লিংম্যানস ডোম, মাউন্ট গুয়োট এবং মাউন্ট লে কন্টের মতো কিছু পর্বত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ১৯ হাজার প্রজাতির জীব উদ্যানে বাস করে। এখানে আছে প্রায় ১ হজারার ৫০০ প্রজাতির ফুল গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ ধরনের সূক্ষ্ম অর্কিড, ২৭টি ভায়োলেট এবং লিলি পরিবারের ৫৮টি সদস্য। পার্কটিতে ১০১ প্রজাতির দেশীয় গাছ এবং ১১৪ প্রজাতির গুল্ম রয়েছে।
এখানে ৪৯০টিরও বেশি প্রজাতির নন-ভাস্কুলার উদ্ভিদ রয়েছে। আমেরিকান কালো ভালুকের বাসও এখানে। শুধু কি তাই। স্মোকিজ ২৭ প্রজাতির ইঁদুর, দুই প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ বিপন্ন উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আছে এখানে। বিপন্ন ইন্ডিয়ানা ব্যাট এবং রাফিনেস্কের বড় কানের বাদুড়সহ ১২ প্রজাতির বাদুড় এই পার্কে পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, ৮০ থেকে ১০০ হাজার প্রজাতির প্রাণী এখানে উপস্থিত থাকতে পারে। গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ বনভূমি। এটি উত্তর আমেরিকার পর্ণমোচী, নাতিশীতোষ্ণ, পুরোনো বৃদ্ধির বনের বড় ব্লকগুলোর একটি।
গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সমুদ্রে সাঁতার কাটা, পাখি দেখা, বোটিং, হাইকিং এবং ক্যাম্পিং মিলিয়ে একটি চমৎকার সময় কাটানোর জায়গা এটি। গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন পার্কটি নিউইয়র্ক সিটি এবং মনমাউথ কাউন্টি, নিউ জার্সির ২৬ হাজার ৬০৭ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত। ২০২৩ সালে এখানে ৮.৭০ মিলিয়ন মানুষ ঘুরতে গিয়েছিলেন। এলাকাটিতে তিনটি ইউনিট এবং ১১টি পার্ক সাইট রয়েছে। এখানে অবস্থিত জ্যামাইকা বে ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজ পাখি এবং পাখির স্থানান্তর, ডায়মন্ডব্যাক কচ্ছপের ডিম পাড়া, ঘোড়া, কাঁকড়ার ডিম পাড়া দেখার জন্য একটি প্রসিদ্ধ জায়গা। এর ৯ হাজার ১৫৫ একর এলাকার বেশির ভাগই খোলা জলাঞ্চল।
তবে উচ্চভূমির উপকূলরেখা এবং লবণের জলাভূমি, টিলা, নোনা পুকুর, বনভূমি এবং মাঠসহ এখানে কিছু দ্বীপও আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যানব্যবস্থার একমাত্র ‘বন্যপ্রাণী আশ্রয়’ কেন্দ্র। এ ছাড়া এই পার্কে শার্লি চিশলম স্টেট পার্ক, ফ্লয়েড বেনেট ফিল্ড, ফোর্ট টিলডেন, গ্রেট কিলস পার্ক, ফোর্ট হ্যানককসহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা আছে।
গাল্ফ আইল্যান্ড ন্যাশনাল সি শোর
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সি শোর। ২০২৩ সালে ভ্রমণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছিল পঞ্চম স্থানে। গত বছর এখানে প্রায় ৮.২৭ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিল। পার্কটির সুরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে মূল ভূখণ্ডের এলাকাসহ সাতটি দ্বীপের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য ফ্লোরিডায় সমুদ্র উপকূলের ৬টি স্বতন্ত্র এলাকা রয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী ফ্লোরিডা অঞ্চলে ঝকঝকে সাদা কোয়ার্টজ বালির সৈকত, ঐতিহাসিক দুর্গ এবং প্রাকৃতিক ট্রেইলসহ অফশোর দ্বীপ রয়েছে। এর আওতায় সমুদ্র তীরবর্তী মিসিসিপি এলাকায় প্রাকৃতিক সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। দ্বীপগুলোতে পিকনিক এলাকা এবং ক্যাম্প গ্রাউন্ড রয়েছে। ক্যাম্পিং করা যায় পিকেন্স ক্যাম্প গ্রাউন্ড, ডেভিস বেউ ক্যাম্প গ্রাউন্ডের মতো জায়গাগুলোতে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেলস

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্রসৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও জায়গাগুলো বেশ জনপ্রিয়। গত বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান দেখতে, সেগুলোর কথা জেনে নেওয়া যাক।
ব্লু রিজ পার্কওয়ে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের এই পার্কে ২০২৩ সালে ঘুরতে গিয়েছিলেন ১৬.৭৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী। রাস্তাজুড়ে পাহাড়ের দৃশ্য, কিছুদূর পরপর পিকনিক স্পট, সহজ থেকে কঠিন শ্বাসরুদ্ধকর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে এখানে। পার্কওয়েটি ভার্জিনিয়ার শেনানডোহ ন্যাশনাল পার্কের স্কাইলাইন ড্রাইভের দক্ষিণ টার্মিনাস থেকে উত্তর ক্যারোলিনার স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ওকোনালুফটি পর্যন্ত বিস্তৃত। আশপাশের এলাকার তুলনায় এই এলাকা ঠান্ডা ও আর্দ্র। পার্কওয়েটি ‘আমেরিকা’স ফেবারিট ড্রাইভ’ নামেও পরিচিত। ৪৬৯ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি ইউএস ন্যাশনাল পার্ক সিস্টেমের অংশ এবং ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস পরিচালিত। এর অনেক অংশ প্রতি শীতকালে বরফের কারণে বন্ধ থাকে।
গোল্ডেন গেট ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার ৮২ হাজার ১১৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই রিক্রিয়েশন এরিয়া। এই আয়তন সান ফ্রান্সিসকোর শহর ও কাউন্টি থেকে আড়াই গুণ বেশি! জায়গাটি ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ। কিন্তু বিশাল এই পার্কের বেশির ভাগ অংশ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ মিলিয়ন দর্শক পার্কটিতে ঘুরতে গিয়েছিল।
এটি দক্ষিণ সান মাতেও কাউন্টি থেকে উত্তর মেরিন কাউন্টি পর্যন্ত প্রসারিত এবং সান ফ্রান্সিসকোর বেশ কয়েকটি এলাকা এই পার্কের অন্তর্ভুক্ত। মেরিন কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত ভ্রমণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ফোর্ট বেকার, হেডল্যান্ডস সেন্টার ফর দ্য আর্টস, ওলেমা উপত্যকা, স্টিনসন বিচসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গা। এখানের ক্যাম্পেইন সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে হক ক্যাম্প, হাইপ্রেস ক্যাম্প, কিরবি কোভ ক্যাম্প ইত্যাদি। সানফ্রান্সিসকোর ভ্রমণ জায়গাগুলো হলো আলকাট্রাজ দ্বীপ, চায়না বিচ, ফোর্ট ফানস্টন, ফোর্ট মেসনসহ আরও অনেক জায়গা। এর ক্যাম্পিং সাইট হলো রব হিল গ্রুপ ক্যাম্প। সান মাতেও কাউন্টিতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে মিলাগ্রা রিজ, সুইনি রিজ, মরই পয়েন্টসহ আরও বেশ কিছু জায়গা।
গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
এটি দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যান। এর কিছু অংশ উত্তর ক্যারোলিনা ও টেনেসিতে পড়েছে। ২০২৩ সালে এই পার্কটিতে ভ্রমণকারী দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩.২৯ মিলিয়ন। পার্কটি ব্লু রিজ পর্বতমালার অংশ গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনের রিজলাইনকে ঘিরে রেখেছে। এটি বৃহত্তর অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের একটি অংশ। পার্কটিতে পূর্ব-উত্তর আমেরিকার ক্লিংম্যানস ডোম, মাউন্ট গুয়োট এবং মাউন্ট লে কন্টের মতো কিছু পর্বত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ১৯ হাজার প্রজাতির জীব উদ্যানে বাস করে। এখানে আছে প্রায় ১ হজারার ৫০০ প্রজাতির ফুল গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ ধরনের সূক্ষ্ম অর্কিড, ২৭টি ভায়োলেট এবং লিলি পরিবারের ৫৮টি সদস্য। পার্কটিতে ১০১ প্রজাতির দেশীয় গাছ এবং ১১৪ প্রজাতির গুল্ম রয়েছে।
এখানে ৪৯০টিরও বেশি প্রজাতির নন-ভাস্কুলার উদ্ভিদ রয়েছে। আমেরিকান কালো ভালুকের বাসও এখানে। শুধু কি তাই। স্মোকিজ ২৭ প্রজাতির ইঁদুর, দুই প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ বিপন্ন উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আছে এখানে। বিপন্ন ইন্ডিয়ানা ব্যাট এবং রাফিনেস্কের বড় কানের বাদুড়সহ ১২ প্রজাতির বাদুড় এই পার্কে পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, ৮০ থেকে ১০০ হাজার প্রজাতির প্রাণী এখানে উপস্থিত থাকতে পারে। গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ বনভূমি। এটি উত্তর আমেরিকার পর্ণমোচী, নাতিশীতোষ্ণ, পুরোনো বৃদ্ধির বনের বড় ব্লকগুলোর একটি।
গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সমুদ্রে সাঁতার কাটা, পাখি দেখা, বোটিং, হাইকিং এবং ক্যাম্পিং মিলিয়ে একটি চমৎকার সময় কাটানোর জায়গা এটি। গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন পার্কটি নিউইয়র্ক সিটি এবং মনমাউথ কাউন্টি, নিউ জার্সির ২৬ হাজার ৬০৭ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত। ২০২৩ সালে এখানে ৮.৭০ মিলিয়ন মানুষ ঘুরতে গিয়েছিলেন। এলাকাটিতে তিনটি ইউনিট এবং ১১টি পার্ক সাইট রয়েছে। এখানে অবস্থিত জ্যামাইকা বে ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজ পাখি এবং পাখির স্থানান্তর, ডায়মন্ডব্যাক কচ্ছপের ডিম পাড়া, ঘোড়া, কাঁকড়ার ডিম পাড়া দেখার জন্য একটি প্রসিদ্ধ জায়গা। এর ৯ হাজার ১৫৫ একর এলাকার বেশির ভাগই খোলা জলাঞ্চল।
তবে উচ্চভূমির উপকূলরেখা এবং লবণের জলাভূমি, টিলা, নোনা পুকুর, বনভূমি এবং মাঠসহ এখানে কিছু দ্বীপও আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যানব্যবস্থার একমাত্র ‘বন্যপ্রাণী আশ্রয়’ কেন্দ্র। এ ছাড়া এই পার্কে শার্লি চিশলম স্টেট পার্ক, ফ্লয়েড বেনেট ফিল্ড, ফোর্ট টিলডেন, গ্রেট কিলস পার্ক, ফোর্ট হ্যানককসহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা আছে।
গাল্ফ আইল্যান্ড ন্যাশনাল সি শোর
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সি শোর। ২০২৩ সালে ভ্রমণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছিল পঞ্চম স্থানে। গত বছর এখানে প্রায় ৮.২৭ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিল। পার্কটির সুরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে মূল ভূখণ্ডের এলাকাসহ সাতটি দ্বীপের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য ফ্লোরিডায় সমুদ্র উপকূলের ৬টি স্বতন্ত্র এলাকা রয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী ফ্লোরিডা অঞ্চলে ঝকঝকে সাদা কোয়ার্টজ বালির সৈকত, ঐতিহাসিক দুর্গ এবং প্রাকৃতিক ট্রেইলসহ অফশোর দ্বীপ রয়েছে। এর আওতায় সমুদ্র তীরবর্তী মিসিসিপি এলাকায় প্রাকৃতিক সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। দ্বীপগুলোতে পিকনিক এলাকা এবং ক্যাম্প গ্রাউন্ড রয়েছে। ক্যাম্পিং করা যায় পিকেন্স ক্যাম্প গ্রাউন্ড, ডেভিস বেউ ক্যাম্প গ্রাউন্ডের মতো জায়গাগুলোতে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেলস
জীবনধারা ডেস্ক

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্রসৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও জায়গাগুলো বেশ জনপ্রিয়। গত বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান দেখতে, সেগুলোর কথা জেনে নেওয়া যাক।
ব্লু রিজ পার্কওয়ে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের এই পার্কে ২০২৩ সালে ঘুরতে গিয়েছিলেন ১৬.৭৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী। রাস্তাজুড়ে পাহাড়ের দৃশ্য, কিছুদূর পরপর পিকনিক স্পট, সহজ থেকে কঠিন শ্বাসরুদ্ধকর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে এখানে। পার্কওয়েটি ভার্জিনিয়ার শেনানডোহ ন্যাশনাল পার্কের স্কাইলাইন ড্রাইভের দক্ষিণ টার্মিনাস থেকে উত্তর ক্যারোলিনার স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ওকোনালুফটি পর্যন্ত বিস্তৃত। আশপাশের এলাকার তুলনায় এই এলাকা ঠান্ডা ও আর্দ্র। পার্কওয়েটি ‘আমেরিকা’স ফেবারিট ড্রাইভ’ নামেও পরিচিত। ৪৬৯ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি ইউএস ন্যাশনাল পার্ক সিস্টেমের অংশ এবং ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস পরিচালিত। এর অনেক অংশ প্রতি শীতকালে বরফের কারণে বন্ধ থাকে।
গোল্ডেন গেট ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার ৮২ হাজার ১১৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই রিক্রিয়েশন এরিয়া। এই আয়তন সান ফ্রান্সিসকোর শহর ও কাউন্টি থেকে আড়াই গুণ বেশি! জায়গাটি ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ। কিন্তু বিশাল এই পার্কের বেশির ভাগ অংশ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ মিলিয়ন দর্শক পার্কটিতে ঘুরতে গিয়েছিল।
এটি দক্ষিণ সান মাতেও কাউন্টি থেকে উত্তর মেরিন কাউন্টি পর্যন্ত প্রসারিত এবং সান ফ্রান্সিসকোর বেশ কয়েকটি এলাকা এই পার্কের অন্তর্ভুক্ত। মেরিন কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত ভ্রমণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ফোর্ট বেকার, হেডল্যান্ডস সেন্টার ফর দ্য আর্টস, ওলেমা উপত্যকা, স্টিনসন বিচসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গা। এখানের ক্যাম্পেইন সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে হক ক্যাম্প, হাইপ্রেস ক্যাম্প, কিরবি কোভ ক্যাম্প ইত্যাদি। সানফ্রান্সিসকোর ভ্রমণ জায়গাগুলো হলো আলকাট্রাজ দ্বীপ, চায়না বিচ, ফোর্ট ফানস্টন, ফোর্ট মেসনসহ আরও অনেক জায়গা। এর ক্যাম্পিং সাইট হলো রব হিল গ্রুপ ক্যাম্প। সান মাতেও কাউন্টিতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে মিলাগ্রা রিজ, সুইনি রিজ, মরই পয়েন্টসহ আরও বেশ কিছু জায়গা।
গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
এটি দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যান। এর কিছু অংশ উত্তর ক্যারোলিনা ও টেনেসিতে পড়েছে। ২০২৩ সালে এই পার্কটিতে ভ্রমণকারী দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩.২৯ মিলিয়ন। পার্কটি ব্লু রিজ পর্বতমালার অংশ গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনের রিজলাইনকে ঘিরে রেখেছে। এটি বৃহত্তর অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের একটি অংশ। পার্কটিতে পূর্ব-উত্তর আমেরিকার ক্লিংম্যানস ডোম, মাউন্ট গুয়োট এবং মাউন্ট লে কন্টের মতো কিছু পর্বত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ১৯ হাজার প্রজাতির জীব উদ্যানে বাস করে। এখানে আছে প্রায় ১ হজারার ৫০০ প্রজাতির ফুল গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ ধরনের সূক্ষ্ম অর্কিড, ২৭টি ভায়োলেট এবং লিলি পরিবারের ৫৮টি সদস্য। পার্কটিতে ১০১ প্রজাতির দেশীয় গাছ এবং ১১৪ প্রজাতির গুল্ম রয়েছে।
এখানে ৪৯০টিরও বেশি প্রজাতির নন-ভাস্কুলার উদ্ভিদ রয়েছে। আমেরিকান কালো ভালুকের বাসও এখানে। শুধু কি তাই। স্মোকিজ ২৭ প্রজাতির ইঁদুর, দুই প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ বিপন্ন উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আছে এখানে। বিপন্ন ইন্ডিয়ানা ব্যাট এবং রাফিনেস্কের বড় কানের বাদুড়সহ ১২ প্রজাতির বাদুড় এই পার্কে পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, ৮০ থেকে ১০০ হাজার প্রজাতির প্রাণী এখানে উপস্থিত থাকতে পারে। গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ বনভূমি। এটি উত্তর আমেরিকার পর্ণমোচী, নাতিশীতোষ্ণ, পুরোনো বৃদ্ধির বনের বড় ব্লকগুলোর একটি।
গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সমুদ্রে সাঁতার কাটা, পাখি দেখা, বোটিং, হাইকিং এবং ক্যাম্পিং মিলিয়ে একটি চমৎকার সময় কাটানোর জায়গা এটি। গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন পার্কটি নিউইয়র্ক সিটি এবং মনমাউথ কাউন্টি, নিউ জার্সির ২৬ হাজার ৬০৭ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত। ২০২৩ সালে এখানে ৮.৭০ মিলিয়ন মানুষ ঘুরতে গিয়েছিলেন। এলাকাটিতে তিনটি ইউনিট এবং ১১টি পার্ক সাইট রয়েছে। এখানে অবস্থিত জ্যামাইকা বে ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজ পাখি এবং পাখির স্থানান্তর, ডায়মন্ডব্যাক কচ্ছপের ডিম পাড়া, ঘোড়া, কাঁকড়ার ডিম পাড়া দেখার জন্য একটি প্রসিদ্ধ জায়গা। এর ৯ হাজার ১৫৫ একর এলাকার বেশির ভাগই খোলা জলাঞ্চল।
তবে উচ্চভূমির উপকূলরেখা এবং লবণের জলাভূমি, টিলা, নোনা পুকুর, বনভূমি এবং মাঠসহ এখানে কিছু দ্বীপও আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যানব্যবস্থার একমাত্র ‘বন্যপ্রাণী আশ্রয়’ কেন্দ্র। এ ছাড়া এই পার্কে শার্লি চিশলম স্টেট পার্ক, ফ্লয়েড বেনেট ফিল্ড, ফোর্ট টিলডেন, গ্রেট কিলস পার্ক, ফোর্ট হ্যানককসহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা আছে।
গাল্ফ আইল্যান্ড ন্যাশনাল সি শোর
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সি শোর। ২০২৩ সালে ভ্রমণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছিল পঞ্চম স্থানে। গত বছর এখানে প্রায় ৮.২৭ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিল। পার্কটির সুরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে মূল ভূখণ্ডের এলাকাসহ সাতটি দ্বীপের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য ফ্লোরিডায় সমুদ্র উপকূলের ৬টি স্বতন্ত্র এলাকা রয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী ফ্লোরিডা অঞ্চলে ঝকঝকে সাদা কোয়ার্টজ বালির সৈকত, ঐতিহাসিক দুর্গ এবং প্রাকৃতিক ট্রেইলসহ অফশোর দ্বীপ রয়েছে। এর আওতায় সমুদ্র তীরবর্তী মিসিসিপি এলাকায় প্রাকৃতিক সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। দ্বীপগুলোতে পিকনিক এলাকা এবং ক্যাম্প গ্রাউন্ড রয়েছে। ক্যাম্পিং করা যায় পিকেন্স ক্যাম্প গ্রাউন্ড, ডেভিস বেউ ক্যাম্প গ্রাউন্ডের মতো জায়গাগুলোতে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেলস

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে, সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্রসৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্মৃতি তৈরি করে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও জায়গাগুলো বেশ জনপ্রিয়। গত বছর সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যে পাঁচটি জাতীয় উদ্যান দেখতে, সেগুলোর কথা জেনে নেওয়া যাক।
ব্লু রিজ পার্কওয়ে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের এই পার্কে ২০২৩ সালে ঘুরতে গিয়েছিলেন ১৬.৭৫ মিলিয়ন দর্শনার্থী। রাস্তাজুড়ে পাহাড়ের দৃশ্য, কিছুদূর পরপর পিকনিক স্পট, সহজ থেকে কঠিন শ্বাসরুদ্ধকর হাইকিং ট্রেইল রয়েছে এখানে। পার্কওয়েটি ভার্জিনিয়ার শেনানডোহ ন্যাশনাল পার্কের স্কাইলাইন ড্রাইভের দক্ষিণ টার্মিনাস থেকে উত্তর ক্যারোলিনার স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ওকোনালুফটি পর্যন্ত বিস্তৃত। আশপাশের এলাকার তুলনায় এই এলাকা ঠান্ডা ও আর্দ্র। পার্কওয়েটি ‘আমেরিকা’স ফেবারিট ড্রাইভ’ নামেও পরিচিত। ৪৬৯ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি ইউএস ন্যাশনাল পার্ক সিস্টেমের অংশ এবং ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস পরিচালিত। এর অনেক অংশ প্রতি শীতকালে বরফের কারণে বন্ধ থাকে।
গোল্ডেন গেট ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকার ৮২ হাজার ১১৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত এই রিক্রিয়েশন এরিয়া। এই আয়তন সান ফ্রান্সিসকোর শহর ও কাউন্টি থেকে আড়াই গুণ বেশি! জায়গাটি ঐতিহাসিক স্থাপনায় সমৃদ্ধ। কিন্তু বিশাল এই পার্কের বেশির ভাগ অংশ আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। ২০২৩ সালে প্রায় ১৫ মিলিয়ন দর্শক পার্কটিতে ঘুরতে গিয়েছিল।
এটি দক্ষিণ সান মাতেও কাউন্টি থেকে উত্তর মেরিন কাউন্টি পর্যন্ত প্রসারিত এবং সান ফ্রান্সিসকোর বেশ কয়েকটি এলাকা এই পার্কের অন্তর্ভুক্ত। মেরিন কাউন্টির অন্তর্ভুক্ত ভ্রমণ এলাকার মধ্যে রয়েছে ফোর্ট বেকার, হেডল্যান্ডস সেন্টার ফর দ্য আর্টস, ওলেমা উপত্যকা, স্টিনসন বিচসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গা। এখানের ক্যাম্পেইন সাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে হক ক্যাম্প, হাইপ্রেস ক্যাম্প, কিরবি কোভ ক্যাম্প ইত্যাদি। সানফ্রান্সিসকোর ভ্রমণ জায়গাগুলো হলো আলকাট্রাজ দ্বীপ, চায়না বিচ, ফোর্ট ফানস্টন, ফোর্ট মেসনসহ আরও অনেক জায়গা। এর ক্যাম্পিং সাইট হলো রব হিল গ্রুপ ক্যাম্প। সান মাতেও কাউন্টিতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে মিলাগ্রা রিজ, সুইনি রিজ, মরই পয়েন্টসহ আরও বেশ কিছু জায়গা।
গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্ক
এটি দক্ষিণ-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যান। এর কিছু অংশ উত্তর ক্যারোলিনা ও টেনেসিতে পড়েছে। ২০২৩ সালে এই পার্কটিতে ভ্রমণকারী দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩.২৯ মিলিয়ন। পার্কটি ব্লু রিজ পর্বতমালার অংশ গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনের রিজলাইনকে ঘিরে রেখেছে। এটি বৃহত্তর অ্যাপালাচিয়ান পর্বতের একটি অংশ। পার্কটিতে পূর্ব-উত্তর আমেরিকার ক্লিংম্যানস ডোম, মাউন্ট গুয়োট এবং মাউন্ট লে কন্টের মতো কিছু পর্বত রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, প্রায় ১৯ হাজার প্রজাতির জীব উদ্যানে বাস করে। এখানে আছে প্রায় ১ হজারার ৫০০ প্রজাতির ফুল গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ৩৫ ধরনের সূক্ষ্ম অর্কিড, ২৭টি ভায়োলেট এবং লিলি পরিবারের ৫৮টি সদস্য। পার্কটিতে ১০১ প্রজাতির দেশীয় গাছ এবং ১১৪ প্রজাতির গুল্ম রয়েছে।
এখানে ৪৯০টিরও বেশি প্রজাতির নন-ভাস্কুলার উদ্ভিদ রয়েছে। আমেরিকান কালো ভালুকের বাসও এখানে। শুধু কি তাই। স্মোকিজ ২৭ প্রজাতির ইঁদুর, দুই প্রজাতির কাঠবিড়ালিসহ বিপন্ন উড়ন্ত কাঠবিড়ালি আছে এখানে। বিপন্ন ইন্ডিয়ানা ব্যাট এবং রাফিনেস্কের বড় কানের বাদুড়সহ ১২ প্রজাতির বাদুড় এই পার্কে পাওয়া যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পোকামাকড়, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, ৮০ থেকে ১০০ হাজার প্রজাতির প্রাণী এখানে উপস্থিত থাকতে পারে। গ্রেট স্মোকি মাউন্টেন জাতীয় উদ্যানের প্রায় ৯৫ শতাংশ বনভূমি। এটি উত্তর আমেরিকার পর্ণমোচী, নাতিশীতোষ্ণ, পুরোনো বৃদ্ধির বনের বড় ব্লকগুলোর একটি।
গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন এরিয়া
সমুদ্রে সাঁতার কাটা, পাখি দেখা, বোটিং, হাইকিং এবং ক্যাম্পিং মিলিয়ে একটি চমৎকার সময় কাটানোর জায়গা এটি। গেটওয়ে ন্যাশনাল রিক্রিয়েশন পার্কটি নিউইয়র্ক সিটি এবং মনমাউথ কাউন্টি, নিউ জার্সির ২৬ হাজার ৬০৭ একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত। ২০২৩ সালে এখানে ৮.৭০ মিলিয়ন মানুষ ঘুরতে গিয়েছিলেন। এলাকাটিতে তিনটি ইউনিট এবং ১১টি পার্ক সাইট রয়েছে। এখানে অবস্থিত জ্যামাইকা বে ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজ পাখি এবং পাখির স্থানান্তর, ডায়মন্ডব্যাক কচ্ছপের ডিম পাড়া, ঘোড়া, কাঁকড়ার ডিম পাড়া দেখার জন্য একটি প্রসিদ্ধ জায়গা। এর ৯ হাজার ১৫৫ একর এলাকার বেশির ভাগই খোলা জলাঞ্চল।
তবে উচ্চভূমির উপকূলরেখা এবং লবণের জলাভূমি, টিলা, নোনা পুকুর, বনভূমি এবং মাঠসহ এখানে কিছু দ্বীপও আছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় উদ্যানব্যবস্থার একমাত্র ‘বন্যপ্রাণী আশ্রয়’ কেন্দ্র। এ ছাড়া এই পার্কে শার্লি চিশলম স্টেট পার্ক, ফ্লয়েড বেনেট ফিল্ড, ফোর্ট টিলডেন, গ্রেট কিলস পার্ক, ফোর্ট হ্যানককসহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় জায়গা আছে।
গাল্ফ আইল্যান্ড ন্যাশনাল সি শোর
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সি শোর। ২০২৩ সালে ভ্রমণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে ছিল পঞ্চম স্থানে। গত বছর এখানে প্রায় ৮.২৭ মিলিয়ন মানুষ ভ্রমণে এসেছিল। পার্কটির সুরক্ষিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে মূল ভূখণ্ডের এলাকাসহ সাতটি দ্বীপের অংশ। দর্শনার্থীদের জন্য ফ্লোরিডায় সমুদ্র উপকূলের ৬টি স্বতন্ত্র এলাকা রয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী ফ্লোরিডা অঞ্চলে ঝকঝকে সাদা কোয়ার্টজ বালির সৈকত, ঐতিহাসিক দুর্গ এবং প্রাকৃতিক ট্রেইলসহ অফশোর দ্বীপ রয়েছে। এর আওতায় সমুদ্র তীরবর্তী মিসিসিপি এলাকায় প্রাকৃতিক সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে। দ্বীপগুলোতে পিকনিক এলাকা এবং ক্যাম্প গ্রাউন্ড রয়েছে। ক্যাম্পিং করা যায় পিকেন্স ক্যাম্প গ্রাউন্ড, ডেভিস বেউ ক্যাম্প গ্রাউন্ডের মতো জায়গাগুলোতে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেলস

প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ দুই ধরনের খাবারেই আয়রন পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, গরুর মাংসই আয়রনের প্রধান উৎস। সত্যি বলতে, রান্না করা ৩ আউন্স গরুর কিমা মাংসে থাকে প্রায় ২.২৭ মিলিগ্রাম আয়রন, যা দৈনিক চাহিদার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আপনি যদি নিরামিষ খান বা লাল মাংস পছন্দ না করেন, তবুও চিন্তার কিছু নেই।
৯ ঘণ্টা আগে
সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
১৩ ঘণ্টা আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ দুই ধরনের খাবারেই আয়রন পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, গরুর মাংসই আয়রনের প্রধান উৎস। সত্যি বলতে, রান্না করা ৩ আউন্স গরুর কিমা মাংসে থাকে প্রায় ২.২৭ মিলিগ্রাম আয়রন, যা দৈনিক চাহিদার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আপনি যদি নিরামিষ খান বা লাল মাংস পছন্দ না করেন, তবুও চিন্তার কিছু নেই। আরও বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো লাল মাংসের তুলনায় অনেক বেশি আয়রন সরবরাহ করে।
মুরগির কলিজা
আয়রন: ৯.৮৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ৩ আউন্স
মুরগির লিভার আয়রনের দারুণ উৎস এবং এতে থাকা আয়রন শরীরে খুব সহজে শোষিত হয়। প্রাণিজ খাবারের হিম আয়রন শরীর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারে, যেখানে উদ্ভিজ্জ খাবারের আয়রন শোষিত হয় প্রায় ১৭ শতাংশ।
ডাল
আয়রন: ৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
আয়রনের সবচেয়ে সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ উৎসগুলোর একটি ডাল। গরুর মাংসের তুলনায় এতে প্রায় দিগুণ আয়রন থাকে, তাই যারা শাকসবজি ও উদ্ভিজ্জ খাবারের ওপর নির্ভর করে, তাদের জন্য ডাল বিশেষ পুষ্টির উৎস। যদিও ডালে থাকা আয়রনটি নন-হিম, ফলে শরীর এটিকে ধীরে শোষণ করে, তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাল খেলে দৈনিক আয়রনের চাহিদা ভালোভাবে পূরণ হয়। ডাল নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখার আরও অনেক সুবিধা আছে। এতে প্রোটিন, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীরকে শক্তি দেয় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

টোফু
আয়রন: ৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
সয়াবিন থেকে তৈরি টোফু আয়রনের দারুণ উৎস এবং গরুর স্টেকের তুলনায় এতে দ্বিগুণ আয়রন থাকে। নিরামিষভোজীদের জন্য এটি একটি মূল প্রোটিন উৎস। টোফু ভাজা, বেক করা বা স্মুদি সব ধরনের খাবারেই যোগ করা যায়।
পালংশাক
আয়রন: ৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
পালংশাকে গরুর মাংসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আয়রন থাকে। তাই যারা বেশি সবজি খেতে চায় বা বাজেটের মধ্যে পুষ্টি নিশ্চিত করতে চায়, তাদের জন্য পালংশাক দারুণ বিকল্প। এটি সহজলভ্য, সস্তা এবং দ্রুত রান্না করা যায়। পালংশাকের আরেকটি সুবিধা হলো, এতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রচুর থাকে, যা সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। সালাদ, ভাজি, স্যুপ অথবা স্মুদিতেও পালংশাক সহজেই ব্যবহার করা যায়, যা দৈনন্দিন খাবারে পুষ্টি যোগ করে।

ডার্ক চকলেট
আয়রন: ৪ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ২ আউন্স
চকলেটে আয়রন থাকে, এ তথ্য অনেকের কাছেই অজানা। কোকো বিনে স্বাভাবিকভাবেই আয়রন থাকে, আর সেখান থেকে তৈরি হওয়া ডার্ক চকলেটে এই আয়রনের ঘনত্ব আরও বেড়ে যায়। তাই ডার্ক চকলেট শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। সাধারণ মিল্ক চকলেটের তুলনায় ডার্ক চকলেটে কোকোর পরিমাণ বেশি থাকায় এতে আয়রনের মাত্রাও বেশি থাকে। যারা তুলনামূলকভাবে কম চিনি খেতে চায়, তারা ডার্ক চকলেট বেছে নিতে পারে। আরও পুষ্টিকর উপায় হলো ডার্ক চকলেটের সঙ্গে চিনিবিহীন বাদাম মাখন খাওয়া। এতে শুধু আয়রনই নয়, ভালো মানের ফ্যাট ও প্রোটিনও পাওয়া যায়। এটি খাবার হিসেবে মুখরোচক এবং একই সঙ্গে শরীরের জন্য উপকারী।

সেদ্ধ টমেটো
আয়রন: ৪ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
তাজা টমেটোতে আয়রন কম, কিন্তু রান্না বা সেদ্ধ টমেটোতে আয়রন অনেক বেশি। সেদ্ধ টমেটোতে ভিটামিন সি থাকে, যা উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে আয়রন শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। স্যুপ, সস ও পাস্তা রান্নায় এটি খুব কার্যকর।
আয়রন শোষণ বাড়ানোর উপায়
ভিটামিন সির সঙ্গে খাবেন: ক্যাপসিকাম, লেবুর রস, মাল্টার রস আয়রন শোষণ বাড়ায়।
যেসব খাবার শোষণ কমায়, সেগুলো খেয়াল রাখুন: দুগ্ধজাত পণ্যের ক্যালসিয়াম এবং শস্যদানার ফাইটেট আয়রন শোষণ কমাতে পারে।
হিম আয়রন বনাম নন-হিম আয়রন: প্রাণিজ উৎসের হিম আয়রন সহজে শোষিত হয়। নিরামিষভোজীরা নন-হিম উৎস বেশি খায়, তাই তাদের সচেতনভাবে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিতে হয়।
সূত্র: হেলথ

প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ দুই ধরনের খাবারেই আয়রন পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, গরুর মাংসই আয়রনের প্রধান উৎস। সত্যি বলতে, রান্না করা ৩ আউন্স গরুর কিমা মাংসে থাকে প্রায় ২.২৭ মিলিগ্রাম আয়রন, যা দৈনিক চাহিদার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আপনি যদি নিরামিষ খান বা লাল মাংস পছন্দ না করেন, তবুও চিন্তার কিছু নেই। আরও বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো লাল মাংসের তুলনায় অনেক বেশি আয়রন সরবরাহ করে।
মুরগির কলিজা
আয়রন: ৯.৮৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ৩ আউন্স
মুরগির লিভার আয়রনের দারুণ উৎস এবং এতে থাকা আয়রন শরীরে খুব সহজে শোষিত হয়। প্রাণিজ খাবারের হিম আয়রন শরীর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারে, যেখানে উদ্ভিজ্জ খাবারের আয়রন শোষিত হয় প্রায় ১৭ শতাংশ।
ডাল
আয়রন: ৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
আয়রনের সবচেয়ে সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ উৎসগুলোর একটি ডাল। গরুর মাংসের তুলনায় এতে প্রায় দিগুণ আয়রন থাকে, তাই যারা শাকসবজি ও উদ্ভিজ্জ খাবারের ওপর নির্ভর করে, তাদের জন্য ডাল বিশেষ পুষ্টির উৎস। যদিও ডালে থাকা আয়রনটি নন-হিম, ফলে শরীর এটিকে ধীরে শোষণ করে, তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাল খেলে দৈনিক আয়রনের চাহিদা ভালোভাবে পূরণ হয়। ডাল নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখার আরও অনেক সুবিধা আছে। এতে প্রোটিন, ফাইবার, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা শরীরকে শক্তি দেয় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

টোফু
আয়রন: ৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
সয়াবিন থেকে তৈরি টোফু আয়রনের দারুণ উৎস এবং গরুর স্টেকের তুলনায় এতে দ্বিগুণ আয়রন থাকে। নিরামিষভোজীদের জন্য এটি একটি মূল প্রোটিন উৎস। টোফু ভাজা, বেক করা বা স্মুদি সব ধরনের খাবারেই যোগ করা যায়।
পালংশাক
আয়রন: ৬ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
পালংশাকে গরুর মাংসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আয়রন থাকে। তাই যারা বেশি সবজি খেতে চায় বা বাজেটের মধ্যে পুষ্টি নিশ্চিত করতে চায়, তাদের জন্য পালংশাক দারুণ বিকল্প। এটি সহজলভ্য, সস্তা এবং দ্রুত রান্না করা যায়। পালংশাকের আরেকটি সুবিধা হলো, এতে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রচুর থাকে, যা সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। সালাদ, ভাজি, স্যুপ অথবা স্মুদিতেও পালংশাক সহজেই ব্যবহার করা যায়, যা দৈনন্দিন খাবারে পুষ্টি যোগ করে।

ডার্ক চকলেট
আয়রন: ৪ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ২ আউন্স
চকলেটে আয়রন থাকে, এ তথ্য অনেকের কাছেই অজানা। কোকো বিনে স্বাভাবিকভাবেই আয়রন থাকে, আর সেখান থেকে তৈরি হওয়া ডার্ক চকলেটে এই আয়রনের ঘনত্ব আরও বেড়ে যায়। তাই ডার্ক চকলেট শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। সাধারণ মিল্ক চকলেটের তুলনায় ডার্ক চকলেটে কোকোর পরিমাণ বেশি থাকায় এতে আয়রনের মাত্রাও বেশি থাকে। যারা তুলনামূলকভাবে কম চিনি খেতে চায়, তারা ডার্ক চকলেট বেছে নিতে পারে। আরও পুষ্টিকর উপায় হলো ডার্ক চকলেটের সঙ্গে চিনিবিহীন বাদাম মাখন খাওয়া। এতে শুধু আয়রনই নয়, ভালো মানের ফ্যাট ও প্রোটিনও পাওয়া যায়। এটি খাবার হিসেবে মুখরোচক এবং একই সঙ্গে শরীরের জন্য উপকারী।

সেদ্ধ টমেটো
আয়রন: ৪ মিলিগ্রাম
পরিমাণ: ১ কাপ
তাজা টমেটোতে আয়রন কম, কিন্তু রান্না বা সেদ্ধ টমেটোতে আয়রন অনেক বেশি। সেদ্ধ টমেটোতে ভিটামিন সি থাকে, যা উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে আয়রন শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। স্যুপ, সস ও পাস্তা রান্নায় এটি খুব কার্যকর।
আয়রন শোষণ বাড়ানোর উপায়
ভিটামিন সির সঙ্গে খাবেন: ক্যাপসিকাম, লেবুর রস, মাল্টার রস আয়রন শোষণ বাড়ায়।
যেসব খাবার শোষণ কমায়, সেগুলো খেয়াল রাখুন: দুগ্ধজাত পণ্যের ক্যালসিয়াম এবং শস্যদানার ফাইটেট আয়রন শোষণ কমাতে পারে।
হিম আয়রন বনাম নন-হিম আয়রন: প্রাণিজ উৎসের হিম আয়রন সহজে শোষিত হয়। নিরামিষভোজীরা নন-হিম উৎস বেশি খায়, তাই তাদের সচেতনভাবে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিতে হয়।
সূত্র: হেলথ

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্র সৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্
২৬ মার্চ ২০২৪
সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
১৩ ঘণ্টা আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে রাগের অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ আপনার সন্তানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সন্তানেরা সাধারণত দুষ্টুমি করবেই, আর উচ্চ মানসিক চাপের সময়ে বাবা-মায়ের জন্য সামান্য ভুলের কারণেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কার্যকরভাবে রাগ পরিচালনা করা শেখা কেবল আপনার মানসিক প্রশান্তিই দেবে না, পারিবারিক পরিবেশ এবং সন্তানের সুস্থ বিকাশের জন্যও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।
যদি আপনি প্রায়ই রাগের শিকার হন, তবে আপনার রাগের কারণ বা ’ট্রিগার’ চিহ্নিত করা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের প্রথম ধাপ। তবে যখন রাগ চরমে ওঠে, তখন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এর জন্য প্রথমে নিরাপদে সরে আসুন। রাগের সময় প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আশপাশে সবাই নিরাপদ আছে। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে সরে যান। রাগ থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কার্যকর উপায় হলো ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া। অথবা নীরবে ১০ পর্যন্ত গুনতে পারেন। এ ছাড়া ‘গ্রাউন্ডিং’ কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য হাতে সহজে বহনযোগ্য একটি ছোট বস্তু ধরে রাখুন কিংবা আশপাশের জিনিসপত্র চিহ্নিত অথবা গণনা করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণকে পরিবেশের দিকে সরিয়ে দিন। আপনার শরীরের প্রতিটি অংশকে সচেতনভাবে শিথিল করার দিকে মনোযোগ দিন।

একটি কোড ওয়ার্ড ঠিক করুন, যা ব্যবহার করে আপনি অন্যদের জানাতে পারবেন, আপনি কেমন অনুভব করছেন। এটা করলে বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তির জন্য নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, পর্যাপ্ত ঘুম, শিল্প বা লেখার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ এবং প্রকৃতির কাছে যাওয়া সহায়ক হতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি নেওয়া প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক উন্নতি লাভ করেন। আপনার রাগ নিয়ে আপনি একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসক আপনাকে রেফার করতে পারবেন। ২০২২ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, অভিভাবকদের জন্য গ্রুপভিত্তিক রাগ ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম বেশ কার্যকর। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী মায়েরা প্যারেন্টিং এবং মনোভাবে এমন উন্নতি দেখেছেন, যা প্রোগ্রাম শেষেও বজায় ছিল। এটি একাকিত্ব দূর করে সামাজিক সমর্থন বাড়াতে সহায়ক। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রাগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস করতে পারেন। এমনকি ইয়েল ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠান শিক্ষাবিদদের জন্য বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স অফার করে।

শিশুদের মধ্যেও রাগ বা ক্রোধের অনুভূতি আসা স্বাভাবিক। অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো, তাদের এই অনুভূতিগুলোকে কার্যকরভাবে পরিচালনা এবং প্রক্রিয়া করতে শেখানো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজে সঠিক রাগ ব্যবস্থাপনা করে তাদের সামনে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করা। আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো বা দৌড়ানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপ অথবা জার্নালিং বা পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে তাদের অনুভূতি প্রকাশের নিরাপদ উপায় শেখান। তাদের রাগের কারণগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করুন। তারা যখনই উপযুক্ত উপায়ে রাগ সামলাবে, ছোট প্রচেষ্টার জন্যও তাদের প্রশংসা করুন।
অতিরিক্ত রাগ, বিশেষ করে চিৎকার-চেঁচামেচি, শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত রাগের প্রকাশ শিশুর মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি বদলে দিতে পারে। চিৎকার-চেঁচামেচি আচরণ সংশোধনের পরিবর্তে উল্টো প্রায়শই তারা অবাঞ্ছিত আচরণ করে। এটি শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা ও উদ্বেগের জন্ম দিতে পারে। যারা বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি দেখে বড় হয়, তাদের মধ্যে অবিশ্বাস এবং সামাজিক সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই মানসিক চাপের কারণে শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা; যেমন মাথাব্যথা এবং পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন

সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অভিভাবক হিসেবে রাগের অনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ আপনার সন্তানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। সন্তানেরা সাধারণত দুষ্টুমি করবেই, আর উচ্চ মানসিক চাপের সময়ে বাবা-মায়ের জন্য সামান্য ভুলের কারণেও রাগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কার্যকরভাবে রাগ পরিচালনা করা শেখা কেবল আপনার মানসিক প্রশান্তিই দেবে না, পারিবারিক পরিবেশ এবং সন্তানের সুস্থ বিকাশের জন্যও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে।
যদি আপনি প্রায়ই রাগের শিকার হন, তবে আপনার রাগের কারণ বা ’ট্রিগার’ চিহ্নিত করা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের প্রথম ধাপ। তবে যখন রাগ চরমে ওঠে, তখন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এর জন্য প্রথমে নিরাপদে সরে আসুন। রাগের সময় প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আশপাশে সবাই নিরাপদ আছে। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুক্ষণের জন্য শারীরিকভাবে সরে যান। রাগ থেকে মনোযোগ সরানোর একটি কার্যকর উপায় হলো ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়া। অথবা নীরবে ১০ পর্যন্ত গুনতে পারেন। এ ছাড়া ‘গ্রাউন্ডিং’ কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য হাতে সহজে বহনযোগ্য একটি ছোট বস্তু ধরে রাখুন কিংবা আশপাশের জিনিসপত্র চিহ্নিত অথবা গণনা করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণকে পরিবেশের দিকে সরিয়ে দিন। আপনার শরীরের প্রতিটি অংশকে সচেতনভাবে শিথিল করার দিকে মনোযোগ দিন।

একটি কোড ওয়ার্ড ঠিক করুন, যা ব্যবহার করে আপনি অন্যদের জানাতে পারবেন, আপনি কেমন অনুভব করছেন। এটা করলে বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তির জন্য নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ, পর্যাপ্ত ঘুম, শিল্প বা লেখার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ এবং প্রকৃতির কাছে যাওয়া সহায়ক হতে পারে।
রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, রাগ ব্যবস্থাপনা থেরাপি নেওয়া প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক উন্নতি লাভ করেন। আপনার রাগ নিয়ে আপনি একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার চিকিৎসক আপনাকে রেফার করতে পারবেন। ২০২২ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, অভিভাবকদের জন্য গ্রুপভিত্তিক রাগ ব্যবস্থাপনা প্রোগ্রাম বেশ কার্যকর। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী মায়েরা প্যারেন্টিং এবং মনোভাবে এমন উন্নতি দেখেছেন, যা প্রোগ্রাম শেষেও বজায় ছিল। এটি একাকিত্ব দূর করে সামাজিক সমর্থন বাড়াতে সহায়ক। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রাগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস করতে পারেন। এমনকি ইয়েল ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠান শিক্ষাবিদদের জন্য বিনা মূল্যে অনলাইন কোর্স অফার করে।

শিশুদের মধ্যেও রাগ বা ক্রোধের অনুভূতি আসা স্বাভাবিক। অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব হলো, তাদের এই অনুভূতিগুলোকে কার্যকরভাবে পরিচালনা এবং প্রক্রিয়া করতে শেখানো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজে সঠিক রাগ ব্যবস্থাপনা করে তাদের সামনে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করা। আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো বা দৌড়ানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপ অথবা জার্নালিং বা পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে তাদের অনুভূতি প্রকাশের নিরাপদ উপায় শেখান। তাদের রাগের কারণগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করুন। তারা যখনই উপযুক্ত উপায়ে রাগ সামলাবে, ছোট প্রচেষ্টার জন্যও তাদের প্রশংসা করুন।
অতিরিক্ত রাগ, বিশেষ করে চিৎকার-চেঁচামেচি, শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত রাগের প্রকাশ শিশুর মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতি বদলে দিতে পারে। চিৎকার-চেঁচামেচি আচরণ সংশোধনের পরিবর্তে উল্টো প্রায়শই তারা অবাঞ্ছিত আচরণ করে। এটি শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা ও উদ্বেগের জন্ম দিতে পারে। যারা বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি দেখে বড় হয়, তাদের মধ্যে অবিশ্বাস এবং সামাজিক সম্পর্কে সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এই মানসিক চাপের কারণে শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা; যেমন মাথাব্যথা এবং পেটের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্র সৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্
২৬ মার্চ ২০২৪
প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ দুই ধরনের খাবারেই আয়রন পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, গরুর মাংসই আয়রনের প্রধান উৎস। সত্যি বলতে, রান্না করা ৩ আউন্স গরুর কিমা মাংসে থাকে প্রায় ২.২৭ মিলিগ্রাম আয়রন, যা দৈনিক চাহিদার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আপনি যদি নিরামিষ খান বা লাল মাংস পছন্দ না করেন, তবুও চিন্তার কিছু নেই।
৯ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
১৩ ঘণ্টা আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে লম্বা এবং কোন প্রান্তে সবচেয়ে খর্ব মানুষজন বসবাস করে, তার একটি আকর্ষণীয় চিত্র উঠে এসেছে। গড় মানব উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ধরে রেখেছে ইউরোপীয় দেশগুলো আর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস।

বিশ্বের দীর্ঘতম মানুষ: শীর্ষস্থান ডাচদের
এই পরিসংখ্যান দেখায়, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার উন্নত মান কীভাবে একটি জাতির গড় উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। তালিকার শীর্ষে থাকা নেদারল্যান্ডসের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এই উচ্চতাই বিশ্ব রেকর্ড। এখানে একটি মজার তথ্য পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর প্রকাশিত তথ্যগুলোতে ৫, ১০, ১৫ ও ১৯ বছর বয়সী নারী ও পুরুষদের উচ্চতার তালিকা দেওয়া হয়। সেখানে ১৯ বছরের নারী ও পুরুষের উচ্চতা অনুযায়ী নেদারল্যান্ডস শীর্ষে থাকলেও ৫ ও ১০ বছর বয়সীদের ক্যাটাগরিতে উচ্চতার ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ফ্রান্স পলিনেশিয়া, যা মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। আর ১৫ বছর বয়সীদের তালিকায় শীর্ষে আছে মন্টিনিগ্রো। ডাচদের পরেই দীর্ঘতম জনসংখ্যার তালিকায় রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বলকান এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের। ৬ ফুট গড় উচ্চতার তালিকায় আছে মন্টিনিগ্রো, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। যেখানে পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট। এই দেশগুলোতে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির মধ্যে। ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও মন্টিনিগ্রোর নারীরা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি গড় উচ্চতা নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন, স্লোভাকিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও লাটভিয়ার মতো দেশগুলোর পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। সেখানে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।

খর্বতম জনসংখ্যা: এশিয়া-আফ্রিকার চিত্র
তালিকায় থাকা এই দেশগুলোর জনসংখ্যা সাধারণত পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। আর এই বিষয়গুলোই তাদের শারীরিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার সন্ধান মেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। এই তালিকায় সর্বনিম্ন গড় উচ্চতা নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরে পুরুষদের গড় উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। নারীদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট। পূর্ব তিমুরের পর সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে লাওস, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনি। লাওস, পাপুয়া নিউগিনি এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বাংলাদেশ, নেপাল, ইয়েমেন, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কারের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার নারীদের গড় উচ্চতা মাত্র ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি। এটি এই তালিকায় সর্বনিম্ন। পুরুষদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। বাংলাদেশ ও নেপালে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট।
গড় উচ্চতার এই বিশ্ব মানচিত্র একটি জাতির স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান কেমন, তার একটি নীরব সূচক। নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো প্রমাণ করে যে উন্নত জীবনধারণের ব্যবস্থা উচ্চতার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। যেখানে এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলের পরিসংখ্যান বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে লম্বা এবং কোন প্রান্তে সবচেয়ে খর্ব মানুষজন বসবাস করে, তার একটি আকর্ষণীয় চিত্র উঠে এসেছে। গড় মানব উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ধরে রেখেছে ইউরোপীয় দেশগুলো আর এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস।

বিশ্বের দীর্ঘতম মানুষ: শীর্ষস্থান ডাচদের
এই পরিসংখ্যান দেখায়, পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার উন্নত মান কীভাবে একটি জাতির গড় উচ্চতাকে প্রভাবিত করে। তালিকার শীর্ষে থাকা নেদারল্যান্ডসের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি এবং নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এই উচ্চতাই বিশ্ব রেকর্ড। এখানে একটি মজার তথ্য পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর প্রকাশিত তথ্যগুলোতে ৫, ১০, ১৫ ও ১৯ বছর বয়সী নারী ও পুরুষদের উচ্চতার তালিকা দেওয়া হয়। সেখানে ১৯ বছরের নারী ও পুরুষের উচ্চতা অনুযায়ী নেদারল্যান্ডস শীর্ষে থাকলেও ৫ ও ১০ বছর বয়সীদের ক্যাটাগরিতে উচ্চতার ক্ষেত্রে শীর্ষে আছে ফ্রান্স পলিনেশিয়া, যা মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের একাধিক দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। আর ১৫ বছর বয়সীদের তালিকায় শীর্ষে আছে মন্টিনিগ্রো। ডাচদের পরেই দীর্ঘতম জনসংখ্যার তালিকায় রয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে বলকান এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের। ৬ ফুট গড় উচ্চতার তালিকায় আছে মন্টিনিগ্রো, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। যেখানে পুরুষদের গড় উচ্চতা ৬ ফুট। এই দেশগুলোতে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির মধ্যে। ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও মন্টিনিগ্রোর নারীরা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি গড় উচ্চতা নিয়ে এগিয়ে রয়েছে। পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন, স্লোভাকিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও লাটভিয়ার মতো দেশগুলোর পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। সেখানে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি।

খর্বতম জনসংখ্যা: এশিয়া-আফ্রিকার চিত্র
তালিকায় থাকা এই দেশগুলোর জনসংখ্যা সাধারণত পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। আর এই বিষয়গুলোই তাদের শারীরিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার সন্ধান মেলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। এই তালিকায় সর্বনিম্ন গড় উচ্চতা নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ পূর্ব তিমুরে পুরুষদের গড় উচ্চতা মাত্র ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। নারীদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট। পূর্ব তিমুরের পর সবচেয়ে খর্বকায় জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে লাওস, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়া নিউগিনি। লাওস, পাপুয়া নিউগিনি এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। বাংলাদেশ, নেপাল, ইয়েমেন, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কারের পুরুষদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার নারীদের গড় উচ্চতা মাত্র ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি। এটি এই তালিকায় সর্বনিম্ন। পুরুষদের গড় উচ্চতা এখানে ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। বাংলাদেশ ও নেপালে নারীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট।
গড় উচ্চতার এই বিশ্ব মানচিত্র একটি জাতির স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মান কেমন, তার একটি নীরব সূচক। নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো প্রমাণ করে যে উন্নত জীবনধারণের ব্যবস্থা উচ্চতার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। যেখানে এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলের পরিসংখ্যান বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্র সৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্
২৬ মার্চ ২০২৪
প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ দুই ধরনের খাবারেই আয়রন পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, গরুর মাংসই আয়রনের প্রধান উৎস। সত্যি বলতে, রান্না করা ৩ আউন্স গরুর কিমা মাংসে থাকে প্রায় ২.২৭ মিলিগ্রাম আয়রন, যা দৈনিক চাহিদার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আপনি যদি নিরামিষ খান বা লাল মাংস পছন্দ না করেন, তবুও চিন্তার কিছু নেই।
৯ ঘণ্টা আগে
সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে...
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে ঘোষণা করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কারও ‘লাইক’ বা ‘কমেন্ট’ নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালে কপালে দুঃখ আছে। ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন।
বৃষ
আপনার প্রতি গ্রহদের বার্তা: ‘আজ নড়া মানেই মহাপাপ!’ বিছানা বা সোফা থেকে উঠবেন না। যদি ওঠেনও, তবে তা হবে শুধু ফ্রিজ বা ফুড ডেলিভারি বয়ের উদ্দেশ্যে। আজ ডায়েট প্ল্যানটি এতটা কঠোর হবে যে এক চুমুক চা খেয়েই ভাববেন, ‘থাক, আজ অনেক ক্যালরি হলো!’ ভালোবাসার মানুষের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইলে, তাঁর প্রিয় খাবারটা নিজের হাতে রান্না করুন। রান্নার গন্ধই আপনার প্রেমজীবনকে গতি দেবে।
মিথুন
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা আজ একই সঙ্গে দুটি বিপরীত কাজ করার চেষ্টা করবেন, যেমন একদিকে মেডিটেশন করে শান্তি খুঁজবেন, আর অন্যদিকে পাশের জনের সঙ্গে অকারণে তর্ক করে সেই শান্তি নষ্ট করবেন। আজ সকালে যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, দুপুরে নিজেই তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করে দেবেন। বন্ধুবান্ধব আপনার ‘মিনি-পার্সোনালিটি ক্রাইসিস’ দেখে হাসবে। কোনো মিটিংয়ে এমন একটি জটিল আইডিয়া দেবেন, যা নিজেও বোঝেন না। ভাগ্য ভালো থাকলে সবাই চুপ করে থাকবে, আর খারাপ থাকলে সেই আইডিয়া আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেবে।
কর্কট
চাঁদের প্রভাব আজ আপনার ওপর তীব্র। দিনের বেলাতেই মনে হবে, পৃথিবীর সব কষ্ট শুধু আপনার জন্যই বরাদ্দ। সামান্য চিপসের প্যাকেট ছিঁড়ে গেলে বা রিমোট খুঁজে না পেলেও আপনার চোখ ভিজে উঠতে পারে। সামান্য ব্যাপারে ড্রামা কুইন/কিং সেজে বসে থাকবেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, ‘তোমরা আমার ভেতরের কষ্টটা বুঝবে না!’ পরিবারের সবাই আজ আপনার মুড দেখে ভয়ে থাকবে। শান্তি চাইলে, সবার জন্য সুস্বাদু কিছু রান্না করুন। কারণ, পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
সিংহ
আজ সারা দিন এমন সুযোগ খুঁজবেন, যেখানে নিজেকে ‘শো-স্টপার’ হিসেবে প্রমাণ করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ স্পটলাইট আপনার দিকে নয়, বরং পেছনের দেয়ালটার দিকে থাকবে। অফিসে বা বন্ধুদের আড্ডায় এমনভাবে গল্প বলবেন, যেন আপনি নিজেই সেই গল্পের মূল চরিত্র, যিনি কোনো বিশ্ব-সমস্যা সমাধান করেছেন। আজ কেনাকাটার সময় এমন কিছু কিনতে পারেন, যা শুধু অন্যের চোখধাঁধানোর জন্য দরকার। পকেট ফাঁকা হলেও ইগো টইটম্বুর!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ ভূতটি সক্রিয় হয়ে উঠবে। নিজের ঘর বা ডেস্ক এমনভাবে পরিপাটি করতে চাইবেন, যেন সেটা কোনো মিউজিয়ামের প্রদর্শনী। এই করতে গিয়ে সারা দিনের কাজ পণ্ড হবে। আজ রান্নাঘরের মসলার কৌটো গোছাতে গিয়ে আবিষ্কার করবেন, গত ছয় মাস ধরে ভুল মসলা ব্যবহার করছিলেন। সামান্য হাঁচি হলেও গুগলে কঠিন রোগের লক্ষণ খুঁজতে শুরু করবেন। অযথা ডাক্তার না সেজে বরং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি শেষ করুন।
তুলা
তুলা রাশির মানুষজন আজ এমনভাবে দোদুল্যমান থাকবেন, যেন পাল্লায় একদিকে আছে চা আর অন্যদিকে কফি। এই দোটানা এতটা তীব্র হবে যে নিজের জন্য একটা টুথব্রাশ কিনতেও ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে ফেলবেন। আজ কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলতে চাইলেও মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে ‘না-এর মাঝামাঝি কিছু একটা’। প্রেমিকার/প্রেমিকের জন্মদিনে কী দেবেন, তা ঠিক করতে গিয়ে রাত কাবার হবে। আজ বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টস করুন। কারণ, গ্রহের মতে, ভাগ্য আজ আপনার ইচ্ছার চেয়েও ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃশ্চিক
আপনার রাশিতে আজ গভীর ষড়যন্ত্রের যোগ। সারা দিন এমন গম্ভীর মুখ করে থাকবেন, যেন কোনো আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তির প্ল্যান কষছেন। কিন্তু এই রহস্যময়তা আসলে কোনো অপ্রয়োজনীয় বিল বা ভুলে যাওয়া ডেডলাইন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়। বন্ধু বা সহকর্মীরা ভাববে, আপনি কোনো মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। কিন্তু আসলে ফোনের গ্যালারিতে গত পাঁচ বছরের সব অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিনশট ডিলিট করছেন। ভালোবাসার মানুষকে কাছে টানুন, কিন্তু অতিরিক্ত রহস্যময় আচরণ করলে তাঁরা আপনাকে ‘পাগল’ ভাবতে পারেন। হাসি পেলে হাসুন!
ধনু
মনে আজ বিশ্বভ্রমণের ঢেউ। কিন্তু পকেট আর অফিসের কাজের চাপে সেই ঢেউ এসে আছড়ে পড়বে বাড়ির বারান্দা বা ছাদে। ছাদে পায়চারি করতে করতে জীবন ও জগতের রহস্য নিয়ে গভীর দার্শনিক মন্তব্য করতে পারেন। আজ অফিসের ড্রেস কোড নিয়ে এমন এক জটিল দর্শন ঝাড়বেন, যাতে বসও কনফিউজড হয়ে যাবেন। কোনো দূরবর্তী ভ্রমণের প্ল্যান আজ চূড়ান্ত হবে, যা শেষ পর্যন্ত শুধু আপনার ড্রয়িংরুম পর্যন্তই যাবে। তবু স্বপ্ন দেখা ছাড়বেন না।
মকর
আপনার রাশিতে আজ ‘অতি কার্যকলাপ’-এর যোগ। আজকের দিনটি এমনভাবে কাটাবেন যেন আপনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি, যার কাছে কাজ করার সময় আছে। অন্য সবাই আপনার চোখে শুধু অলস আর অকেজো। ছুটি থাকলেও সকালে উঠে অফিসের ই-মেইল চেক করবেন এবং মনে মনে ভাববেন, ‘আহ! কী শান্তি!’ সিনেমা দেখতে গেলে হিরো-হিরোইনদের কাজের প্রতি তাদের সিরিয়াসনেস নিয়ে সমালোচনা করবেন। আজ বিনোদনের চেয়ে কাজের তালিকা তৈরি করা আপনার কাছে বেশি আনন্দের।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু করতে চাইবেন, যা কেউ কখনো করেনি। ধরুন, হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ থেকে শুধু উল্টো দিকে হাঁটবেন, অথবা বেগুনভাজা দিয়ে কফি খাবেন। এমন একটি অদ্ভুত বিষয়ে জ্ঞান ঝাড়বেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজেকে ‘ভবিষ্যতের মানুষ’ মনে করে বর্তমানের মানুষের প্রতি করুণা করবেন। আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো শুনে বন্ধুরা আজ মজা পাবে। তাই তাদের বিরক্ত না করে, নিজের মতো করে ‘আলাদা’ থাকুন।
মীন
আপনার মন আজ মেঘে ঢাকা। সারা দিন কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়াবেন। মিটিংয়ের মাঝে, রাস্তার ভিড়ে বা খাবার টেবিলে—হঠাৎ করে এমন এক গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন যে পাশের লোক কী বলল, তা আপনার কানেই যাবে না। হাঁটতে হাঁটতে হয়তো দেয়ালে ধাক্কা খাবেন, বা দুবার ভুল বাসে উঠে পড়বেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, আপনি নাকি মহাজাগতিক কোনো সিগন্যালের অর্থোদ্ধার করছিলেন। আজ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাঠানোর আগে দুবার চেক করুন, নইলে স্বপ্নে দেখা কোনো রেসিপি হয়তো বসের কাছে চলে যেতে পারে।

মেষ
আপনার জন্মগত রণংদেহী মেজাজ আজ চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, যুদ্ধের ময়দান আজ আপনার কিচেন! আজ ঠিক করবেন, হয় পৃথিবীর সেরা ডিনার বানাবেন, না হয় গ্যাস ওভেনটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে দেবেন। আজ প্রেমিকের/প্রেমিকার কাছে সামান্য প্রশংসা না পেলে, নিজেকে ঘরের কোণে ‘বিপ্লবী’ বলে ঘোষণা করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কারও ‘লাইক’ বা ‘কমেন্ট’ নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখালে কপালে দুঃখ আছে। ভার্চুয়াল হাতাহাতি থেকে দূরে থাকুন।
বৃষ
আপনার প্রতি গ্রহদের বার্তা: ‘আজ নড়া মানেই মহাপাপ!’ বিছানা বা সোফা থেকে উঠবেন না। যদি ওঠেনও, তবে তা হবে শুধু ফ্রিজ বা ফুড ডেলিভারি বয়ের উদ্দেশ্যে। আজ ডায়েট প্ল্যানটি এতটা কঠোর হবে যে এক চুমুক চা খেয়েই ভাববেন, ‘থাক, আজ অনেক ক্যালরি হলো!’ ভালোবাসার মানুষের কাছে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইলে, তাঁর প্রিয় খাবারটা নিজের হাতে রান্না করুন। রান্নার গন্ধই আপনার প্রেমজীবনকে গতি দেবে।
মিথুন
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা আজ একই সঙ্গে দুটি বিপরীত কাজ করার চেষ্টা করবেন, যেমন একদিকে মেডিটেশন করে শান্তি খুঁজবেন, আর অন্যদিকে পাশের জনের সঙ্গে অকারণে তর্ক করে সেই শান্তি নষ্ট করবেন। আজ সকালে যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন, দুপুরে নিজেই তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করে দেবেন। বন্ধুবান্ধব আপনার ‘মিনি-পার্সোনালিটি ক্রাইসিস’ দেখে হাসবে। কোনো মিটিংয়ে এমন একটি জটিল আইডিয়া দেবেন, যা নিজেও বোঝেন না। ভাগ্য ভালো থাকলে সবাই চুপ করে থাকবে, আর খারাপ থাকলে সেই আইডিয়া আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেবে।
কর্কট
চাঁদের প্রভাব আজ আপনার ওপর তীব্র। দিনের বেলাতেই মনে হবে, পৃথিবীর সব কষ্ট শুধু আপনার জন্যই বরাদ্দ। সামান্য চিপসের প্যাকেট ছিঁড়ে গেলে বা রিমোট খুঁজে না পেলেও আপনার চোখ ভিজে উঠতে পারে। সামান্য ব্যাপারে ড্রামা কুইন/কিং সেজে বসে থাকবেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, ‘তোমরা আমার ভেতরের কষ্টটা বুঝবে না!’ পরিবারের সবাই আজ আপনার মুড দেখে ভয়ে থাকবে। শান্তি চাইলে, সবার জন্য সুস্বাদু কিছু রান্না করুন। কারণ, পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা।
সিংহ
আজ সারা দিন এমন সুযোগ খুঁজবেন, যেখানে নিজেকে ‘শো-স্টপার’ হিসেবে প্রমাণ করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ স্পটলাইট আপনার দিকে নয়, বরং পেছনের দেয়ালটার দিকে থাকবে। অফিসে বা বন্ধুদের আড্ডায় এমনভাবে গল্প বলবেন, যেন আপনি নিজেই সেই গল্পের মূল চরিত্র, যিনি কোনো বিশ্ব-সমস্যা সমাধান করেছেন। আজ কেনাকাটার সময় এমন কিছু কিনতে পারেন, যা শুধু অন্যের চোখধাঁধানোর জন্য দরকার। পকেট ফাঁকা হলেও ইগো টইটম্বুর!
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ ভূতটি সক্রিয় হয়ে উঠবে। নিজের ঘর বা ডেস্ক এমনভাবে পরিপাটি করতে চাইবেন, যেন সেটা কোনো মিউজিয়ামের প্রদর্শনী। এই করতে গিয়ে সারা দিনের কাজ পণ্ড হবে। আজ রান্নাঘরের মসলার কৌটো গোছাতে গিয়ে আবিষ্কার করবেন, গত ছয় মাস ধরে ভুল মসলা ব্যবহার করছিলেন। সামান্য হাঁচি হলেও গুগলে কঠিন রোগের লক্ষণ খুঁজতে শুরু করবেন। অযথা ডাক্তার না সেজে বরং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজটি শেষ করুন।
তুলা
তুলা রাশির মানুষজন আজ এমনভাবে দোদুল্যমান থাকবেন, যেন পাল্লায় একদিকে আছে চা আর অন্যদিকে কফি। এই দোটানা এতটা তীব্র হবে যে নিজের জন্য একটা টুথব্রাশ কিনতেও ঘণ্টাখানেক লাগিয়ে ফেলবেন। আজ কাউকে ‘হ্যাঁ’ বলতে চাইলেও মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসবে ‘না-এর মাঝামাঝি কিছু একটা’। প্রেমিকার/প্রেমিকের জন্মদিনে কী দেবেন, তা ঠিক করতে গিয়ে রাত কাবার হবে। আজ বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টস করুন। কারণ, গ্রহের মতে, ভাগ্য আজ আপনার ইচ্ছার চেয়েও ভালো সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃশ্চিক
আপনার রাশিতে আজ গভীর ষড়যন্ত্রের যোগ। সারা দিন এমন গম্ভীর মুখ করে থাকবেন, যেন কোনো আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তির প্ল্যান কষছেন। কিন্তু এই রহস্যময়তা আসলে কোনো অপ্রয়োজনীয় বিল বা ভুলে যাওয়া ডেডলাইন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়া আর কিছুই নয়। বন্ধু বা সহকর্মীরা ভাববে, আপনি কোনো মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত। কিন্তু আসলে ফোনের গ্যালারিতে গত পাঁচ বছরের সব অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিনশট ডিলিট করছেন। ভালোবাসার মানুষকে কাছে টানুন, কিন্তু অতিরিক্ত রহস্যময় আচরণ করলে তাঁরা আপনাকে ‘পাগল’ ভাবতে পারেন। হাসি পেলে হাসুন!
ধনু
মনে আজ বিশ্বভ্রমণের ঢেউ। কিন্তু পকেট আর অফিসের কাজের চাপে সেই ঢেউ এসে আছড়ে পড়বে বাড়ির বারান্দা বা ছাদে। ছাদে পায়চারি করতে করতে জীবন ও জগতের রহস্য নিয়ে গভীর দার্শনিক মন্তব্য করতে পারেন। আজ অফিসের ড্রেস কোড নিয়ে এমন এক জটিল দর্শন ঝাড়বেন, যাতে বসও কনফিউজড হয়ে যাবেন। কোনো দূরবর্তী ভ্রমণের প্ল্যান আজ চূড়ান্ত হবে, যা শেষ পর্যন্ত শুধু আপনার ড্রয়িংরুম পর্যন্তই যাবে। তবু স্বপ্ন দেখা ছাড়বেন না।
মকর
আপনার রাশিতে আজ ‘অতি কার্যকলাপ’-এর যোগ। আজকের দিনটি এমনভাবে কাটাবেন যেন আপনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি, যার কাছে কাজ করার সময় আছে। অন্য সবাই আপনার চোখে শুধু অলস আর অকেজো। ছুটি থাকলেও সকালে উঠে অফিসের ই-মেইল চেক করবেন এবং মনে মনে ভাববেন, ‘আহ! কী শান্তি!’ সিনেমা দেখতে গেলে হিরো-হিরোইনদের কাজের প্রতি তাদের সিরিয়াসনেস নিয়ে সমালোচনা করবেন। আজ বিনোদনের চেয়ে কাজের তালিকা তৈরি করা আপনার কাছে বেশি আনন্দের।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু করতে চাইবেন, যা কেউ কখনো করেনি। ধরুন, হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিলেন, আজ থেকে শুধু উল্টো দিকে হাঁটবেন, অথবা বেগুনভাজা দিয়ে কফি খাবেন। এমন একটি অদ্ভুত বিষয়ে জ্ঞান ঝাড়বেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজেকে ‘ভবিষ্যতের মানুষ’ মনে করে বর্তমানের মানুষের প্রতি করুণা করবেন। আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো শুনে বন্ধুরা আজ মজা পাবে। তাই তাদের বিরক্ত না করে, নিজের মতো করে ‘আলাদা’ থাকুন।
মীন
আপনার মন আজ মেঘে ঢাকা। সারা দিন কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়াবেন। মিটিংয়ের মাঝে, রাস্তার ভিড়ে বা খাবার টেবিলে—হঠাৎ করে এমন এক গভীর চিন্তায় ডুবে যাবেন যে পাশের লোক কী বলল, তা আপনার কানেই যাবে না। হাঁটতে হাঁটতে হয়তো দেয়ালে ধাক্কা খাবেন, বা দুবার ভুল বাসে উঠে পড়বেন। কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবেন, আপনি নাকি মহাজাগতিক কোনো সিগন্যালের অর্থোদ্ধার করছিলেন। আজ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাঠানোর আগে দুবার চেক করুন, নইলে স্বপ্নে দেখা কোনো রেসিপি হয়তো বসের কাছে চলে যেতে পারে।

পৃথিবীর যত ন্যাশনাল পার্কে আছে সেগুলোর মধ্যে বড় আর বৈচিত্র্যময়গুলো সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে। হাজার হাজার একর বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ বনভূমি, দ্বীপ, পাহাড় কিংবা সমুদ্র সৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে এসব পার্ক। আছে লাখ লাখ বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মাইলের পর মাইল সবুজ বনভূমি। এই অঞ্চলগুলো ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য অসাধারণ স্
২৬ মার্চ ২০২৪
প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ দুই ধরনের খাবারেই আয়রন পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন, গরুর মাংসই আয়রনের প্রধান উৎস। সত্যি বলতে, রান্না করা ৩ আউন্স গরুর কিমা মাংসে থাকে প্রায় ২.২৭ মিলিগ্রাম আয়রন, যা দৈনিক চাহিদার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে আপনি যদি নিরামিষ খান বা লাল মাংস পছন্দ না করেন, তবুও চিন্তার কিছু নেই।
৯ ঘণ্টা আগে
সন্তান কথা শুনছে না। খেতে বললে খাচ্ছে না, পড়তে বললে পড়তে বসছে না। এই সমস্যায় মোটামুটি সব অভিভাবকই জর্জরিত। আর এই কাজগুলো সন্তান যখন করছে, তখন রেগে উঠছেন বাবা-মায়েরা। রাগ মানব মনের এক স্বাভাবিক ও শক্তিশালী অনুভূতি। অন্যদিকে শিশুরা কথা শুনতে চাইবে না, একবার বললেই বুঝবে না, এটাও খুব সাধারণ সমস্যা।
১১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় উচ্চতায় ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। জাতি, ভৌগোলিক অবস্থান ও খাদ্যাভ্যাস প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার গড় উচ্চতার পরিসংখ্যান বরাবরই কৌতূহলোদ্দীপক। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ২০২৫ সালের গড় উচ্চতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গ্রহের কোন প্রান্তে সবচেয়ে
১৩ ঘণ্টা আগে