রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইউসুফের ৫৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা ইবরাহিম পুরোটা পড়া হবে। এই অংশে ইউসুফ (আ.)–এর জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনির শেষাংশ, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, জীবন-মরণ তাঁর হাতে, মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য, কিয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
ধৈর্যের পুরস্কার পেয়েছিলেন ইউসুফ (আ.)
গতকাল তারাবিতে ইউসুফ (আ.)-এর কাহিনির শুরুর অংশ পাঠ করা হয়েছিল। আজ শুরুতে বাকি অংশ তিলাওয়াত করা হবে। ইউসুফ (আ.)-এর কাছে স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা শুনে মিসরের বাদশাহ অভিভূত হলেন। খুশি হয়ে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিলেন। মুক্তির আগে ইউসুফ (আ.) নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চাইলেন। জুলেখা বাধ্য হয়ে অপরাধের কথা স্বীকার করলেন। তাঁর সাজানো নাটকের কথা বললেন।
ইউসুফ (আ.) মিসরের অর্থ বিভাগের দায়িত্ব চেয়ে নেন। তখন মিসর ও এর আশপাশে দুর্ভিক্ষ চলছিল। অভাবে পড়ে তাঁর ভাইয়েরা বিশেষ দান পেতে মিসরে আসেন। কয়েকবার সাক্ষাতে পরই ভাইয়েরা তাঁকে চিনতে পারেননি। তবে ইউসুফ চিনতে পেরেও পরিচয় গোপন রাখেন। তিনি তাঁদের শর্ত দেন, পরেরবার ত্রাণ পেতে হলে তাঁদের ছোট ভাই বেনইয়ামিনকে সঙ্গে আনতে হবে। বেনইয়ামিন হলেন ইউসুফ (আ.)–এর সহোদর ভাই।
পরে ভাইয়েরা বেনইয়ামিনকে সঙ্গে করে আবার মিসর আসেন। তখন ছোট ভাইকে কৌশলে নিজের কাছে রেখে দেন ইউসুফ (আ.)। ভাইদের কাছে বাবা ইয়াকুবের জন্য নিজের পরনের জামা দিয়ে বলেন, ‘এটা আমার আব্বার চেহারার ওপর রেখ। এতে তিনি দৃষ্টি পাবেন। ইয়াকুব (আ.) জামার বদৌলতে দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিলেন।’ পুত্রশোকে ইয়াকুব (আ.) অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ইউসুফ (আ.)–এর জামার ঘ্রাণেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। পরে সপরিবারে মিসরে চলে আসেন।
অনেকের ধারণা, ইউসুফ (আ.) জুলেখার সঙ্গে প্রেম করেছেন। এটি সত্য নয়। ইউসুফ (আ.) কোনো দিন জুলেখার সঙ্গে প্রেম করেননি; জুলেখার একপক্ষীয় প্রেম ছিল। ইউসুফ (আ.) প্রেমে মজেছেন এবং তাঁকে যৌন নিপীড়ন করেছেন—জুলেখা তাঁকে এই মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলেন। ইউসুফ (আ.) তা অস্বীকার করেন এবং একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু ইউসুফ (আ.)-এর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিল। সত্য বুঝতে পারার পরও জুলেখার সম্মান বাঁচাতে তাঁর স্বামী কিতফির হজরত ইউসুফ (আ.)-কে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহর ওপর ভরসা করে ধৈর্য ধরে দীর্ঘ দিন কারাবন্দী থেকেছেন ইউসুফ (আ.), যার সুফলও তিনি পেয়েছেন। নবী হয়েছেন। হয়েছেন মিসরের ধন-ভান্ডারের রক্ষক।
ইউসুফ (আ.) কি জুলেখাকে বিয়ে করেছিলেন
স্বামীর মৃত্যুর পর জুলেখার সঙ্গে ইউসুফ (আ.)-এর বিয়ে হয়েছিল কি না—এ বিষয়ে কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্ট কিছুই জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক ও মুফাসসিরগণ বিচ্ছিন্ন সনদে উল্লেখ করেছেন যে, স্বামী কিতফিরের মৃত্যুর পর এবং তওবা করার পর ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে জুলেখার বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তানও হয়েছিল। (তাফসিরে ইবনে আবি হাতিম: ৮ / ৩৯০; তাফসিরে তবারি: ১৬ / ১৫১; আদ-দুররুল মানসুর: ৪ / ৫৫৩; আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া ১ / ১৯৬-১৯৭)
ইসরাইলি বর্ণনা (তাওরাত, ইঞ্জিল ও অন্যান্য সহিফা) থেকেই এসব ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। যার সত্য-মিথ্যা—কোনোটাই প্রমাণ করা যায় না। তাই বিষয়টি ইসলামি আকিদা-বিশ্বাস বিরোধী না হলে সত্য-মিথ্যা আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দিয়ে এসব বর্ণনা বিশ্বাস করা যেতে পারে। (বুখারি, মিশকাত: ১৫৫)
সুরা রাদ-এ আল্লাহর সৃষ্টির কথা
সুরা রাদ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৪৩। এটি কোরআনের ১৩ নম্বর সুরা। এ সুরার শুরু থেকে ১৮ নম্বর আয়াত পর্যন্ত আল্লাহ কর্তৃক আসমান-জমিন, চাঁদ-সূর্য, রাত-দিন, পাহাড়-পর্বত ও নদী-নালা, লতাগুল্ম, বৈচিত্র্যময় স্বাদ ও রঙের ফলমূলের সৃষ্টি, প্রকাশ্য-গোপন ও স্ত্রীর গর্ভে যা আছে তার খবর আল্লাহ জানেন, বৃষ্টি বর্ষণ, মেঘমালা এবং আল্লাহর ডাকে বান্দার সাড়া দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছে।
সুরা রাদ-এ বর্ণিত বিবেকবানদের ৯ গুণ
সুরা রাদের ২০ থেকে ২৪ নম্বর আয়াতে বিবেক সম্পন্নদের ৯টি গুণের উল্লেখ রয়েছে। মুত্তাকিরা—
১. আল্লাহর সঙ্গে করা অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
২. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না
৩. আল্লাহর নির্দেশিত সম্পর্ক বজায় রাখেন
৪. আল্লাহকে ভয় করেন
৫. জবাবদিহি খারাপ হওয়াকে ভয় করেন
৬. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ধৈর্য ধারণ করেন
৭. নামাজ প্রতিষ্ঠা করেন
৮. আল্লাহর দেওয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করেন
৯. ভালো দিয়ে মন্দ দূর করেন
সুরা ইবরাহিম (আ.)-এর বিষয়বস্তু
সুরা ইবরাহিম মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫২। কোরআনুল কারিমের ১৪ তম সুরা এটি। মদিনায় হিজরতের কিছুদিন আগে এটি নাজিল হয়। এতে ইবরাহিম (আ.)-এর সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইবরাহিম। এ সুরাতে মৌলিকভাবে তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের আলোচনা স্থান পেয়েছে।
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় নেয়ামত বাড়ে
এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে—বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ, আলো, বাতাস, পানি, চাঁদ-সূর্য, রাত-দিন, বৃক্ষ; প্রতিটি জিনিস সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের জন্য। আল্লাহ তাআলা মানুষকে এসব থেকে উপকার ভোগের সুযোগ দিয়েছেন। না চাইতেই দিয়েছেন মহামূল্যবান জীবন, সুস্থতা, উপলব্ধি, প্রখর মেধা ও তীক্ষ্ণ জ্ঞান-বুদ্ধি, নাক, কান, চোখ, মুখ, জিহ্বা, হাত-পাসহ অসংখ্য নেয়ামত। মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি কত করুণা করেছেন, তা বলে, লিখে কিংবা চিন্তা করে শেষ করা যাবে না! বান্দার ওপর আল্লাহর যে পরিমাণ রহমত আছে, তা কল্পনা করাও সম্ভব নয়। এসব কিছুর বিনিময়ে আল্লাহ বান্দার কৃতজ্ঞতাবোধ দেখতে পছন্দ করেন। ধীর–স্থির ও প্রশান্ত চিত্তের সেজদা চান। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা চান।
বান্দা আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের প্রশংসা, শুকরিয়া ও গুণকীর্তন করলে, তিনি নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেন। খুশি হয়ে বান্দার ওপর রহমত বর্ষণ করেন। ফেরেশতাদের সামনে প্রশংসা করেন। অকৃতার্থ হৃদয়ের প্রতি আল্লাহ শুভদৃষ্টি দেন না। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
পৃথিবীর সব নবী-রাসুল জীবনভর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। মহানবী (সা.) আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় বেশি বেশি নামাজ পড়তেন। ফলে তাঁর পদযুগল ফুলে যেত। অথচ তাঁর আগে-পরের গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিয়েছিলেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম: ২৭৩৪)
মানুষের কল্যাণে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রার্থনা
সুরা ইবরাহিমের শেষাংশে আল্লাহর কাছে ইবরাহিম (আ.)-এর বিশেষ দোয়ার উল্লেখ রয়েছে। সে দোয়ায় তিনি দেশ, নিজের সন্তান–সন্ততি, পরবর্তী বংশধরদের জন্য সুকল্যাণ, তাদের মধ্যে বিশ্বাসী মুসলমান ও নামাজি সন্তান কামনা করেছেন। ক্ষমা চেয়েছেন নিজের জন্য, পিতার জন্য ও সব মুমিন-মুসলমানের জন্য।
এ ছাড়া স্তম্ভহীন আকাশে আল্লাহর নিদর্শন, কোরআনের মাহাত্ম্য, আল্লাহর জিকিরে অন্তরে প্রশান্তি লাভ, নবী-রাসুলদের সঙ্গে কাফেরদের আচরণ ও পরিণতি, হক-বাতিলের পরিচয় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইউসুফের ৫৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা ইবরাহিম পুরোটা পড়া হবে। এই অংশে ইউসুফ (আ.)–এর জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনির শেষাংশ, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, জীবন-মরণ তাঁর হাতে, মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য, কিয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
ধৈর্যের পুরস্কার পেয়েছিলেন ইউসুফ (আ.)
গতকাল তারাবিতে ইউসুফ (আ.)-এর কাহিনির শুরুর অংশ পাঠ করা হয়েছিল। আজ শুরুতে বাকি অংশ তিলাওয়াত করা হবে। ইউসুফ (আ.)-এর কাছে স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা শুনে মিসরের বাদশাহ অভিভূত হলেন। খুশি হয়ে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দিলেন। মুক্তির আগে ইউসুফ (আ.) নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চাইলেন। জুলেখা বাধ্য হয়ে অপরাধের কথা স্বীকার করলেন। তাঁর সাজানো নাটকের কথা বললেন।
ইউসুফ (আ.) মিসরের অর্থ বিভাগের দায়িত্ব চেয়ে নেন। তখন মিসর ও এর আশপাশে দুর্ভিক্ষ চলছিল। অভাবে পড়ে তাঁর ভাইয়েরা বিশেষ দান পেতে মিসরে আসেন। কয়েকবার সাক্ষাতে পরই ভাইয়েরা তাঁকে চিনতে পারেননি। তবে ইউসুফ চিনতে পেরেও পরিচয় গোপন রাখেন। তিনি তাঁদের শর্ত দেন, পরেরবার ত্রাণ পেতে হলে তাঁদের ছোট ভাই বেনইয়ামিনকে সঙ্গে আনতে হবে। বেনইয়ামিন হলেন ইউসুফ (আ.)–এর সহোদর ভাই।
পরে ভাইয়েরা বেনইয়ামিনকে সঙ্গে করে আবার মিসর আসেন। তখন ছোট ভাইকে কৌশলে নিজের কাছে রেখে দেন ইউসুফ (আ.)। ভাইদের কাছে বাবা ইয়াকুবের জন্য নিজের পরনের জামা দিয়ে বলেন, ‘এটা আমার আব্বার চেহারার ওপর রেখ। এতে তিনি দৃষ্টি পাবেন। ইয়াকুব (আ.) জামার বদৌলতে দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিলেন।’ পুত্রশোকে ইয়াকুব (আ.) অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। ইউসুফ (আ.)–এর জামার ঘ্রাণেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। পরে সপরিবারে মিসরে চলে আসেন।
অনেকের ধারণা, ইউসুফ (আ.) জুলেখার সঙ্গে প্রেম করেছেন। এটি সত্য নয়। ইউসুফ (আ.) কোনো দিন জুলেখার সঙ্গে প্রেম করেননি; জুলেখার একপক্ষীয় প্রেম ছিল। ইউসুফ (আ.) প্রেমে মজেছেন এবং তাঁকে যৌন নিপীড়ন করেছেন—জুলেখা তাঁকে এই মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিলেন। ইউসুফ (আ.) তা অস্বীকার করেন এবং একটি দুগ্ধপোষ্য শিশু ইউসুফ (আ.)-এর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছিল। সত্য বুঝতে পারার পরও জুলেখার সম্মান বাঁচাতে তাঁর স্বামী কিতফির হজরত ইউসুফ (আ.)-কে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহর ওপর ভরসা করে ধৈর্য ধরে দীর্ঘ দিন কারাবন্দী থেকেছেন ইউসুফ (আ.), যার সুফলও তিনি পেয়েছেন। নবী হয়েছেন। হয়েছেন মিসরের ধন-ভান্ডারের রক্ষক।
ইউসুফ (আ.) কি জুলেখাকে বিয়ে করেছিলেন
স্বামীর মৃত্যুর পর জুলেখার সঙ্গে ইউসুফ (আ.)-এর বিয়ে হয়েছিল কি না—এ বিষয়ে কোরআন-হাদিস থেকে স্পষ্ট কিছুই জানা যায় না। তবে ঐতিহাসিক ও মুফাসসিরগণ বিচ্ছিন্ন সনদে উল্লেখ করেছেন যে, স্বামী কিতফিরের মৃত্যুর পর এবং তওবা করার পর ইউসুফ (আ.)-এর সঙ্গে জুলেখার বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তানও হয়েছিল। (তাফসিরে ইবনে আবি হাতিম: ৮ / ৩৯০; তাফসিরে তবারি: ১৬ / ১৫১; আদ-দুররুল মানসুর: ৪ / ৫৫৩; আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া ১ / ১৯৬-১৯৭)
ইসরাইলি বর্ণনা (তাওরাত, ইঞ্জিল ও অন্যান্য সহিফা) থেকেই এসব ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। যার সত্য-মিথ্যা—কোনোটাই প্রমাণ করা যায় না। তাই বিষয়টি ইসলামি আকিদা-বিশ্বাস বিরোধী না হলে সত্য-মিথ্যা আল্লাহর হাতে সোপর্দ করে দিয়ে এসব বর্ণনা বিশ্বাস করা যেতে পারে। (বুখারি, মিশকাত: ১৫৫)
সুরা রাদ-এ আল্লাহর সৃষ্টির কথা
সুরা রাদ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৪৩। এটি কোরআনের ১৩ নম্বর সুরা। এ সুরার শুরু থেকে ১৮ নম্বর আয়াত পর্যন্ত আল্লাহ কর্তৃক আসমান-জমিন, চাঁদ-সূর্য, রাত-দিন, পাহাড়-পর্বত ও নদী-নালা, লতাগুল্ম, বৈচিত্র্যময় স্বাদ ও রঙের ফলমূলের সৃষ্টি, প্রকাশ্য-গোপন ও স্ত্রীর গর্ভে যা আছে তার খবর আল্লাহ জানেন, বৃষ্টি বর্ষণ, মেঘমালা এবং আল্লাহর ডাকে বান্দার সাড়া দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছে।
সুরা রাদ-এ বর্ণিত বিবেকবানদের ৯ গুণ
সুরা রাদের ২০ থেকে ২৪ নম্বর আয়াতে বিবেক সম্পন্নদের ৯টি গুণের উল্লেখ রয়েছে। মুত্তাকিরা—
১. আল্লাহর সঙ্গে করা অঙ্গীকার পূর্ণ করেন
২. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না
৩. আল্লাহর নির্দেশিত সম্পর্ক বজায় রাখেন
৪. আল্লাহকে ভয় করেন
৫. জবাবদিহি খারাপ হওয়াকে ভয় করেন
৬. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ধৈর্য ধারণ করেন
৭. নামাজ প্রতিষ্ঠা করেন
৮. আল্লাহর দেওয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করেন
৯. ভালো দিয়ে মন্দ দূর করেন
সুরা ইবরাহিম (আ.)-এর বিষয়বস্তু
সুরা ইবরাহিম মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৫২। কোরআনুল কারিমের ১৪ তম সুরা এটি। মদিনায় হিজরতের কিছুদিন আগে এটি নাজিল হয়। এতে ইবরাহিম (আ.)-এর সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নামকরণ করা হয়েছে সুরা ইবরাহিম। এ সুরাতে মৌলিকভাবে তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের আলোচনা স্থান পেয়েছে।
আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় নেয়ামত বাড়ে
এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে—বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ, আলো, বাতাস, পানি, চাঁদ-সূর্য, রাত-দিন, বৃক্ষ; প্রতিটি জিনিস সৃষ্টি করা হয়েছে মানুষের জন্য। আল্লাহ তাআলা মানুষকে এসব থেকে উপকার ভোগের সুযোগ দিয়েছেন। না চাইতেই দিয়েছেন মহামূল্যবান জীবন, সুস্থতা, উপলব্ধি, প্রখর মেধা ও তীক্ষ্ণ জ্ঞান-বুদ্ধি, নাক, কান, চোখ, মুখ, জিহ্বা, হাত-পাসহ অসংখ্য নেয়ামত। মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি কত করুণা করেছেন, তা বলে, লিখে কিংবা চিন্তা করে শেষ করা যাবে না! বান্দার ওপর আল্লাহর যে পরিমাণ রহমত আছে, তা কল্পনা করাও সম্ভব নয়। এসব কিছুর বিনিময়ে আল্লাহ বান্দার কৃতজ্ঞতাবোধ দেখতে পছন্দ করেন। ধীর–স্থির ও প্রশান্ত চিত্তের সেজদা চান। কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা চান।
বান্দা আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের প্রশংসা, শুকরিয়া ও গুণকীর্তন করলে, তিনি নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেন। খুশি হয়ে বান্দার ওপর রহমত বর্ষণ করেন। ফেরেশতাদের সামনে প্রশংসা করেন। অকৃতার্থ হৃদয়ের প্রতি আল্লাহ শুভদৃষ্টি দেন না। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
পৃথিবীর সব নবী-রাসুল জীবনভর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। মহানবী (সা.) আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় বেশি বেশি নামাজ পড়তেন। ফলে তাঁর পদযুগল ফুলে যেত। অথচ তাঁর আগে-পরের গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দিয়েছিলেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে কিছু খেলে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং কিছু পান করলেও আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম: ২৭৩৪)
মানুষের কল্যাণে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রার্থনা
সুরা ইবরাহিমের শেষাংশে আল্লাহর কাছে ইবরাহিম (আ.)-এর বিশেষ দোয়ার উল্লেখ রয়েছে। সে দোয়ায় তিনি দেশ, নিজের সন্তান–সন্ততি, পরবর্তী বংশধরদের জন্য সুকল্যাণ, তাদের মধ্যে বিশ্বাসী মুসলমান ও নামাজি সন্তান কামনা করেছেন। ক্ষমা চেয়েছেন নিজের জন্য, পিতার জন্য ও সব মুমিন-মুসলমানের জন্য।
এ ছাড়া স্তম্ভহীন আকাশে আল্লাহর নিদর্শন, কোরআনের মাহাত্ম্য, আল্লাহর জিকিরে অন্তরে প্রশান্তি লাভ, নবী-রাসুলদের সঙ্গে কাফেরদের আচরণ ও পরিণতি, হক-বাতিলের পরিচয় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইউসুফের ৫৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা ইবরাহিম পুরোটা পড়া হবে। এই অংশে ইউসুফ (আ.)–এর জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনির শেষাংশ, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, জীবন-মরণ তাঁর হাতে, মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য, কিয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছ
০১ এপ্রিল ২০২৩
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইউসুফের ৫৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা ইবরাহিম পুরোটা পড়া হবে। এই অংশে ইউসুফ (আ.)–এর জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনির শেষাংশ, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, জীবন-মরণ তাঁর হাতে, মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য, কিয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছ
০১ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইউসুফের ৫৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা ইবরাহিম পুরোটা পড়া হবে। এই অংশে ইউসুফ (আ.)–এর জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনির শেষাংশ, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, জীবন-মরণ তাঁর হাতে, মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য, কিয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছ
০১ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইউসুফের ৫৩ নম্বর আয়াত থেকে সুরা ইবরাহিম পুরোটা পড়া হবে। এই অংশে ইউসুফ (আ.)–এর জীবনের রোমাঞ্চকর কাহিনির শেষাংশ, আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, জীবন-মরণ তাঁর হাতে, মুত্তাকিদের বৈশিষ্ট্য, কিয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি ইত্যাদি বিষয়ের বিবরণ রয়েছ
০১ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে